পবিত্র কোরআনে বহুবিবাহের উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু ক্ষেত্র বিশেষে। অনেক ক্ষেত্রেই পবিত্র কোরআনের ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার একটি মামলার শুনানির সময়ে এই মন্তব্য করেছে গুজরাট হাইকোর্ট।
সম্প্রতি এক মহিলা পুলিশে অভিযোগ করেন, তার স্বামী অন্য এক মহিলাকে বিয়ে করেছেন। এর পরেই স্বামী জাফর আদালতের দ্বারস্থ হন। তার দাবি ছিল, কোরআন মতে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ সর্বাধিক চার বার বিবাহ সম্পর্কে আবদ্ধ হতে পারেন।
তাই তার বিরুদ্ধে প্রথম পক্ষের স্ত্রীর আনা অভিযোগ খাটে না। স্ত্রীর আইনজীবীর বক্তব্য ছিল, কোরআনে পলিগামি অর্থাৎ বহুবিবাহের উল্লেখ মাত্র একবারই রয়েছে। কিন্তু তাও ক্ষেত্র বিশেষে। স্ত্রীর অজ্ঞাতসারে স্বামী যদি অন্য মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে আবদ্ধ হয় কিংবা নিজের ইচ্ছা মতো স্ত্রী-কে তালাক দিয়ে দেয়, তা খুবই যন্ত্রণাদায়ক।
দু’পক্ষের যুক্তি বিবেচনা করে এবং কোরআনে খতিয়ে দেখে বিচারপতি জানান, জাফরের কথা অনুযায়ী তিনি কোরআন মতে কাজ করেছেন। কিন্তু জাফর জানেন না তিনি কোরআন মতেও বেআইনি কাজ করেছেন। অনেক সময়ই নিজেদের ‘স্বার্থে’-র জন্য মানুষ কোরআনের ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছে। যা হওয়া বাঞ্ছনীয় নয়। জাফরের বিরুদ্ধে যদিও মামলা প্রত্যাহারের নির্দেশই দেন বিচারপতি।
ক’দিন আগেই দেশে বিভিন্ন ধর্মের মানুষের আলাদা বিবাহ আইনের বিরুদ্ধে সওয়াল করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। সব ধর্মের বিবাহ সংক্রান্ত আইন এক করা যায় কি না তা খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছিল সরকারকে। প্রথমবার্তা, ডেস্ক রিপোর্ট :
দেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু-১-এর মূল কার্যক্রম স্যাটেলাইট সিস্টেম ক্রয়ে ৮৫ শতাংশ অর্থায়ন করবে ফ্রান্সভিত্তিক প্রতিষ্ঠান থেলিস অ্যালেনিয়া স্পেস। সেই লক্ষ্যে তাদের সাথে চুক্তি করছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। ১১ নভেম্বর এ চুক্তি সম্পন্ন হবে বলে কমিশন সূত্রে জানা গেছে।
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, স্যাটেলাইট সিস্টেম নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৯৫১ কোটি ৭৫ লাখ ৩৪ হাজার টাকা। এর মধ্যে নির্মাণকাজের দায়িত্ব পাওয়া প্রতিষ্ঠান বহন করবে ৮৫ শতাংশ ব্যয়। বাকি অর্থ দেবে সরকার। গত ২০ অক্টোবর সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি স্যাটেলাইট সিস্টেম কেনার প্রস্তাব অনুমোদন করে। টার্ন-কি পদ্ধতিতে এটি কেনা হচ্ছে। এর আগে প্রকল্পের দুটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে; যার একটি স্লট ক্রয় ও অন্যটি পরামর্শক নিয়োগ।
ইউরোপের শীর্ষ স্যাটেলাইট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান থেলিস অ্যালেনিয়া স্পেস ফ্রান্স ও ইতালির যৌথ বিনিয়োগে প্রতিষ্ঠিত। থেলিসের প্রধান কার্যালয় ফ্রান্সের কানে।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে কক্ষপথের স্লট বরাদ্দ নিতে রাশিয়ার প্রতিষ্ঠান ইন্টারস্পুটনিকের সঙ্গে চুক্তি করে বিটিআরসি। চুক্তি অনুযায়ী ইন্টারস্পুটনিককে স্লট বরাদ্দের জন্য ২ কোটি ৮০ লাখ ডলার দিতে হচ্ছে।
স্যাটেলাইট নির্মাণ ও উৎক্ষেপণে গত ২৪ মার্চ দরপত্র আহ্বান করা হয়। দরপত্র প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের যোগ্যতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়, ২০১০ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সময়ে ন্যূনতম ১০টি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ বা সম্ভাব্য উৎক্ষেপণের সময় নির্ধারিত রয়েছে, এমন প্রতিষ্ঠান আবেদন করতে পারবে। নির্বাচিত প্রতিষ্ঠান স্যাটেলাইটের মূল অংশ তৈরি, উৎক্ষেপণ, গ্রাউন্ড কন্ট্রোল স্টেশন নির্মাণ ও বীমা নিশ্চিতে কাজ করবে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে স্যাটেলাইট তৈরির আগ্রহ প্রকাশ করে চারটি প্রতিষ্ঠান— কানাডার এমডিএ করপোরেশন, ফ্রান্সের থেলিস অ্যালেনিয়া স্পেস, যুক্তরাষ্ট্রের অরবিটাল সায়েন্সেস করপোরেশন ও চীনের চায়না গ্রেট ওয়াল ইন্ডাস্ট্রি করপোরেশন (সিজিডব্লিউআইসি)।
