শনিবার, ৯ জানুয়ারী, ২০১৬

‘সংসদে আমি শাড়ি, সাজগোজ নিয়ে গল্প করি’

 

Image copyrighthttpwww.supriyassule.com
Image captionমহারাষ্ট্রের এমপি সুপ্রিয়া সুলের মন্তব্য বিতর্কের সৃষ্টি করেছে
ভারতের সংসদের এক নারী সদস্য বলেছেন যে সংসদের আলোচনা একঘেঁয়ে লাগলে অন্য নারী সদস্যদের সঙ্গে তিনি শাড়ি, সাজগোজ নিয়ে গল্প করতে থাকেন। সংসদের গ্যালারী বা টি ভি তে তখন দেখলে মনে হবে খুব গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় ইস্যু নিয়ে আলোচনা করছেন তাঁরা।
ন্যাশানালিস্ট কংগ্রেস পার্টির প্রধান ও প্রাক্তন গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং ক্রিকেট কর্তা শারদ পাওয়ারের মেয়ে সুপ্রিয়া সুলে এই মন্তব্য করেছেন। বেশ কয়েকবারের সংসদ সদস্য তিনি।
মিসেস সুলে গিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের নাসিকে একটি কলেজ ছাত্রীদের অনুষ্ঠানে। সেখানেই তিনি বলেন যে সংসদে একজন বা দুজন বক্তার ভাষণের পরে তৃতীয় ব্যক্তি আগের দুজনের ভাষণই আবারও বলতে থাকেন। তখনই তাঁর একঘেয়ে লাগতে থাকে আর তিনি অন্য নারী সংসদ সদস্যদের সঙ্গে গল্পগুজবে মেতে ওঠেন – ঠিক যেমনটা কলেজ ছাত্রীরা করে।
মিসেস সুলে আরও বলেন টিভি তে বা সংসদের গ্যালারী থেকে কেউ তাঁকে চেন্নাইয়ের এক নারী সংসদ সদস্যের সঙ্গে কথা বলতে দেখে হয়তো ভাববে সেখানকার সাম্প্রতিক বন্যা নিয়ে দুজনে আলাপ করছেন। মোটেই তা নয়, তাঁরা তখন আলোচনা করছিলেন কোথা থেকে শাড়ী কিনেছেন তাঁরা!
মিসেস সুলের কিছুটা হাল্কা চালে করা এই মন্তব্য টি ভি চ্যানেলগুলিতে দেখানোর পরে তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
সি পি আই এম দলের রাজ্যসভার তরুণ সদস্য ঋতব্রত ব্যানার্জী বলছিলেন, “সংসদ হল দেশের সর্বোচ্চ আইনসভা। আইনপ্রণয়ণের সময়ে যদি কেউ সেখানে শাড়ি, গয়না, ফেসিয়াল করার মতো ব্যক্তিগত বিষয়ে আলোচনা করে.. এই মন্তব্য খুবই দুর্ভাগ্যজনক। নিজে একজন সংসদ সদস্য হয়ে মর্মাহত উনার এই মন্তব্য জেনে।“
মি. ব্যানার্জী আরও বলছিলেন, মিসেস সুলে এই মন্তব্য করছেন কলেজ ছাত্রীদের সামনে; তাদের কাছে রাজনীতিবিদদের সম্বন্ধে কী ধারণা তৈরী হচ্ছে!
তবে বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য মিসেস সুলের বক্তব্য জেনে বিস্মিত হয়েছেন, কারণ একজন সিরিয়াস রাজনীতিবিদ হিসাবেই সংসদের ভেতরে-বাইরে পরিচিত তিনি।
কংগ্রেস দলের অন্যতম জাতীয় মুখপাত্র ও সুপ্রিয়া সুলের কাছাকাছিই সংসদে যাঁর আসন – এমন একজন সুস্মিতা দেব আসামের শিলচরের সংসদ সদস্য।
মিজ. দেবের কথায়, “যদিও তিনি আমার দলের কেউ নন, তবু বলব ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা, শিক্ষা, বাজেট সহ প্রতিটা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে খুব সিরিয়াস ভাষণ দেন সুপ্রিয়া সুলে। সংসদের বাইরেও তামাক বিরোধী প্রচার বা অপুষ্টি নিয়ে খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেন সুপ্রিয়া। উনার মতো একজন সিরিয়াস সংসদ সদস্য হয়তো কোনও জায়গায় গিয়ে মজার ছলে একটা কথা বলেছেন। সেটাকে নিয়ে বিতর্কের কোনও অর্থ হয় না।“
রাজনীতিবিদ বা সংসদ সদস্যদের মধ্যে মিসেস সুলের মন্তব্য নিয়ে বিভেদ থাকলেও ফেসবুক টুইটারে অনেক সাধারণ মানুষ বিরূপ মন্তব্য করছেন।
তাঁদের কথায়, সাধারণ মানুষ কি শাড়ি আর পার্লার নিয়ে আলোচনা করতে তাঁকে ভোট দিয়ে সংসদে পাঠিয়েছে!
কেউ বলছেন, সংসদে আসলে ঠিক কীরকম গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়, সেই সত্যি কথাটাই সুপ্রিয়া সুলে বলে ফেলেছেন!

