বুধবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৫

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট সিস্টেম ক্রয়ে অনুমোদন

--------------------_somoyerkonthosor

সময়ের কণ্ঠস্বর : বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ প্রকল্পের ‘স্যাটেলাইট সিস্টেম’ ক্রয়সহ দুটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
  সচিবালয়ে মঙ্গলবার বিকেলে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, বঙ্গবন্ধু উপগ্রহে স্যাটেলাইট সিস্টেম ক্রয়ের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। টার্ণ-কি পদ্ধতিতে এটি কিনতে ব্যয় হবে ১ হাজার ৯৫১ কোটি ৭৫ লাখ ৩৪ হাজার টাকা। আর এ কাজটি করবে ফ্রান্সের প্রতিষ্ঠান থেলাস এলিনিয়া স্পেস। এক প্রশ্নে জবাবে তিনি জানান, স্যাটেলাইট সিস্টেম ক্রয়ের বিষয়টি এ প্রকল্পের মূল কাজ। এর আগে প্রকল্পের দুটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। একটি স্লট ক্রয় ও অপরটি পরামর্শক নিয়োগ। তিনি বলেন, মোহাম্মদপুর ‘এফ’ ব্লকে সীমিত আয়ের লোকদের কাছে বিক্রির জন্য ১ হাজার ২০টি ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ১৬ তলা বিশিষ্ট দুটি ভবন (৭ ও ৮) নির্মাণ কাজের দ্বিতীয় ভেরিয়েশন প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, এর মধ্যে ৭ নম্বর ভবনের দ্বিতীয় ভেরিয়েশন প্রস্তাব বাবদ ব্যয় বেড়েছে ৯৯ লাখ ১২ হাজার টাকা। আর ব্যয় বৃদ্ধির ফলে মোট ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১৮ কোটি ১৮ লাখ টাকা। অন্যদিকে, ৮ নম্বর ভবনের দ্বিতীয় ভেরিয়েশনের ব্যয় বেড়েছে ৯৮ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। এতে মোট ব্যয় বেড়েছে ১৮ কোটি ১৯ লাখ টাকা। সরকার বলছে, বঙ্গবন্ধু উপগ্রহ উৎক্ষেপণের ফলে বাংলাদেশের স্যাটেলাইট টিভি অপারেটরদের আর বিদেশ থেকে ব্যান্ডউইডথ ভাড়া করে সম্প্রচার চালাতে হবে না। এই কৃত্রিম উপগ্রহ দিয়ে টেলিযোগাযোগ সেবাও দেওয়া সম্ভব হবে। এতে বছরে ১১০ কোটি টাকার বিদেশি মুদ্রা সাশ্রয় হবে । ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ’ প্রকল্পের আওতায় পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপন করা হবে বাংলাদেশের প্রথম নিজস্ব কৃত্রিম উপগ্রহ, যাতে টেলিকমিউনিকেশন ও ব্রডকাস্টিং সেবা দেওয়ার জন্য ৪০টি ‘ট্রান্সপন্ডার’ থাকবে। ভূমি থেকে উপগ্রহটি নিয়ন্ত্রণের জন্য দুটি গ্রাউন্ড স্টেশন নির্মাণ করা হবে। গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর এবং রাঙ্গামাটির বেতবুনিয়ায় বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) নিজস্ব জমিতে এ দুটি স্টেশন হবে। ২০১৭ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে বলে আশা করছে সরকার। -

জর্জিয়ার বন্দরে ভিড়েছে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস পোর্টার

 f1435ef14123367fc4ac050ef19548f5_XL

জর্জিয়ার কোস্টগার্ডকে ‘প্রশিক্ষণ দিতে’ একটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ আজ (মঙ্গলবার) জর্জিয়ার উপকূলে ভিড়েছে। ইউক্রেন সংকট এবং সিরিয়ায় রুশ হামলাকে কেন্দ্র করে যখন ওয়াশিংটন ও মস্কোর সম্পর্কে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে তখন এ খবর পাওয়া গেল। গাইডেড-মিসাইল ডেস্ট্রয়ার সমৃদ্ধ মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস পোর্টার মার্কিন ৬ষ্ঠ নৌবহরের অন্যতম সদস্য। এটি আজ (মঙ্গলবার) জর্জিয়ার কৃষ্ণসাগর তীরবর্তী বাতুমি নৌ ঘাঁটিতে নোঙ্গর করেছে। জর্জিয়ার মার্কিন দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যুদ্ধজাহাজটি তিনদিন ওই বন্দরে অবস্থান করবে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ন্যাটো জোটের বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক শক্তিশালী করার যে প্রতিশ্রুতি আমেরিকার রয়েছে তা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ইউএসএস পোর্টার জর্জিয়ায় এসেছে। মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোটকে রাশিয়ার সীমান্তে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে ওয়াশিংটন। রাশিয়া এ বিষয়টির তীব্র বিরোধিতা করেছে। এ কারণে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়া প্রজাতন্ত্র জর্জিয়ার সঙ্গে আমেরিকার ঘনিষ্ঠতাকে ভালো চোখে দেখে না মস্কো। ২০০৮ সালে জর্জিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার সংক্ষিপ্ত এক যুদ্ধের সময় মার্কিন নৌবাহিনী একটি অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজে করে জর্জিয়ায় ‘মানবীয় ত্রাণ’ পাঠায়। তারপর থেকে দেশটিতে প্রায় নিয়মিত যুদ্ধজাহাজ পাঠাচ্ছে ওয়াশিংটন। কিন্তু রাশিয়া তৎকালীন মার্কিন প্রেডসি জর্জ ডাব্লিউ বুশের ওই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করে বলেছিল, ত্রাণ পাঠানোর জন্য অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ পাঠানোর কোনো প্রয়োজন ছিল না। 
somoyer konthoshor

সৌদি এক সুন্দরী তরুণীর অভিজ্ঞতা!

Sarah-620x360

 সারাহ মিশরি, সৌদি আরবের এক সুন্দরী তরুণী। তবে তিনি গত ১০ মাস ধরে ইরানে বসবাস করছেন। পড়াশোনা করার জন্যই মূলত ইরানে আসা। ইরানে নিজের অভিজ্ঞতার কথা সামাজিক মাধ্যমে লিখে জানান সারাহ।

 তিনি লিখেছেন, সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে বৈরী সম্পর্ক রয়েছে এই বিষয়টি গোপনীয় নয়। হজের সময় সৌদিতে ক্রেন দুর্ঘটনা ও মিনায় পদপিষ্ট হয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে তা স্পষ্ট হয়ে উঠে। ইরানের অনেক সাহিত্য ও কাহিনী পড়েছি। ইরানের প্রতি দুর্বলতার জন্যই লন্ডন থেকে ইরানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। আমার এই সিদ্ধান্ত পরিবারের কোন সদস্য মেনে নেয়নি। তারা আমাকে সবাই বাধা দেয় ইরানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করার জন্য। আমি ইরানে আসার পরে একজন জিজ্ঞেস করেন ইরানে আপনার নেতিবাচক অভিজ্ঞতা কি? উত্তরে আমি তাদের বলি এখনো কোন নেতিবাচক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হইনি। হজ করতে গিয়ে সৌদিতে শতশত ইরানি নাগরিকের প্রাণহানির জন্য সৌদি নাগরিক হিসেবে ইরানের কোন নাগরিক আমাকে বিন্দুমাত্র বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলেনি। আমি সুন্নি নাগরিক হলেও ইরানের নাগরিকরা আমার প্রতি যত্নের কোন হেরফের করেনি। ইরানিরা অনেক দয়ালু ও আন্তরিক। তারা মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশ থেকে সত্যিই ভিন্ন। ভিন্ন ভিন্ন মানুষের রাজনৈতিক আদর্শ ভিন্নরকম। আমি যখন কথা বলি ইরানিরা আমাকে ভারতীয় নাগরিক মনে করে। আমার ফার্সি উচ্চারণের জন্যই আমাকে ভারতীয় নাগরিক মনে করেন তারা। যখন জানতে পারে আমি সৌদির নাগরিক তখন আরো বেশি আগ্রহ নিয়ে আমার কাছে আসে তারা। জানতে চায় সৌদির নাগরিক হয়েও কেন ইরানে থাকছি। আমি ইরান পছন্দ করি কি না এসব বিষয় জানতে চায় তারা। আমি ইরানের অনেক অঞ্চল ভ্রমণ করেছি। ইরানে দেখার মতো অনেক সুন্দর সুন্দর শহর রয়েছে। ইরানিদের আন্তরিকতা আমাকে মুগ্ধ করে। একবার ব্যাগ হারিয়ে গিয়েছিল। ব্যাগে ড্রাইভিং লাইসেন্স, আইডিসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ছিল। আমার বন্ধু ও পুলিশ বলছিল এটি পাওয়া যাবে না। আমার মন ভিষণ খারাপ হয়ে গিয়েছিল। তার কিছুদিন পরেই এক মহিলা আমাকে ফোন দিয়ে জানায় সে একজন ট্যাক্সি চালকের স্ত্রী। তার স্বামীর ট্যাক্সি থেকে একটি ব্যাগ পেয়েছেন। পরে ব্যাগটি আমাকে ফেরত দেয়। সারা পৃথিবীতে উগ্রবাদী রয়েছে শুনেছি তবে ইরানে একজনও উগ্রবাদী দেখিনি। মিনা দুর্ঘটনার পরে আমার সঙ্গে কেউ খারাপ ব্যবহার করেনি। আগে তারা আমার সঙ্গে যে ব্যবহার করত মিনা দুর্ঘটনার পরেও একই ব্যবহার করছে কোন ব্যতিক্রম ব্যবহার করেনি। মিনা ট্রাজেডির পরে একদিন আমি একটি ক্যাফেটেরিয়ায় দুপুরের খাবার খেতে যাই। সেখানে আমার ইরানের এক বন্ধু দুষ্টুমী করে রেষ্টুরেন্টের ক্যাশিয়ারকে বলে আমার কাছে কোন খাবার বিক্রি না করে কারণ আমি সৌদির নাগরিক। সঙ্গে সঙ্গে ইরানের কয়েকজন এসে তাদের দেশের নাগরিকের এমন বিরুপ আচরণের জন্য আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে। পরে আমি তাদের বলি আমরা মজা করছি, আমরা দুই জন বন্ধু।

সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক :

ইকবালের ভাতিজার কাণ্ডে কেন ব্যবস্থা নয়: হাই কোর্ট

গুলশানে এইচ বি এম ইকবালের ভাতিজার গাড়ির ধাক্কায় চারজন আহত হওয়ার পর ফেইসবুকে আসা ছবি।
গুলশানে এইচ বি এম ইকবালের ভাতিজার গাড়ির ধাক্কায় চারজন আহত হওয়ার পর ফেইসবুকে আসা ছবি।
            
 
 ঢাকার গুলশানে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য এইচ বি এম ইকবালের ভাতিজার গাড়ির ধাক্কায় চারজন আহত হওয়ার ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছে হাই কোর্ট।

অর্ধশত স্বেচ্ছাসেবীকে ‘ছুটিতে’ ফেরত পাঠাচ্ছে জাপান


বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কর্মরত জাইকার ৪৮ জন স্বেচ্ছাসেবীকে চার সপ্তাহের ছুটিতে পাঠাচ্ছে জাপান। রংপুরে জাপানের নাগরিক কুনিও হোশি হত্যার পর বিপন্ন বোধ করায় তাদের সাময়িকভাবে দেশে ফেরত নেওয়া হচ্ছে। জাপানের আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থায় (জাইকা) কর্মরত দুই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দুই কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না ঘটলে নভেম্বরের শেষে জাইকার এসব স্বেচ্ছাসেবী ফিরে আসবেন।
জাইকার কর্মকর্তারা বলেন, জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বাংলাদেশে কর্মরত ৬৮ জন স্বেচ্ছাসেবীর মধ্যে ৪৮ জনকে ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এঁদের মধ্যে ৩১ জনকে আজ মঙ্গলবার টোকিওতে পাঠানো হয়েছে। বাকি ১৭ জনকে কাল বুধবার নিজ দেশে পাঠানোর কথা রয়েছে। এসব স্বেচ্ছাসেবী রংপুর, লালমনিরহাট, দিনাজপুর, বরিশাল, যশোর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে কর্মরত ছিলেন। যে ২০ জন স্বেচ্ছাসেবী বাংলাদেশে থাকবেন, তাঁদের সবাই কাজ করছেন শহর এলাকায়।
গত ৩ অক্টোবর রংপুরে কুনিও হোশিকে হত্যার পর থেকেই জাইকার স্বেচ্ছাসেবীদের চলাফেরার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেছে জাপান সরকার। কুনিও হত্যার পর যেসব স্বেচ্ছাসেবী বিপন্ন বোধ করছিলেন তাদের কাউকে কাউকে আগেই ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছিল। এ ছাড়া প্রত্যন্ত এলাকায় কর্মরতরা এত দিন নিজেদের আবাসস্থলে অনেকটা স্বেচ্ছাবন্দী হয়েছিলেন।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাইকার একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, কুনিও হত্যার পর জাপানের সরকারি কর্মকর্তা ও নাগরিকদের পায়ে হেঁটে, রিকশায় ও খোলামেলা পরিবহনে চলাফেরার করতে নিষেধ করা হয়। গাড়ি ছাড়া চলাফেরা না করতে জাপানের নাগরিকদের সতর্ক করে দূতাবাস বার্তা দিয়ে আসছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রত্যন্ত অঞ্চলে কর্মরত জাইকার স্বেচ্ছাসেবীদের নিজেদের আবাসে বসে থাকা ছাড়া উপায় ছিল না। কারণ জাইকার বর্তমান কাঠামোতে প্রত্যন্ত অঞ্চলে কর্মরত তাঁদের সব স্বেচ্ছাসেবীকে গাড়ি দেওয়া সম্ভব নয়।
জাইকার অপর এক কর্মকর্তা বলেন, স্বেচ্ছাসেবীদের চার সপ্তাহের জন্য জাপানে ফেরত নেওয়া হচ্ছে। তবে নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি হলে তাঁদের আবার বাংলাদেশে আনা হবে।
অবশ্য এর আগে গত জানুয়ারিতে দেশে রাজনৈতিক সংঘাত শুরু হওয়ার পরপর জাইকার স্বেচ্ছাসেবীদের সাময়িকভাবে বাংলাদেশ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। সে সময় তাদের নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড পাঠিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল।
বাংলাদেশে ১৯৭৩ সাল থেকে স্বেচ্ছাসেবী পাঠিয়ে আসছে জাপান। এ পর্যন্ত এ দেশের স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পরিবেশসহ বিভিন্ন খাতে কাজ করেছেন ১২ শরও বেশি জাপানি স্বেচ্ছাসেবী।
prothom alo

অস্ট্রেলীয়র পায়ে আঁকা হিন্দু দেবীর উল্কি নিয়ে ভারতে বিতর্ক

 
                     ম্যাথিউ গর্ডন অভিযোগ করেছেন তাকে এই কোনারক রেস্তোঁরায় হয়রানির শিকার হতে হয়         
       
এক অস্ট্রেলীয় অভিযোগ করেছেন তার পায়ে আঁকা হিন্দু দেবতার উল্কির কারণে তাকে এক রেস্তোঁরায় হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে।
পুলিশ বলছে ওই ব্যক্তি শহর ছেড়ে চলে গেছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ভারতের ব্যাঙ্গালোর শহরে।
ম্যাথিউ গর্ডন নামে ওই ব্যক্তি বলেছেন তার হাতে আঁকা ওই ছবির কারণে তাকে ও তার বান্ধবীকে শহরের একটি রেস্তোঁরায় হয়রানি করা হয় এবং তাকে থানায় গিয়ে ক্ষমা চেয়ে চিঠি লিখতে বাধ্য করা হয়।
তবে ব্যাঙ্গালোর পুলিশ বিবিসি হিন্দিকে জানায় ওই ব্যক্তিকে ক্ষমা চেয়ে কোনোরকম চিঠি লিখতে বাধ্য করা হয় নি।
ভারতে অস্ট্রেলীয় দূতাবাস থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে অস্ট্রেলীয় নাগরিকদের স্থানীয় রীতিনীতি ও আচার সম্পর্কে যথাযথ গবেষণা করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ব্যাঙ্গালোর পুলিশ বলছে তারা ঘটনাটা তদন্ত করে দেখছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে মিঃ গর্ডন বলেন একদল লোক তাদের রেস্তোঁরায় হেনস্থা করতে শুরু করেন, যাদের রাজনৈতিক দলের সদস্য বলে মনে হয়েছে।
''এদের একজন আমার কাছে এসে আমার উল্কি নিয়ে প্রশ্ন করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা আমাদের ঘিরে ফেলে এবং বলে আমার পায়ের চামড়া ছাড়িয়ে ওই ছবি তুলে ফেলবে।''
মিঃ গর্ডনকে হয়রানি যারা করেছিল তাদের মধ্যে একজন রমেশ ইয়াদব বিজেপির স্থানীয় কর্মী।
তিনি অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
পুলিশ মিঃ গর্ডনকে ক্ষমা চেয়ে যে চিঠি লিখতে বাধ্য করেছিল বলে তিনি অভিযোগ করেছেন তার কপি মিঃ গর্ডন তার ফেসবুক পাতায় পোস্ট করেছেন।
''আমার চামড়ায় আমি কী ছবি উল্কি করিয়েছি তার জন্য আমাকে ক্ষমা কেন চাইতে হবে এবং হয়রানিরই বা শিকার হতে হবে?'' লিখেছেন মিঃ গর্ডন।

 bbc

নারী সংবাদকর্মীদের সংবাদমাধ্যমে কাজ না করার হুমকি

 
                     অভিজিৎ রায়, অনন্ত বিজয় দাশ প্রমুখ ব্লগার হত্যাকান্ডের পর দায়িত্ব স্বীকার করে বার্তা প্রচার করেছিল আনসারুল্লাহ বাংলা টিম।    
            
বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম নামে একটি সংগঠনের নাম দিয়ে হুমকি সম্বলিত ইমেইল পাঠানোর পর দেশটির পুলিশ বলছে, এই হুমকিকে তারা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছে এবং গোয়েন্দারা এখন এই ইমেইলের সত্যতা নিরূপণ ও করণীয় ঠিক করতে কাজ করছে।
সোমবারই ‘সকল গণমাধ্যমের প্রতি খোলা চিঠি এবং হুঁশিয়ারি বার্তা’ শিরোনামের ওই ইমেইলটি পায় বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদপত্র ও অনলাইন সংবাদমাধ্যম যেখানে সংবাদমাধ্যমগুলোকে জঙ্গীবাদবিরোধী খবর প্রচার না করতে এবং নারী সংবাদকর্মীদেরকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়াসহ ছয়টি নির্দেশনার কথা তুলে ধরা হয়। এবং এই নির্দেশনা না মানলে সংবাদমাধ্যম সংশ্লিষ্টদের ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।
আনসারুল্লাহ বাংলা বিডি অ্যাট জিমেইল ডট কম, এই ঠিকানা থেকে ইমেইলটি যায় দুই ডজনেরও বেশি সংবাদপত্র ও অনলাইন সংবাদমাধ্যমের ইমেইল ঠিকানায়।
ইমেইলে যে ছয়টি দাবির কথা বলা হয়, তার প্রথমটিতেই উল্লেখ করা হয় কোনো নারী সংবাদকর্মী সংবাদমাধ্যমে কাজ করতে পারবে না।
অনলাইন সংবাদমাধ্যম বিডিনিউজ টোয়েন্টি ফোর ডট কমের বার্তা সম্পাদক গাজী নাসিরউদ্দিন আহমেদ বলছেন, ইমেইলটি পাওয়ার পর তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছেন, পুলিশকে জানিয়েছেন এবং কিছু সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।
তবে সব সংবাদমাধ্যমই যে চিঠিটিকে গুরুত্বের সাথে নিয়েছে তেমনটি নয়।
দৈনিক মানবজমিনের বার্তা সম্পাদক কাজল ঘোষ বলছেন, গণমাধ্যমকর্মীদের অনেক ঝুঁকির মধ্যে কাজ করতে হয়। ফলে এই ইমেইলটিকে আলাদাভাবে দেখছেন না তারা।
তাছাড়া এই ইমেইলটির সত্যতা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন মি. ঘোষ।
তবে পুলিশ বলছে তারা এই হুমকিটিকে যথেষ্ট গুরুত্বের সাথে দেখছে।
ঢাকায় পুলিশের মুখপাত্র মুনতাসিরুল ইসলাম বলছেন, গোয়েন্দারা ইমেইলটির সত্যতা নিরূপণ এবং উৎস সন্ধানের কাজ করছেন।
তাছাড়া এ সম্পর্কিত করণীয়ও তারা ঠিক করার প্রক্রিয়ায় রয়েছেন।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে বাংলাদেশে সম্প্রতি আততায়ীদের হাতে নিহত একাধিক ব্লগার ও লেখক হত্যাকান্ডের ঘটনায় এই আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের হাত রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
এর মধ্যে অভিজিৎ রায়, অনন্ত বিজয় দাশ প্রমুখ ব্লগার হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পরপরই দায়িত্ব স্বীকার করে বার্তা প্রচার করেছিল আনসারুল্লাহ বাংলা টিম নামে এই নিষিদ্ধ সংগঠনটি।

ডিসেম্বরে ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট সিরিজ অনিশ্চিত

              
মুম্বাইতে উগ্র হিন্দুত্ববাদী দল শিবসেনার হাঙ্গামায় ভারত ও পাকিস্তানের ক্রিকেট বোর্ডের প্রধানদের মধ্যে বৈঠক ভন্ডুল হয়ে যাওয়ার পর দুদেশের ক্রিকেট সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছে।
চলমান ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ থেকে ইতিমধ্যেই পাকিস্তানি আম্পায়ার ও ভাষ্যকারদের সরিয়ে নিতে হয়েছে, আর পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান শাহরিয়ার খান সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন বিসিসিআই-কে নিয়ে তিনি অত্যন্ত হতাশ।
ডিসেম্বরে ভারত-পাকিস্তান সিরিজ যেমন এখন বাতিল হওয়ার মুখে, তেমনি আগামী বছর ভারতে অনুষ্ঠেয় টিটোয়েন্টি বিশ্বকাপেও পাকিস্তানের অংশগ্রহণ এখন চরম অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
আইসিসিতে আম্পায়ারদের এলিট প্যানেলের সদস্য আলীম দারের আজ মঙ্গলবার থাকার কথা ছিল চেন্নাইতে, ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকার পরবর্তী ওয়ান ডে ম্যাচে আম্পায়ারিং করার জন্য।
একই দিন কমেন্ট্রি বক্সে থাকার কথা ছিল পাকিস্তানি তারকা ওয়াসিম আক্রাম ও শোয়েব আখতারদেরও। আরও কথা ছিল, পাকিস্তানি ক্রিকেট বোর্ডের সদস্য নাজিম শেঠি মুম্বাইতে ভারতীয় বোর্ডের সঙ্গে বৈঠক সেরে দিল্লিতে আসবেন।
কিন্তু মুম্বাইতে গতকাল শিবসেনার হাঙ্গামায় সেই সব অঙ্কই এখন ভেস্তে গেছে – আলীম দার থেকে শুরু করে নাজিম শেঠি সবাই দুবাইয়ের বিমান ধরে ফিরে গেছেন। ভারতীয় বোর্ডও জানিয়ে দিয়েছেন, এখন আর দুপক্ষের মধ্যে আনুষ্ঠানিক বৈঠকের কোনও সম্ভাবনা নেই।
                 আলীম দার-এর আজ চেন্নাইতে আম্পায়ারিং করার কথা থাকলেও তিনি ফিরে গেছেন দুবাই।                
বিসিসিআই সচিব ও বিজেপি নেতা অনুরাগ ঠাকুর জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে পাকিস্তানি ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান শাহরিয়ার খানের কোনও বৈঠক হচ্ছে না।
তিনি বলেন, ‘‘মি: খান ভারতে এসেছিলেন ভারতীয় বোর্ডের নতুন প্রধান শশাঙ্ক মনোহরের সঙ্গে দেখা করতে, দুদেশের ক্রিকেট সম্পর্ক নিয়ে কথা বলতে। এটাতে বাধা দেওয়া উচিত হয়নি। দুদেশের মধ্যে ক্রিকেট চালু করা উচিত কি না, বিসিসিআই সে সিদ্ধান্ত নেবে ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা আর ভারতীয়দের অনুভূতির কথা মাথায় রেখেই।’’
আনুষ্ঠানিক বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পর পাকিস্তানি বোর্ডের প্রধান শাহরিয়ার খান মঙ্গলবার দিল্লিতে এসে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন আইপিএল চেয়ারম্যান রাজীব শুক্লা বা সাবেক বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট শরদ পাওয়ারের সঙ্গে।
আসন্ন দশেরা উৎসব উপলক্ষে তিনি সবার জন্য মিষ্টি নিয়ে গেছেন ঠিকই, কিন্তু ভারতীয় বোর্ডের ওপর তিনি যে অসম্ভব বিরক্ত সেই হতাশা গোপন করার কোনও চেষ্টাই করেননি।
তিনি বলছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাটিতে ডিসেম্বরে সিরিজ খেলার ব্যাপারে ভারতীয় বোর্ড তাদের সঙ্গে সমঝোতায় সই করেছে, এখন সেই চুক্তির খেলাপ করাটা প্রতারণার সামিল।
                 মুম্বাইতে উগ্র হিন্দুত্ববাদী দল শিবসেনার হাঙ্গামার পর ভারত ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধানদের মধ্যে বৈঠক ভন্ডুল হয়ে গেছে।                
ভারতীয় বোর্ডের বক্তব্য এ ব্যাপারে কোনও সইসাবুদ হয়নি, শুধু মৌখিক কথাবার্তা হয়েছে মাত্র। বিজেপি এমপি ও বোর্ড সচিব অনুরাগ ঠাকুর যুক্তি দিচ্ছেন, শেষ পর্যন্ত ক্রিকেট হবে কি না তা কিন্তু বোর্ড নয়, সরকারের ওপর নির্ভর করে।
তাঁর কথায়,‘‘দুই দেশের বোর্ডের মধ্যে কথাবার্তা চলতেই পারে, কিন্তু ক্রিকেট তখনই হবে যখন পরিস্থিতির উন্নতি হবে। দুদেশের সরকার যদি একসাথে বসে কথা বলে ও ক্রিকেট আয়োজনের ব্যাপারে একমত হয় তখনই খেলা সম্ভব।’’
কিন্তু ভারতে ক্রিকেট পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বোর্ড কর্মকর্তাদের এ ধরনের মন্তব্যর একটাই অর্থ হয় – ডিসেম্বরে ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট সিরিজের কোনও সম্ভাবনাই নেই।
ফলে পরিস্থিতিতে নাটকীয় বদল না-হলে ভারত-পাকিস্তান সিরিজ যেমন বাতিল হচ্ছে, তেমনি আসন্ন মার্চ-এপ্রিলে ভারতে অনুষ্ঠেয় টিটোয়েন্টি বিশ্বকাপেও হয়তো পাকিস্তানকে দেখা যাবে না।
আইসিসি প্রেসিডেন্ট ও পাকিস্তানি তারকা জাহির আব্বাস ইতিমধ্যেই সেরকম বয়কটের হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন – এবং দুদেশের ক্রিকেট-অনুরাগীরা চট করে সম্পর্কে উন্নতির কোনও আশাও দেখছেন না।