ডিপিপি অনুযায়ী প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৯৬৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ১ হাজার ৩১৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা। বাকি ১ হাজার ৬৫২ কোটি ৪৪ লাখ টাকা সংগ্রহ করা হচ্ছে বিদেশী উত্স থেকে। স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পর পাঁচ বছরের মধ্যে এ প্রকল্পের ব্যয় উঠে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে পরামর্শক সেবা গ্রহণের জন্য ২০১২ সালের জানুয়ারিতে ‘প্রিপারেটরি ফাংশন অ্যান্ড সুপারভিশন ইন লঞ্চিং আ কমিউনিকেশন অ্যান্ড ব্রডকাস্টিং স্যাটেলাইট’ শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়নে বিটিআরসিকে দায়িত্ব দেয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়। প্রকল্পটি শেষে স্যাটেলাইট নির্মাণকাজ তদারকিতে সম্প্রতি নতুন প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে এটি নির্মাণ ও উৎক্ষেপণের কাজ শুরু হচ্ছে আগামী ১৬ ডিসেম্বর।
বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণে মূল পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে স্পেস পার্টনারশিপ ইন্টারন্যাশনাল (এসপিআই)। বাজার মূল্যায়ন, বাজারজাতকরণ, কাঠামো তৈরি, স্থানীয় বিশেষজ্ঞদের প্রশিক্ষণ, গ্রাউন্ড স্টেশন ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি বিষয়ে সহায়তা দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
২০১৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর দেশের প্রথম স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ স্যাটেলাইটের মাধ্যমে পাওয়া যাবে ৪০টি ট্রান্সপন্ডার; যার ২৬টি কেইউ ব্যান্ডের ও ১৪টি সি ব্যান্ডের। এসব ট্রান্সপন্ডারের মধ্যে প্রাথমিকভাবে ২০টি ব্যবহার করবে বাংলাদেশ। বাকিগুলো বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ভাড়া দেয়া হবে। প্রথমবার্তা ডেস্ক :
ট্রফি হাতে বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা ও জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক এলটন চিগুম্বুরা
বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে আজ। মিরপুর স্টেডিয়ামে দুপুর একটায় শুরু হবে দিবা-রাত্রির এই ম্যাচটি। বাংলাদেশ সফরে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ ছাড়াও দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে জিম্বাবুয়ে। সব কটি ম্যাচই হবে মিরপুর স্টেডিয়ামে। এবার ওয়ানডে সিরিজ নিয়ে আশাবাদী দু’দলই। গতবছর এই একই সময়ে বাংলাদেশ সফরে এসেছিল জিম্বাবুয়ে। আর বাংলাদেশের কাছে হোয়াইটওয়াশ হয়েই ফিরতে হয়েছিল দলটিকে। তবে এবার এই সিরিজে ভালো করতে চায় জিম্বাবুয়ে। অবশ্য তার একটি আভাস প্রস্তুতি ম্যাচে দিয়েছে সফরকারীরা। কারণ প্রস্তুতি ম্যাচে বিসিবি একাদশকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে। আর এই অনুপ্রেরণা নিয়েই ওয়ানডে সিরিজে মাঠে নামছে দলটি। অবশ্য সিরিজে বাংলাদেশ ফেভারিট তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই জয় দিয়েই ওয়ানডে সিরিজ শুরু করতে চান অধিনায়ক মাশরাফি।
