সোমবার, ১২ অক্টোবর, ২০১৫

কামরুলকে আনতে রাতে সৌদি যাচ্ছে পুলিশ

কামরুলকে আনতে রাতে সৌদি যাচ্ছে পুলিশ


শিশু শেখ সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলার প্রধান আসামি কামরুল ইসলামকে ফিরিয়ে আনতে পুলিশের তিন কর্মকর্তা সৌদি আরব যাচ্ছেন। আজ রোববার দিবাগত রাত দুইটার একটি ফ্লাইটে তাঁদের ঢাকা ছাড়ার কথা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশের ওই দলের সদস্য সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাত দুইটায় ফ্লাইট। আগামী ১৫ তারিখ ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে।’
কামরুলকে আনতে সৌদি আরব যাওয়া ওই দলটির অপর দুই সদস্য হলেন পুলিশ সদরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহাবুবুল করিম ও সহকারী পুলিশ কমিশনার এ এফ এফ নেজাম উদ্দিন।
এর আগে গত ৭ অক্টোবর এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বাংলাদেশ পুলিশ। ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন, ‘শিশু রাজন হত্যা মামলাটিতে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্র তৈরিতে আমরা তৎপর। নানা নিয়মনীতি মেনে এ আসামিকে নিয়ে আসতে পারা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় আমাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টারই অংশ।’
গত ৮ জুলাই রাজনকে চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ড-সংলগ্ন শেখপাড়ায় নির্যাতন করে হত্যা করা হয়। সিলেটের জালালাবাদ থানা এলাকার বাদেয়ালি গ্রামের বাসিন্দা শিশু রাজন সবজি বিক্রি করত। তার লাশ গুম করার সময় ধরা পড়ে একজন। এই হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা হিসেবে অভিযুক্ত কামরুল ইসলাম পালিয়ে সৌদি আরব চলে গেলে প্রবাসী বাংলাদেশিরা তাঁকে ধরে পুলিশে দেন।
কামরুলের দেশ ছেড়ে পালানোয় ঘটনায় কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে ২৭ জুলাই সিলেট মহানগর পুলিশের জালালাবাদ থানার তৎকালীন পরিদর্শক (তদন্ত) আলমগীর হোসেন, উপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম ও এসআই মো. জাকির হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
রাজন হত্যার ঘটনায় তদন্ত শেষে মোট ১৩ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।
পুলিশের উদ্যোগে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রিয়াদ এনসিবির সহযোগিতা চেয়ে রেড নোটিশ ইস্যুর জন্য অনুরোধ জানানো হয়। পুলিশ সদরের অনুরোধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যম হয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বন্দী বিনিময়ের জন্য সৌদি কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করে। এর প্রেক্ষিতে সৌদি কর্তৃপক্ষ কামরুলকে ফেরত দিতে সম্মত হয়েছে বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল।

prothom alo

মিনায় বাংলাদেশির গলিত লাশ উদ্ধার

মিনায় বাংলাদেশির গলিত লাশ উদ্ধার


     
সৌদি আরবের মিনার একটি উপত্যকা থেকে এক বাংলাদেশি হাজির গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বাংলাদেশি ওই হাজি পথ হারিয়ে হজের সময় ওই উপত্যকায় চলে গিয়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আজ রোববার আরব নিউজের এক খবরে এ কথা বলা হয়েছে।
আরব নিউজের খবরে বলা হয়, সৌদি এক নাগরিক গত মঙ্গলবার মিনার কিং খালেদ সড়কের পাশে আল মুআইসেম উপত্যকায় একটি গলিত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। ওই লাশের পরনে ইহরামের কাপড় ছিল। লাশের হাতে বাধা আইডি ব্রেসলেট দেখে জাতীয়তা বাংলাদেশি নিশ্চিত করা হয়। তবে তাঁর নাম কী তা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি।
দ্যা ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড পাবলিক প্রসিকিউশন এবং মক্কার পুলিশ বাংলাদেশির গলিত লাশ উদ্ধারের ব্যাপারটি তদারকি করছে।
পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, হজের সময় ওই হাজির মৃত্যু হতে পারে। ময়নাতদন্তের জন্য মক্কার বাদশাহ ফয়সাল হাসপাতালে ওই বাংলাদেশির মরদেহ রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পরই মৃত্যুর কারণ ও সময় জানা যাবে।
গত শুক্রবার সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, মিনায় পদদলিত হয়ে নিহত বাংলাদেশি হাজির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৯ জনে। আর নিখোঁজ আছেন ৯০ জন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সৌদির বাংলাদেশ দূতাবাস ও হজ অফিসের কর্মকর্তারা।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর শয়তানকে পাথর মারতে যাওয়ার পথে মিনায় পদদলিত হয়ে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের হাজিরা মারা যান। সৌদি আরব এখন পর্যন্ত ৭৬৯ জন হাজির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। দেশটি বলেছে এ সময় আহত হয়েছেন আরও অন্তত আট শতাধিক। অবশ্য হাজির মৃতের সংখ্যা নিয়ে ইতিমধ্যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ইরান বলেছে পদদলিত হয়ে মৃতের সংখ্যা ২ হাজার হবে। ভারত ও পাকিস্তানের কাছে সৌদি সরকারের দেওয়া তালিকায় এক হাজার ১০০ থেকে এক হাজার ২০০ হাজির মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে।

