বৃহস্পতিবার, ৩ মার্চ, ২০১৬

ধর্ষণে জন্ম নেওয়া শিশু পাবে ধর্ষকের সম্পত্তি

rapeImage copyrightThinkstock
বাংলাদেশের একটি আদালত ধর্ষণের ফলে জন্ম নেওয়া শিশুকে ধর্ষকের সম্পত্তির উত্তরাধিকার দিয়েছে।
পাশাপাশি অভিযুক্ত ধর্ষককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় জেলা ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এই রায় দেয়। আইনজীবীরা এই রায়কে যুগান্তকারী বলে বর্ণনা করেছেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত যুবক তৌহিদুল আলম অবশ্য ২০০৭ সালে মামলা দায়েরে পর থেকে পলাতক। সে বর্তমানে দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাস করছে বলে পারিবারিক সূত্রে জানানো হয়েছে।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদ আহমেদ হাজারি বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন ফেনীর শিবপুর গ্রামে ২০০৭ সালে ধর্ষণের এই ঘটনা ঘটে।
ধর্ষণের পর সে সময় অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীটি অন্ত:স্বত্বা হয়ে পড়ে। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিলেও গড়িমসি করায় মেয়েটি তৌহিদুল আলমের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করে।
মামলার পরপরই ঐ যুবক বিদেশে পালিয়ে যায়।
ধর্ষণের শিকার মেয়েটি এখন কলেজে পড়ছে।
তৌহিদুলের ঔরসে জন্ম নেওয়া ছেলেটির বয়স এখন আট। তাকে পরে দত্তক দিয়ে দেয় তার কিশোরী মা।
মামলায় অন্য তিন আসামী ছিলেন তৌহিদুলের তিন আত্মীয়। তাদেরকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

সিম নিবন্ধনে আঙুলের ছাপের বিরুদ্ধে সরকারকে নোটিস

simImage copyrightbbc
Image captionডিসেম্বর থেকে সিম নিবন্ধনে আঙুলের ছাপ বাংলাদেশে বাধ্যতামুলক
বাংলাদেশে মোবাইল সিম নিবন্ধনের জন্য আঙুলের ছাপ দেওয়ার বাধ্যবাধকতা চ্যালেঞ্জ করে সরকারকে উকিল নোটিস পাঠিয়েছেন খায়রুল হাসান সরকার নামে এক ব্যক্তি।
তার যুক্তি - বায়োমেট্রিক এই তথ্য নিয়ে মানুষের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকার খর্ব করা হচ্ছে।
মি হাসানের পক্ষে সরকারের টেলিযোগাযোগ সচিব, আইন সচিব এবং মোবাইল ফোন অপারেটরদের এই নোটিস পাঠিয়েছেন ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির।
ব্যারিস্টার কবির বিবিসিকে বলেছেন, বায়োমেট্রিক এসব তথ্য কতটা সুরক্ষিত থাকবে অথবা এগুলোর কোনও অপব্যবহার হবেনা - এসবের নিশ্চয়তা সরকার দিতে পারছে না।
নোটিসে বলা হয়েছে, এভাবে মানুষকে তার ব্যক্তিগত গোপন তথ্য দিতে বাধ্য করা দেশের আইনেরও বিরোধী।
আগামী দুদিনের মধ্যে জবাব না পেলে আদালতে যাওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে ঐ উকিল নোটিসে।
এই উকিল নোটিস নিয়ে ঢাকায় রাস্তায় কিছু মানুষের সাথে কথা বলে আমাদের সংবাদদাতা কাদির কল্লোল মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেয়েছেন।
কেউ কেউ ব্যক্তিগত তথ্য দেওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আবার কেউ কেউ বলেছেন, অপরাধীদের মোবাইল ফোনের ব্যবহার রোধে আঙুলের ছাপ দেওয়ার এই বাধ্যবাধকতা ইতিবাচক।
ওদিকে ঢাকার সমস্ত বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটের তথ্য পুলিশের কাছে জমা দেওয়ার এক নির্দেশের বিরুদ্ধে একজন আইনজীবী মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে উকিল নোটিস পাঠিয়েছেন।

