বুধবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৫

নতুন বেতন কাঠামোর গেজেট প্রকাশ

.
.

ঢাকা বিমানবন্দরের নিরাপত্তা যাচাই করছে ব্রিটেন

 
    bd airport
                 ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর
বাংলাদেশের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা যাচাই করতে ব্রিটিশ বিমান নিরাপত্তা গোয়েন্দাদের একটি দল ঢাকায় গেছে।
ঢাকায় কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন, ব্রিটিশ এই নিরাপত্তা গোয়েন্দারা বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষের সাথে বৈঠক করছেন।
সফরকারী দলটি ঢাকা বিমানবন্দরের নিরাপত্তা সচক্ষে খুঁটিয়ে দেখবেন।
সম্প্রতি সন্ত্রাসীদের পেতে রাখা বোমায় মিশরের শারম আল শেখ বিমান বন্দর থেকে উড়ে যাওয়া একটি রুশ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর ব্রিটেনের পরিবহন দপ্তর বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য কিছু দেশকে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বাড়াতে তাগাদা দিচ্ছে।
বিশেষ করে যে সব দেশ থেকে ব্রিটেনে সরাসরি বিমান যায়, সেসব দেশের ওপর তারা নজর দিচ্ছে।
শারম আল শেখের ঐ ঘটনার প্রায় পরপরই ব্রিটেনের একটি প্রতিনিধিদল ঢাকা সফর করে যাত্রী ও ব্যাগেজ পরীক্ষা সহ বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বাড়াতে সুনির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাব দেয়।
ব্রিটেনের একজন দূত বিষয়টি নিয়ে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী হাসিনার সাথেও সেসময় কথা বলেন।
ঢাকায় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সেগুলোর বাস্তবায়নের অগ্রগতি সচক্ষে দেখতে এসেছেন ব্রিটিশ গোয়েন্দারা।
বেসামরিক বিমান মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন গত সপ্তাহে বিবিসিকে জানান, ব্রিটেন ঢাকা বিমানবন্দরে লোকজনের যাওয়া-আসা, ব্যাগেজ হ্যান্ডলিং, বিস্ফোরক চিহ্নিত করার ব্যবস্থা ও বিমানে খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থায় নিরাপত্তার মতো বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু পরামর্শ দিয়েছেন।
মি. মেনন বলেন, ব্রিটেন উদ্বেগ জানানোর পর বিমান বন্দরের নিরাপত্তায় বেশ কিছু বাড়তি কড়াকড়ি করা হচ্ছে।
তিনি জানান, যাত্রীদের চেক ইনের সময় এখন বেল্ট, ঘড়ি বা জুতো খুলতে বলা হচ্ছে। স্ক্যানিং যন্ত্রসহ বিস্ফোরকের সন্ধানে ডগ স্কোয়াড ব্যাবহার করা হচ্ছে।
এছাড়া, মন্ত্রী জানান, ব্যাগেজ হ্যান্ডলিং এর সাথে যারা জড়িত তাদের ব্যাপারে গোয়েন্দা ও পুলিশের ক্লিয়ারেন্স নেওয়া হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন ভিভিআইপি যাত্রীদের বিদায় বা স্বাগত জানাতে যেন বেশি মানুষকে বিমানবন্দরে ঢুকতে দেওয়া না হয়।

রাশিয়ার সঙ্গে দূরত্ব কমাতে মস্কোয় জন কেরি

 
                     সিরিয়ার সংকট সমাধানে সব পক্ষকে নিয়ে এই সপ্তাহের শেষের দিকে একটি বৈঠকের ক্ষেত্র তৈরির চেষ্টা করবেন জন কেরি    
            
সিরিয়ার সংকট সমাধানে রাশিয়ার সঙ্গে দূরত্ব কমাতে মস্কোয় গিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি।
সেখানে তিনি রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
সিরিয়ার সংকট সমাধানে সব পক্ষকে নিয়ে এই সপ্তাহের শেষের দিকে একটি বৈঠকের ক্ষেত্র তৈরির চেষ্টা করবেন জন কেরি।
এরই ধারাবাহিকতায় ইউক্রেন সংকট নিয়েও মি. কেরি রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ বন্ধে দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের ভূমিকা কি হবে, তা নিয়ে রাশিয়া ও আমেরিকার মধ্যে মতভিন্নতা আছে।
আমেরিকা চাইছে, মি. আসাদ ক্ষমতা থেকে সরে যান। কিন্তু রাশিয়া মনে করে, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার সিরিয়ার জনগণের।
বিরোধ রয়েছে আরো কয়েকটি বিষয়েও। শান্তি চুক্তির আলোচনার শুরুতেই আমেরিকান নীতির বিরুদ্ধে রাশিয়া অভিযোগ তুলেছে যে তারা সন্ত্রাসীদের ‘ভালো’ আর ‘মন্দ’ ভাগ করে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।
ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে বোমা হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া, কিন্তু আমেরিকার অভিযোগ, রাশিয়ান বিমান সিরিয়ার বিদ্রোহীদের অবস্থানে বোমা ফেলছে।
সিরিয়ার সরকার আর বিদ্রোহীদের মধ্যে সামনের জানুয়ারিতে একটি শান্তি বৈঠক করার চেষ্টা চলছে।
এরই ধারাবাহিকতায় ইউক্রেন সংকট নিয়েও মি. কেরি রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