prothom alo

বিদেশি হত্যাকারীদের শাস্তির ব্যবস্থা হবে: সিআইডি প্রধান

 
ফেনীতে সিআইডির ক্যাম্প অফিস উ​দ্বোধন করেন সিআইডি প্রধানদুই বিদেশি হত্যার ঘটনায় যাঁরাই জড়িত থাকুক, পুলিশ তাদের খুঁজে বের করবে এবং শাস্তিরও ব্যবস্থা করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (সিআইডি) শেখ হিমায়েত উদ্দিন।
আজ রোববার সকালে ফেনীর পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সিআইডি প্রধান বলেন, দেশে দুজন বিদেশি নাগরিক হত্যার ঘটনা একই উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।
সিআইডি প্রধান বলেন, সিআইডির একটি ঐতিহ্য রয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা, ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা, উদীচী, রমনা বটমূলে, সিপিবির সভা, চট্টগ্রামের ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা, বিডিআর বিদ্রোহ মামলাসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ মামলা সমূহ নিখুঁত ও সূক্ষ্মভাবে তদন্ত করেছে এবং করবে। সিআইডির মূল কাজই হচ্ছে নিখুঁত ও সূক্ষ্ম ভাবে মামলা তদন্ত করা।
সকালে ফেনীর সুপারের কার্যালয়ের তৃতীয় তলায় ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারিত নব নির্মিত ফেনী জেলা সিআইডি ক্যাম্প কার্যালয় উদ্বোধন করেন হিমায়েত উদ্দিন। এ উপলক্ষে ফেনীর স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
সিআইডি কুমিল্লা অঞ্চলের এসপি ডক্টর নাজমুল করিম খানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সিআইডি চট্টগ্রাম অঞ্চলের এসপি মোশাররফ হোসেন ও ফেনী জেলা পুলিশ সুপার রেজাউল হক। উপস্থিত ছিলেন গণপূর্ত অধিদপ্তর ফেনীর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আমিনুর রহমান, ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকার, সিআইডি ফেনী ক্যাম্পের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মো. মোজাম্মেল হক।

prothom alo

আইএস প্রধান বাগদাদির গাড়িবহরে বিমান হামলার দাবি

 
আবু বকর আল বাগদাদিমধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) প্রধান আবু বকর আল বাগদাদির গাড়িবহরে বিমান হামলা চালানোর দাবি করেছে ইরাকের সামরিক বাহিনী। তাদের দাবি, সিরিয়ার সীমান্তসংলগ্ন পশ্চিমাঞ্চলীয় আনবার প্রদেশের একটি স্থানে এ হামলা চালানো হয়।
তবে এ ঘটনায় বাগদাদির ভাগ্যে কী ঘটেছে; অর্থাৎ তিনি হামলা থেকে বেঁচে গেছেন নাকি আহত বা নিহত হয়েছেন সে বিষয়ে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কিছু বলা হয়নি। নিরপেক্ষ সূত্র থেকে এই দাবির সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি।
আজ রোববার ইরাকের ‘ওয়ার মিডিয়া সেল’ থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ দাবি করা হয়।
‘ওয়ার মিডিয়া সেল’-এর বিবৃতির বরাত দিয়ে এএফপি ও বিবিসির খবরে বলা হয়, আইএস নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে যোগ দিতে আইএসের ‘খলিফা’ আবু বকর আল বাগদাদী কারবালা যাচ্ছিলেন। পথে বাগদাদির গাড়িবহরে বিমান হামলা চালায় ইরাকি বাহিনী।
বিবৃতিতে বলা হয়, যে বৈঠকে আইএসের বৈঠক করার কথা ছিল সেখানেও হামলা চালানো হয়েছে। ওই হামলায় আইএসের অনেক নেতা হতাহত হয়েছেন বলে বিবৃতিতে দাবি করা হয়। তবে কখন এই হামলা চালানো হয়েছে তা নিশ্চিত করা হয়নি ওই বিবৃতিতে।
কারবালা স্থানটি সিরিয়া সীমান্ত থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
এর আগেও বাগদাদিকে লক্ষ্য করে হামলা এবং তাঁকে হত্যার দাবি করেছিল ইরাকি বাহিনী। তবে পরবর্তীতে তা প্রমাণিত হয়নি।
২০১১ সালের অক্টোবরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাগদাদিকে ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যায়িত করে তাঁকে জীবিত অথবা মৃত ধরিয়ে দিতে ১ কোটি ডলার পুরস্কার ঘোষণা করে।

prothom alo

দলীয়ভাবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের উদ্যোগ বাংলাদেশে

 
   
