শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

রোহিঙ্গাদের সংখ্যা জানতে জরিপ শুরু করেছে বাংলাদেশ

Image captionঅনিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের চিহ্ণিত করতে এই জরিপ চালানো হচ্ছে
বাংলাদেশে নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের চিহ্ণিত করতে নতুন করে এক জরিপের কাজ শুরু হয়েছে।
মিয়ানমার থেকে এই রোহিঙ্গা মুসলিম শরণার্থীরা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে।
দুটি শরণার্থী শিবিরে গত প্রায় দু দশকের বেশি সময় ধরে বাস করছে হাজার হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী।
কিন্তু এর বাইরে আরও হাজার হাজার শরণার্থী মিয়ানমার সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে বলে ধারণা করে বাংলাদেশ সরকার।
এরকম অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থীর সংখ্যা অন্তত পাঁচ লাখ বলে মনে করা হয়।
কক্সবাজার, বান্দরবানসহ ছয়টি জেলায় এরকম অনিবন্ধিত রোহিঙ্গাদের চিহ্ণিত করে তাদের তালিকা তৈরির কাজ শুক্রবার শুরু করা হয়।
কর্মকর্তারা বলেছেন,জেলাগুলোর স্থানীয় মানুষ এবং রোহিঙ্গাদের মাঝে প্রচারণা চালিয়ে তাদের উদ্বুদ্ধ করে এই তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সরকার এই প্রথম অনিবন্ধিত বা অবৈধভাবে থাকা রোহিঙ্গাদের সংখ্যা নির্ণয়ের উদ্যোগ নিয়েছে।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম এই জরিপে বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা করছে।

মধ্যপ্রদেশে মন্দির-মসজিদ বিতর্ক: শান্তিতে শেষ হলো সরস্বতী পুজা এবং জুম্মার নামাজ

মন্দির আর দরগা, পাশাপাশি দুই সম্প্রদায়ের দুই ধর্মীয় স্থাপনা নিয়ে রয়েছে উত্তেজনা
ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের ভোজশালায় আজ হিন্দুদের বসন্ত পঞ্চমীর পুজো আর মুসলামানদের জুম্মার নামাজ – দুটোই শান্তিতেই শেষ হয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে সূর্যোদয় থেকে দুপুর বারোটা পর্যন্ত হিন্দু সম্প্রদায় বসন্ত পঞ্চমীর সরস্বতী পুজো করেছেন, তারপর বেলা তিনটে পর্যন্ত মুসলমানরা জুম্মার নামাজ আদায় করেছেন। তিনটে থেকে সূর্যাস্ত অবধি হিন্দুরা আবারও পুজো করা শুরু করেছেন।
তবে ওই সৌধের বাইরেই বেশী ভক্ত পুজো দিয়েছেন বলে দাবী করছেন স্থানীয় হিন্দু নেতারা।
প্রায় হাজার বছরের পুরনো এই সৌধটি ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগের নিয়ন্ত্রণে।
Image copyrightVipul Gupta
Image captionকামাল মাওলানার দরগায় ঢুকছেন ভক্তরা
তবে এটিকে হিন্দু সম্প্রদায় সরস্বতী দেবীর সব থেকে প্রাচীন মন্দির বলে দাবী করে, আর মুসলামনদের দাবী সেটি আসলে কামাল মাওলানার দরগা এবং মসজিদ।
দুই সম্প্রদায়ের মানুষই যাতে নিজের নিজের ধর্মীয় অনুষ্ঠান করতে পারেন, তার জন্য প্রতি মঙ্গলবার হিন্দুদের পুজো দিতে দেওয়া হয় আর মুসলমানদের শুক্রবারে নামাজ পড়তে দেওয়া হয়।
সপ্তাহের অন্যান্য দিন যে কেউই প্রবেশ করতে পারেন, তবে পুজো দেওয়া বা নামাজ পড়া যায় না এই ঐতিহাসিক সৌধে।
কিন্তু এবছর বসন্ত পঞ্চমী, অর্থাৎ সরস্বতী পুজো শুক্রবারে হওয়ায় কিছু হিন্দু সংগঠন দাবী তুলেছিল যে তাদের সারাদিনই পুজোর অনুমতি দিতে হবে।
অন্যদিকে মুসলমানরা বলছিলেন তাঁদেরও জুম্মার নামাজ পড়তে দিতে হবে।
Image copyrightVipul Gupta
Image captionহিন্দুদের বিশ্বাস, এটি সরস্বতী দেবীর সবচেয়ে প্রাচীন মন্দির
শুক্রবারে বসন্ত পঞ্চমীর দিন পড়ায় দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা অবশ্য এই প্রথম নয়।
এর আগে ২০০৩, ২০০৬ আর ২০১৩ সালেও শুক্রবারে বসন্ত পঞ্চমীর দিন পড়েছিল। তখনও একই ভাবে দুপুর পর্যন্ত হিন্দুদের আর তারপর দুঘন্ট মুসলমানদের নামাজ পড়ার সময় দেওয়া হয়েছিল।
নামাজের পরে হিন্দুরা আবারও পুজোর অনুমতি পেয়েছিলেন। এবারও সেই একই নিয়ম পালন করেছিল পুরাতত্ত্ব বিভাগ।
পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রনে রাখা যায়, সেজন্য পুরো সৌধটিকে একরকম দুর্গ বানিয়ে ফেলা হয়েছিল, মোতায়েন করা হয়েছিল প্রচুর পুলিশ।

