বাংলাদেশের ঢাকায় হঠাৎ বৃষ্টির কারণে অমর একুশে গ্রন্থমেলার ভেতরে পানি জমায় আজ বুধবার বইমেলা সাময়িক বন্ধ রয়েছে। বিকেল তিনটায় নির্ধারিত সময়ে বইমেলা শুরু হতে পারেনি।
আজ বেলা বারোটার আগ দিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঝড়ো হাওয়া শুরু হয়। আকাশ অন্ধকার করে শুরু হয় শিলাবৃষ্টি।
ঘন্টাখানেক বিরতি দিয়ে আবার দুপুর দুইটার পর বৃষ্টি হলে বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে যায়।
বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গণ এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বইমেলাতেও পানি জমে গেলে কর্তৃপক্ষ সাময়িক সময়ের জন্য বইমেলা বন্ধ ঘোষণা করেন।
বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান বিকেলে বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, মাঠে পানি নিষ্কাশনের কাজ চলছে। পানি সরিয়ে ফেলা হলে এবং পুনরায় বৃষ্টি না হলে মেলা অচিরেই শুরু হবে।
তবে আবারও বৃষ্টি হলে আজ বইমেলা চালু করা সম্ভব হবে না বলে জানান তিনি।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তাদের বার্ষিক প্রতিবেদনের বাংলাদেশ অংশে বলেছে, দেশটিতে সরকারের সমালোচনা করছে এমন স্বাধীন গণমাধ্যমগুলো এখন মারাত্মক চাপে রয়েছে।
এর উদাহরণ হিসেবে তারা বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় দুটি সংবাদপত্র প্রথম আলো এবং দ্য ডেইলি স্টারের উদাহরণ এনে বলছে, সরকার বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে এ দুটি পত্রিকায় বিজ্ঞাপন না দেয়ার জন্য সতর্ক করে দিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, তারা মনে করছেন এধরণের অভিযোগ একপেশে এবং বাস্তবসম্মত নয়।
“অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের কাছে যদি কোন আনুষ্ঠানিক অভিযোগ থাকে তাহলে সেটা তারা প্রকাশ করতে পারেন। কিন্তু সেটি না করে হাওয়ার ওপরে ভিত্তি করে তারা বলছেন যে এই কোম্পানিগুলোকে নিষেধ করা হয়েছে।”
মি. চৌধুরী বলেন, পত্রিকাগুলোর ওপর চাপ প্রয়োগ করার কোন তথ্য তাদের কাছে নেই।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদনে উল্লেখিত বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছিলাম ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের উপ সম্পাদক ইনাম আহমেদের সাথে। তিনি বলছেন, বিজ্ঞাপন না দেয়ার বিষয়ে কোন চাপ আছে কিনা সেটি তাদের জানা নেই, তবে গত প্রায় ৬ মাস যাবত তাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের পরিমাণ অনেকটাই কমে গেছে।
“আমরা দেখছি গত অগাস্টের মাঝামাঝি থেকে আমাদের বিজ্ঞাপন হঠাৎ করে খুব কমে গেছে। বিজ্ঞাপন প্রায় ৩০ শতাংশ কমে গেছে। চারটি বড় টেলিকম প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন উধাও হয়ে গেছে। কিন্তু কেন হয়েছে এটা এখনো আমরা জানি না।” বলেন মি. আহমেদ।
বিজ্ঞাপন দেয়ার বিষয়ে সরকারের কোন চাপ আছে কিনা জানতে চাইলে এনিয়ে কোন মন্তব্য করেনি বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থা।
সংবাদপত্রের ওপর চাপের পাশাপাশি ২০১৫ সালের একটি সময় জুড়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ রেখে মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপরও বাঁধার সৃষ্টি করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদনে। বাংলাদেশ সরকার এর কারণ হিসেবে বলেছে নিরাপত্তার কথা।
বাংলাদেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খুব সক্রিয় একজন তরুণ লেখক, আশিফ এন্তাজ রবি বলছেন, যে অজুহাতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ করে দেয়া হোক না কেন, তাতে মত প্রকাশের স্বাধীনতা ব্যাহত হয়।
তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ রাখা সম্পর্কে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বক্তব্য নাকচ করছে সরকার।
সরকার বলছে, শুধুমাত্র নিরাপত্তা জনিত কারণেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং ম্যাসেজিং অ্যাপগুলো বন্ধ করা হয়েছিলে এবং পরিস্থিতি বিবেচনায় সেটি আবার খুলে দেয়া হয়।
ঢাকার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে, ভারতের সাথে ব্যবধানটা একটা সময় এমন অবস্থায় গিয়ে দাঁড়ায় যে, মাশরাফী বাহিনীর পক্ষে শেষ পর্যন্ত সেই ব্যবধান ঘোচানো অসম্ভব হয়ে পড়ে।
শেষ ওভারের খেলা যখন চলছিল তখনো বাংলাদেশের প্রয়োজন ৩ উইকেটে ৫০ রান।
টি-টুয়েন্টি র্যাংকিং-এ দশ নম্বরের থাকা বাংলাদেশ দল ব্যাটিং এর শুরুতেই হোচট খেতে থাকে।
ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ সংগ্রহ ৪৪ রান আসে সাব্বির রহমানের ব্যাট থেকে। এছাড়া মশফিকুর রহিম ১৬, তাসকিম আহমেদ ১৫, ইমরুল কায়েস ১৪ এবং সৌম্য সরকার ১১ রান করেন।
এই পাঁচজন ছাড়া কেউই দুই অংকের রানের ঘর পেরুতে পারেননি। সাকিব আল হাসান রান আউট হয়েছেন মাত্র ৩ রানে।
ভারতের আশিস নেহরা তিনটি উইকেট নিয়েছেন।
এর আগে আসরের প্রথম এই ম্যাচটিতে এমএস ধোনির নেতৃত্বে ভারতীয় দল নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রান করে। রোহিত শর্মার অনবদ্য ব্যাটিং এ এই সংগ্রহ তোলে ভারত। মাত্র ৫৫ বলে ৮৩ রানের এক ইনিংস খেলেন রোহিত শর্মা।
যদিও ২১ রানের মাথায় সাকিব আল হাসান, রোহিত শর্মার ক্যাচটি মুঠোবন্দী করতে পারলে হয়তো ভারতের স্কোর অন্যরকম হতে পারতো। এমনই হতাশার সুর দেখা যায় দর্শক-ভক্তদের মাঝেও। অনেকেই বলছেন, “ক্যাচ মিস তো ম্যাচ মিস” এই মর্মপীড়ায় ভূগতে হচ্ছে বাংলাদেশকে।
বুধবার সন্ধ্যায় স্বাগতিক দলের ক্যাপ্টেন মাশরাফি বিন মর্তুজা টসে জিতে শুরুতে ফিল্ডিং বেছে নেন। বল হাতে সবচেয়ে সফল বাংলাদেশের আল আমিন। তিনি একাই নেন তিনটি উইকেট। দ্বিতীয় ওভারেই শেখর ধাওয়ানের উইকেট নিয়ে ভারতীয় শিবিরে প্রথম ভাঙন ধরান আল আমিন। এরপর পঞ্চম ওভারে বাংলাদেশের ‘বিরাট শিকার’ মাশরাফির বলে বিরাট কোহলির উইকেট।
এছাড়া মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও সাকিব আল হাসান একটি করে উইকেট নিয়েছেন।
ভারতের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে হার্ডিক পান্ডে ৩১, যুবরাজ ১৫ এবং সুরেশ রায়না ১৩ রান করেন।