বাংলাদেশে সব স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয়ভাবে করার লক্ষ্যে এ সংক্রান্ত আইনগুলো সংশোধনের জন্যে আগামীকাল মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করা হবে।
স্থানীয় সরকার-মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বিবিসিকে বলেছেন, ডিসেম্বরে পৌরসভার নির্বাচনগুলো দলীয়ভাবে করার লক্ষ্য নিয়ে সরকার এগুচ্ছে এবং এরপর সব স্থানীয় নির্বাচনই দলীয়ভাবে করা হবে।
তবে সরকারের এই পরিকল্পনায় তীব্র আপত্তি জানিয়েছে অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি।
দলটি মনে করে, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে দলীয়করণের লক্ষ্যে সরকার এই পদক্ষেপ নিচ্ছে।
ইউনিয়ন পরিষদ কিংবা পৌরসভার মতো স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার নির্বাচনগুলো দলীয়ভাবে করা উচিত কিনা, সেই বিতর্ক একেবারে নতুন নয়।
বর্তমানে এসব নির্বাচন হয় নির্দলীয় ভিত্তিতে, অর্থাৎ নির্বাচনে প্রার্থীদের দলীয়ভাবে মনোনয়ন দেয়া হয় না এবং দলীয় প্রতীকেও এসব নির্বাচন হয়না।
প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিকভাবে দলীয় মনোনয়ন দেয়া না হলেও বাস্তব অবস্থা অবশ্য ভিন্ন।
কে কোন দলের প্রার্থী – এটা মোটামুটি সবাই জানেন। স্থানীয় সরকার-মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলছেন, পুরো বিষয়টি ভোটারদের কাছে খোলাখুলিভাবে তুলে ধরার লক্ষ্যেই দলীয়ভাবে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
স্থানীয় সরকার-মন্ত্রী জানান, দলীয়ভাবে স্থানীয় সরকারগুলোর নির্বাচন করতে হলে পাঁচটি আইনে সংশোধন আনতে হবে।
                 স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সহিংসতা একটি বড়ো সমস্যা                
এসব আইন ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলা ও জেলা পরিষদ – ইত্যাদি স্থানীয় সরকার নির্বাচনের সঙ্গে সম্পর্কিত। মি. হোসেন বলেন, সোমবারে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এসব আইনের সংশোধনী অনুমোদন করা হলে রাষ্ট্রপতি এ সংক্রান্ত অধ্যাদেশ জারী করবেন। আর আগামী ডিসেম্বরে পৌরসভা নির্বাচন দলীয়ভাবে করার লক্ষ্য নিয়ে সরকার এগুচ্ছে বলে তিনি জানান।
তবে সরকারের এই পরিকল্পনার বিরোধিতা করছে বিএনপি। দলের ভাইস-চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমদ অভিযোগ করছেন, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে দলীয়করণ করতেই সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
বিএনপি থেকে নির্বাচিত কয়েকজন মেয়রকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়ার সাম্প্রতিক উদাহরণ টেনে হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, দলীয় ভিত্তিতে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলে বিরোধী দল থেকে নির্বাচিতদের নির্বাহী আদেশে অপসারণের প্রবণতা আরো বাড়বে।
তিনি এও মনে করেন যে দলীয় ভিত্তিতে স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচন হলে প্রতিদ্বন্ধিতার সুযোগ কমবে।
তবে স্থানীয় সরকার-মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন এসব অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হলে সব দলই সমান সুযোগ পাবে।
দলীয়ভাবে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন হলে জনসাধারণের সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে বৈষম্য হতে পারে বলে অনেকেই এর আগে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
তবে স্থানীয় সরকার-মন্ত্রী মনে করেন যে এ ধরণের আশঙ্কার কোন ভিত্তি নেই।

ভারতে 'গোমাংস রাজনীতি' নিয়ে বিব্রত বিজেপি

 
                               