একসময় বাংলাদেশের কঠিন প্রতিপক্ষ ছিল জিম্বাবুয়ে দল। সময়ের সঙ্গে বাংলাদেশের সাফল্য যতটা বেড়েছে, ততটাই নেমেছে জিম্বাবুয়ের। সম্প্রতি আইসিসির সহযোগী সদস্য দেশ আফগানিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাটিতে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরে বাংলাদেশ সফরে আসে জিম্বাবুইয়ানরা। দেশের মাটিতে সিরিজ হারা দল মানসিকভাবে যে অনেকটা পিছিয়ে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে বাংলাদেশের বিপক্ষে ভালো করে নিজেদের শক্তি প্রমাণ করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করবে দলটি। আর বাংলাদেশ দল দেশের মাটিতে পাকিস্তান, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলের বিপক্ষে সিরিজ জিতে উজ্জীবিত এক পরাশক্তি। গতবছর জিম্বাবুয়েকে সিরিজে হারিয়েই ফর্মে আসে টাইগাররা। ফলে আর পিছনে তাকাতে হয়নি টাইগারদের। এরপর যে দলটিই বাংলাদেশে এসেছে তারাই টাইগারদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। ফলে বর্তমানে বাংলাদেশ দল আছে পারফরমেন্সের তুঙ্গে। আর এই সময়েই বাংলাদেশ সফরে আসছে দলটি। তাই জিম্বাবুয়েকে এবারও হোয়াইটওয়াশ করার টার্গেট আছে টাইগারদের। এটা টাইগারদের জন্য হয়তো কঠিন নাও হতে পারে। তারপরও সতর্ক টাইগাররা। কারণ প্রস্তুতি ম্যাচই কিছুটা চিন্তায় ফেলেছে বাংলাদেশকে। টাইগার অধিনায়ক মাশরাফিও এমটা আভাস দিয়েছেন। তাই সবার আগে আজ প্রথম ম্যাচে জয় চায় মাশরাফি। আর আজ জয়ের জন্যই মাঠে নামবে বাংলাদেশ দল। অবশ্য ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামার আগে সতর্ক দু’দলই। জিম্বাবুয়ে চাইবে এই সিরিজে ভালো করে দেশের মাটিতে সিরিজ হারের দু:খ ভুলতে। আর বাংলাদেশ চাইবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নিজেদের আধিপত্য ধরে রাখতে। নিজ মাটিটে আবারও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ জয় করে নিজেদের এগিয়ে রাখতে। তাই গতকাল দু’দলই মাঠে কঠোর অনুশীলন করে নিজেদের প্রস্তুত করেছে। বাংলাদেশ দল ফতুল্লায় অনুশীলন করলেও জিম্বাবুয়ে অনুশীলন করেছে মিরপুর স্টেডিয়ামেই। dailysangram
উত্তরার এই বাড়িতেই তাইওয়ানি দম্পতির ওপর হামলা হয়, টিভি থেকে নেওয়া ছবি।
ঢাকার উত্তরায় গভীর রাতে তাইওয়ানের এক দম্পতির বাসায় ঢুকে তাদের ‘ধারালো অস্ত্রের আঘাতে’ আহত করে ছয় লাখ টাকা নিয়ে গেছে তিন হামলাকারী।
পুলিশ বলছে, হামলাকারীরা পরস্পরের আত্মীয়। তাদের একজন ওই দম্পতির ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জিনজিংইয়াং ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি লিমিটেডের কর্মচারী, যাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। বাকি দুজনের সঙ্গেও ওই প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার বিধান ত্রিপুরা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “টাকার জন্যই তারা তিনজন ওই বাসায় হামলা চালায়।”
দুই বিদেশি নাগরিক খুন ও তল্লাশি চৌকিতে হামলা চালিয়ে পুলিশ হত্যার দুটি ঘটনার প্রেক্ষাপটে নগরজুড়ে ব্যাপক নিরাপত্তার মধ্যেই শুক্রবার প্রথম প্রহরে এ ঘটনা ঘটে। তবে বিষয়টি গণমাধ্যমে আসে শুক্রবার বিকালে।
আহত ব্যবসায়ী ওয়াং মিং চি (৫৪) এবং তার স্ত্রী লিও লি হুয়া’কে (৫০) ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা দুজনেই মাথায় আঘাত পেয়েছেন।
এই দম্পতি বাংলাদেশে আছে প্রায় দশ বছর ধরে। গাজীপুরের গাছা এলাকায় তাদের কারখানায় পিভিসি ডোর ও সিলিং তৈরি করা হয়। ওয়াং মিং চি ওই কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তার স্ত্রীও এর একজন পরিচালক।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) মুনতাসিরুল ইসলাম জানান, পুলিশ যাকে গ্রেপ্তার করেছে তার নাম জাহাঙ্গীর। শুক্রবার ভোরের দিকে সাভারের বাইপাইল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জাহাঙ্গীরের দুই শ্যালক সাজু ও রাজুকেও পুলিশ খুঁজছে। জাহাঙ্গীরের মতো তারাও একসময় জিনজিংইয়াং ইন্টারন্যাশনালের কর্মচারী ছিলেন। চাকরি ছেড়ে দিলেও তারা চুক্তিতে ওই কারখানার প্লাস্টিকের দরজায় প্রিন্টের কাজ করে দিতেন।
উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টরে চারতলা একটি ভবনের তৃতীয় তলায় তাইওয়ানের ওই দম্পতির বাসা। দোতলায় জিনজিংইয়াং কোম্পানির প্রধান কার্যালয় এবং নিচতলায় কয়েকজন কর্মচারী থাকেন।