'দেশদ্রোহী' কানহাইয়া ছয় মাসের জামিন পেয়েছেন

কানহাইয়াImage copyrightAP
Image captionকানহাইয়ার মুক্তির জন্য মিছিল
ভারতে দেশদ্রোহের অভিযোগে ধৃত ছাত্রনেতা কানহাইয়া কুমারকে দিল্লি হাইকোর্ট আজ (বুধবার) জামিন দিয়েছে।
মি. কুমার ভারতের প্রতিথযশা জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট।
প্রায় দুসপ্তাহ আগে বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বরে কথিত দেশবিরোধী স্লোগান আর দেশবিরোধী ভাষণ দেওয়ার অভিযোগে পুলিশ গ্রেপ্তার করে তাকে।
ভারতের পার্লামেন্টের ওপরে আক্রমনের দায়ে ফাঁসি হয়ে যাওয়া আফজল গুরুকে সমর্থন করে স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।
নিম্ন আদালতে পেশ করার সময়ে নিজেদের দেশপ্রেমিক বলে দাবী করা বেশ কয়েকজন আইনজীবি মি. কুমারকে মারধর করেন। যার জেরে দেশের সর্বোচ্চ আদালত ওই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেয়।
প্রায় পাঁচ ঘন্টা শুনানীর পরে মি. কুমারকে বেশ কয়েকটি শর্তসাপেক্ষে ৬ মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেয় হাইকোর্ট।
মি. কুমারের পর ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও দুই ছাত্রনেতাকেও একই ধরণের দেশদ্রোহের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
যদিও দিল্লি পুলিশ প্রথমে দাবী করেছিল যে ধৃত ছাত্রনেতাদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের যথেষ্ট তথ্য প্রমান তাদের হাতে আছে, কিন্তু এখন তারা বলছে সেই তথ্যপ্রমান কোনও ভিডিও ফুটেজ নয়, কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান মাত্র।
ওই কথিত মিছিলে দেশবিরোধী স্লোগান দেওয়া নিয়ে সারা দেশেই দেশাত্মবোধের জিগির তুলেছিল হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো। তার জন্য একটি ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল বিভিন্ন টিভি চ্যানেল আর সামাজিক মাধ্যমগুলোতে।
তবে আজই দিল্লি সরকার তাদের নিজস্ব তদন্তের পর বলেছে যে ওই ভিডিওটি সম্পাদনা করে তৈরী করা হয়েছিল।

পাকিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপ ক্রিকেটের ফাইনালে বাংলাদেশ


asia cupImage copyrightAFP
Image captionপাকিস্তানের একটি উইকেট নেওয়ার পর উল্লসিত বাংলাদেশ দল

ঢাকায় এশিয়া কাপ ক্রিকেটের এক শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে পাকিস্তানকে পাঁচ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশকে ১৩০ রানের টার্গেট দেয় পাকিস্তান।
শেষ ওভারের প্রথম বলে মাহমুদউল্লার ছক্কায় পাঁচ উইকেটে লক্ষ্য ছাড়িয়ে যায় স্বাগতিক দল।
এই জয়ের ফলে ৬ই মার্চের ফাইনালে আবারো ভারতের প্রতিপক্ষ হবে বাংলাদেশ।
১৮তম ওভারে মোহাম্মদ আমিরের বলে সাকিব আল হাসান আউট হওয়ার পর কিছুটা চাপ তৈরি হয় বাংলাদেশ দলে।
তবে নেমেই মাশরাফি মোর্তজার পর পর দুটো বাউন্ডারি এবং পরের ওভারে পাকিস্তানের বোলার মোহাম্মদ দুটো সামির দুটো নো-বলের কল্যাণে বাংলাদেশের জয় সহজ হয়ে যায়।
ওপেনার সৌম্য সরকারের ৪৮ রানের ইনিংস ছিল বাংলাদেশের জয়ের প্রধান ভিত্তি।
বোলার মুস্তাফিজুর রহমানের চোটের সুযোগে তামিম ইকবাল বাংলাদেশ দলে জায়গা পেয়েছিলেন, তবে একটি ছক্কা মেরেই তিনি আউট হয়ে যান।

আফ্রিদিImage copyrightAFP
Image captionহতাশায় মুখ ঢেকে পাকিস্তানের অধিনায়ক শাহিদ আফ্রিদি
পাকিস্তানের ইনিংস
পাকিস্তান তাদের ইনিংস শুরু করে এক পর্যায়ে আট ওভার পর মাত্র ২৮ রানে চার উইকেট হারালেও সরফরাজ আহমেদ পরিস্থিতি সামলে দেন।
সরফরাজ ৫৮ রানে অপরাজিত ছিলেন।
আল আমিন হোসেন আজও বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন। তিনটি উইকেট পেয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ তাদের গত তিনটি টি-২০ ম্যাচে তাড়া করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছিল। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এই সাফল্য ফাইনালে নিঃসন্দেহে তাদের মনোবল বাড়াবে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:
 
পাকিস্তান: ২০ ওভারে ১২৯/৭ (মনজুর ১, শারজিল ১০, হাফিজ ২, সরফরাজ ৫৮, আমল ৪, মালিক ৪১, আফ্রিদি ০, আনোয়ার ১৩; আল আমিন ৩/২৫, আরাফাত ২/৩৫, তাসকিন ১/১৪, মাশরাফি ১/২৯)
 
বাংলাদেশ: ১৯.১ ওভারে ১৩১/৫ (তামিম ৭, সৌম্য ৪৮, সাব্বির ১৪, মুশফিক ১২, সাকিব ৮, মাহমুদউল্লাহ ২২*, মাশরাফি ১২*; আমির ২/২৬, মালিক ১/৩, আফ্রিদি ১/২০, ইরফান ১/২৩)
ম্যাচ সেরা:  সৌম্য সরকার (বাংলাদেশ)
পয়েন্ট তালিকা
দল
ম্যাচ
জয়
হার
পয়েন্ট
রান রেট
ভারত
+১.৪৬৭
বাংলাদেশ
+০.৪৫৮
শ্রীলঙ্কা
-০.২৯২
পাকিস্তান
-০.৪৬৪
আমিরাত
-১.২৬৬