ভারতের উত্তরপ্রদেশে হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপির এক নেতার সঙ্গে মহিষের মাংস রফতানিকারক একটি সংস্থার যোগাযোগ সামনে আসার পর দেশের ক্ষমতাসীন দল অস্বস্তিতে পড়েছে।
বিধানসভার সদস্য সঙ্গীত সোম, যিনি মুজফফরনগর দাঙ্গায় অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত এবং অতি সম্প্রতি গোহত্যার বিরুদ্ধে যিনি নানা উত্তেজক বিবৃতি দিয়েছেন, তিনি নিজেই চার বছর ধরে একটি বিফ প্রসেসিং সংস্থায় ডিরেক্টর পদে ছিলেন বলে জানা গেছে।
মি. সোম নিজে যদিও দাবি করেছেন তিনি হিন্দুধর্মবিরোধী কাজ কখনোই করেননি – কিন্তু গোটা ঘটনায় এটা পরিষ্কার হয়ে গেছে যে ভারতে মাংস রফতানির ব্যবসা কতটা আকর্ষণীয় এবং শুধু অর্থনৈতিক কারণেই গোমাংসের ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করাটা কত কঠিন।
রাজধানী দিল্লির কাছে নয়ডার যে গ্রামটিতে সম্প্রতি গরুর মাংস খাওয়ার মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে এক মুসলিম ব্যক্তিকে পিটিয়ে মারা হয়েছে, সেই গ্রামে গিয়েই গত সপ্তাহে গোহত্যার বিরুদ্ধে কঠোর ভাষণ দিয়েছিলেন সঙ্গীত সোম।
                           
তিনি সেখানে বলেছিলেন, উত্তরপ্রদেশে ঢালাও গোহত্যা চলছে আর প্রশাসন তা রুখতে চরম ব্যর্থ। এ কারণেই রাজ্যের নানা জায়গায় দাঙ্গার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। গোহত্যাকারীদের রাজ্য সরকার জামাই-আদরে রাখছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
বিজেপি নেতার ওই প্ররোচনামূলক ভাষণের পর সপ্তাহ না-ঘুরতেই এখন জানা যাচ্ছে, বিদেশে বিফ রফতানিকারক একটি সংস্থার সঙ্গে তাঁর নিজেরই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল বহুকাল ধরে।
মি সোম নিজে আল দুয়া ফুড প্রসেসিং প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি সংস্থার অন্যতম ডিরেক্টর ছিলেন ২০০৫ থেকে ২০০৮ সাল অবধি – যারা মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বহুদিন ধরে বিফ বা মহিষের মাংস রফতানি করে আসছে।
ভারতের বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচার হতে থাকে, যে মি সোম নয়ডার গ্রামে গিয়ে বলেছিলেন, ভারতের মানুষ ঘরে একটা রুটি থাকলে সেটা বাড়ির গরুকে দেয়, তার সংস্থাই নাকি বিভিন্ন ইসলামি দেশে বহু বছর ধরে বিফ রফতানি করে আসছে।
এখানে অবশ্য বিফ বলতে শুধু মহিষের মাংসই বোঝানো হচ্ছে, কারণ ভারত থেকে বৈধভাবে গরুর মাংস রফতানির কোনও সুযোগ নেই – অনুমতি আছে শুধু মহিষের মাংসের।
                           
কিন্তু উগ্র হিন্দুত্ববাদী নেতা সঙ্গীত সোম গরু-মহিষ কোনোটারই জবাইকে সমর্থন করেছেন, এটা ফাঁস হয়ে যাওয়াটা রাজনৈতিকভাবে তার ও বিজেপির জন্য খুবই বিব্রতকর।
মি সোম অবশ্য দাবি করেছেন, ওই সংস্থার সঙ্গে তার শুধু জমি কেনাবেচার সম্পর্ক ছিল।
তিনি বলছেন, ‘এই অভিযোগ হাস্যকর – কারণ আমি শুধু ওই সংস্থার হয়ে একটা জমি কিনেছিলাম যা কোনও অপরাধ নয়। তিন মাস পর সেটাও বেচে দিই। আর আমি হিন্দু, এই ধর্মের সব রীতি-রেওয়াজ মেনে চলি। হিন্দুদের মাংস খাওয়া পাপ, তাই আমি ডিম পর্যন্ত খাই না – মাংস ফ্যাক্টরির সঙ্গে সম্পর্ক রাখার তো প্রশ্নই ওঠে না।’
ফৌজদারি আইনের চোখে সঙ্গীত সোম কোন অপরাধ না-করলেও হিন্দুত্বের রাজনীতিতে তার এই আত্মপক্ষ সমর্থন যে খুবই দুর্বল তা অবশ্য বলার অপেক্ষা রাখে না।
                           