অন্য কয়েকজন কর্মচারীর সঙ্গে জাহাঙ্গীরও ওই বাড়ির নিচতলায় থাকতেন। তার কাছে বাসায় ঢোকার চাবিও ছিল বলেন উপ কমিশনার বিধান ত্রিপুরা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।
তিনি বলেন, “যে তিনজন বাসায় ঢুকে হামলা চালায় তাদের একজনের মুখে মুখোশ ছিল। তারা টাকা নেওয়ার জন্যই গিয়েছিল। ওই দম্পতি টের পেয়ে যাওয়ায় তাদের জিম্মি করে লকার থেকে টাকা বের করে দিতে বাধ্য করে।
“হামলাকারীরা ওই ছয় লাখ টাকা নেওয়ার পর আরও টাকা আছে মনে করে চাপ দেয় এবং মারধর করে। তাদের মাথা তারা দেওয়ালে ঠুকে দেয়। এতেই তারা আহত হন।”
অবশ্য জিনজিংইয়াং ইন্টারন্যাশনালের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) সামির হাসিব বলছেন,ওই দম্পতিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে বলে ক্ষত দেখে তার মনে হয়েছে।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে গাজীপুরে কারখানায় যান ওয়াং মিং চি এবং তার স্ত্রী লিও লি হুয়া। কাজ সেরে রাতে বাসায় ফিরে তারা হামলার শিকার হন।
রাতে ওই ভবনের এক বাসিন্দার কাছ থেকে হাসিব খবর পান, তিনজন সশস্ত্র ‘দুর্বৃত্তের হামলায়’ তার কোম্পানির মালিক আহত হয়েছেন।
খবর পেয়ে উত্তরায় গিয়ে তিনি দেখেন, পুলিশ ওই দম্পতিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাচ্ছে। এরপর তিনিও তাদের সঙ্গে হাসপাতালে যান। পুলিশ তাকে নিয়ে অভিযানেও যায়।
শুক্রবার সন্ধ্যায় সামির হাসিব বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দেখে মনে হয়েছে তাদের চাকু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। স্যারের আঘাত একটু বেশি। উনি আইসিইউতে আছেন। আর ম্যাডামকে বিকালে আইসিইউ থেকে বেডে নেওয়া হয়েছে।”
কেন ওই দম্পতির ওপর হামলা হল জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) মুনতাসিরুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “টাকা-পয়সা বকেয়া নিয়ে কিছুদিন ধরে সাজুদের সঙ্গে কোম্পানির মালিকের বিরোধ চলছিল। তাইওয়ানের ওই ব্যবসায়ী টাকা তুলেছেন খবর পেয়ে সাজু, জাহাঙ্গীরসহ তিনজন গতরাতে ওই বাসায় ঢোকে। তারপর ওই দম্পতিকে মারধর করে ছয় লাখ টাকা নিয়ে চলে যায়।”
বকেয়া টাকা নিয়ে সাজুর সঙ্গে বিরোধের বিষয়ে জানতে চাইলে সামির হাসিব বলেন, “টাকা নিয়ে ঝামেলা থাকবে কেন? সে কোম্পানির কাজ করে দিত। স্যার তো টাকা পয়সা বাকি রাখেন না।”
ওই দম্পতির এক ছেলে ও এক মেয়ে তাইওয়ানে থাকেন। হামলার ঘটনা জানতে পেরে তারা বাংলাদেশে আসছেন বলে জানান হাসিব।
এর আগে ২৮ সেপ্টেম্বর গুলশানে ইতালির নাগরিক চেজারে তাভেল্লাকে এবং পাঁচ দিন পর ২ অক্টোবর রংপুরে জাপানি নাগরিক কুনিও হোশিকে গুলি করে হত্যা করে মোটরসাইকেল আরোহী আততায়ীরা। bdnews24
ইয়াঙ্গুনে গতকাল ইউএসডিপির সমাবেশে দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা l ছবি: রয়টার্সমিয়ানমারে বহুপ্রতীক্ষিত সাধারণ নির্বাচনে আগামীকাল রোববার ভোট গ্রহণ করা হবে। ২৫ বছরের মধ্যে দেশটিতে এটাই সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। খবর বিবিসির। নির্বাচন কমিশনের আইন অনুযায়ী, গতকাল শুক্রবার মধ্যরাত থেকে প্রচার বন্ধ হয়ে গেছে। গতকাল দুপুর থেকেই নির্বাচনী প্রতীক-সংবলিত ব্যানার ও স্টিকার খুলে ফেলা হয়েছে। আজ শনিবার প্রচারণা বন্ধ থাকবে। নির্বাচনে বিরোধীদলীয় নেত্রী অং সান সু চির দল এনএলডি বিপুল বিজয় পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মিয়ানমারের বর্তমান সেনা সমর্থক ক্ষমতাসীন দল ইউএসডিপি গতকাল ইয়াঙ্গুনে সমাবেশ করে। সম্ভাব্য চার পরিস্থিতি: নির্বাচনে এনএলডির জয়ের সম্ভাবনার কথা বলা হলেও আদৌ কী হবে সেটি নিশ্চিত নয় কেউ। নির্বাচনী ফলাফলে চারটি ভিন্ন ধরনের পরিস্থিতি হতে পারে। প্রথমত, সু চির দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে পারে। নিজে প্রেসিডেন্ট হতে না পারলেও সু চিই প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়ন দেবেন। আবার সংবিধানে পরিবর্তনও আনার চেষ্টা করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর সঙ্গে