অপরাধ করলে অভিবাসীদের ফেরত পাঠাবে জার্মানি

 

Image copyrightReuters
Image captionকোলনে যৌন হামলার ঘটনায় চাপের মুখে আছেন অ্যাঙ্গেলা মের্কেল
নববর্ষ উদযাপনের সময় জার্মানির কোলন শহরে নারীদের ওপর যৌন হামলার ঘটনায় খোদ জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেলের দল- ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ভেতরেই ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
দলের নেতারা দাবি করছেন অপরাধের সাথে জড়িত অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন করার।
তারা চাইছেন লোকজনকে যাতে সহজেই জার্মানি থেকে ফেরত পাঠানো যায় সেরকম একটি আইন।
এই আঙ্গেলা মের্কেলই গত বছর ১০ লাখেরও বেশি শরণার্থীকে জার্মানিতে স্বাগত জানিয়েছিলেন।
যৌন হামলার ঘটনা নিয়ে আঙ্গেলা মের্কেলের ওপর চাপ বাড়ছিল। আশ্রয়প্রার্থীরাই এসব হামলার পেছনে আছে বলে যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা আঙ্গেলা মের্কেলের পুরো অভিবাসন নীতিকেই প্রশ্নের মুখে ফেলে দেয়।
Image copyrightAP
Image captionকোলনে যৌন হামলার ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ উঠেছে
নিজের দল থেকেই দাবি উঠে অভিবাসন নীতি পর্যালোচনা করে দেখার।
এসব চাপের মুখেই এখন জার্মান চ্যান্সেলর ঘোষণা করেছেন যে, যারা অপরাধ করবে, সেইসব আশ্রয়প্রার্থীদের যাতে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো যায়, সেজেন্য তারা আইন সংশোধন করবেন।
আজ দলের বৈঠক শেষে তিনি বলেন, যারা অপরাধ করছে, তারা আইন লঙ্ঘন করছে। কাজেই এর একটা পরিণাম অবশ্যই হতে হবে।
বিবিসির সংবাদদাতা বলছেন, জার্মানির অভিবাসন বিরোধী গোষ্ঠীগুলো কোলনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এখন যেভাবে মের্কেলের অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছে, তখন জনগণকে আশ্বস্ত করার জন্য তাকে কিছু একটা করে দেখাতে হচ্ছে। তার সামনে এখন বড় চ্যালেঞ্জ জনগণকে এটা বোঝানো, বিপুল পরিমাণ শরণার্থীকে সাদরে গ্রহণ করলেও জার্মানিরও একটা সহ্যের সীমা আছে।

বাংলাদেশের হবিগঞ্জে হাজার হাজার চা শ্রমিকের বিক্ষোভ

 

