সিরিয়ায় আংশিক যুদ্ধবিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার মধ্যে যে বোঝাপড়া হয়েছে, বিদ্রোহীদের একটি অংশ তাতে সায় দিয়েছে। তবে বিদ্রোহীরা শর্ত দিয়েছে তাদের নিয়ন্ত্রিত বেশ কিছু শহর থেকে সরকারি সৈন্যদের অবরোধ তুলে নিতে হবে।
এই যুদ্ধবিরতি অবশ্য ইসলামিক স্টেট এবং আল কায়েদার সাথে সম্পর্কিত গোষ্ঠী আল-নুসরা ফ্রন্টের ক্ষেত্রে প্রয়োজ্য হবে না।
তবে অন্যত্রও যে এই চুক্তি কার্যকর করা যাবে, তা নিয়ে ইতোমধ্যেই যথেষ্ঠ সন্দেহ দেখা দিয়েছে। এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবার কথা শুক্রবার মাঝরাত থেকে ।
যদিও দুটি প্রধান জিহাদি গ্রুপ ইসলামিক স্টেট এবং আলনুসরা ফ্রন্ট এই যুদ্ধবিরতির বাইরে - কিন্তু সিরিয়ার সরকার এবং প্রধান বিরোধী গ্রুপ এইচএনসি এর মধ্যে আছে।
সে কারণেই অনেকে আশা করছেন কোনও মতে হলেও একটা যুদ্ধবিরতি এবার বলবৎ করা যাবে। সিরিয়ার টেলিভিশনে যুদ্ধবিরতি মেনে নেবার খবরও প্রচারিত হয়েছে।
জাতিসংঘের বিশেষ দূত স্টেফান ডি মিস্টুরা বলছেন, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে কি না এবং সব পক্ষ তা মেনে চলবে কি না তা নিশ্চিত করতে হবে ওয়াশিংটন এবং রাশিয়াকেই।
কিন্তু এই মেনে নেওয়ার সাথে বহু রকমের শর্ত জড়িত। বিদ্রোহী গ্রুপগুলো দাবি করছে - সরকারকে বন্দীদের মুক্তি দিতে হবে, বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকাগুলো থেকে সরকারি বাহিনীর অবরোধ তুলে নিতে হবে, বিমান এবং কামান থেকে বোমা ও গোলাবর্ষণও বন্ধ করতে হবে।
এ কারণেই জাতিসংঘের ডেপুটি মহাসচিব ইয়ান এলিয়াসন বলছেন, যুদ্ধবিরতি পালিত হচ্ছে কিনা তার ওপর নজরদারি করা সহজ হবে না।
যুদ্ধবিরতি যদি এমন হয় যার আওতায় দায়েশ এবং আল-নুসরার নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলো পড়বে না, তাহলে তার ওপর নজর রাখাটা বিরাট এক চ্যালেঞ্জ।
এটা খুবই জটিল এক পরিস্থিতি, তবে তা আরো বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে এ ভয়টাই এখন পর্যন্ত সব পক্ষকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছে।
সিরিয়ার সরকার বলছে তারা ইসলামিক স্টেট এবং আল নুসরা ফ্রন্টের বিরুদ্ধে হামলা বন্ধ করবে না।
বিশেষ করে যে কথাটা গুরুত্বপূর্ণ তা হলো সরকার বলছে আল নুসরার সাথে সম্পর্কিত অন্য গোষ্ঠীগলোর ওপরও আক্রমণ জারি থাকবে - তাই অন্য অনেকগুলো বিদ্রোহী গ্রুপও এর আওতায় পড়ে যেতে পারে।
সে রকম কিছু হলে যুদ্ধবিরতি কতটুকু হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা অবশ্যই আরো বেড়ে যাবে।