মঙ্গলবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৫

বি এস এফের বিমান ভেঙ্গে পড়েছে

 
                     বি এস এফের একটি বিমান দিল্লির আকাশে ভেঙ্গে পড়েছে    
            
ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বি এস এফের একটি বিমান কিছুক্ষণ আগে দিল্লির আকাশে ভেঙ্গে পড়েছে।
বাহিনীর আধিকারিকরা এখনও পর্যন্ত দুজনের মৃতদেহ উদ্ধার করার খবর নিশ্চিত করেছেন।
বিমানটিতে বি এস এফের পাইলট, অফিসার ও কর্মীসহ দশজন ছিলেন। বাহিনীর সূত্রগুলি অনানুষ্ঠানিকভাবে জানাচ্ছে, তাদের কেউই সম্ভবত আর জীবিত নেই।
বিমানটি কর্মীদের নিয়ে রাজধানী দিল্লি থেকে ঝাড়খণ্ডের রাঁচির দিকে ওড়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই দ্বারকা আবাসিক এলাকায় ভেঙ্গে পড়ে।
ঘটনাস্থলে ১৫ টি দমকল বাহিনীর টিম এবং পুলিশক পৌঁছেছে। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং-ও দুর্ঘটনাস্থলের দিকে রওনা হয়েছেন।
বিজিবি-বিএসএফ বৈঠক স্থগিত
এই ঘটনার পর আজ থেকে ঢাকায় শুরু হতে যাওয়া বিজিবি-বি এস এফের মহাপরিচালক পর্যায়ের বাৎসরিক বৈঠক পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
বি এস এফের বিমান দুর্ঘটনার কারনে মহাপরিচালক ডি কে পাঠকের পক্ষে দিল্লি ছেড়ে যাওয়া এখনই সম্ভব না বলে আধিকারিকরা জানাচ্ছেন।
বৈঠক পিছিয়ে দেয়ার খবরটি নিশ্চিত করেছেন ঢাকায় বিজিবির কর্মকর্তারাও।

বাংলাদেশী লেখক-ব্লগারদের যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় দেয়ার আহ্বান

 
    চলতি বছরেই বাংলাদেশে পাঁচজন লেখক প্রকাশককে হত্যা করা হয়েছে       
         
ইসলামী উগ্রবাদীদের হুমকির মুখে থাকা বাংলাদেশী লেখকদের জরুরী আশ্রয় দেয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর একটি জোট।
এই আহ্বান জানিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির কাছে সোমবার একটি চিঠি পাঠিয়েছে পেন আমেরিকান সেন্টারের নেতৃত্বে আটটি সংগঠনের একটি জোট।
চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, রিপোর্টাস উইদাউট বর্ডারস এবং ফ্রিডম হাউজ।
এসোসিয়েট প্রেস জানিয়েছে, চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশে লেখক, ব্লগার আর প্রকাশকরা মৃত্যুর হুমকিতে রয়েছে। এ বছরই পাঁচজন নিহত হয়েছে আর অনেককে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। কিন্তু তাদের নিরাপত্তায় বাংলাদেশ সরকার যথেষ্ট ব্যবস্থা নেয়নি। উল্টো তাদের দেশ ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছে। কয়েকজন লেখক ব্লগারকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।
                 লেখক-ব্লগার হত্যার প্রতিবাদে ঢাকায় প্রতিবাদ মিছিল হয়েছে                
ওই চিঠিতে বাংলাদেশের পরিস্থিতিকে ‘’সত্যিকারেই ভয়াবহ’ বলে বর্ণনা করে লেখক ও ব্লগারদের জীবন বাচাতে ‘হিউম্যানিটারিয়ান প্যারোল’ দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন আইন অনুযায়ী, কোন জরুরী পরিস্থিতিতে অন্য কোন দেশ থেকে কাউকে সাময়িকভাবে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে এসে আশ্রয় দেয়াকে ‘হিউম্যানিটারিয়ান প্যারোল’ বলে বর্ণনা করা হয়।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক একটি সংস্থা, ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমস ইন্টারন্যাশনালের একটি গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে বরাবর ধর্মীয় সহিষ্ণুতা থাকলেও, সম্প্রতি সেখানে উগ্রবাদী প্রবণতা বাড়ছে। সেখানে একটি উচ্চশিক্ষিত, প্রযুক্তিতে দক্ষ এবং উচ্চ মধ্যবিত্ত শ্রেণীর তরুণরা এ ধরণের জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে।
তবে এসব কর্মকাণ্ড তারা নিজে থেকেই করছে নাকি, আইএস বা আল-কায়েদার সঙ্গে তাদের সম্পর্ক রয়েছে, তা এখনো পরিষ্কার নয় বলে প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়।