Image copyrightEPA
Image captionহবিগঞ্জে ইকনমিক জোনের কারণে চা শ্রমিকরা ক্ষতিগ্রস্থ হবে বলে আশংকা করছে
বাংলাদেশের হবিগঞ্জে হাজার হাজার চা শ্রমিক সেখানে এক বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে।
শ্রমিকরা চা বাগানের ৫শ একর অধিগ্রহণ করা জমি আগামী ২৫শে জানুয়ারির মধ্যে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে সময় বেঁধে দিয়েছে।
চা শ্রমিকরা বলছেন জমি অধিগ্রহণের কারণে চরম সংকটে পড়বে তাদের জীবন।
তবে কর্তৃপক্ষ বলছে জমি ফিরিয়ে দেয়ার সুযোগ নেই। তবে শ্রমিকদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা হ পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
নানা ধরনের শ্লোগান দিয়ে, ব্যানার প্ল্যাকার্ড পোস্টার সহ বিশটিরও বেশি চা বাগানের কয়েক হাজার চা শ্রমিক এই বিক্ষোভে যোগ দেন।
এদের অনেকে সাথে করে এনেছেন তীর ধনুক সহ, কেউ বা সেজেছেন নানা সাজে।
চা বাগানেই জন্ম ও বেড়ে উঠলেও সৌভাগ্যবশত বাইরে পড়ালেখার সুযোগ পেয়েছেন মোহন রবি দাশ। বাইরের কাজ বাদ দিয়ে তিনিও এলাকায় ফিরেছেন প্রতিবাদে অংশ নিতে। তিনি বলছেন তিনটি বাগানের সাথে জড়িত অন্তত ১২শ পরিবার সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হবে জমি অধিগ্রহণের কারণে।
চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রামভজন কৈরী বলছেন ভূমি ফিরিয়ে দেয়ার দাবিতে অব্যাহত থাকবে তাদের কর্মসূচি এবং ২৫শে জানুয়ারির মধ্যে সরকারকে এর সমাধান করতে হবে।
হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক সাবিনা আলম বলেন ইকোনমিক জোনের জন্যে জমি ইতোমধ্যেই হস্তান্তর করা হয়েছে। ভূমির জন্যে আন্দোলনের পেছনে অন্য কারও সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে বলেও মন্তব্য করে তিনি বলেন শিল্পায়ন হলে শ্রমিকদের জীবন মানের উন্নতি ঘটবে।
তবে এসব আশ্বাসেও ভরসা পাচ্ছেননা শ্রমিকরা। বরং অন্য এলাকার শ্রমিকরাও এসে ভূমি রক্ষার আন্দোলনে অংশ নিচ্ছেন কারণ তাদের ভয় ধীরে ধীরে এভাবে তাদের বাগানের জমিও হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে।

সবার জন্য দরোজা খুলে দিল ফ্রান্সের শত শত মসজিদ

 

