রবিবার, ২২ নভেম্বর, ২০১৫

ফাঁসি কার্যকরের প্রতিবাদে সোমবার জামায়াতের হরতাল

 
                     মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে   
              
মানবতাবিরোধী অপরাধে আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকরের প্রতিবাদে সোমবার সারাদেশে শান্তিপূর্ণ হরতালের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
নিজেদের ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে দলটির ভারপ্রাপ্ত আমীর মকবুল আহমাদ এই ঘোষণা দিয়েছেন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল হিসাবে দায়িত্বে ছিলেন আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রবিবার গায়েবানা জানাজা এবং সোমবার সারাদেশে শান্তিপূর্ণ হরতাল পালন করা হবে।
তবে হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্স, সংবাদপত্র সংশ্লিষ্ট গাড়ি এবং ঔষধের দোকান হরতালের আওতাভুক্ত থাকবে।

বুদ্ধিজীবীর রক্ত হাতে সমাজকল্যাণের মন্ত্রী




“আল বদর একটি নাম, একটি বিস্ময়! আলবদর একটি প্রতিজ্ঞা! যেখানে তথাকথিত মুক্তিবাহিনী আল বদর সেখানেই! যেখানেই দুষ্কৃতকারী, আল বদর সেখানেই। ভারতীয় চর বা দুষ্কৃতকারীদের কাছে আল বদর সাক্ষাৎ আজরাইল,” একাত্তরে নিজেদের সম্পর্কে যাদের ছিল এই বক্তব্য সেই বাহিনীর প্রধান ছিলেন আলী আহসান মো. মুজাহিদ।

ঔদ্ধত্যের আরেক নাম সাকা চৌধুরী




 অভিব্যক্তিতে ব্যঙ্গ, আচরণে ঔদ্ধত্য আর প্রতিদ্বন্দ্বী ক্ষমতাধরদের বিদ্রূপ- এক কথায় এইসব কারণে আশির দশক থেকে সংবাদের শিরোনামে থাকতেন মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যার দায়ে সর্বোচ্চ সাজাপ্রাপ্ত রাজনীতিক সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী।
 

আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।





ফাঁসি স্থগিতের আহ্বান মুজাহিদের স্ত্রীর

 সংবাদ সম্মেলনে আলী আহসান মুজাহিদের পরিবার
সংবাদ সম্মেলনে আলী আহসান মুজাহিদের পরিবার
                         

শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধাপরাধে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর স্থগিত রাখার আহ্বান জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মো. মুজাহিদের পরিবার।

ফাঁসির প্রস্তুতি কারাগারে


 
 দুই যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং আলী আহসান মো. মুজাহিদের স্বজনরা দেখা করে বেরিয়ে আসার পর তাদের ফাঁসি কার্যকরের চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে।

ইরাকে হামলায় বেসামরিক নিহতের স্বীকারোক্তি যুক্তরাষ্ট্রের

মার্কিন যুদ্ধবিমান। ফাইল ছবি: রয়টার্স
মার্কিন যুদ্ধবিমান। ফাইল ছবি: রয়টার্স
মার্চে ইরাকে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) একটি তল্লাশিচৌকি লক্ষ করে চালানো বিমান হামলায় সম্ভবত চারজন সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছেন বলে স্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

নিউজিল্যান্ডে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, নিহত ৭

ফক্স হিমবাহে বিধ্বস্ত হেলিকপ্টার। ছবি: নিউজিল্যান্ড পুলিশ
ফক্স হিমবাহে বিধ্বস্ত হেলিকপ্টার। ছবি: নিউজিল্যান্ড পুলিশ

সাতজন আরোহীসহ একটি হেলিকপ্টার নিউজিল্যান্ডের ফক্স হিমবাহে বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে আরোহীদের সবাই প্রাণ হারিয়েছেন।

সিরিয়ায় আইএসের অবস্থানে রুশ বিমান হামলা বেড়েছে



             
সিরিয়ায় ‘সন্ত্রাসীদের’ লক্ষ করে হামলার তীব্রতা বাড়ানো হয়েছে এবং দেশটিতে রুশ যুদ্ধবিমানের সংখ্যা ৬৯টিতে উন্নীত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রাশিয়া।