'দিলওয়ালে' শাহরুখ আর কাজল

 
                                         'দিলওয়ালে' চলচ্চিত্রের একটি দৃশ্যে শাহরুখ খান ও কাজল     
           
ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্পের এই বছরের সবচাইতে ব্যয়বহুল সিনেমাটি বহু বিদেশী দর্শক আকৃষ্ট করতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে। ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত সহ বিশ্বের বেশ কিছু অংশে এরই মধ্যে ভারতীয় চলচ্চিত্র বেশ সফলতা লাভ করেছে। তবে দিলওয়ালে নামে নতুন এই চলচ্চিত্রটি দিয়ে তারা চীন, ফ্রান্স ও মরক্কোর মতো দেশেও হিন্দি ভাষার ছবি জনপ্রিয় করে তুলতে চাইছে।
চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছেন ভারতীয় চলচ্চিত্রের দুই মহা তারকা শাহরুখ খান এবং কাজল।
তাদের সাথে কথা বলেছে বিবিসির এশিয়ান নেটওয়ার্ক।
শাহরুখ খানকে এই গ্রহের অন্যতম বড় চলচ্চিত্র তারকা বলে মনে করা হয়। অন্যদিকে বহুসংখ্যক পুরষ্কারে ভূষিত তারকা কাজল। আর এই দুজন একসাথে ভারতের সবচাইতে সফল এবং আকাঙ্ক্ষিত জুটি। তারা একসাথে এখন পর্যন্ত ছটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন, মনে করা হয়, প্রত্যেকটি চলচ্চিত্রই ভারতের সবচাইতে জনপ্রিয় ও ব্যবসা সফল চলচ্চিত্রের তালিকায় রয়েছে। তাদের এই সাফল্যের রহস্য কি?
                 দিলওয়ালে ছবির একটি দৃশ্য                
শাহরুখ খান বলছেন, আমার ধারণা ওই ছবিগুলো চিত্রনাট্য ভাল ছিল, ভালভাবে পরিচালনা করা হয়েছে এবং সম্ভবত ছবিগুলোতে অনেক আবেদন সৃষ্টিকারী ব্যাপার ছিল। দ্বিতীয় কাজলের সাথে আমি ছবিতে অভিনয় পছন্দ করি, কারণ আমরা পরস্পরকে পছন্দ করি, পরস্পরের সাহচর্য পছন্দ করি, এবং এটা ভাবতে পছন্দ করি যে ভারতের সবচাইতে সফলতম চলচ্চিত্রগুলোর ছটিতে আমরা একসাথে অভিনয় করেছি। আর যেকোনো শিল্পকর্ম তখনই গ্রেট হয় যখন দর্শকেরা এর প্রশংসা করে।
তাদের এই জুটির সর্বশেষ চলচ্চিত্র দিলওয়ালে, এই ছবির একটি গানের চিত্রায়ন করতে বলিউডের ইতিহাসে সর্বোচ্চ অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। গেরুয়া শিরোনামের এই গানটিতে প্রায় দশ লাখ ডলার খরচ করা হয়েছে। এটির চিত্র ধারণ করা হয়েছে আইসল্যান্ডের একটি লোকেশনে, যেখানে জনপ্রিয় টিভি সিরিজ গেম অব থ্রোনসেরও চিত্রায়ন হয়েছে।
দিলওয়ালে প্রসঙ্গে কাজল বলছেন, আমি মনে করি দিলওয়ালে একটি পূর্ণাঙ্গ প্যাকেজ। এটিতে গল্প আছে, নাটকীয়তা আছে, উড়ন্ত গাড়ী আছে, আর আছে মজার মজার সব কৌতুক এবং মজার মজার সব মানুষের অভিনয়।
সর্বশেষ ২০০১ সালে একটি হিন্দি ভাষার চলচ্চিত্র অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হয়েছিল, সেই চলচ্চিত্রটির নাম লগান। প্রশ্ন হচ্ছে, ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্প হিসেবে এত বিশালাকৃতি ধারণ করবার পরও কেন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি সেভাবে আসছে না?
শাহরুখ বলেন, লগান ছিল আর্ট এবং বাণিজ্যিক ধারার একটি মিশ্রিত রূপ এবং এটা ছিল একটি বিস্ময়কর চলচ্চিত্র। বাস্তবতা হচ্ছে, আপনার কাছে যদি সেরকম গল্প থাকে তাহলে বাজেট থাকবে না। আর একটা ইস্যু রয়ে গেছে, দু:খিত এভাবে বলাটা আমার ঠিক হচ্ছে না, কিন্তু আমি যখন আমেরিকায় সাক্ষাৎকার দিয়েছি, তখন তারা আমাকে এই বলে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে যে ‘বিশ্বের সবচাইতে বড় তারকা যাকে আমেরিকা চেনে না’।
                 শাহরুখ খান ও কাজল জুটির জনপ্রিয় একটি চলচ্চিত্র 'দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে'                
তিনি মনে করেন, ভারতীয় চলচ্চিত্রের এখন ফরম্যাট বদলাতে হবে। আড়াই ঘণ্টার গল্প, তাতে ৫টি গান থাকবে, এই ফরম্যাট পরিবর্তনের এখন সময় এসেছে।
ভারতের বাইরে এখন যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত বলিউডের চলচ্চিত্রের বাজার রয়েছে। কিন্তু মি. খান মনে করেন আসছে বছরগুলোতে এই বাজার আরো কিছু দেশে বিস্তৃত হবে।
শাহরুখ মনে করেন, দক্ষিণ আমেরিকার কিছু জায়গাতেও ভারতীয়দের চেষ্টা করার সময় এসেছে। বিশেষ করে চলচ্চিত্র শিল্পে নেতৃত্বের প্রয়োজন যারা আমাদের শিল্পকে বাইরে নিয়ে যাবার চেষ্টা করবে, অন্তত পরিচয় করিয়ে দেবে। এরই মধ্যে অবশ্য বহির্বিশ্ব ভারতীয় চলচ্চিত্রের স্বাদের পরিচয় পেতে শুরু করেছে বলে তিনি মনে করেন।
শাহরুখ খান বলছেন, এর মধ্যেই বলিউড ৫৬টি দেশে পৌঁছে গেছে। কে জানে হয়তো দু'একবছরেই এটা একশো দেশ হয়ে যাবে এবং একদিন সারা বিশ্বে আমরা পৌঁছে যাব।
৫০ বছর বয়সে এসেও শাহরুখ খানের অগ্রযাত্রা থামার কোনও লক্ষ্মণ দেখা যাচ্ছে না। আগামী ছয়মাসে তার অন্তত তিনটি চলচ্চিত্র মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। বিশ্বের প্রতিটি কোনায় ভারতীয় সিনেমা নিয়ে যাবার যে লক্ষ্য রয়েছে তার, হয়তো তা তার প্রত্যাশার আগেই পূরণ হয়ে যাবে।