বিএসএফের গুলিতে চলতি বছর সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশী নিহত

 
                     ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে গত পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশী হত্যার ঘটনা ঘটেছে                
ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর গুলিতে গত পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশী নিহত হয়েছে বলে বলছে বাংলাদেশের মানবাধিকার সংস্থাগুলো।
আইন ও সালিশ কেন্দ্র বলছে, চলতি বছরে এপর্যন্ত বিএসএফের গুলিতে ৪৫জন বাংলাদেশী নিহত হয়েছে। গতবছর এই সংখ্যা ছিল ৩৩জন।
মঙ্গলবার ভোরেও বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁওয়ের সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে হেমন্ত চন্দ্র নামের একজন বাংলাদেশী নিহত হয়েছে।
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার সীমান্তে ভারত থেকে গরু নিয়ে ফেরার সময় এই ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পরিচালক নুর খান লিটন জানিয়েছেন, এ বছর মারা যাওয়া পয়তাল্লিশজনের মধ্যে ৩১ জন গুলিতে আর ১৪জন শারীরিক নির্যাতনে নিহত হয়েছে।
তিনি বলেন, দুই দেশের সরকারপ্রধানদের মধ্যে সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা শূন্যে নামিয়ে আনার আলোচনা হয়েছে, ভারত প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল। কিন্তু তা আর কার্যকর হয়নি। এ ধরণের হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়াটা এর একটি বড় কারণ বলে তিনি মনে করেন।
মানবাধিকার সংস্থা ‘অধিকার’ বলছে, এ বছর নভেম্বর মাস পর্যন্ত বিএসএফের গুলিতে ৪১জন বাংলাদেশী নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত ৬০জন। আর ২৭ জন বাংলাদেশীকে বিএসএফ অপহরণ করেছে।
                 প্রতিমাসেই সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশীরা হতাহত হচ্ছে                
অধিকারের সাধারণ সম্পাদক আদিলুর রহমান খান বলেন, ২০১০ সালের পর এ বছর বিএসএফের গুলিতে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশী নিহত হয়েছে। বাংলাদেশের নাগরিকদের প্রতি বিএসএফ কোন প্রকার সম্মানই দেখাচ্ছে না। বরং তারা আগ্রাসী ভূমিকা নিয়েছে।
এমনকি অনেক সময় তারা বাংলাদেশের ভেতরে এসেও আক্রমণ করছে, বলেন মি. খান।
অধিকারের হিসাবে, ২০১৩ সালে সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহতের সংখ্যা ছিল ২৯জন। ২০১২ সালে ৩৮জন আর ২০১১ সালে ৩১জন।
এর আগে ২০১০ সালে এই সংখ্যা ছিল ৭৪জন।
অধিকার বলছে, দুই দেশের মধ্যে অবৈধ অনুপ্রবেশ কারীকে গ্রেপ্তার ও হস্তান্তরের সমঝোতা এবং চুক্তি থাকলেও, বিএসএফ সেটি লঙ্ঘন করে সীমান্তে বাংলাদেশীদের দেখামাত্রই গুলি করছে।
অধিকারের মতে, বিএসএফ তাদের ‘দেখামাত্র গুলি’ নীতি থেকে একবিন্দুও সরে আসেনি।

সীমান্তে হত্যা বন্ধে বিজিবি প্রধানের পরামর্শ

 

    মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ, মহাপরিচালক, বিজিবি
মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ, মহাপরিচালক, বিজিবি
ভারতের সাথে বাংলাদেশের সীমান্তে হত্যাকান্ড বন্ধ করতে হলে রাতের বেলা বাংলাদেশীদের সীমান্ত অতিক্রম বন্ধ করতে হবে বলে পরামর্শ দিয়েছেন বর্ডার গার্ডস বাংলাদেশ বা বিজিবি`র প্রধান মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ।
তিনি বলেছেন, সীমান্তে হত্যা বন্ধ করতে হলে বাংলাদেশী গরু চোরাকারবারীদের তৎপরতাও বন্ধ করতে হবে।
বাংলাদেশের মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ-এর গুলিতে গত পাঁচ বছরের মধ্যে এ বছরই সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় বাংলাদেশী সীমান্ত এলাকায় নিহত হয়েছে।
আইন ও সালিশ কেন্দ্র বলছে, চলতি বছরে এ পর্যন্ত বিএসএফের গুলিতে ৪৫ জন বাংলাদেশী নিহত হয়েছে। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ৩৩ জন।
সর্বশেষ ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার ভোরে। ঠাকুরগাঁওয়ের সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে একজন বাংলাদেশী নিহত হন।
তবে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি'র প্রধান মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ এই পরিসংখ্যানের সাথে একমত নন।
বিবিসির সাথে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, হত্যার বেশিরভাগ ঘটনা ঘটে সীমান্তের ওপারে ভারতীয় ভূখন্ডে।
তিনি বলেন, চোরাকারবারীরা সব সময় চেষ্টা করে বিজিবি`কে ফাঁকি দিতে। চোরাকারবারীরা গরু আনতে কখনও কখনও সীমান্তের ৩/৪ কিলোমিটার ভেতরে চলে যায় বলে তিনি জানান।
``প্রতিনিয়ত গরু আসে দেশের মধ্যে। আমাদের কথা হচ্ছে গরু আনতে আপনারা যান কেন?`` মি. আহমেদ বলেন, ``ওরা যদি বার্ডারে এসে দিয়ে যায় তো দিয়ে যাবে। আপনারা কেন যাবেন?``
সীমান্তে হত্যার প্রশ্নে তাহলে শুধু বিএসএফকেই দোষারোপ করা চলে কি না, এই ধরনের এক প্রশ্নের জবাবে মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন এক্ষেত্রে বাংলাদেশীদেরও দোষ রয়েছে।
কিন্তু আইনভঙ্গ করে সীমান্ত অতিক্রম করলেই হত্যা করতে হবে কেন? এই প্রশ্নের জবাবে মেজর জেনারেল আাজিজ জানান, ভারতের সাথে আলোচনার সময় তিনি বরাবরই এই কথাটি তুলে আসছেন।
তবে ভারতীয় পক্ষ থেকে কোন জবাব ছিল কি না, সে সম্পর্কে তিনি অবশ্য কোন মন্তব্য করেন নি।

ঘুমন্ত ড্রাইভারের হাতে বাস, ধাক্কা মারলো বিমানে

 
    অভ্যন্তরীণ রুটগুলিতে এয়ার ইন্ডিয়া এ ধরনের এটিআর বিমান ব্যবহার করে থাকে।
                 বেশ ক`টি অভ্যন্তরীণ রুটে এয়ার ইন্ডিয়া এ ধরনের এটিআর বিমান ব্যবহার করে থাকে।
ভারতের কলকাতা বিমান বন্দরে ক্লান্ত এক ড্রাইভার মঙ্গলবার স্টিয়ারিং হুইলেই ঘুমিয়ে পড়েনএবং তার বাসটিকে সোজা উঠিয়ে দেন এক যাত্রীবাহী বিমানের ওপর।
কর্মকর্তারা বলছেন, এয়ার ইন্ডিয়ার ছোট মাপের একটি অ্যাডভান্সড টর্বোপ্রপ বিমান ভোরবেলায় শিলচরের দিকে যাত্রার জন্য তৈরি হচ্ছিল।
এ সময় ঐ বিমানটিতে সরাসরি গিয়ে ধাক্কা মারে জেট এয়ারওয়েজের একটি বাস। এই বাসগুলি বিমানবন্দর আর বিমানে যাত্রী আনা-নেয়ার কাজ করে।
ঘটনাচক্রে বিমান বা বাসটিতে সেই সময়ে কোনও যাত্রী ছিলেন না।
প্রাথমিক তদন্তের সময় বাস চালক মোমিন আলি নিরাপত্তা বাহিনীকে জানিয়েছেন যে সারারাত ডিউটি করার পরে তিনি বাস চালানোর সময় ঘুমিয়ে পড়েন। তখনই বাসটি তার নির্দিষ্ট পথ থেকে সরে যায়, আর বিমানে গিয়ে ধাক্কা মারে।
মেডিক্যাল পরীক্ষায় দেখা গেছে যে ওই চালক নেশার ঘোরে ছিলেন না। কিন্তু বিমানবন্দরে কর্মরত বিভিন্ন সরকারি নিরাপত্তা সংস্থা ঐ চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
সংঘর্ষের ফলে বিমানটির একটি ডানা এবং ইঞ্জিনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
তবে এয়ার ইন্ডিয়ার সূত্রগুলি বলছে, ক্ষয়ক্ষতির পরিমান তারা এখনও নির্ধারণ করতে পারে নি, কিন্তু সেটা বেশ কয়েক কোটি টাকা হবে বলেই প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে।
এই ক্ষতিপূরণ বিমার মাধ্যমে নেওয়া হবে না কি জেট এয়ারওয়েজের কাছ থেকে চাওয়া হবে, সেটাও এখনও ঠিক হয় নি।
এ নিয়ে কোন আনুষ্ঠানিক বিবৃতি এখনও প্রকাশ করে নি এয়ার ইন্ডিয়া বা জেট এয়ারওয়েজ।
কলকাতা বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা বলছেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষ এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।