আত্মঘাতী বোমারু কোন নারী নয়, পুরুষ ছিলেন

 
    হাসনা আইটবুলাসেনকে আত্মঘাতী বোমারু মনে করা হয়েছিল। হাসনা আইটবুলাসেনকে আত্মঘাতী বোমারু মনে করা হয়েছিল।                 
ফ্রান্সের কর্মকর্তারা বলছেন বুধবার প্যারিসের শহরতলীর একটি ফ্ল্যাটে যে অভিযান চালানো হয়েছে সেখানে আত্মঘাতী বোমারু কোন নারী ছিলেন না।
আত্মঘাতী বোমারু একজন পুরুষ ছিল বলেই ধারনা করা হচ্ছে।
যদিও এর আগে বলা হয়েছিল সেই ফ্ল্যাটে অভিযানের সময় হাসনা আইটবুলাসেন নামের এক নারী একজন আত্মঘাতী বোমারু বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিলেন।
কিন্তু এখন পুলিশ সেই বক্তব্য থেকে সরে এসেছে। মনে করা হচ্ছে, ২৬ বছর বয়সী হাসনা আইটবুলাসেন আত্মঘাতী বোমারু ছিলেন না।
সেই ফ্ল্যাটে শুক্রবার তৃতীয় আরো একজনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। তবে তার পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
প্যারিসের শহরতলীর যে ফ্ল্যাটকে ঘিরে জঙ্গিদের সঙ্গে পুলিশের তীব্র লড়াই চলেছে, সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় হাসনা আইটবুলাসেনের মৃতদেহ।
পুলিশের ধারণা করেছিল, একটি আত্মঘাতী বোমার বেল্ট বাঁধা ছিল তার শরীরে। এই অভিযান চলার সময় এক পর্যায়ে সেই বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়।
                 এরই মধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যমে পুলিশের বরাত দিয়ে হাসনা আইটবুলাসেনকে আত্মঘাতী বোমারু হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
ধারনা করা হচ্ছে, হাসনা আইটবুলাসেন হচ্ছেন প্যারিসের সন্ত্রাসী হামলার ‘মূল হোতা’ আবদেলহামিদ আবাউদের দূর সম্পর্কিত। বুধবারের অভিযানে আবদেলহামিদ আবাউদ নিহত হয়।
হাসনা আইটবুলাসেনের যেভাবে আত্মঘাতী বোমারু হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছিল, সেটি নিয়ে আগেই সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন তার ঘনিষ্ঠ একজন বান্ধবী।
হাসনা আইটবুলাসেনের সাথে স্কুলে পড়াশোনা করেছেন খেমিসা।
তিনি বলছেন, ‘হাসনা জীবনকে ভালোবাসতো। আমার মনে হয় না আত্মঘাতী বোমারু হওয়ার কোন ইচ্ছে ওর ছিল। কেউ হয়তো শেষ মুহুর্তে ওকে প্রভাবিত করেছে।”
ফ্রান্স এলিট পুলিশের যে দলটি প্যারিসের শহরতলীতে সে পরিচালনা করেছিল, সে দলের প্রধান বলেন তারা যখন ফ্ল্যাটের কাছাকাছি যান তখন একজন নারীর কণ্ঠ শোনা যায়।
সেই নারী নিজেকে উড়িয়ে দেবার হুমকি দিয়েছিল বলে তিনি জানান। bbc

পিতৃত্বকালীন ছুটিতে যাচ্ছেন জাকারবার্গ

ফেইসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ। ছবি: রয়টার্স
                           ফেইসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ। ছবি: রয়টার্স

জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ দুই মাসের পিতৃত্বকালীন ছুটিতে যাচ্ছেন।

আইএসের বিরুদ্ধে অভিযানের প্রস্তাব জাতিসংঘে গৃহীত

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। ফাইল ছবি: রয়টার্স
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। ফাইল ছবি: রয়টার্স
             
মধ্যপ্রাচ্যের জঙ্গি-সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান ‘কয়েকগুণ’ বাড়ানোর একটি প্রস্তাব জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়েছে।

ব্রাসেলসে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা সতর্কতা জারি

‘মার্সি পিটিশন’ নিয়ে সন্দেহ সাকা-মুজাহিদের পরিবারের



সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ফাঁসিকাষ্ঠ এড়াতে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমার আবেদন করেছেন বলে আইনমন্ত্রী জানালেও তার সত্যতা নিয়ে সন্দিহান এই দুই যুদ্ধাপরাধীর পরিবারের সদস্যরা।  