যৌন নির্যাতনে বিল কসবির পাল্টা অভিযোগ

 
    যৌন নির্যাতনের অভিযোগকারিনীদের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ এনেছেন অভিনেতা বিল কসবি       
          
অন্তত ৪০জন নারীকে যৌন নির্যাতন করার অভিযোগ আছে যার বিরুদ্ধে, সেই অভিনেতা বিল কসবি উল্টো অভিযোগ করেছেন, তাদের অনেকেই আর্থিক সুবিধা নিতে তার বিরুদ্ধে আঙ্গুল তুলেছেন।
মানসিক নির্যাতনের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে ৭৮ বছর বয়সী মি. কসবি ক্ষতিপূরণেরও দাবি করেছেন।
এই দাবিতে আদালতে একটি মামলা (ল’স্যুইট) করেছেন সফল এই অভিনেতা ও কমেডিয়ান।
বিল কসবির বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে সাতজন অভিযোগকারিনী আদালতে ক্ষতিপূরণের দাবি তোলার পর তিনি পাল্টা এই অভিযোগ আনলেন।
অভিযোগকারীরা বলছেন, মি. কসবি কয়েক দশক ধরে অ্যালকোহলের মধ্যে ওষুধ মিশিয়ে তাদের জোর করে যৌন নির্যাতন করেছেন। এই অভিযোগ তোলার পর মি. কসবি এবং তার প্রতিনিধিরা তাদের সামাজিকভাবেও হেয় করার চেষ্টা করে।
যৌন নির্যাতনের অভিযোগ বরাবরই প্রত্যাখ্যান করে আসছেন বিল কসবি। তার বিরুদ্ধে কখনোই ফৌজদারি অভিযোগও গঠন করা হয়নি।
আদালতে অবশ্য মি. কসবি স্বীকার করেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে নারীদের উত্তেজক মাদক দিয়েছেন, কিন্তু তাঁর দাবি, সেগুলো তারা স্বেচ্ছায় নিয়েছেন।
যদিও বিল কসবির বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠার পর তার সাথে কয়েকটি চুক্তি বাতিল করেছে এনবিসি, নেটফ্লিক্স সহ কয়েকটি মিডিয়া কোম্পানি।

সরকারি বাধার মুখে চাকমা চলচ্চিত্র 'মর থেঙ্গারি'?

 
                     বাংলাদেশে বিলুপ্তপ্রায় চাকমা ভাষায় নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র 'মর থেঙ্গারি' বা 'আমার বাইসাইকেল'      
           