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আসলে গত দু’দশকে বৈধ পথে মহিষ ও অবৈধ পথে গরু - উভয় রফতানি এত বেড়েছে যে প্রভাবশালী রাজনীতিকরা পর্যন্ত এই শিল্পে লগ্নি করছেন – এবং সঙ্গীত সোম তাদেরই একজন।
মাত্র তিন বছরের মধ্যে বিফ রফতানির পরিমাণ দ্বিগুণ করে এবং ব্রাজিলকে টপকে ২০১৩ সালেই ভারত বিশ্বের বৃহত্তম বিফ রফতানিকারক দেশে পরিণত হয়েছে এবং রফতানির পরিমাণ আরও বাড়তে চলেছে।
ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এপেডা নামে যে সংস্থাটি মাংস রফতানির সব ধরনের ছাড়পত্র দেয়, তার চেয়ারম্যান সন্তোষ সারঙ্গী বলছিলেন চীনের সঙ্গেও ভারতের সমঝোতা সই হয়ে গেছে, যাতে তারা ভারত থেকে মহিষের মাংস তাদের বাজারে ঢুকতে দিতে নীতিগতভাবে রাজি হয়ে গেছে।
ফলে একদিকে যেমন মহারাষ্ট্রসহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে গরু-মহিষের জবাই বা বিফ খাওয়া নিষিদ্ধ করা হচ্ছে, তেমনি অন্যদিকে রফতানি বাড়ানোর স্বপ্ন দেখছে হাজার হাজার কোটি টাকার এই শিল্প।

তুরস্কে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা , আঙ্কারা বিস্ফোরণে নিহত ১২৮: শোকের মধ্যেই মানুষের ক্ষোভ

    bbc                 নিহতের সংখ্যা বেড়ে অন্তত ৯৫ জন                
তুরস্কের সরকার বলছে আংকারায় সন্দেহভাজন আত্মঘাতী বোমা হামলায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে অন্তত ৯৫ জন।
আর দুইশর বেশি মানুষ ভয়াবহ ঐ হামলায় আহত হয়েছেন। তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন। এই হামলার হতাহতরা বেশির ভাগি কুর্দি সমর্থিত এইচডিপি পার্টির সমর্থক, তারা এই হামলার জন্য সরকারকেই দায়ী করছে।
বিস্ফোরন দুটি ঘটে শহরের কাছে সেন্ট্রাল রেল স্টেশনের কাছে। বামদল গুলোর আয়োজনে সভায় যখন মানুষজন জড়ো হচ্ছিল ঠিক তখনি এই জোরা বিস্ফোরন হয়।
বলা হচ্ছে তুরস্কে এই ধরণের ভয়াবহ হামলা এর আগে হয়নি। প্রধানমন্ত্রী আহমেত ডাভুটোগু দেশটিতে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন।
তিনি বলেছেন এই হামলা দুইজন আত্মঘাতী হামলা কারি ঘটিয়েছেন সেটার প্রমাণ তাদের রয়েছে।
বিবিসি                 আহত একজনকে হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে                
প্রেসিডেন্ট রেসেপ তায়েপ এরদোয়ান বলেছেন দেশটির পার্লামেন্টারি নির্বাচনের তিন সপ্তাহ আগে এই হামলা বলে দেয়ে এটা একটা সন্ত্রাসী-কার্যক্রম। তিনি তুর্কমেনিস্তানে তার নির্ধারিত সফর বাতিল করেছেন।
তুরস্কের সরকার এবং পিকেকে গ্রুপের মধ্যে যে সংঘর্ষ হচ্ছে সেটা সমাপ্তির দাবি জানিয়ে বামদলগুলো ঐ সভার আয়োজন করে।
স্থানীয় সময় দুপুর ১২ টায় শুরু হওয়ার কথা ছিল কিন্তু সকাল ১০ টার দিক যখন মানুষজন সভাস্থলে আসতে শুরু করে তখনি বিস্ফোরন দুটি হয়।
কুর্দি সমর্থিত এইচডিপি পার্টি ছিল ঐ সভায় অংশ নেওয়া দলগুলোর মধ্যে একটি।
তারা একটি বিবৃত্তিতে জানিয়েছে তারা বিশ্বাস করে দলটির সদস্যরাই ঐ হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল।
হামলার জন্য দলটি সরকারকে দায়ী করছে এবং আসন্ন নির্বাচন সম্পর্কিত সব সভা বাতিল করেছে।
মধ্যপ্রাচ্যে পশ্চিমাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু এই তুরস্ক রাষ্ট্রটি রাজনৈতিক অস্থিরতা, অর্থনীতি, পিকেকে-র সাথে সংঘর্ষ, ইসলামিক স্টেটের হুমকি এবং ২০ লক্ষ শরণার্থী সমস্যা নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে।
এর মধ্যে আংকারাতে এই হামলা সংকেত দিচ্ছে তুরস্ককে একটা অন্ধকার সময় এখন মোকাবেলা করতে হচ্ছে।
 