রাঙ্গামাটিতে অপহৃত পর্যটকদের নিয়ে অনিশ্চয়তায় পরিবার

 
    rangamati_abduction                 বান্দরবনে অপহৃত পর্যটক জাকির মুন্না, আব্দুল্লাহ আল জুবায়ের এবং স্থানীয় গাইড মাংসাই ম্রো (ডান থেকে যথাক্রমে দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ)                
 
"একটা মানুষ ঘুরতে যেয়ে যে এইরকম একটা অবস্থা হবে, আমরা কল্পনাও করতে পারছি না"
বলেন রাঙ্গামাটি থেকে অপহৃত জাকির মুন্নার স্ত্রী ফাতেমা তুজ জোহরা। স্বামীর অপেক্ষায় গত ১৭ দিন ধরে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন তিনি। কিন্তু তার স্বামী কোথায় এবং কীভাবে আছেন কোন খবরই তিনি পাচ্ছেন না।
জাকির মুন্না, আব্দুল্লাহ আল জুবায়ের এবং মাংসাই ম্রোকে গত ৩রা অক্টোবর রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ি উপজেলা থেকে অপহরণ করা হয়। কিন্তু এরপর মুক্তিপণ দাবির কিছু উড়ো খবর ছাড়া নির্ভরযোগ্য কোন সংবাদ পায়নি তাদের পরিবার।
"রাত হলেই আমাদের দুই বাচ্চা কান্নাকাটি করে যে আব্বু আসছে না কেন? গতকাল রাতেও ছোট মেয়েটা কান্নাকাটি করে বলছিল আব্বু কোথায়, কেন আসছে না" বলেন ফাতেমা তুজ জোহরা।
ভ্রমণপিপাসু জাকির মুন্না পার্বত্য চট্টগ্রামে বেড়াতে গিয়েছেন অনেকবার। পাহাড়ি পথে ট্রেকিংয়ের জন্য তার সাথে অনেক বন্ধু-বান্ধব ঘুরে বেরিয়েছেন বান্দরবনের দুর্গম পাহাড়ে। কিন্তু এর আগে প্রতিবারই ভালোভাবে ফিরে এলেও এবার এখনো তার ফেরা হয়নি।
rangamati_abduction                 অপহৃত পর্যটকদের উদ্ধারের দাবীতে মানববন্ধন হয়েছে ঢাকায়                
জাকির মুন্নার সাথে এবার ট্রেকিংয়ে গিয়েছিলেন আব্দুল্লাহ আল জুবায়ের। সম্প্রতি তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সান্ধ্যকালীন এমবিএ সম্পন্ন করেছেন।
মি. জুবায়েরের বাবা আব্দুর রব খান বলছেন, এখনো পর্যন্ত তারা যা সংবাদ পেয়েছেন তা মূলত: বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে। এর পাশাপাশি তারা সেখানকার সেনাবাহিনীর সাথেও যোগাযোগ রাখছেন। কিন্তু এখনো নিশ্চিতভাবে কোন খবর পাননি।
তিনি বলছেন, পরিবারের মেজো ছেলেকে নিয়ে তারা স্বামী-স্ত্রী দুজনেই এখন অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন।
ঢাকা থেকে যাওয়া এ দুজন পর্যটকের সাথে গাইড হিসেবে ছিলেন মাংসাই ম্রো। এ দুজনের সাথে তিনিও অপহৃত হন। তবে তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
বান্দরবানের স্থানীয় সাংবাদিকেরা জানাচ্ছেন, সেনাবাহিনী এবং বিজিবি সেখানে অভিযান চালাচ্ছে।
সেনাবাহিনী বলছে, সন্ত্রাসীদের মোকাবেলা এবং অপহৃতদের উদ্ধারে চলছে তাদের এই অভিযান। কিন্তু দুর্গম এলাকায় এসব অভিযান পরিচালিত হওয়ায় এসম্পর্কে বিস্তারিত জানা সম্ভব হচ্ছে না।
অপহৃত দুজনের খোঁজে বেশ কিছুদিন বান্দরবনে অবস্থান করেছেন জাকির মুন্নার বন্ধু আরাফাত ইসলাম। তিনি বলছেন, এর আগে আরাকান লিবারেশন পার্টি তাদের অপহরণ করেছে এবং মুক্তিপণ দাবি করেছে স্থানীয়ভাবে এমন একটি খবর পেলেও এর নির্ভরযোগ্যতা তারা পাননি। এখন সেনা অভিযানের মাধ্যমেই তাদের উদ্ধারের আশা করছেন।
এদিকে রাঙ্গামাটিতে পর্যটকরা অপহৃত হবার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তাদের উদ্ধারের জন্য প্রচারণা চালিয়ে আসছে অপহৃতদের বন্ধু-বান্ধব এবং পর্যটকদের বিভিন্ন সংগঠন। এই দাবিতে ঢাকায় কিছুদিন আগে তারা একটি মানববন্ধনও করে।
জাকির মুন্না এবং আব্দুল্লাহ জুবায়েরের পরিবার বলছে, তারাও আশায় আছেন খুব দ্রুতই তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হবে।

ধর্ষণের দায়ে দিল্লির উবার ট্যাক্সিচালক দোষী সাব্যস্ত

 
    উবার ট্যাক্সিচালক শিব কুমার ইয়াদবকে (মাঝখানে) দোষী সাব্যস্ত করেছে দিল্লির এক আদালত                
 