বাংলাদেশে চাকমা ভাষায় তৈরি প্রথম চলচ্চিত্রের পরিচালক অভিযোগ করছেন যে চলচ্চিত্রটি অবাণিজ্যিকভাবে প্রদর্শন করতে গিয়ে তিনি সরকারী বাধার মুখে পড়েছেন। ছবিটিকে সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র দেবার বিষয়টি ছয়মাস ধরে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ তুলেছেন।
চলচ্চিত্রটিতে সেনাবাহিনী সংশ্লিষ্ট কিছু বিষয়বস্তু নিয়ে আপত্তি তোলা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করছেন।
তবে বাংলাদেশ সেন্সর বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, অং রাখাইন নামের ওই পরিচালক তার ‘মর থেঙ্গারি’ বা 'আমার বাইসাইকেল' শিরোনামের চলচ্চিত্রটি কোনোরকম অনুমতি ছাড়াই বাংলাদেশে প্রদর্শন করেছেন বলে অভিযোগ আছে এবং এ নিয়ে তদন্ত হবার কারণেই ছবিটিকে সেন্সরের জন্য সূচী ভুক্ত করতে দেরী হয়েছে।
অং রাখাইন বাংলাদেশের একটি সংখ্যালঘু রাখাইন গোষ্ঠীর সদস্য। 'মর থেঙ্গারি' বা 'আমার বাইসাইকেল' নামের এই চাকমা ভাষার চলচ্চিত্রটি নিয়ে তিনি কাজ করছেন গত দশ বছর ধরে।
এক পর্যায়ে ২০১২ সালে তিনি ছবির শুটিং শুরু করেন এবং ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে ঢাকার একটি চলচ্চিত্র উৎসবে প্রথমবারের এটি প্রদর্শন করেন।
পরবর্তীতে ঢাকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও ফিল্ম ক্লাবগুলোতে ঘরোয়া ভাবে ছবিটি প্রদর্শন করছিলেন তিনি।
                                     'মর থেঙ্গারি' বা 'আমার বাইসাইকেল' চলচ্চিত্রের পরিচালকের অভিযোগ, ছবিটির সেন্সর ছাড়পত্র দিতে তাকে ছয়মাস ধরে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে                
অং রাখাইন বলছিলেন, এরই এক পর্যায়ে তিনি সেন্সর ছাড়াই কেন চলচ্চিত্রটি প্রদর্শন করছেন জানতে চেয়ে সরকার থেকে তাকে চিঠি পাঠানো হয়।
কিন্তু মিস্টার রাখাইন বলছেন, গত জুন মাসে সেন্সর ছাড়পত্রের জন্য চলচ্চিত্রটি জমা দেয়ার পর জুলাই মাসের শেষভাগে সেন্সর প্রদর্শনীর জন্য সূচীভূক্ত করা হয় এবং এক পর্যায়ে কোনও কারণ না দেখিয়েই তা স্থগিত করা হয়।
সেই থেকে তিনি এখন পর্যন্ত দ্বারে দ্বারে ঘুরেও তার চলচ্চিত্রের সেন্সর ছাড়পত্রের ব্যাপারে অগ্রগতি জানতে পারেননি।
অং রাখাইনের বক্তব্য অনুযায়ী, পার্বত্য অঞ্চলে চাকমা জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রা নিয়েই তার মর থেঙ্গারি ছায়াছবির বিষয়বস্তু, একটি বাইসাইকেলকে কেন্দ্র করে যার কাহিনী আবর্তিত হয়েছে, এক পর্যায়ে ছবিটিতে একটি নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতীকী উপস্থিতি দেখানো হয়, মিস্টার রাখাইন মনে করেন এর ফলেই হয়তো তার সিনেমার ব্যাপারে আপত্তি এসেছে এবং তাকে ছাড়পত্র দিতে গড়িমসি করা হচ্ছে।
এ নিয়ে সেন্সর বোর্ড তার কাছে যে চিঠিটি পাঠিয়েছে তার একটি কপি বিবিসি বাংলার হাতেও রয়েছে, চিঠিটি মূলত একটি কারণ দর্শাও নোটিশ, একটি অংশে লেখা রয়েছে, চলচ্চিত্রটিতে বাংলাদেশ সরকার এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সুনাম ক্ষুন্নকারী দৃশ্য ও সংলাপ উপস্থাপন করা হয়েছে, যা পার্বত্য চট্টগ্রামে, সেনাবাহিনী বিরোধী প্রোপাগান্ডার অংশ হিসেবে প্রচার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেইন বলছেন,মর থেঙ্গারি ছবিটির সেন্সরের জন্য সূচীভূক্ত হবার অপেক্ষায় আছে, অচিরেই এটির সেন্সর করা হবে।
সেন্সর বোর্ড বলছে, ছবিটি সেন্সরের জন্য সূচীভূক্ত হবার অপেক্ষায় আছে                
জাকির হোসেইন বলছেন, একটি অভিযোগ রয়েছে যে, সেন্সর বিহীন অবস্থায় জাতীয় জাদুঘরে ছবিটির প্রদর্শনী করা হয়েছে। সেই অভিযোগ তদন্ত হয়েছে এবং সেখানে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। ছবিটির ভেতরে সামরিক কোন বিষয় নিয়ে আপত্তির বিষয়ে পরিচালককে চিঠি দেয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, যখন সেন্সর হবে, তখন সেন্সর বোর্ডের সদস্যরাই দেখবেন, চলচ্চিত্রটির ভেতর কি আছে না আছে।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, বাংলাদেশে বিলুপ্ত প্রায় চাকমা ভাষায় এই 'মর থেঙ্গারি' প্রথম কোনও চলচ্চিত্র। প্রায় ত্রিশ লাখ টাকায় ব্যয়ে চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছেন মিস্টার রাখাইন।
৬৪ মিনিট ব্যাপ্তিকালের এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন চাকমা সম্প্রদায়ের সদস্যরা।

বিশুদ্ধ বায়ুর জন্য' ফি নিয়েছে চীনা রেস্তোরাঁ


    china restaurant                 শুধু খাবার নয়, বিশুদ্ধ বায়ুরও ব্যবস্থা করেছে রেস্তোরাঁ   
             