তাঁর দ্বন্দ্ব বাড়তে পারে। দ্বিতীয়ত, এনএলডি দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে সু চিকে বন্ধুপ্রতিম জাতিগোষ্ঠীভিত্তিক আঞ্চলিক দলগুলোর দ্বারস্থ হতে হবে। তৃতীয়ত, এনএলডি জিতলেও দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে পরিস্থিতি বেশ জটিল হয়ে পড়বে। সে ক্ষেত্রে বর্তমান প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট থেকে যেতে পারেন। চতুর্থত, কেবল নির্বাচনে ব্যাপক জালিয়াতি হলেই ইউএসডিপির জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে এনএলডি পার্লামেন্ট বর্জন করতে পারে। prothomalo
বাংলাদেশে সরকারি প্রশাসনের ভাবমূর্তির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়, এমন বিষয় ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার না করতে কর্মকর্তাদের যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, তা নিয়ে কর্মকর্তাদের মধ্যে মতভেদ দেখা যাচ্ছে।
ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকারি কর্মকর্তাদের দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেয়ার নির্দেশনা জারী করা হয়েছে একজন কর্মকর্তার ফেসবুকে পোস্ট করা একটি ছবিকে কেন্দ্র করে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে বলা হয়, ছবিটি তাঁর পেশাগত অবস্থানের সঙ্গে আদৌ সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
এ নিয়ে সমালোচনার আশঙ্কা রয়েছে, একথা উল্লেখ করে ফেসবুকে কর্মকর্তারা কেমন আচরণ করবেন, সে বিষয়ে নির্দেশনা জারী করা হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোঃ শফিউল আলম বলছেন, সরকারি কর্মকর্তাদের জন্যে যে আচরণবিধি রয়েছে, অনেকে ফেসবুক ব্যবহারের সময় তা মানছেন না ।
তিনি বলেন, "কিছুটা বিধিনিষেধ তো এক অর্থেই আছেই। আচরণবিধিতে অনেক কিছুই নিষেধ করা আছে। রাজনীতির কথা অনুষ্ঠানে যেতে পারবোনা, আদালত অবমাননা করা যাবেনা, কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণজনক কিছু বলতে পারবোনা। এগুলো তো আছে। সোশ্যাল মিডিয়া নতুন বিষয়। সেখানে যাতে কোড অব কন্ডাক্ট মানা হয় সেটিও মনে করিয়ে দেয়া। সবকিছুরই তো একটা সীমারেখা আছে সেটা যেন অতিক্রম না করে"।
বাংলাদেশে অনেক সরকারি দপ্তরের নিজস্ব ফেসবুক পাতা রয়েছে, যেখানে নানা রকম তথ্য দেয়া হয়।
আবার অনেক সরকারি কর্মকর্তা ব্যক্তিগতভাবে ফেসবুক বা অন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করেন এবং সেখানে যেমন তাদের ব্যক্তিগত তথ্য বা ছবি দেখা যায়, তেমনি অনেক সময় দাপ্তরিক তথ্যও শেয়ার করা হয়।
ফেসবুকে খুবই সক্রিয় একজন সরকারি কর্মকর্তা হলেন পটুয়াখালি জেলার গলাচিপা উপজেলার ভূমি বিষয়ক সহকারী কমিশনার কাজী সায়েমুজ্জামান।
তিনি মনে করেন সরকারি কর্মকর্তাদের জন্যে এ ধরণের একটি নির্দেশনার প্রয়োজন ছিল।
"আমার ব্যক্তিগত পরিচয় আছে। কিন্তু সরকারি কর্মকর্তার পরিচয় সেটিকে ছাপিয়ে গেছে। তাই পেশাগত পরিচয়কে প্রাধান্য দেয়া উচিত। ফেসবুকে যারা আমার তালিকায় আছেন তারা কিন্তু আমাকে ব্যক্তিগতভাবে দেখেননা দেখেন ভূমি কর্মকর্তা হিসেবে। যেহেতু প্রশিক্ষণ দেয়া হয় তাই এ ধরনের পরিপত্র আসাটা লজ্জার। দায়িত্বশীল আচরণ নিজ থেকেই করা উচিত"।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে দেয়া নির্দেশনায় বলা হয়, প্রশাসনের ভাবমূর্তির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, এমন বিষয় শেয়ার না করে উদ্ভাবনমূলক, সরকারী কাজের ইতিবাচক দিক, যা অন্যকে উদ্বুদ্ধ করবে, এমন বিষয় কর্মকর্তারা ফেসবুকে শেয়ার করতে পারেন।
তবে একজন চিকিৎসক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুশতাক হোসেন মনে করেন, ফেসবুকে ব্যক্তিগত ব্যবহারকারীদের পাতা তাঁর একান্ত নিজস্ব জগৎ।
তিনি বলেন, "একান্ত অনুভূতি তো প্রকাশ করতেই পারেন। এটা তো মত প্রকাশের স্বাধীনতা। ব্যক্তি স্বাধীনতা। সে অনুযায়ী সে তা করবে। যদি অরুচিকর কিছু করে সে বিষয়ে প্রচলিত আইন আছে বা নিজের সুনাম বা সুখ্যাতির সাথে জড়িত। তাই এটি অযথা বিতর্ক তৈরি করবে বলেই আমার ধারণা"।