ভারতে দিল্লির এক আদালত উবার কোম্পানির এক ট্যাক্সিচালক শিব কুমার ইয়াদবকে এক মহিলা ট্যাক্সি আরোহীকে ধর্ষণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেছে।
তাকে ভীতিপ্রদর্শন ও অপহরণের অভিযোগেও আদালত দোষী সাব্যস্ত করেছে। মিঃ ইয়াদব নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছিল।
শুক্রবার তার সাজা ঘোষণা করা হবে।
ধর্ষণের শিকার ২৬ বছরের তরুণী গত ডিসেম্বর মাসে বাসায় ফেরার জন্য ওয়েব ভিত্তিক ট্যাক্সি কোম্পানি উবার থেকে একটি ট্যাক্সি বুক করেছিলেন।
ট্যাক্সিচালক তাকে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ওঠে।
এই ঘটনার পর দিল্লিতে উবার এবং অন্যান্য ওয়েব ভিত্তিক কোম্পানির ট্যাক্সি সেবা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এই সব সংস্থার বিরুদ্ধে চালকদের সম্পর্কে যথেষ্ট খোঁজখবর না নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়।
উবার ট্যাক্সি কোম্পানি ওই ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছিল এবং তাদের ''খোঁজখবর নেওয়ার প্রক্রিয়া আরো জোরদার করা উচিত'' বলে স্বীকার করেছিল।
                 ভারতের বেশ কিছু শহরে উবার কোম্পানির ট্যাক্সি সেবা চালু রয়েছে।                
উবার ইন্ডিয়ার সভাপতি অমিত জৈন আজ আদালতের এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন।
''যৌন হয়রানি একটা জঘন্য অপরাধ এবং এ ঘটনার ন্যায় বিচার হওয়ায় আমরা সন্তুষ্ট।''
''নিরাপত্তার বিষয়টি উবার-এর কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওই দুঃখজনক ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা এক্ষেত্রে অনেক উন্নতি এনেছি। নতুন প্রযুক্তি আমরা ব্যবহার করছি, আমরা চালকদের সম্পর্কে ব্যাপকভাবে খোঁজখবর নিয়ে তাদের নিয়োগ করছি এবং ব্যবহারকারীদের আমরা সাতদিন চব্বিশ ঘন্টা সেবার ব্যবস্থা করেছি।''
উবার প্রতিষ্ঠান ভারতের অন্যান্য শহরে এখনও ট্যাক্সি সেবা দিচ্ছে এবং দিল্লিতে সেবা দেওয়ার জন্য সংস্থাটি আনুষ্ঠানিক লাইসেন্সের আবেদন করেছে।
ধর্ষণের শিকার তরুণী যুক্তরাষ্ট্রের আদালতেও এই ঘটনার জন্য মূল উবার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন, যে মামলা আদালতের বাইরে নিষ্পত্তি করা হয়েছিল।
প্রায় তিন বছর আগে ডিসেম্বর ২০১২-য় দিল্লির একটি বাসে ২৩ বছর বয়সী এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের পর হত্যার ঘটনার পর থেকে ভারতে যৌন নির্যাতনের বিষয়টি সামনে আসে।
ওই ঘটনায় বিশ্ব জুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয় এবং যৌন সহিংসতা নিয়ে ভারতে আইন আরও কঠোর করার দাবিতে প্রচুর আন্দোলন ও বিক্ষোভ হয়।

bbc 

চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশের কিশোরদের জন্য জেলখানা

 
    বাংলাদেশে জাতিসংঘ শিশু সংস্থা ইউনিসেফ-এর 'মিনা মিডিয়া পুরষ্কার ২০১৫'-তে পুরস্কৃত হয়েছেন বিবিসি বাংলার সাংবাদিক ফারহানা পারভিন। কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্র নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের জন্য ফারহানা পারভিন রেডিও বিভাগে মিনা পুরস্কার পান। এই উপলক্ষে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্র নিয়ে ফারহানার রিপোর্টটি আবার প্রকাশ করা হলো:
bbc
                 টঙ্গীর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্র
রাজধানী ঢাকার খুব কাছেই টঙ্গীতে রয়েছে একটি কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্র।
কেন্দ্রগুলোতে যে কেউ চাইলেই ঢুকতে পারে না।
সমাজসেবা অধিদপ্তরের অনুমতি সাপেক্ষে আমার সুযোগ হয়েছিল টঙ্গীর উন্নয়ন কেন্দ্রে ঢোকার।
চারিদিকে উঁচু দেয়ালে ঘেরা এই কেন্দ্রে ভবনের সংখ্যা তিনটি। এর একটি পাঁচতলা ভবন। যেটি কিশোরদের থাকার জন্য ব্যবহার করা হয়।
অপর ভবনগুলোতে যথাক্রমে তাদের থাকা ও ক্লাসরুম হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
এখানে রয়েছে পড়ার সুযোগ, আর কারিগরি শিক্ষার কিছু ব্যবস্থা।
আপাতদৃষ্টিতে এই কেন্দ্রটি দেখে মনে হতে পারে এটি আর দশটা আবাসিক স্কুলের মতই।
কিন্তু পার্থক্য হচ্ছে এখানে যেসব শিশু কিশোররা রয়েছে তারা সবাই কোন না কোন অভিযোগে অভিযুক্ত।
তাদের আইনের সংস্পর্শে আনার পর প্রাপ্তবয়স্ক অভিযুক্তদের সাথে না রেখে দেশের শিশু আইন অনুযায়ী রাখা হয়েছে এ ধরনের তিনটি কেন্দ্রে। এদের বেশিরভাগের মামলা রয়েছে বিচারাধীন।

  উচুঁ প্রাচীরে ঘেরা কেন্দ্রের ভিতরের গেট
                               
টঙ্গীর উন্নয়ন কেন্দ্রের চিত্র
টঙ্গীর এই কেন্দ্রটির আসন সংখ্যা ২০০। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এখানে রয়েছে ৩০৭ জন কিশোর।
তাদের দেখ্‌ভালের জন্য রয়েছে চারজন কেসওয়ারকার। যারা মূলত তাদের মামলার বিষয়গুলো দেখে থাকেন।
আরও রয়েছেন দুইজন তত্বাবধায়ক। বাকিরা রয়েছেন কেন্দ্রের অন্যান্য দাপ্তরিক কাজ ও নিরাপত্তার দায়িত্বে।
কেন্দ্রটিতে নেই কোনো সার্বক্ষণিক চিকিৎসক এবং মনোচিকিৎসক। এই কয়েকজন কর্মকর্তা দিয়ে আসন সংখ্যার চেয়ে শতাধিক বেশি কিশোরদের দেখ্‌ভালের কাজটি কীভাবে চলছে?
কেন্দ্রের প্রধান তত্ত্বাবধায়ক ফজলুল রহমান বলছিলেন “কিশোররা কোন সমস্যায় পড়লে কেস-ওয়াকারদের সাথে কথা বলেন। তবে তাদের এখানে থাকার মেয়াদ বেশিদিন না হওয়াতে কাউন্সেলিং-এ খুব একটা কাজ হবে না”।
নানা অভিযোগ কিশোরদের
বাংলাদেশে টঙ্গী ও যশোরে রয়েছে কিশোরদের জন্য কেন্দ্র এবং গাজীপুরের কোনাবাড়িতে একটি রয়েছে কিশোরীদের জন্য।
কেন্দ্রগুলোর ব্যবস্থাপনা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে নানা অভিযোগ উঠেছে। কখনো অভিযোগগুলো এনেছেন কিশোরদের পুনর্বাসন নিয়ে কাজ করেন এমন বেসরকারি সংগঠনগুলো।
কখনো আবার এসব কিশোররা নিজেরাই করেছেন এসব অভিযোগ। বছর দুই আগে এরকম একটি কেন্দ্র থেকে বের হয়েছে একজন কিশোর।
সে সেখানে ছিল দেড় বছর। এই দেড় বছরে সেখানে নানা অনিয়মের কথা উল্লেখ করেছে ছেলেটি।
তবে তার কাছে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য মনে হয়েছে কেন্দ্রে সার্বক্ষণিক কোন চিকিৎসক না থাকার ব্যাপারটি।
“ওখানে অনেকের শরীরে ঘা-চুলকানি হয়, আবার অনেকে শরীর ব্লেড দিয়ে কাটে অনেক রকম অসুখ বিসুখ হয়। কিন্তু সবসময় ডাক্তার নেই। একটা ডাক্তার আর ওষুধের দোকান অনেক দরকার।”
এই কিশোরটি জানাচ্ছিল ওখানে থাকা কিশোরদের মধ্যে একটা প্রবণতা থাকে সেটা হল নিজেদের শরীর জখম করা।
কয়েকবার তার নিজেরও এমন ইচ্ছা হয়েছে। কারণ হিসেবে সে বলছিল নিজের জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণা জন্মেছিল তার।