চীনের পূর্বাঞ্চলের ঝ্যাং জিয়াগাং শহরে বায়ুদূষণ এমন মাত্রায় পৌছেছে যে একটি রেস্তোরাঁ তার খাবারের দামের পাশাপশি বিশুদ্ধ বাতাসের জন্যও অতিরিক্ত ফি নিচ্ছিল।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এ খবর জানার পর রেস্তোরাঁটিকে এটা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়ে বলেছে, ক্রেতাদের না জানিয়ে এভাবে অতিরিক্ত টাকা নেয়া অবৈধ।
বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানায়, ওই অঞ্চলের শহরগুলোতে বায়ুদূষণের কারণে ইদানীং এত ঘন ধোঁয়াশা সৃষ্টি হচ্ছে যে ১০০ মিটারের বেশি দূরের জিনিস দেখা যায় না।
এ কারণে জিয়াংশু প্রদেশের ওই রেস্তোরাঁটি তাদের খদ্দেরদের খাওয়াদাওয়া করার পরিবেশ উন্নত করতে অভিনব ব্যবস্থা করেছে।
রেস্তোরাঁর ভেতরের বাতাস পরিশুদ্ধ করার জন্য এর মালিক সম্প্রতি একটি ফিল্টার সিস্টেম বসিয়েছেন। আর এর খরচ পুষিয়ে নেবার জন্য তিনি প্রতি খদ্দেরপিছু এক ইউয়ান করে অতিরিক্ত চার্জ আরোপ করেছেন - যা খাবারের দামের বাইরে।
china pollutionচীনের বহু শহরেই বায়ু দূষণ বিপজ্জনক মাত্রায় পৌঁছেছে                
একজন কর্মকর্তা বলেন, এই চার্জ অবৈধ - কারণ রেস্তোরাঁয় যারা খেতে আসছেন - বিশুদ্ধ বায়ু তাদের অর্ডারের অংশ নয়। তাই এটাকে একটা পণ্য হিসেবে বিক্রি করা যায় না।
বিশুদ্ধ বায়ু সেবনের জন্য অতিরিক্ত অর্থ রেস্তোরাঁর খদ্দেরদের অসন্তুষ্ট করেছে - কিন্তু খবরটি বেরুনোর পর চীনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই একে স্বাগত জানিয়েছেন।
সিনা ওয়েইবো মাইক্রোব্লগ সাইটে অনেকেই বলেছেন, বিশুদ্ধ বায়ুর জন্য অতিরিক্ত ফি দিতে তাদের আপত্তি নেই। "আমি খুশি মনেই এই ফি দেবো" - বলেছেন একজন।
আরেকজন বলেছেন সরকারেরও উচিত এমন ব্যবস্থা নেয়া।
অবে অন্য অনেকে বলছেন, অতিরিক্ত ফি নেয়াটা সমস্যা নয়, বরং তা যে না জানিয়ে নেয়া হচ্ছিল - সমস্যা সেটাই।

স্বর্ণ নিয়ে পালিয়ে গেলেন পুলিশ কর্মকর্তা

 
    ১৩টি স্বর্ণ বার উদ্ধারের পর সেগুলো নিয়ে পালিয়ে গেছেন পুলিশের একজন এএসআই (ফাইল ফটো)  
              
স্বর্ণসহ একজন চোরাকারবারিকে গ্রেপ্তার করেছেন পুলিশের একজন কর্মকর্তা। কিন্তু সেই সোনা নিয়ে আটককারী কর্মকর্তা নিজেই পালিয়ে যাওয়ায় উল্টো পুলিশ তাকেই খুঁজতে শুরু করেছে।
বাংলাদেশের যশোরের বেনাপোল থানায় সোমবার এই ঘটনা ঘটেছে।
বেনাপোল থানার ওসি অপূর্ব হাসান বিবিসিকে জানান, সোমবার সকালে রঘুনাথপুর থেকে রেজাউল ইসলাম নামের একজনকে এক কেজি তিনশ গ্রাম ওজনের ১৩ পিস স্বর্ণের বারসহ আটক করেন বেনাপোল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম।
তিনি জানান, আটকের পর তাকে নিয়ে মোটরসাইকেলে থানায় রওনা হন। কিন্তু থানার গেটে এসে সঙ্গে থাকা কনস্টেবলকে আসামীকে থানায় নিয়ে যাওয়ার আদেশ দিয়ে নিজে আবার এএসআই রফিকুল ইসলাম আবার বাইরে চলে যান। এরপর থেকে তার আর কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনার পর এএসআই রফিকুল ইসলামের খোঁজে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। তাঁর বাড়িতেও খোজ নেয়া হয়েছে, কিন্তু সেখানে তিনি যাননি।
এ ঘটনায় পুলিশ দুইটি মামলা করেছে। একটিতে সোনা চোরাচালানের অভিযোগে রেজাউল ইসলামকে আসামী করা হয়েছে।
আরেকটি মামলায় সোনা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ায় এএসআই রেজাউল ইসলামকে আসামী করা হয়েছে।

সৌদি সামরিক জোটে বাংলাদেশ, ভূমিকা অস্পষ্ট

 
    saudi                 নতুন সামরিক জোটের ঘোষণা দিচ্ছেন সৌদি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মোহামেদ বিন সালমান      
          