তবে মন্ত্রিপরিষদের নির্দেশনাকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে বাধা হিসেবে দেখছেন না সচিব শফিউল আলম।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্টাফদের আচরণ কেমন হবে, সে বিষয়ে এখন অনেক প্রতিষ্ঠান পূর্ণাঙ্গ সোশ্যাল মিডিয়া গাইডলাইন তৈরি করছে।
তবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলছেন, সরকারি কর্মকর্তাদের জন্যে এমন গাইডলাইন তৈরি করার বিষয়টি নিয়ে এখনো চিন্তা-ভাবনা শুরু হয়নি। ওয়ালিউর রহমান মিরাজবিবিসি বাংলা, ঢাকা
মিশরের অবকাশ কেন্দ্র শার্ম আল শেখ থেকে হাজার হাজার ব্রিটিশ পর্যটককে দেশে ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু হয়েছে।
ব্রিটিশ পর্যটকবাহী প্রথম বিমানটি শার্ম আল শেখ থেকে ব্রিটেনের পথে রয়েছে।
সিনাইতে বিধ্বস্ত রুশ বিমানটিতে বোমা পেতে রাখা হয়েছিল, গোয়েন্দা তথ্যে এমন ইঙ্গিতের পর ব্রিটেন র্শাম আল শেখে ব্রিটিশ বিমান চলাচল স্থগিত রাখে।
কিন্তু মিশর এবং রাশিয়া, দুটি দেশই দাবি করছে, বোমা পেতে রুশ বিমানটি ধ্বংস করা হয়েছে- এমন কোন তথ্য-প্রমাণ এখনো পর্যন্ত তাদের কাছে নেই।
ধারণা করা হয়, ১৯ হাজারের মতো ব্রিটিশ নাগরিক শার্ম আল শেখে ছুটি কাটাচ্ছিলেন।
বিমানের ভেতরে বোমার বিস্ফোরণের কারণে রুশ বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে- ব্রিটিশ গোয়েন্দাদের এই তথ্যের পর সরকার নিজেদের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনায় তাদের ফিরিয়ে আনার এই উদ্যোগ নেয়।
এখন বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের মোট একুশটি ফ্লাইটে তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।
গত বুধবার থেকেই শার্ম আল শেখে যাওয়ার এবং সেখান থেকে আসার সব ফ্লাইট সরকার বাতিল করে দিয়েছে। তখন থেকেই ব্রিটিশ পর্যটকরা সেখানে আটকা পড়েছিলেন।
অভিযোগ উঠেছে, উদ্ধারকারী এসব বিমানের ফ্লাইটে মিশর বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে।
ইজিজেট বলেছে, তাদের আটটি বিমানকে এয়ারপোর্টে নামতে দেওয়া হয়নি।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মিশর বলছে, এয়ারপোর্টের সীমিত ক্ষমতার কারণেই এটা করতে হচ্ছে।
গত শনিবার বিমানটি শার্ম আল শেখ থেকে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করার পর সিনাই এর আকাশে ভেঙে পড়লে ২২৪ জন আরোহীর সবাই নিহত হয়। এদের সবাই রুশ নাগরিক।
ব্রিটিশ গোয়েন্দারা ধারণা করছেন, উড়ান শুরু করার আগেই বিমানের ভেতরে বোমা রেখে দেওয়া হয়েছিলো।
বলা হচ্ছে, প্রযুক্তির সাহায্যে সিনাই উপত্যকায় জঙ্গিদের নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা শোনার পরই তারা এই ধারণা করছেন।
তবে মিশর ও রাশিয়া বলছে, এবিষয়ে উপসংহারে পৌঁছানোর সময় এখনও আসেনি। bbc
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় চিকিৎসকরা এক ব্যক্তির মস্তিষ্ক থেকে জীবন্ত ফিতা কৃমি অপসারণ করেছেন।
প্রচণ্ড মাথা ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন লুইস অর্টিজ নামক ওই ব্যক্তি।
ব্রেইন স্ক্যান করার পর তার রিপোর্ট দেখে নিউরোসার্জন যা বললেন তাতে তার চোখ ছানাবড়া।
কারণ রিপোর্টে দেখাচ্ছিল একটি জীবন্ত ফিতাকৃমি বসবাস করছে লুইস অর্টিজের মস্তিষ্কে।
সেটি দেখে চিকিৎসক বললেন ত্রিশ মিনিটের মধ্যে এটি বের না করলে মৃত্যু অনিবার্য।
মস্তিষ্কের মধ্যে একটি ছোট টিউমারের মধ্যে বেড়ে উঠছিলো সেটি। আর সে কারণেই মস্তিষ্কের ভেতরে পানির প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হচ্ছিলো।
“পরে ডাক্তার যখন এটি বের করলেন তখনও কিলবিল করছিলো সেটি”, বলছিলেন মি. অর্টিজ।
গত অগাস্টে সার্জারির পর এখন ক্রমশ সুস্থ হয়ে উঠছেন তিনি এবং আশা করছেন খুব শিগগিরই আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ায় ফিরে যেতে পারবেন তিনি।
কিন্তু তার মস্তিষ্কে ফিতা কৃমি গেলো কি করে ?
যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা বলছেন একবার কোন খাদ্য খেয়ে কিংবা অন্য কোন উপায়ে কৃমির একবার পাকস্থলীতে গেলে সেটি পরবর্তীতে নিজ থেকে মস্তিষ্ক পর্যন্ত যাওয়ার পথ তৈরি করে নিতে পারে।
মি. অর্টিজের ক্ষেত্রেও সেটি হয়েছিলো।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর প্রায় এক হাজার মানুষ এ ধরনের ঘটনায় অপারেশনের টেবিলে যেতে হয়। bbc
ঢাকায় এক সপ্তাহ আগে দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত প্রকাশনা সংস্থা শুদ্ধস্বরের সত্ত্বাধিকারী আহমেদুর রশীদ টুটুল বলেছেন ওই হামলা তার ব্যক্তিগত জীবনকে থমকে দিয়েছে কিন্তু তারপরেও তিনি তার সংকল্পেই অটুট থাকবেন।
বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি অবশ্য বলেন তার পরিবার, বন্ধু, আত্মীয়স্বজন- সবাই আতঙ্কগ্রস্ত তার নিরাপত্তা নিয়ে তারা শঙ্কিত।
তিনি বলেন, “ তারা হত্যা করার জন্যেই আক্রমণ করেছিলো কিন্তু পারেনি। হয়তো আবার চেষ্টা করবে। আমিও আমার সংকল্পে অটুট।কিন্তু কাজের যে পরিবেশ দরকার সেটা তো আমি একা তৈরি করতে পারবোনা। জানেন যে কোন কোন জায়গার সাপোর্ট দরকার সেটা সবাই জানেন। সেটি পেলে নিশ্চয়ই স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারবো। ”
“ আমিও আমার সংকল্পে অটুট। কিন্তু কাজের যে পরিবেশ দরকার সেটা তো আমি একা তৈরি করতে পারবোনা। কোন কোন জায়গার সাপোর্ট দরকার সেটা সবাই জানেন। সেটি পেলে নিশ্চয়ই স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারবো। ”
আতঙ্ক বা নিরাপত্তাহীনতার কারণে নিজের কাজের ক্ষেত্রে কোন পরিবর্তন আসবে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, “ আমার চিন্তায় ও কাজে পরিবর্তন আসবেনা। কাজের স্টাইলে হয়তো পরিবর্তন আসতে পারে। আমি তো নতুন করে কাজ করছিনা। অনেক দিন থেকে করছি”।
বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি অবশ্য বলেন তার পরিবার, বন্ধু, আত্মীয়স্বজন- সবাই আতঙ্কগ্রস্ত আমার নিরাপত্তা নিয়ে তারা শঙ্কিত।
তিনি বলেন হামলার ঘটনা তার ব্যক্তিগত জীবনকে থমকে দিয়েছে। তার পরিবার আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে আছে এবং নিরাপত্তাহীনতার কারণে তারা বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারছেনা।
“আমি জানি আমি যেসব বই প্রকাশ করি তা পড়ে মানুষ আলোকিত হন। প্রগতিশীল জাতি বিনির্মাণে আমাদের বই কিঞ্চিত হলেও কাজে লাগে। এটুকু তো দেশের জাতির প্রতি যে দায় আমাদের সেটি শোধ করার সুযোগ। এটা বিবেকের দায়বদ্ধতা থেকে করছি”।
হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবার পর জীবন আবার কিভাবে শুরু হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন তিনি তার অভ্যস্ত জীবনেই ফিরে যেতে চান।
“যদিও সেটা নির্ভর করবে সব কিছুর উপর। রাষ্ট্র নাগরিক হিসেবে কতটুকু সুযোগ তৈরি করে দিবে আমাকে আমার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে”।