                               
       তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় গতকাল শনিবারের বিস্ফোরণে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আজ হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়েছেন।
আঙ্কারার যে জনসভায় বিস্ফোরণটি ঘটেছিল, তার আয়োজকরা এখন বলছেন, বিস্ফোরণে ১২৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
অনেকেই নিহতদের স্মরণে ঘটনাস্থলে পুষ্পস্তবক অর্পণ করছেন।
সংবাদদাতারা বলছেন, উপস্থিত মানুষজন শোক পালন করছেন ঠিকই, কিন্তু একই সাথে তাদের মধ্যে প্রচন্ড ক্ষোভও কাজ করছে।
জনগণের মধ্যে যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে তার একটা কারণ নিরাপত্তা ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা।
নিহতদের প্রতি শোক জানাতে আসা লোকদের সরকারবিরোধী শ্লোগানে এই ক্ষোভের প্রতিফলন ছিল স্পষ্ট।
তুরস্কের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুতর এই বোমা আক্রমণের জন্য তারা সরকারকেই দায়ী করছেন।
তারা বলছেন, সরকার যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে নি, এবং প্রেসিডেন্ট রেচেপ তায়েপ এরদোয়ান তার কুর্দি-বিরোধী কথাবার্তার মধ্যে দিয়ে জাতিকে বিভক্ত করে ফেলেছেন এবং এক পক্ষকে আরেক পক্ষের পেছনে লাগিয়ে দিয়েছেন।
কুর্দি সমর্থক নেতাদের বক্তব্য হচ্ছে, এই আক্রমণের পেছনে সরকারেরও হাত আছে - যা তুর্কি সরকার প্রত্যাখ্যান করেছে । প্রধানমন্ত্রী আহমেত দাভুতুলু বলেছেন, দুটি আক্রমণই চালিয়েছে আত্মঘাতী হামলাকারীরা এবং তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
কিন্তু এমন ব্যাপক প্রাণহানির পর তুরস্কের সমাজে ঐক্যের পরিবর্তে বিভক্তিই যেন বেশি প্রকট হয়ে উঠছে।
তুরস্কে আর মাত্র তিন সপ্তাহ পরই জাতীয় নির্বাচন।
একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নির্বাচন যথাসময়েই হবে তবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোর দার করা হবে

bbc bangla

ফেরত যাচ্ছে সেক্সে অনাগ্রহী জাগুয়ার সালমান

 
   
            হায়দ্রাবাদ চিড়িয়াখানায় একটি জাগুয়ার, ফাইল ছবি
বাঘের বাচ্চা জন্ম দেওয়ার জন্যে দক্ষিণ ভারতের একটি রাজ্যের চিড়িয়াখানা থেকে একটি জাগুয়ারকে ধার করে আনা হয়েছিলো রাজধানী দিল্লির চিড়িয়াখানায়।
এক বছর রাখার পর তাকে আবার আগের চিড়িয়াখানায় ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
কেনো? বাঘের কি বাচ্চা হয়ে গেছে?
না, জাগুয়ারটিকে ফেরত পাঠানোর কারণ হচ্ছে সে খুব মোটা এবং এতোই মোটা যে বাচ্চা উৎপাদনের উদ্দেশ্যে যৌন-ক্রিয়ায় মিলিত হতে পারে না।
কেরালার চিড়িয়াখানা থেকে বছর-খানেক আগে ধার করে আনা এই জাগুয়ারটির নাম সালমান। বয়স ১২।
এক বছরে দেখা গেছে, দিল্লির চিড়িয়াখানায় যে নারী জাগুয়ার , নাম কল্পনা, আছে তার প্রতি সালমানের কোনো আগ্রহ নেই।
চিড়িয়াখানার কর্মকর্তারা বলেছেন, কল্পনার চাইতে খাবার-দাবারেরও প্রতিই বেশি আগ্রহ সালমানের।
                 মেক্সিকোতে দুটো জাগুয়ার, ফাইল ফটো
একজন কর্মকর্তা বলেছেন,“দেখা গেছে যে শারীরিক মিলনের জন্যে কল্পনা তাকে প্ররোচিত করার চেষ্টা করেছে। এবং তাতে সাড়া না দিয়ে সালমান এক কোনায় অলস হয়ে শুয়ে থাকে।”
চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ বলছে, সালমানকে প্রতিদিন প্রায় ছয় কেজি মাংস খাওয়ানো হয়।
“সালমান খুবই অলস। পেটুক। শুধু খেতে আর আরাম করতে পছন্দ করে।”
খাঁচার বাইরে বড়ো একটি জায়গায় ছেড়ে দেওয়ার পরেও দেখা গেছে দৌড়াদৌড়ির কোনো ইচ্ছাই তার নেই। যৌন-ক্রিয়ার ব্যাপারেও তার কোনো আগ্রহ নেই।
তবে সালমানকে যারা পছন্দ করেন তারা বলছেন, দিল্লির চিড়িয়াখানায় আরো যে দুটো পুরুষ জাগুয়ার আছে তারাও কল্পনাকে কোনো বাচ্চা উপহার দিতে পারেনি। তাকে যে একটা জায়গা থেকে আরেকটা জায়গায় নিয়ে আসা হয়েছে সেই শোক হয়তো সে এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি।