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ৩৪টি মুসলিম প্রধান দেশ নিয়ে একটি নতুন সামরিক জোট গঠনের ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরব।
বাংলাদেশও এই জোটে যোগ দিয়েছে।
তবে সৌদি নেতৃত্বে এই জোটের কাজ কি হবে, সদস্য হিসাবে বাংলাদেশের ভূমিকা কি হবে সে সম্পর্কে কম-বেশি অজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের কর্মকর্তারা।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, প্রাথমিক আলোচনার ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। রিয়াদের কাছে এই উদ্যোগের বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়েছে।
"প্রাথমিক আলোচনায় সৌদিআরব আমাদের যে ধারণা দিয়েছে, তা হচ্ছে এটা যুদ্ধ করার সামরিক জোট নয়। এটি মূলত গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়ের একটি কেন্দ্র হবে। এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের ব্যাপারেও গুরুত্ব দেয়া হবে।"
“সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রী আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রীকে জানিয়েছেন যে, তারা রিয়াদে একটি সন্ত্রাসবিরোধী কেন্দ্র করতে চান। সন্ত্রাস ও উগ্র সহিংসতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের জিরো টলারেন্স এবং যে অবস্থান রয়েছে, সেজন্য তারা বাংলাদেশকে এই উদ্যোগে রাখতে চায়। ফলে আমরা এই উদ্যোগে যোগ দিয়েছি।”
কিন্তু সৌদি আরবের ঘোষণায় নতুন এই জোটকে সন্ত্রাস বিরোধী সামরিক জোট হিসেবে বর্ননা করা হয়েছে।
রিয়াদে এক সংবাদ সম্মেলনে সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রী যুবরাজ মোহামেদ বিন সালমান বলেছেন, এই জোট ইরাক, সিরিয়া, মিশর আর আফগানিস্তানে সন্ত্রাসী ও জঙ্গীদের বিরুদ্ধে লড়াই করবে।
সৌদি মন্ত্রী বলেন, ইসলামিক দেশগুলো এই রোগের (চরমপন্থা) সঙ্গে লড়ছে যা এসব দেশের ভাবমূর্তিও ক্ষুন্ন করছে। "এখন প্রতিটি দেশ আলাদা ভাবে এর সঙ্গে লড়ছে। কিন্তু এই জোটের মাধ্যমে দেশগুলো একত্রে লড়াই করবে।"
তবে এর বেশি জানাননি যুবরাজ সালমান।
shahriar
                 বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম স্বীকার করেছেন যোগ দিলেও এখনও সৌদি নেতৃত্বে জোটের বিস্তারিত কিছু জানেনা বাংলাদেশ
এই জোটের অধীনে সৈন্য পাঠাতে হবে কিনা, বা সামরিক বিষয়ে কি ধরণের সহযোগিতার প্রশ্ন আসবে, এসব বিষয়ে বাংলাদেশ বিস্তারিত জানতে পারেনি।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম অবশ্য বলেছেন, নতুন এই উদ্যোগে যোগ দেয়ার ক্ষেত্রে কোন শর্ত নেই। সদস্য দেশগুলো স্ব স্ব অবস্থান এবং সামর্থ্য থেকে সহযোগিতা করতে পারবে। সেখানে সন্ত্রাসবিরোধী তথ্য বিনিময়ে বাংলাদেশ ভূমিকা রাখতে পারবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
জাতিসংঘের অধীনেই শুধু শান্তিরক্ষায় সৈন্য পাঠানোর একটা নীতিগত অবস্থানে বাংলাদেশ রয়েছে।
বিশ্লেষকদের অনেকে বলেছেন, নতুন জোটে কখনও সৈন্য পাঠানোর প্রশ্ন থাকলে তাতে বাংলাদেশের নীতিতে মৌলিক পরিবর্তন আনতে হবে।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক আব্দুর রব খান বলেছেন, ইরাণের মতো বড় শক্তিকে বাদ দিয়ে এই জোট হলেও বেশিরভাগ মুসলিম দেশের সাথে থাকাটা বাংলাদেশের জন্য ব্যতিক্রমী কিছু নয়। তবে বাংলাদেশ কিভাবে ভূমিকা রাখবে সেটাই দেখার বিষয়।
কে কে আছে জোটে?
সৌদি আরবের সরকারি বার্তা সংস্থা (এসপিএ) জানিয়েছে, সৌদি রাজধানী রিয়াদ থেকেই জোট বাহিনীর কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
এসপিএ জানিয়েছে, জোটের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে আরব, দক্ষিণ এশিয়া আর আফ্রিকার দেশগুলো রয়েছে।
তবে ইরানকে এই জোটের অর্ন্তভুক্ত করা হয়নি। জোটে নেই আফগানিস্তান, ইরাক এবং সিরিয়াও।
সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রী যুবরাজ মোহামেদ বিন সালমান জানান, জোটে পুরোপুরি সক্রিয় হতে সদস্য দেশগুলোকে প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে, তবে খুব তাড়াতাড়ি জোট কার্যকর হয়ে উঠবে।
ইসলামিক স্টেটের মতো গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে বর্তমানে বেশ কয়েকটি জোট রয়েছে।
আমেরিকান নেতৃত্বাধীন জোটে ৬৫টি দেশ রয়েছে। যদিও খুব কম দেশই সক্রিয়ভাবে লড়াইয়ে অংশ নিয়েছে।
জোটের ৩৪ দেশের তালিকাঃ
সৌদি আরব, বাহরাইন, বাংলাদেশ, বেনিন, চাদ, কোমোরোস, আইভরি কোস্ট, জিবুতি, মিশর, গ্যাবন, গায়েনা, জর্ডান, কুয়েত, লেবানন, লিবিয়া, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মালি, মরক্কো, মৌরিতানিয়া, নাইজার, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ফিলিস্তিন, কাতার, সেনেগাল, সিয়েরা লিওন, সোমালিয়া, সুদান, টোগো, তিউনিসিয়া, তুরস্ক, আরব আমিরাত এবং ইয়েমেন।