ভয় নিয়ে নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারবেন কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন একটা বাধা ও আক্রমণ এবং ভবিষ্যতেও আক্রমণের আশঙ্কা। যেহেতু তাদের টার্গেট ছিলাম হত্যার জন্যেই তো তারা আক্রমণ করেছে। তারা সফল হয়নি, হয়তো আবারও চেষ্টা করবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন অভিজিৎ হত্যার পর প্রতিবাদ সমাবেশেই আমি বলেছিলাম আমি কার কাছে বিচার চাইবো। জানি বিচার পাবোনা।
আমি চাই শুভবুদ্ধি উদয়ের জন্যে যেসব জায়গা থেকে উদ্যোগ নেয়া দরকার সেটুকু যেন নেয়া হয়।
গত ৩১শে অক্টোবর লালমাটিয়ায় শুদ্ধস্বরের কার্যালয়ে ঢুকে আহমেদ রশীদ টুটুল এবং তার সঙ্গে থাকা ব্লগার তারেক রহিম ও রণদীপম বসুকে কুপিয়ে জখম করে তিন হামলাকারী।
প্রকাশনা সংস্থা শুদ্ধস্বর থেকেই বইমেলা চলাকালে খুন হওয়া ব্লগার ও বিজ্ঞান ভিত্তিক লেখক অভিজিৎ রায়ের লেখা বই প্রকাশিত হয়েছিলো। কাদির কল্লোলবিবিসি বাংলা, ঢাকা
সেরেনা উইলিয়ামসের ফোন নিয়ে কেটে পড়ার মতলব ভাঁজছেন? উঁহু ভুলেও ওই কাজটি করতে যাবেন না, সেরেনা তাহলে আপনার পিছু ধাওয়া করতে এক মুহুর্তও ভাববেন না!
২১টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেতাবজয়ী টেনিস তারকা ঠিক এই কাজটাই করে দেখিয়েছেন – আমেরিকার একটি রেস্তারাঁয় সটান তার ফোন চোরের পেছনে দৌড় লাগিয়ে তাকে পাকড়াও করে ছেড়েছেন।
এই ঘটনার কথা সেরেনা নিজেই তার ফেসবুক পেজে বিশদ বর্ণনা দিয়ে লিখেছেন – সঙ্গে দিয়েছেন ‘সুপারউওম্যানে’র বেশে নিজের একটি ছবি, যা এই ঘটনার সঙ্গে একেবারে মানানসই!
৩৪ বছর বয়সী সেরেনা লিখেছেন, ‘গতকাল একটা রেস্তোরাঁয় আমার সঙ্গে অদ্ভুত এক ঘটনা ঘটেছে’। তার দাবি অনুযায়ী, রেস্তোরাঁয় এক লোক হঠাৎই তার ফোনটা তুলে নিয়ে খুব দ্রুত সরে যাওয়ার চেষ্টা করে।
‘এক মুহুর্ত না ভেবে আমি সঙ্গে সঙ্গে লোকটাকে তাড়া করি। আমার দৌড়ে দু-একটা চেয়ার টেবিলও উল্টে গিয়েছিল, কিন্তু সে দিকে না তাকিয়ে আমি ওকে ধরার জন্য ছুট দিই (এই জন্যই সঙ্গে ‘সুপারউওম্যানে’র ছবি)!’
‘ওর চেয়ে আমি অনেক বেশি জোরে দৌড়চ্ছিলাম, ফলে নিমেষের মধ্যে ওকে পাকড়াও করতে আমার একটুও কষ্ট হয়নি।’
তারপরই বেশ ‘রূঢ় অথচ শান্ত, শীতল গলায়’ সেরেনা তাকে জিজ্ঞেস করেন, সে কি নেহাত ভুল করে রেস্তারাঁ থেকে অন্য কারও ফোন তুলে এনেছে?
জবাবে আমতা আমতা করতে লোকটি শেষ পর্যন্ত বলে ফেলে, ‘আসলে আপনি ঠিকই ধরেছেন। ওখানে ব্যাপারটা এত গোলমেলে ছিল, আমি নিশ্চয় ভুল ফোনটা তুলে এনেছি।’
সেরেনা আরও জানিয়েছেন, এই ঘটনার পর রেস্তোরাঁয় উপস্থিত সবাই তাঁকে দাঁড়িয়ে উঠে অভিবাদন (‘স্ট্যান্ডিং ওভেশন’) জানিয়েছেন।
এই বছর ইউ এস ওপেন ছাড়া বাকি তিনটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম সিঙ্গলস খেতাবই সেরেনা উইলিয়ামসের দখলে গেছে – যদিও চোট আঘাত থেকে সের ওঠার জন্য বছরের বাকি সময়টা তিনি বিশ্রামে আছেন।
কিন্তু সেই বিশ্রামের সময় সেরেনার মুকুটে যে এমন একটা সাঙ্ঘাতিক পালক যোগ হয়ে যাবে, তা বোধহয় তিনি নিজেও কল্পনা করেননি।
সেরেনার নিজের কথাতেই, ‘এটা হল মহিলাদের জন্য একটা দারুণ জয়!’ bbc