অফিস ভবন
                               
তবে তাকে সেই মানসিক বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য কেউ ছিল না।
“আমি এমন একজনকে পাইনি যে আমাকে বলবে এইটা করো না, এটা ভাল না। ওখানে খেলার টিচার আছে, সেলাই শেখানোর টিচার আছে কিন্তু আমার ভাল-খারাপ বলার মত কেউ নেই”।
কেন্দ্রগুলোতে নয় বছর বয়স থেকে শুরু করে থাকে ১৮ বছর বয়সী কিশোররা।
এদের বয়সের যেমন পার্থক্য রয়েছে তেমনি রয়েছে অভিযোগের মাত্রার তারতম্য।
কারও বিরুদ্ধে রয়েছে হরতালের সময় পিকেটিং-এর অভিযোগ, কারও ছিনতাই, মাদক বেচাকেনা, এমনকী খুনের অভিযোগ পর্যন্ত।
এমন কয়েকজন কিশোরের সাথে আমার কথা হয়েছে যারা এখানে বিভিন্ন মেয়াদে একসময় ছিল।
অনেকে আবার তাদের ভাষায় কেন্দ্রের সিনিয়র ভাইদের দ্বারা বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছিল বলে জানিয়েছে।
এমন একটি ছেলের সাথে আমার ঢাকায় দেখা হয়েছিল। সাথে ছিল তার বাবা। ছেলেটির পায়ে অসংখ্য কাটা দাগ।
সে বলছিল কেন্দ্রে থাকা অবস্থায় তার রুমের বড় ভাইয়েরা ছেলেটির অভিভাবকরা যখন দেখা করতে আসতো তখন তাদের কাছ থেকে বাড়তি টাকা, সিগারেট নিয়ে আসতে বলতো।
এর ব্যত্যয় হলেই চলতো তার ওপর নির্যাতন।
নেই কোন সার্বক্ষণিক চিকিৎসক বা মনোচিকিৎসক
শুধুমাত্র কোনাবাড়ির কিশোরী উন্নয়ন কেন্দ্র ছাড়া যশোর এবং টঙ্গীতে সবসময় আসনের চেয়ে সংখ্যায় বেশি থাকে কিশোররা।
যদিও ২০১৩-র শিশু আইনে বলা হচ্ছে বয়স এবং অভিযোগ ভেদে এসব শিশুদের আলাদা রাখার ব্যবস্থা করতে কিন্তু এসব কেন্দ্রে বিভিন্ন বয়স এবং বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত কিশোররা একে অপরের সংস্পর্শে আসে কেন্দ্রে থাকা অবস্থায়।
ফলে তাদের মানসিক বা নৈতিক উন্নয়নের সার্বক্ষণিক কোন মনোচিকিৎসক না থাকা এবং নিবিড় পর্যবেক্ষণের অভাবই এইসব কিশোরদের সার্বিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাধা হিসেবে কাজ করছে বলে মনে করছেন এইসব কিশোরদের নিয়ে বেসরকারিভাবে যারা কাজ করছেন, তারা।
বেশ কয়েকবছর ধরে এসব কিশোরদের কাউন্সেলিং ও এখান থেকে বের হয়ে আসার পর পুনর্বাসনের কাজ করেছে জুভেনাইল ডেলিঙ্কোয়েট ডেভেলপমেন্ট নামে একটি প্রকল্প।
প্রকল্পটির প্রধান ড.এনামুল হক বলছিলেন এসব কেন্দ্র থেকে বের হয়ে বেশিরভাগ তার পূর্বের পেশায় ফিরে যায় বা ‌একই অভিযোগে আবার অভিযুক্ত হয়।
মি. হক বলছিলেন “এদের খাওয়া দাওয়া থেকে শুরু করে দৈনন্দিন নির্বাহের জন্য যে অর্থ দরকার সেটা অত্যন্ত কম। তাদের কোন সুস্থ বিনোদনের ব্যবস্থা নেই। সুতরাং উদ্দেশ্য যতই মহৎ হোক- দে আর হ্যান্ডিক্যাপড্”।
কি বলছে সরকার?
গত ফেব্রুয়ারিতে টঙ্গীতে বেশ কিছু কিশোর নিজেদের শরীর ধারালো ব্লেড দিয়ে কেটে প্রতিবাদ জানায় কেন্দ্রটির অব্যবস্থাপনার অভিযোগ এনে।
আর সম্প্রতি যশোর কেন্দ্রে সেখানকার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশদের সাথে সংঘাত হয় কয়েকটি কিশোরের।
ঐ দিনেই সেখান থেকে পালিয়ে যায় দুইজন।
পরে তাদের রুম তল্লাশী করে পাওয়া যায় কিছু দেশি অস্ত্র। এর সপ্তাহ খানেক পর আবারও পালায় ছয়জন।
এসব ঘটনার প্রেক্ষাপটে কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনার প্রশ্নটি আবার চলে এসেছে সামনে।
সরকারের সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীনে এসব কেন্দ্র পরিচালিত হওয়ার সমস্যাগুলো নিয়ে অধিদপ্তরের প্রতিষ্ঠান পরিচালক জুলফিকার হায়দার বলছেন আইন অনুযায়ী প্রথমত তারা শিশুদের বয়স ভেদে আলাদা রাখা এবং সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে মনোচিকিৎসক নিয়োগের ব্যাপারটাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন।
“আমাদের কিছু অবকাঠামোগত চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সেগুলো কাটিয়ে উঠতে আমরা সবার আগে কাউন্সেলর, সোশ্যাল কেস-ওয়ার্কার পদ বাড়াচ্ছি এবং সেগুলোতে দ্রুত নিয়োগদানের ব্যবস্থা করছি।”
এছাড়া দেশের চারটি বিভাগে আরো চারটি কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্র স্থাপন করা হবে বলে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান তিনি।
আগামী তিন মাসের মধ্যে এই প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন হবে বলে তিনি আশা করেন।
তবে আইন থাকলেও কেন এতদিনে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্র গুলোতে এসব ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি এমন প্রশ্নে মিঃ হায়দার বলেন এতদিন এ ধরনের সমস্যার মুখে তারা পড়েননি।
একটি কিশোর - আইনের সংস্পর্শে আসার পর উন্নয়ন কেন্দ্রগুলোতে পাঠানো হয় তার শারীরিক, মানসিক, ও কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে, কিন্তু সত্তর দশকে তৈরি হওয়া এই কেন্দ্রগুলোতে নানা অনিয়মের যে অভিযোগ উঠেছে সেখানে তাদের উন্নয়ন প্রকৃতপক্ষে কতটুকু হচ্ছে সে প্রশ্ন থেকেই যায়। 

ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ থেকে আলীম দার প্রত্যাহার

    আলীম দার        
        
ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার দুটি ম্যাচ থেকে পাকিস্তানি আম্পায়ার আলীম দার-কে প্রত্যাহারের আইসিসির সিদ্ধান্তের পর ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে পাকিস্তানের ক্রিকেট কর্মকর্তারা।
সোমবার তাকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি।
সোমবার মুম্বাইয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের একটি বৈঠকের আগে বিসিসিআই সদর দপ্তরে হিন্দু উগ্রপন্থী সংগঠন শিবসেনার কর্মীরা হামলা করলে ঐ বৈঠকটি স্থগিত করা হয়।
এরপর পাকিস্তানের আম্পায়ার আলীম দারকেও প্রত্যাহারের ঘোষণা এলো।
আইসিসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে আলীম দার তার পূর্ণ সক্ষমতায় এই ম্যাচে আম্পায়ারিং করতে পারবেন এমনটি প্রত্যাশা করা যাচ্ছে না।
রবিবার চেন্নাইতে দুই দেশের পঞ্চম ওয়ানডেতে আলীম দারের আম্পায়ারিং করার কথা ছিল।
                 বাংলাদেশ ভারত ম্যাচের পর আলীম দারের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে বাংলাদেশে বিক্ষোভ হয়                
ভারতে জঙ্গি হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে তাদের সাথে যেকোনো প্রকার সংশ্রব বর্জনের দাবি করছে শিবসেনা।
এমন প্রেক্ষাপটে ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচ নিয়ে আলোচনাও মুলতুবী করা হয়েছে।
ক্রিকেট বিশ্বকাপে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের অ্যাম্পায়ারিং এর দায়িত্বে ছিলেন আলীম দার।
তখন তার বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বে অভিযোগ তুলে বাংলাদেশেও বিক্ষোভ হয়েছিল। bbc

''টুর্নামেন্টের মাধ্যমে বাংলাদেশকে নিরাপদ দেশ প্রমাণ করতে চাই''