এই প্রথম দুজন হিজড়া নির্বাচনে লড়ছেন

 
    দিথি বেগম                 কলারোয়ায় প্রচারণা চালাচ্ছেন হিজড়া প্রার্থী দিথি বেগম                
বাংলাদেশে হিজড়াদের ভোটাধিকার দেবার পাশাপাশি তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবেও স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।
কিন্তু প্রথমবারের মত এই দুজন হিজড়া আসন্ন পৌর নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন।
সুমি খাতুন এবং দিথি বেগম দু’জনেই অবশ্য লড়ছেন সংরক্ষিত নারী আসনে।
সাতক্ষিরার কলারোয়াতে দিথি বেগমের কিছু ব্যবসা আছে। তাছাড়া পৈতৃকসূত্রে তার কিছু জমিও রয়েছে। এলাকার মানুষের কাছে তার পরিচিতি রয়েছে।
কতটা গ্রহণযোগ্য হবেন- বিবিসি বাংলার এই প্রশ্নে তিনি বলেন সেটি প্রমাণিত হবে নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে।
দিথি বেগম বলেন, তিনি বিভিন্ন সময় গরীব মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসেন। অনেককে তিনি আর্থিকভাবে সহায়তাও করেছেন। এলাকার মানুষের উপকার করার করার ইচ্ছা থেকেই নির্বাচনে প্রতিন্দ্বন্দিতা করছেন বলে তিনি জানান।
দিথি বেগম                 নির্বাচনী প্রচারনায় দিথি বেগম( বাম দিকে)                
বাংলাদেশের সমাজে যেখানে হিজড়াদের অবজ্ঞার চোখে দেখা হয় সেখানে নির্বাচনী প্রচারণার এলাকার মানুষ তাকে কিভাবে দেখছেন?
দিথি বেগম বলেন, “ মানুষ সহযোগিতা করছে। সবাই আমাকে ভালবাসছে।” তার পেছনে ‘এলাকার মুরব্বিদের’ সমর্থন আছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
দিথি বেগম বলেন, এর আগে বিভিন্ন সময়ে তিনি অনেক প্রার্থীকে নির্বাচনে বিজয়ী হতে সাহায্য করেছেন। “এজন্য এবার ভাবলাম আমি নিজেই নির্বাচন করি। আগে যারা ছিল তাদের অনেকেই স্বজনপ্রীতি করেছে। আমার তো কোন পিছু টান নেই।”
দিথি বেগমের সাথে সেই ওয়ার্ডে আরও দুইজন প্রার্থী প্রতিন্দ্বন্দিতা করছেন। এদের একজন লুৎফুন নেসা। নিজের প্রতিন্দ্বন্দি হিসেবে একজন হিজড়াকে তিনি সহজভাবেই গ্রহণ করছেন।
লুৎফুন নেসা বলেন , “ভোটার হিসেবে তার অধিকার আছে নির্বাচনে প্রতিন্দ্বন্দিতা করার। জনগণ যদি চায় তাহলে সে জিতবে। আমার কাছে কোন অস্বস্তিকর লাগছে না।”
বাংলাদেশে হিজড়াদের সংখ্যা কত সেটির সুনির্দিষ্ট কোন পরিসংখ্যান নেই। হিজড়াদের নিয়ে কাজ করে এমন বেসরকারি সংস্থাগুলো বলছে এই সংখ্যা ৫০ হাজারের মতো হতে পারে।
বেসরকারি সংস্থা বন্ধু ওয়েলফেয়ার সোসাইটির ফসিউল আহসান বলেন পৌরসভা নির্বাচনে দুজন হিজড়ার প্রতিন্দ্বন্দিতা বাংলাদেশে একটি যুগান্তকারী ঘটনা।
“ অন্যান্য হিজড়ারাও মনে করবে যে এখন তাদেরও যোগ্য হতে হবে।”
মি আহসান মনে করেন, গতানুগতিক জীবনধারা থেকে হিজড়ারা বেরিয়ে আসার জন্য অনুপ্রাণিত হবে।

নরেন্দ্র মোদি এমএ পরীক্ষায় কত নম্বর পেয়েছিলেন?

 
    modi
                 লোকসভা নির্বাচনের সময় নরেন্দ্র মোদির দেওয়া হলফনামা। লেখা আছে, তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএ।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার এমএ ডিগ্রি পরীক্ষায় কত নম্বর পেয়েছিলেন?
অজস্রবার এই প্রশ্নে জেরবার হয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অবশেষে জানিয়ে দিয়েছে, তাদের কাছে এর কোনও রেকর্ড নেই।
প্রধানমন্ত্রী আসলে পড়াশুনোয় ঠিক কতটা ভাল, সেটা জানতে চেয়ে ‘তথ্য জানার অধিকার’ (রাইট টু ইনফর্মেশন) আইনের আওতায় এই জাতীয় অসংখ্য প্রশ্ন জমা পড়েছিল প্রধানমন্ত্রীর দফতরে।
কিন্তু গত প্রায় দেড় বছর ধরে জমা-পড়া এই সব প্রশ্নের উত্তরে এতদিন নীরব থাকার পর মি মোদি-র কার্যালয় তাদের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে -- নম্বরের হিসেব দেওয়া সম্ভব নয়, কারণ প্রধানমন্ত্রীর অফিসে সেসব নথিপত্র নেই।
প্রধানমন্ত্রীর সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা যে তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএ ডিগ্রিধারী – সেটাও ওয়েবসাইটে উল্লিখিত আছে বলে তার সচিবালয়ের কর্তারা মনে করিয়ে দিয়েছেন।
কিন্তু যে সব ‘রাইট টু ইনফর্মেশন’ (আরটিআই) অ্যাক্টিভিস্টরা প্রধানমন্ত্রীর নম্বর জানতে চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছিলেন তারা এই উত্তরে যথারীতি হতাশ।
আরটিআই অ্যাক্টিভিস্ট ভেঙ্কটেশ নায়েক মনে করছেন, নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী পদে আসার পর থেকেই তার সচিবালয় বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যেতে শুরু করেছে।
মি নায়েকের কথায়, "এমন কী অনায়াসেই যে সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া সম্ভব সেগুলোও কোনও অজানা কারণে বা অদ্ভুত সব অজুহাত দিয়ে পাশ কাটিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এখানেও সেরকমই কিছু ঘটেছে বলে আমার অনুমান।"
প্রধানমন্ত্রী মোদি এর আগে গত লোকসভা নির্বাচনের সময় বা তার আগে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে যতবার ভোটে লড়েছেন প্রতিবারই হলফনামায় নিজেকে এমএ (পলিটিক্যাল সায়েন্স) বলে ঘোষণা করেছেন।
তার নিজের দেওয়া তথ্য অনুসারে, ১৯৭৮ সালে তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ডিসট্যান্স লার্নিং কোর্সে ভর্তি হয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। এই ধরনের কোর্সে কোনও কলেজে গিয়ে ক্লাস করতে হয় না, ডাকযোগেই পড়াশুনো চলে।
এর পাঁচ বছর বাদে গুজরাট ইউনিভার্সিটি থেকে তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন বলেও প্রধানমন্ত্রীর ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে।
কিন্তু এই সব ডিগ্রি পরীক্ষায় তার ফল কেমন ছিল বা তিনি ঠিক কত নম্বর পেয়েছিলেন – এতদিন বাদে সেটা খোঁজ করতে গিয়েই হতাশ হতে হচ্ছে ভারতের আরটিআই অ্যাক্টিভিস্টদের!