bbc bangla

কুন্দুজে হামলা: ক্ষতিপূরণ দেবে পেন্টাগন

                               
উত্তর আফগানিস্তানের কুন্দুজে একটি হাসপাতালের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের বোমা হামলায় হতাহতদেরকে ক্ষতিপূরণ দেবে পেন্টাগন।
ওই হামলায় চিকিৎসা বিষয়ক আন্তর্জাতিক দাতব্য প্রতিষ্ঠান মেদসাঁ সঁ ফঁতিয়ের বা এমএসএফের অন্তত ২২জন কর্মকর্তা ও রোগী নিহত হয়েছে।
সপ্তাহখাকে আগে চালানো ওই হামলাটির ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, ভুল করে ওই হাসপাতালে বোমা ফেলা হয়েছে।
মূলত তালেবান জঙ্গিদের ওপরেই তারা আক্রমণ চালানোর চেষ্টা করেছিলো।
দাতব্য প্রতিষ্ঠান এমএসএফ ওই হামলাকে যুদ্ধাপরাধ বলে উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক একটি কমিটি দিয়ে এই ঘটনা তদন্তের দাবি জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, হামলায় যারা আহত হয়েছেন তারা এবং নিহতদের আত্মীয় স্বজনেরা এই ক্ষতিপূরণের দাবিদার হতে পারবেন।
পেন্টাগনের মুখপাত্র বলছেন, এমএসএফের হাসপাতালের ওপর যে হামলা হয়েছে তার পরিণতি মোকাবেলা করা খুবই জরুরী বলে মনে করে প্রতিরক্ষা দপ্তর।
হাসপাতালটি মেরামতের জন্যে যতো অর্থ লাগবে পেন্টাগনের পক্ষ থেকে সেটাও দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
এই হামলার ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ওবামা এমএসএফ ও আফগান নেতাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

bbc bangla

‘ভারতে গরুর মাংস নিয়ে সহিংসতা আসলে রাজনীতির অংশ’

    india beef                  ভারতে গত দু সপ্তাহে গরুর মাংস খাওয়াকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু সহিংস ঘটনা ঘটেছে।                
 
ভারতে গত কিছুদিন ধরে গো হত্যা বা গরুর মাংস খাওয়া নিয়ে যেসব সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে তার পেছনের কারণ আসলে রাজনীতি।
কয়েকটি প্রদেশে নির্বাচনকে সামনে রেখে ইস্যুটিকে ব্যাবহার করা হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শান্তনু চক্রবর্তী বলছেন, বিহারে বা উত্তর প্রদেশে নির্বাচন আসছে।
সেটিকে সামনে রেখে জাতিগত পার্থক্যকে রাজনৈতিক কারণে ব্যাবহার করা হচ্ছে।
তার মতে স্থানীয় পর্যায়ের নেতারা অনেকসময় ভোটে লাভ হবে ভেবে এটিকে ইস্যু করেন।
তিনি বলছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই বিষয়ে নীরব রয়েছেন কারণ তিনি এমন কিছু করবেন না যাতে শাসক দলের উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়ে।
মিডিয়াতে বা শহরাঞ্চলের মানুষজন বিষয়টির সমালোচনা করছে তবে যেসব গ্রামাঞ্চলে এসব ঘটনা ঘটছে সেখানে তার তেমন কোন প্রভাব পড়ছে না বলে মনে করছেন মি চক্রবর্তী।
শুক্রবার ভারতের উত্তর প্রদেশে গরু হত্যার অভিযোগে দুজন মুসলিম ব্যক্তিকে মারধরের ঘটনায় ২১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
দুজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে গরু জবাইয়ের গুজব ছড়িয়ে পড়লে এই ঘটনা ঘটে।
এর আগে এ সপ্তাহের শুরুতে কাশ্মীরে একজন সংসদ সদস্য তার নিজস্ব পার্টিতে গরুর মাংস পরিবেশন করেছেন এমন অভিযোগে অধিবেশন চলাকালে তাকে মারধর করে ক্ষমতাসীন বিজেপি দলের সদস্যরা।
এসব ঘটনার দু’সপ্তাহ আগে একই গুজবে হিন্দুত্ববাদীরা ৫০ বছর বয়সী এক মুসলিমকে পিটিয়ে হত্যা করে।
ভারতে সাম্প্রতিক সময়ের এ ধরনের ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার প্রতিবাদে বেশ কয়েকজন খ্যাতিমান লেখক তাদের রাষ্ট্রীয় পদক ফিরিয়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