Image copyrightAFP
Image captionমসজিদগুলোতে আজ সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে
ইসলাম এবং মুসলিমদের সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা দূর করার লক্ষ্যে ফ্রান্সের শত শত মসজিদ আজ সবার জন্য তাদের দরোজা খুলে দিয়েছে।
মুসলিম নেতারা বলছেন, ফ্রান্সে ইসলাম সম্পর্কে মানুষের মধ্যে অনেক ভূল ধারণা বদ্ধমূল হয়ে আছে। তারা সবাইকে মসজিদে আমন্ত্রণ জানিয়ে সেই ধারণা ভেঙ্গে দিতে চান। এর লক্ষ্য সব সম্প্রদায়ের মধ্যে খোলামেলা আলোচনার সুযোগ তৈরি করা।
মসজিদগুলোতে আজ সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। সেখানে তাদের চা এবং কেক দিয়ে আপ্যায়ন করা হবে। সেখানে আলোচনা, কর্মশালা এবং বিতর্ক হবে। প্রার্থনা করা হবে সবার জন্য।
Image copyrightAFP
Image captionমসজিদগুলোতে আজ আলোচনা, কর্মশালা এবং বিতর্ক হবে মুসলিমদের সম্পর্কে ভুল ধারণা ভেঙ্গে দিতে
ফ্রান্সে গত বছর রম্য ম্যাগাজিন ‘শার্লি এবডো’ এবং এক ইহুদী সুপারমার্কেটে জঙ্গী হামলার প্রথম বার্ষিকীতে এই উদ্যোগ নেয়া হলো।
ফ্রান্সে মুসলিমদের সবচেয়ে বড় সংগঠন ‘ফ্রেঞ্চ কাউন্সিল অব দ্য মুসলিম ফেইথে’র প্রধান আনোয়ার কিবিবেচ বলেন, তারা মানুষে মানুষে সংহতির বিষয়টির ওপর জোর দিতে চান।
ফ্রান্সে গত বছর বেশ কয়েকটি জঙ্গী হামলার পর সেখানে মুসলিম বিদ্বেষের ঘটনা বাড়ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
ইউরোপে সবচেয়ে বেশি মুসলিম থাকে ফ্রান্সে। এদের বেশিরভাগই এসেছেন উত্তর আফ্রিকার সাবেক ফরাসী উপনিবেশগুলো থেকে।

আরব আর ইহুদীদের যে চুম্বন দৃশ্য নিয়ে ইসরায়েলে তোলপাড়

 

Image copyrightGetty
Image captionপ্রকাশিত উপন্যাস হাতে লেখক ডরিট রাবিনয়ান। ইহুদী নারী এবং ফিলিস্তিনি পুরুষের প্রেম নিয়ে এর কাহিনী
ইহুদী আর ফিলিস্তিনিদের যে চুম্বন দৃশ্যের ভিডিও নিয়ে ইসরায়েলে তোলপাড় চলছে, তা উধাও হয়ে গেছে ফেসবুক থেকে।
লন্ডনের 'দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট' পত্রিকা জানাচ্ছে, ইসরায়েলে ঘৃণা আর বৈষম্যের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে প্রচারণার অংশ হিসেবে এই ভিডিও তৈরি করে ‘টাইম আউট’ ম্যাগাজিনের তেল আবিব সংস্করণ।
ভিডিওতে মোট ছয় যুগলকে চুমু খেতে দেখা যায়। এদের মধ্যে ইহুদী-আরব নারী-পুরুষ থেকে শুরু করে সমকামী পুরুষ, সব ধরণের যুগলই রয়েছে।
এক ইহুদী নারী এবং ফিলিস্তিনি পুরুষের প্রেমের কাহিনী নিয়ে লেখা একটি উপন্যাস সম্প্রতি ইসরায়েলের শিক্ষা মন্ত্রণালয় নিষিদ্ধ করে। তারই পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে ‘টাইম আউট’ ম্যাগাজিন এই ভিডিওটি তৈরি করেছিল।
ইসরায়েলি লেখক ডরিট রাবিনিয়ানের লেখা উপন্যাসটি শিক্ষা মন্ত্রণালয় এই যুক্তিতে নিষিদ্ধ করে যে, এটি ইসরায়েলিদের ‘স্বতন্ত্র’ পরিচয়ের জন্য হুমকি।
কিন্তু ‘টাইম আউট’ ম্যাগাজিন এর জবাবে এই ভিডিও প্রকাশ করে বলেছে, “ আমরা বিশ্বাস করি মানুষ প্রথমত মানুষ, তারপর আসে তার ধর্ম বা জাতিগত পরিচয়।”
“প্রেমকে অনেক সময় কৃত্রিম বলে মনে করা হয়। কিন্তু এটা একটা ভুল। এর চেয়ে জটিল আর কোন অনুভূতি হতে পারে না।”
মোট ছয়টি যুগলের চুম্বন দৃশ্য রেকর্ড করে টাইম আউট ম্যাগাজিন। এদের অনেকের মধ্যে এই চুম্বন দৃশ্যের আগে দেখা পর্যন্ত হয়নি।
ভিডিতে তাদের চুম্বন দৃশ্যের পর পর্দায় ভেসে উঠে ইংরেজী, হিব্রু এবং আরবীতে লেখা এই শ্লোগান: ‘ইহুদী এবং আরবরা পরস্পরের শত্রু হতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে”।
ভিডিওটি আপলোড করার পর একদিনেই সেটি একলক্ষ বার দেখা হয়েছে। কিন্তু তারপরই এটি ফেসবুক থেকে উধাও হয়ে যায়।
টাইম আউট ম্যাগাজিন সন্দেহ করছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষই হয়তো চাপে পড়ে এটি সরিয়ে নিয়েছে। কিন্তু ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তা অস্বীকার করছে।