একটি জাতীয় পরিচয়পত্রে বড়জোর ২০টি সিম

 
    sim                           
বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ খাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি জানিয়েছে এখন থেকে একটি জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে কেউ ২০টি পর্যন্ত মোবাইল সিম রাখতে পারবেন।
সংস্থার চেয়ারম্যান ড শাহজাহান মাহমুদ সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা বিবিসি বাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।
এই প্রথম দেশে সিম রাখার কোনও সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হলও।
ড মাহমুদ জানান দ্রুত মোবাইল অপারেটরদের এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে।
নির্ভরযোগ্য সরকারি সূত্রগুলো জানিয়েছে, মোবাইল অপারেটরদের জাতীয় পরিচয় পত্রের ডাটাবেজে আংশিকভাবে ঢুকতে দেওয়া হবে, যাতে প্রতিটি গ্রাহকের সিম কেনার গতিবিধির ওপর নজর রাখতে পারেন।
বাংলাদেশে অনেক মানুষ বিভিন্ন অপারেটরের একাধিক সিম কিনে রাখেন। বিশেষ করে বিভিন্ন মোবাইল অপারেটরের বৈধ বা অবৈধ এজেন্টরা একটি নামেই কয়েকশ পর্যন্ত সিম সংগ্রহ করে রাখেন।
বাংলাদেশে মোবাইল সিম নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করার পর সিম কার্ড রাখার ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিল। বিভিন্ন সময়ে সরকারের পক্ষ থেকে একেকবার এককেটি সংখ্যা নির্ধারণের কথা শোনা গেছে।
কর্মকর্তারা বলছেন, এই বিভ্রান্তি দুর করতে সংখ্যা নির্ধারণ করে দেওয়া হলো।

'কোনও আইএস নেতা পার পাবেনা'

 
    'কোনও আইএস নেতা পার পাবেনা'                           
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন তথাকথিত ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র আরো কঠোর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
তবে তিনি এটাও স্বীকার করেছেন আইএসবিরোধী যুদ্ধ প্রতিনিয়তই কঠিন হয়ে পড়ছে এবং অভিযান আরও উন্নত করা প্রয়োজন বলেও মনে করেন তিনি।
সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়ায় বন্দুকধারীদের হামলার ঘটনা এবং প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার পর আইএসবিরোধী অভিযান আরও নতুন কৌশলে চালানো দরকার বলে মনে করেন প্রেসিডেন্ট ওবামা।
পেন্টাগনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেন ইসলামিক স্টেট জংগিদের বিরুদ্ধে অতীতের অন্য যে কোন সময়ের তুলনায় আরো কঠিন হামলা চালানো হচ্ছে। নভেম্বর মাসেই আইএস বিরোধী আক্রমণ অনেক গুণে বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
মি: ওবামা বলছেন, "আইএস এর ওপর যুক্তরাষ্ট্র কঠিন থেকে কঠিনতর হামলা চালাচ্ছে। অস্ত্রশস্ত্র, ড্রোন, বিমান ইত্যাদি দিয়ে আইএস এর ওপর আক্রমণের পরিমাণও আগের তুলনায় বাড়িয়ে দিয়েছে। গত বছর আইএসবিরোধী অভিযান শুরু হবার পর থেকে আজ পর্যন্ত জঙ্গীদের দমাতে প্রায় নয় হাজারের মতো বিমান হামলা চালানো হয়েছে"।
তিনি কড়া বার্তা দিয়ে বলেছেন ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর নেতারা কেউ আর লুকোতে পারবেনা। তারাই পরবর্তী টার্গেট এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
মি: ওবামা বলেন, ইরাকে আইএস তার কবজায় থাকা ৪০ শতাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে।
আইএস এই গ্রীষ্মের পর থেকে কোন সফল হামলা চালাতে পারেনি বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সম্প্রতি বেশক'টি তেলের খনিতে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদেশগুলো।
এই তেলের খনিগুলোই আইএসের মুল অর্থনৈতিক ভিত্তি।
সামনে আরও কঠিন লড়াই করতে হবে বলেও মনে করেন মি: ওবামা।
সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়ার সান বার্নার্ডিনোতে বন্দুকধারীদের হামলা এবং প্যারিসে হামলার ঘটনা আইএস প্রভাবিত বলে মনে করা হচ্ছে। সেই প্রেক্ষিতে হামলার গতি আরো বাড়ানো হয়েছে।