লন্ডন থেকে ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া


            
দুই মাসের বেশি সময় যুক্তরাজ্যে থাকার পর দেশে ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

সাকা-মুজাহিদের পরিবার শেষ দেখা করল

দেখা করতে কারাগারে ঢুকছেন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পরিবারের সদস্যরা।
দেখা করতে কারাগারে ঢুকছেন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পরিবারের সদস্যরা।

মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের তোড়জোড়ের মধ্যে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মো. মুজাহিদের সঙ্গে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে দেখা করে এসেছেন এই দুই যুদ্ধাপরাধীর পরিবারের সদস্যরা।

প্রাণভিক্ষার আবেদন নামঞ্জুর, ফাঁসি কার্যকরের প্রস্তুতি চলছে

 
   
 
 
বাংলাদেশে ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের সময়কার মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরী এবং জামায়াত নেতা আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের প্রাণভিক্ষার আবেদন রাষ্ট্রপতি নামঞ্জুর করেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বিবিসি বাংলাকে এ কথা জানিয়েছেন।
এখন কারাগারে মৃত্যুদন্ড কার্যকরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে কারা সূত্রে।
কারাগারের বাইরে নিরাপত্তা প্রহরা জোরদার করা হয়েছে এবং সেখানে এখন সংবাদকর্মীদের ভিড় জমেছে।
কিছু সময় আগেই মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত দু'জনের পরিবারের সদস্যরা কেন্দ্রীয় কারাগারে গিয়ে দুজনের সাথে শেষবারের মতো দেখা করতে যান।
bangla_jail_prison_dhaka
এর আগেই আজ বিকেলে মি চৌধুরী এবং মি. মুজাহিদ প্রাণভিক্ষার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেন বলে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশে সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, দুজন ম্যাজিস্ট্রেট সকালে মি চৌধুরী এবং মি. মুজাহিদের সাথে দেখা করলে তারা লিখিতভাবে এই প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান পরে বিবিসি বাংলাকে জানান, প্রেসিডেন্টের বিবেচনার জন্য এই প্রাণভিক্ষার আবেদন তার দফতরে পাঠানো হয়।
mujahid                           
তার আগে আবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর তা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান মি. খান।
আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন সাংবিধানিক ধারা মেনেই আবেদন করা হয়েছে - তবে তাতে কি বলা হয়েছে তা বলা হয় নি।
তবে দুই রাজনীতিকের পরিবারের সদস্যরা এই প্রাণ ভিক্ষার আবেদনের খবরে বিস্ময় প্রকাশ করেন।
পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন, আপিল বিভাগের রায়ের পর তারা আইনজীবীর সাথে কথা বলতে চাইলেও তা দেয়া হয় নি।

ফাঁসির আসামির প্রাণভিক্ষা চাওয়ার প্রক্রিয়া কি

 
    bangladesh_presidents_house_bangabhavan                          
                 বঙ্গভবন