সাতশো কোটি টাকার লটারি বা বজ্রপাতে মৃত্যু- কোনটার চান্স বেশি?

 

ব্রিটেনে আজকের ন্যাশনাল লটারি যিনি জিতবেন, তিনি পাবেন ছয় কোটি পাউন্ড, বাংলাদেশি মূদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় সাতশো কোটি টাকা।
গত ১৪টি লটারির ড্রতে কেউই জিতেনি। তাই সেসবের পুরস্কারের অর্থ জড়ো হতে হতে পরিমাণটা এই অবিশ্বাস্য অংকে পৌঁছেছে।
লটারির একটি টিকেট কিনে এই পুরস্কার জেতার সম্ভাবনা আসলে কতোটা?
পরিসংখ্যাবিদরা হিসেব করে দেখাচ্ছেন, সব নম্বর মিলিয়ে এই লটারি জেতার সম্ভাবনা একেবারেই ক্ষীণ।
ব্রিটেনে ন্যাশনাল লটারির ড্র হয় নম্বর লেখা যেসব বল দিয়ে, সেই বলের সংখ্যা ৪৯ থেকে বাড়িয়ে এখন করা হয়েছে ৫৯টি। এর ফলে পুরস্কার জেতার সম্ভাবনা আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে। পরিসংখ্যানবিদরা বলছেন, সঠিক নম্বর বাছাই করে পুরস্কার জেতার সম্ভাবনা এখন প্রতি চার কোটি ৪৫ লাখে একবার।
রয়্যাল স্ট্যাটিস্টিক্যাল সোসাইটির ড: এলিজাবেথ উইলিয়ামসন বলেন, যারা লটারির টিকেট কিনেছেন তাদের ভাগ্যে পুরস্কার জেতার চাইতে নীচের যে কোনটি ঘটার সম্ভাবনা বা আশংকা অনেক বেশি:
  • বজ্রপাতে মৃত্যু: প্রতি তিন লাখে একবার (এক বছরের মধ্যে)
  • বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু: প্রতি ৩৫ লাখে একবার
  • এক সঙ্গে তিনটি শিশুর জন্ম দেয়া: প্রতি আট হাজারে একবার
  • এক সঙ্গে চারটি শিশুর জন্ম দেয়া: প্রতি আট লাখে একবার
তবে আজকের লটারিতে সব গুলো নম্বর যদি কেউই মেলাতে না পারে, তখন সবচেয়ে কাছাকাছি নম্বর পর্যন্ত যারা মেলাতে পেরেছেন, তাদের মধ্য লটারির অর্থ ভাগাভাগি করে দেয়া হবে বলে নতুন নিয়ম করা হয়েছে।
ব্রিটেনে এর আগে ন্যাশনাল লটারিতে সবচেয়ে বড় পুরস্কারের অংকটি ছিল চার কোটি বিশ লাখ পাউন্ড। ১৯৯৬ সালে তিন জন সৌভাগ্যবান বিজয়ীর মধ্যে এই পুরস্কারের অর্থ ভাগাভাগি করে দেয়া হয়।