 
                     আজ থেকে শুরু হচ্ছে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ                
 
চট্টগ্রামে আজ থেকে শুরু হওয়া আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি নিরাপদ দেশ হিসাবে প্রমাণ করতে চাইছেন আয়োজকরা।
বাংলাদেশের চট্টগ্রামে আজ থেকে শুরু হচ্ছে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ।
বাংলাদেশ সহ ভারত, শ্রীলংকা, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের ফুটবল ক্লাব অংশ নিচ্ছে এই টুর্নামেন্টে।
উদ্বোধনী খেলায় মুখোমুখি হবে ঢাকা আবাহনী এবং করাচি ইলেকট্রিক এফসি।
বেশ দীর্ঘদিন পর এ ধরণের একটি আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন হলো বাংলাদেশে।
তবে টুর্নামেন্টটি এমন এক সময়ে হচ্ছে যখন বাংলাদেশে বিদেশিদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বেশ কটি পশ্চিমা দেশ।
টুর্নামেন্টের কো চেয়ারম্যান সিরাজউদ্দিন মোহাম্মদ আলমগীর বলছেন, এ সময়ে এই ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজনের মাধ্যমে আমরা প্রমাণ করতে চাই যে, বাংলাদেশ সবার জন্য নিরাপদ। স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় নিরাপদেই আয়োজনটি সম্পন্ন করা সম্ভব বলে আমরা আশা করছি।
কয়েকটি বিদেশী রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যে সতর্কতা জারি করা হয়েছে, সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাদের উদ্বেগ আমলে নিয়েই কাজ করা হচ্ছে। এই টুর্নামেন্টের মাধ্যমেই প্রমাণিত হবে যে বাংলাদেশ সবার জন্যই একটি নিরাপদ স্থান।
তিনি জানান, বিদেশী টিমের পাশাপাশি অনেক বিদেশী সাংবাদিকও এসেছেন। তারা গত কয়েকদিনে চট্টগ্রামের অনেক স্থানে গেছেন, দেখেছেন। কোন নিরাপত্তাহীনতার বিষয় তারা দেখতে পাননি।
মি. আলমগীর বলেন, প্রশাসনের পাশাপাশি চট্টগ্রামের স্থানীয় মানুষজনও সতর্ক রয়েছে যাতে এখানে কোন বিশৃঙ্খলার ঘটনা না ঘটে।
যেসব বিদেশী টিম টুর্নামেন্টে অংশ নিতে এসেছে, তারাও কোনরকম নিরাপত্তাহীনতা বোধ করছে না বলে তিনি জানান।
ক্লাব পর্যায়ের এই টুর্নামেন্টটি ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। bbc

দুর্নীতির মামলায় খোকার ১৩ বছরের কারাদণ্ড

                                  
বাংলাদেশে দুর্নীতির মামলায় বিএনপি নেতা ও ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ১৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে ঢাকার একটি আদালত।
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মঙ্গলবার সকালে এই রায় ঘোষণা করা হয়।
তবে সাদেক হোসেন খোকা বর্তমানে দেশের বাইরে রয়েছেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে মি. খোকার বিরুদ্ধে এই প্রথম দুর্নীতির কোন মামলায় রায় হলো।
ঢাকার সাবেক মেয়র এবং বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকার বিরুদ্ধে ১৩ বছরের সাজার পাশাপাশি ১১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়াও ঢাকায় গুলশান এলাকায় একটি বাড়িসহ যে সব সম্পত্তির তথ্য তিনি গোপন করেছিলেন বলে মামলায় অভিযোগ ছিল, আদালত সেই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশও দিয়েছে।
তিনি যুক্তরাষ্ট্রে থাকায় তাকে পলাতক দেখিয়ে এই বিচার হয়েছে। তবে বিএনপি অভিযোগ করেছে, সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এই মামলা এগিয়ে নিয়েছে।
মামলার বাদী দুদকের পক্ষের আইনজীবী মামহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বলেছেন, সাদেক হোসেন খোকা আদালতে আত্নসমর্পণ করেননি, সে বিষয়টিও রায়ে উল্লেখ করে আদালত তাকে কোন অনুকম্পা না দেখানোর কথা বলেছে।
সাদেক হোসেন খোকা আইনের চোখে পলাতক থাকায় আদালতে তার পক্ষে কোন আইনজীবীও ছিল না। তবে রায় ঘোষণার সময় বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
তাদের মধ্যে অন্যতম মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেছেন, এখন আইন অনুযায়ী সাদেক হোসেন খোকা আদালতে আত্নসমর্পণ করার পরই তিনি আপিলের সুযোগ পেতে পারেন।
বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকার বিরুদ্ধে দুর্নীতি এবং হরতালে অবরোধে সহিংতার অভিযোগে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের সময়ে তার বিরুদ্ধে এই প্রথম কোন মামলায় সাজা হলো।
বিএনপির আরেকজন সিনিয়র নেতা আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, বিরোধী রাজনীতিকদের দমনের অংশ হিসেবে মামলাটি এগিয়ে নেয়া হয় বলে বিএনপি মনে করে।
                 ২০০৮ সালের ২ এপ্রিল মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন
২০০৭ সালে ৬ ডিসেম্বর সাদেক হোসেন খোকা ২ কোটি ৪৪ লাখ ৮৭ হাজার ৮৬ টাকা সম্পদের হিসাব দাখিল করেন। কিন্তু তদন্ত করে ৯ কোটি ৭৬ লাখ ২৮ হাজার ২৬১ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ৯ কোটি ৬৪ লাখ ৩ হাজার ৬০৯ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ পায় দুর্নীতি দমন কমিশন।
এই অভিযোগে ২০০৮ সালের ২ এপ্রিল একটি মামলা করে দুদক।
সাদেক হোসেন খোকা মামলাটি বাতিলের জন্য হাইকোর্টে গিয়েছিলেন।
২০১২ সালে হাইকোর্ট তার আবেদন খারিজ করে তাকে বিচারিক আদালতে আত্নসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু তখন তিনি চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে আর ফিরে আসেননি।
শেষ পর্যন্ত তাকে পলাতক দেখিয়ে ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে বিচার শেষে এখন রায় হলো।
২০১৪ সালের ৩০ অক্টোবর মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়।
মামলায় তাঁর স্ত্রী ইসমত আরাকেও আসামি করা হয়েছে। কিন্তু হাইকোর্ট তার অংশের মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছে।
সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইসরাক হোসেন ও মেয়ে সারিকা সাদেককের বিরুদ্ধে মামলায় অভিযোগ আনা হলেও, অভিযোগপত্রে তাদের অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।


 

অ্যাপ স্টোর থেকে কয়েকশ’ অ্যাপস সরাবে অ্যাপল

                     চীনা গোপন সফটওয়্যারের অস্তিত্ব পাওয়ায় কয়েকশ' অ্যাপস সরিয়ে ফেলবে অ্যাপল          
      
অ্যাপ স্টোর থেকে কয়েকশ’ অ্যাপস সরিয়ে ফেলবে অ্যাপল।
এসব অ্যাপে তারা চীনা গোপন সফটওয়্যারের অস্তিত্ব পেয়েছে, যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীর ইমেইল ঠিকানার মতো ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব।
মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন প্রয়োজন অনুযায়ী অ্যাপ স্টোর থেকে নামিয়ে অ্যাপ্লিকেশনগুলো ব্যবহার করে থাকেন।
এর অনেক সফটওয়্যার ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের বাইরে, বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সরবরাহ করে থাকে।
শীর্ষ প্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ইয়োমি নামের একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থা এসব সফটওয়্যার সরবরাহ করেছে।
এর মাধ্যমে অনুমতি ছাড়াই অ্যাপল অ্যাপ স্টোর ব্যবহারকারী গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করে প্রতিষ্ঠানটি অ্যাপলের নিয়মভঙ্গ করেছে।
মোবাইল গবেষণা একটি প্রতিষ্ঠান বলছে, অ্যাপলের অনুমোদনের বাইরে গিয়ে কোন অ্যাপের কাজ করার মতো বিষয় এই প্রথমবার জানা গেল।
bbc

ওবামার সঙ্গে দেখা করেছেন ঘড়ি নির্মাতা আহমেদ

 
                     আহমেদ মোহাম্মেদ            
     
সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে দেখা করেছেন টেক্সাসের ‘ক্লক কিড’ খ্যাত কিশোর আহমেদ মোহামেদ। শিক্ষককে উপহার দেওয়ার জন্য মোহামেদের বানানো একটি ঘড়িকে বোমা সন্দেহ করে গ্রেপ্তার করেছিল স্থানীয় পুলিশ।
 