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ আজ রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়েছেন। তবে রাষ্ট্রপতি তা নামঞ্জুর করেছেন।
এর আগে ১৯৭১এর মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দুজনের মৃত্যুদন্ড কার্যকর হয়েছে। এর হলেন জামায়াতে ইসলামীর দুই নেতা আবদুল কাদের মোল্লা এবং অপরজন মুহাম্মদ কামারুজ্জামান।এরা কেউই প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন নি।
তাই মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রপতির কাছে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মুজাহিদই প্রথম প্রাণভিক্ষার আবেদন করলেন - যদিও মৃত্যুদন্ড কার্যকরের আগে শেষ সাক্ষাতের পরও তাদের পরিবারের লোকেরা দাবি করেছেন, এ খবর সঠিক নয়।
কিন্তু ফাঁসির আসামীর প্রাণভিক্ষার আবেদন ঠিক কিভাবে করতে হয়?
এ নিয়ে বাংলাদেশের সাবেক আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদের সাথে কথা বলেন বিবিসি বাংলার মিজানুর রহমান খান।
বিবিসি: প্রাণভিক্ষা চাওয়ার আবেদন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামী কিভাবে করেন?
শফিক আহমেদ: মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামীর কাছে কারা কর্তৃপক্ষ জানতে চাইবে যে তিনি প্রাণভিক্ষা চেয়ে কোনো আবেদন করতে চান কীনা। তারপর সেই আবেদন দেওয়া হবে কারাগারের প্রধান কর্মকর্তা অর্থাৎ জেলারের কাছে। জেলার সেই দরখাস্তটি পাঠিয়ে দেবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে। এবিষয়ে মতামত চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আবেদনটি পাঠাবে আইন মন্ত্রণালয়ের কাছে। যে অপরাধের জন্যে আসামীর ফাঁসি হয়েছে সেসব অপরাধের ব্যাপারে আসামী কোনো ধরনের অনুকম্পা পেতে পারেন কীনা সেবিষয়ে মতামত দিয়ে আবেদনটি পাঠাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে। তারপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার নোটসহ ফাইলটি পাঠাবে প্রধানমন্ত্রীর অফিসে। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সে ফাইল যাবে রাষ্ট্রপতির কাছে।
বিবিসি: কিন্তু প্রাণভিক্ষার আবেদনটা করা হয় রাষ্ট্রপতির বরাবরে..
মি. আহমেদ: রাষ্ট্রপতির বরাবরে কিন্তু সাবমিট করতে হবে জেলারের কাছে। কারণ ওই আসামী জেলখানায়, জেলারের হেফাজতে রয়েছেন।
বিবিসি: আসামীর কাছ থেকে এই মৃত্যুদণ্ড কে সংগ্রহ করেন? এজন্যে কি তার কাছে কোনো ম্যাজিস্ট্রেট পাঠাতে হয়?
মি. আহমেদ: ম্যাজিস্ট্রেট লাগবে না। জেলারই তার কাছে এটা চাইবেন। এজন্যে তিনি আসামীকে একটা সময় বেঁধে দেবেন।
বিবিসি: আবেদন করার জন্যে কি নির্দিষ্ট কোনো ফর্ম আছে?
মি. আহমেদ: হ্যাঁ, ফর্মও আছে। আবার কেউ ইচ্ছে করলে তিনি নিজেও আলাদা কাগজে আবেদন করতে পারেন। যদি শিক্ষিত হন তাহলে কাগজ কলম চাইতে পারেন। সাধারণত যারা শিক্ষিত আসামী তারা নিজেরাই কাগজ কলম চেয়ে নিজেরাই আবেদন করে থাকেন।
বিবিসি: এই আবেদন করার সময় কি আসামীকে অপরাধ স্বীকার করতেই হয়?
মি. আহমেদ: হ্যাঁ, তাকে অপরাধ স্বীকার করতে হবে। তাকে সুনির্দিষ্টভাবে বলতে হবে যে অভিযোগে আমি অভিযুক্ত হয়েছি সেগুলো প্রমাণিত হয়েছে এবং আমি এসব অপরাধ করেছি। সেজন্যে আমাকে প্রাণদণ্ড দেওয়া হয়েছে এবং এখন আমি প্রাণভিক্ষা চাইছি।
বিবিসি: একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামীর যদি কিছু বলার থাকে, বিচার প্রক্রিয়াসহ যেকোনো বিষয়ে, সেসব বলার কোনো সুযোগ আছে?
মি. আহমেদ: না, কোনো সুযোগ নেই। বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রেসিডেন্টের কাছে কোনো প্রশ্ন তোলা বা কোনো রকমের মন্তব্য করার অধিকারও তার নেই। করলে এই আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না।
বিবিসি: আসামী আবেদন করছেন রাষ্ট্রপতির কাছে কিন্তু সেটা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হচ্ছে কেনো?
মি. আহমেদ: কারণ সংবিধানের ৪৮ অনুচ্ছেদে বলা আছে যে রাষ্ট্রপতি নিজের ইচ্ছা অনুসারে দুটো কাজ করতে পারেন। ১. দেশে নির্বাচনের পর বিজয়ী দলের নেতাকে তিনি সরকার গঠন করতে আমন্ত্রণ জানাতে পারেন। ২. প্রধান বিচারপতি নিয়োগ। এছাড়া সমস্ত কাজ প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে করতে হবে।
বিবিসি: তাহলে কখন কার ফাঁসি কার্যকর করা হবে সেই সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রপতির নয়..
মি. আহমেদ: না, সরকার প্রধানের অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীর। প্রধানমন্ত্রী যেভাবে পরামর্শ দেবেন রাষ্ট্রপতিকে ঠিক সেভাবেই কাজ করতে হবে। তার বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।