পুরো সিরিয়ার দখল না পাওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে: আসাদ

Image copyrightAFP
Image captionপ্রেসিডেন্ট আসাদ: সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ বলেছেন, পুরো সিরিয়ায় পুর্নদখল না করা পর্যন্ত তিনি যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চান।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট আসাদ একথা বলেছেন।
তবে প্রেসিডেন্ট আসাদ স্বীকার করেছেন, তাঁর বিরোধীদের পুরোপুরি পরাস্ত করতে অনেক সময় লাগতে পারে।
সিরিয়া নিয়ে যে শান্তি আলোচনা ডাকা হবে সেই প্রক্রিয়ার মধ্যেও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তিনি।
উল্লেখ্য মাত্র কয়েক মাস আগেও প্রেসিডেন্ট আসাদের বাহিনী বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দুর্বল অবস্থানে ছিল।
কিন্তু রুশ জঙ্গী বিমানগুলো সরকারি বাহিনীর সমর্থনে বিদ্রোহীদের অবস্থানের ওপর হামলা চালাতে শুরু করার পর যুদ্ধের মোড় ঘুরে যায়।
এরপর সিরিয়ার সরকারি বাহিনী বিদ্রোহীদের কাছ থেকে অনেক জায়গা দখল করে নিয়েছে।

হিজাব পরা বার্বি ডল নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়

Image copyrightHijarbie
হিজাব পরিহিত বার্বি ডলের ছবি নিয়ে তর্ক-বিতর্কের ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ইনস্টাগ্রামে এই ছবি আপলোড করেছিলেন হানিফা এডাম। তার পর থেকে প্রশংসার পাশাপাশি নানা ধরণের হুমকিও পাচ্ছেন তিনি।
হানিফা এডাম তার এই হিজাব পরা বার্বির নাম দিয়েছেন 'হিজারবি'।
নাইজেরিয়ার ২৪ বছর বয়সী তরুণী হানিফা ফার্মাকোলজির ছাত্রী।
হঠাৎ করেই এই আইডিয়াটা আসে তার মাথায়।
হানিফা একজন মুসলিম এবং তিনি নিজেও হিজাব পরেন।
Image copyrightHijarbie
Image captionহানিফা এডাম: হিজাব সম্পর্কে ভুল ধারণা বদলে দিতে চাই
"হিজাব পরা কোন পুতুল আমি কখনো দেখিনি। কোন কিছু না ভেবেই আমি হিজাব পরা পুতুলের ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করি। আমি ভাবিনি যে এই ছবি এতটা সাড়া ফেলে দেবে।"
প্লাস্টিকের পুতুলহরেক রকম হিজাব পরিয়ে ছবি তুলে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিতে থাকলেন হানিফা। বিপুল সাড়া পাওয়া গেল।
তার ইনস্টাগ্রাম একাউন্টের ফলোয়ার এখন তিরিশ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
হিজারবির জন্য হরেক রকম পোশাক হানিফা নিজেই তৈরি করেন। তবে এরকম মিনিয়েচার পোশাক তৈরির অনেক ঝক্কি।
তবে সবাই যে হানিফার এই হিজারবি পছন্দ করেছে তা নয়। নানা রকম ইসলাম বিদ্বেষী মন্তব্যেরও টার্গেট হয়েছেন তিনি।
Image copyrightHijarbie
Image captionহানিফার হিজারবি নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়
"অনেকে আমার হিজারবি নিয়ে নানা রকমের বিদ্রুপ করছিল। কেউ কেউ বলছিল এই হিজারবির পোশাকের আড়ালে বোমা লুকোনো আছে।"।
হিজাব পরা মুসলিম নারীদের ব্যাপারে যে ভুল ধারণা প্রচলিত আছে, হিজারবি সেটা পাল্টে দেবে বলে আশা করেন হানিফা।
"হিজাব কোন নিপীড়নের প্রতীক নয়। এটি বরং মুক্তির প্রতীক।"
উল্লেখ্য পশ্চিমা বিশ্বের নামকরা অনেক ফ্যাশন ব্রান্ড এখন হিজাব বিক্রি করছে। এইচএন্ডএম এবং ডলচে গাবানা সম্প্রতি তাদের স্টোরে হিজাব বিক্রি শুরু করে।
হানিফার ভবিষ্যত পরিকল্পনা হচ্ছে তার হিজারবি ব্রান্ডের নানা ফ্যাশন আইটেম তৈরি করে বাজারে ছাড়া।