বাড়িতে তৈরি একটি ঘড়ি দেখে বোমা সন্দেহে যাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, আমেরিকান সেই স্কুল ছাত্র হোয়াইট হাউজে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করেছেন।
এ ঘটনা আমেরিকার সামাজিক মাধ্যমে বিপুল আলোড়ন তোলে।
ওই ঘটনার পর এক টুইটার বার্তায় তাকে হোয়াইট হাউজে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
আহমেদের সঙ্গে দেখার করার সময় মি. ওবামা মন্তব্য করেন, তরুণদের দমনের চেষ্টা না করে, বরং তাদের তাদের কাজে সবার উৎসাহ দেয়া উচিত।
সুদানি বংশোদ্ভূত ওই বালককে গ্রেপ্তার করা হলেও, পরে তার বিরুদ্ধে আর কোন অভিযোগ আনা হয়নি। bbc

যুক্তরাজ্যে ১২শ' কর্মী ছাঁটাই করবে টাটা স্টিল

 
                     স্ক্যানথর্পের কারখানা থেকেই ১০০০ কর্মী ছাটাই করবে টাটা স্টিল    
            
যুক্তরাজ্যে ১২শত কর্মী ছাঁটাই করবে টাটা স্টিল।
স্ক্যানথর্প আর লানার্কশায়ারের কারখানাগুলো থেকে এসব পদ বন্ধ করে দেয়া হবে।
চীন থেকে আসা সস্তা ইস্পাতের কারণে তারা এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছে বলে কোম্পানিটি জানিয়েছে।
সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের ইস্পাত শিল্পে যে ছাঁটাই শুরু হয়েছে, তারই সর্বশেষ উদাহরণ টাটা ইস্পাতের এই সিদ্ধান্ত।
অব্যাহত ক্ষতির মধ্যে যুক্তরাজ্যের কার্যক্রম সীমিত করে আনারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় এই কোম্পানিটি।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন জানিয়েছেন, চীনা প্রেসিডেন্টের সফরের সময় তিনি সেদেশের সস্তা ইস্পাতের প্রসঙ্গটি তুলবেন। bbc

সিআইএ প্রধানের ইমেইল হ্যাক করেছে স্কুলছাত্র

                     ২০১৩ সাল থেকে সিআইএ প্রধানের দায়িত্বে রয়েছেন জন ব্রেন্যান       
         
আমেরিকান গুপ্তচর সংস্থা, সিআইএ প্রধান জন ব্রেন্যানের ব্যক্তিগত ইমেইল হ্যাক বা তথ্য চুরি করেছে একজন স্কুলছাত্র, এরকম একটি অভিযোগ তদন্ত করতে শুরু করেছে সেদেশের কর্তৃপক্ষ।
হ্যাক করে পাওয়া তথ্য নিজের টুইটার একাউন্টে তুলে দিয়েছে ছাত্রটি।
তবে হ্যাকার স্কুলছাত্রের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
তবে অভিযুক্ত হ্যাকার ছাত্র নিউইয়র্ক পোস্ট পত্রিকাকে বলেছে, মি. ব্রেন্যানের ইমেইলে তিনি অফিস সংক্রান্ত নানা ফাইল দেখতে পেয়েছেন। তার মধ্যে উচ্চপর্যায়ের একটি নিরাপত্তা ছাড়পত্রের আবেদনও রয়েছে।
ছাত্রটি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিলেন বলে পত্রিকাটি জানিয়েছে।
ছাত্রটির টুইটার একাউন্টে প্রকাশিত একটি বার্তায় বেশ কয়েকটি ফাইল যুক্ত করা হয়েছে, যেগুলো মি, ব্রেন্যানের ফোন নাম্বারের তালিকা বলে সে দাবি করেছে। সেখানে জন ব্রেন্যান নামে একটি ফাইল রয়েছে, যেখানে টেলিফোন নাম্বারের পাশাপাশি, ইমেইল ঠিকানা আর সামাজিক নিরাপত্তা নাম্বারও রয়েছে।
২০১৩ সাল থেকে সিআইএ পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন জন ব্রেন্যান।
এ ধরণের কোন ঘটনা ঘটেছে কিনা, তা নিশ্চিত না করলেও, সেন্ট্রাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা সিআইএ জানিয়েছে, ঘটনাটির তদন্ত চলছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত ইমেইল ব্যবহারের বিষয়টি সম্প্রতি সেখানে আলোচিত একটি বিষয় হয়ে উঠেছে।
দেশটির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিলারি ক্লিনটন পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকার সময় ব্যক্তিগত ইমেইল ব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ ওঠার পর সেটির শুরু হয়। bbc

সীমান্তে আটকে পড়া শরণার্থীদের ঢুকতে দিচ্ছে স্লোভেনিয়া

    slovenia migrants                 ঠাণ্ডা ও বৃষ্টিতে খোলা আকাশের নিচে বিপাকে পড়েন শরণার্থীরা।        
         
স্লোভেনিয়ার সরকার বলছে ক্রোয়েশিয়ার সাথে সীমান্তে আটকে পড়া শরণার্থীদের বেশিরভাগকেই সেদেশে ঢুকতে দেয়া হয়েছে।
ক্রোয়েশিয়াও তার সীমান্ত খুলে দিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
ব্যাপক ঠাণ্ডা ও বৃষ্টির মধ্যে খোলা আকাশের নিচে প্রায় ৫ হাজারের মতো শরণার্থী সীমান্তে আটকে পড়েছিলেন।
বিশেষ করে স্লোভেনিয়ার সীমান্তে এই শরণার্থী আটকে পড়েন।
ঠাণ্ডার কারণে শরণার্থীদের দুর্ভোগের এক করুন দৃশ্য তৈরি হয়।
সে পটভূমিতে সীমান্তে কড়াকড়ি শিথিল করলো স্লোভেনিয়া ও ক্রোয়েশিয়া।
তবে এখনো সীমান্তে রয়েছে নিরুপায় বহু শরণার্থী।
সিরিয়া থেকে আসা এক নারী বলছিলেন তিনি খোলা আকাশের নিচে রাত কাটিয়েছেন।
তাদের সাথে পশুর মতো ব্যাবহার করা হচ্ছে।
এমন হাজার হাজার শরণার্থীর বেশির ভাগই আসছেন যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া থেকে।
আফ্রিকার কয়েকটি দেশ এবং আফগানিস্তান থেকে আসা মানুষজনও রয়েছে।
যারা মূলত তুরস্ক হয়ে তারপর বলকান দেশগুলো পার হয়ে জার্মানি ও সুইডেন যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
এর মধ্যেই ক্রোয়েশিয়া দুই ট্রেন ভর্তি শরণার্থীদের স্লোভেনিয়ার সীমান্তে পাঠিয়ে দেয়।
europe migrants
          এ বছর ৬ লাখের মতো শরণার্থী ইওরোপ প্রবেশ করেছে।                 
সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপ করে স্লোভেনিয়া।
হাঙ্গেরি দক্ষিণের সীমানা বন্ধ করে দেয়।
কে কত শরণার্থী নেবে সেই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা হচ্ছে বলে বলকান দেশগুলো একে অপরকে দোষারোপ করছে।
স্লোভেনিয়ার সরকার এক্ষেত্রে মূলত ক্রোয়েশিয়াকে দোষারোপ করছে।
স্লোভেনিয়ার সরকারি দল সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট পার্টির একজন নেতা তানিয়া ফেয়ন বলেছেন শরণার্থীদের প্রবেশে সমন্বয় আনতে আলাপ চলছে।
মিজ ফেয়ন বলেছেন, যত মানুষ সীমান্তে আসছেন তাদের সবাইকে সামাল দেয়া স্লোভেনিয়ার পক্ষে সম্ভব নয়।
ক্রোয়েশিয়া বলছে তাদের অবস্থা আরও খারাপ।
ওদিকে ইওরোপে ঘনিয়ে আসছে ঠাণ্ডার মৌসুম।
সীমান্তে কড়াকড়ি অব্যাহত থাকলে শরণার্থীদের দুরবস্থা চরমে পৌছাতে পারে বলে সতর্ক বার্তা দিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর।
সংস্থাটির একজন মুখপাত্র ইরোদা আস্কারোভা বলছেন শরণার্থীদের তারা সাহায্য করছেন তবে সীমান্তে কড়াকড়ি থাকলে তা যথেষ্ট হবে না।
ইরোদা আস্কারোভা বলছেন, সীমান্তে আসা শরণার্থীদের সংখ্যা কত তার হিসেব নেবার চেষ্টা চলছে।
তাদের কম্বল, খাবার ও পানি দিয়ে সাহায্য করা হচ্ছে। বহু শরণার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
তিনি বলেন সবমিলিয়ে এক মানবিক বিপর্যয় সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতেই এ বছর ৬ লাখের মতো শরণার্থী ইওরোপ প্রবেশ করেছে।

bbc