bbc bangla

সিজারিয়ান নয় প্রাকৃতিক নিয়মে সন্তান জন্মদানের জন্য সংগ্রাম

    newborn                 ব্রাজিলে বেসরকারি হাসপাতালে জন্ম নেয়া মোট শিশুর ৮৫ শতাংশের জন্ম হয় সিজারিয়ানে।            
    
ব্রাজিলে সিজারিয়ান বা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান জন্মদানের হার বিশ্বে সবচাইতে বেশি।
দেশটির বেসরকারি হাসপাতালে জন্ম নেয়া মোট শিশুর ৮৫ শতাংশের জন্ম হয় সিজারিয়ানের মাধ্যমে।
আর সরকারি হাসপাতালে তার হার ৪৫ শতাংশ।
মায়েদের না বোঝার বিষয়টিকে ব্রাজিলে সিজারিয়ানের উচ্চহারের একটি কারণ বলা হয়।
তবে মুল কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে দেশটিতে ডাক্তারদের চাপের কারণেই মায়েরা প্রাকৃতিক ভাবে সন্তান জন্মদানের চেয়ে সি-সেকশনের সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন।
আর ডাক্তারদের সি-সেকশনে বেশি আগ্রহের কারণ হলও এতে তারা বাড়তি অর্থ পান।
অন্যদিকে যোনিপথ দিয়ে স্বাভাবিক ভাবে প্রসব বেদনা ওঠার পর সন্তান প্রসবে সময় চলে যায় অনেক বেশি।
কিন্তু তাতে পয়সা কম। তাই ডাক্তারদের সি-সেকশনেই আগ্রহ বেশি।
সিজারিয়ানের মাধ্যমে তিন সন্তানের জন্মের পর মনিকা ডি কাম্পোস অন্তত একবার প্রাকৃতিক নিয়মে সন্তান জন্মদানের সিদ্ধান্ত নিলেন।
তিনি বলছিলেন, “আমার যখন প্রথম সন্তান হলও তখন আমার বয়স ১৫। সত্যি বলতে কি ডাক্তার যখন বললো জরুরী ভিত্তিতে আমাকে সিজারিয়ান করাতে হবে আমি তখন বিষয়টার কিছুই বুঝতাম না”
এভাবে তিনবার সিজারিয়ানের মাধ্যমে সন্তান জন্ম দিলেন মনিকা।
newborn                 ব্রাজিলে ডাক্তারদের চাপে অনেক মায়েরা সি-সেকশনের সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন।                 
তিনি বলছেন, শুরুতে তিনি ভেবেছিলাম এটাই বোধহয় নিয়ম।
প্রতিবার ডাক্তার তাকে নানা ধরনের সমস্যার কথা বলতো।
হাসপাতালে প্রাকৃতিক নিয়মে সন্তান জন্ম দিতে আসা নারীদের প্রসব বেদনার সময় চিৎকারে ডাক্তার ও নার্সদের অশোভন আচরণের কথাও উল্লেখ করছিলেন তিনি।
“একবার এক মহিলাকে নার্স ও ইন্টার্র্নি ডাক্তাররা বলছিল, বাচ্চা যখন পয়দা করছিলে তখনতো এতো চেঁচাওনি”
তৃতীয় সন্তানের জন্মদানের সময় তিনি প্রাকৃতিক নিয়মে জন্মদানের বিষয়টি নিয়ে নিজেই বেশ গবেষণা করলেন।
কিন্তু ডাক্তারদের বক্তব্য ছিল দুবার সিজারিয়ানের পর সেটা আর সম্ভব নয়।
অগত্যা তৃতীয়বারও অস্ত্রোপচার।
কিন্তু তারপরও হাল ছেড়ে দেয়ার মানুষ নন মনিকা।
চতুর্থ বার আবার গর্ভবতী হবেন সেটা অবশ্য ভাবেন নি।
কিন্তু যখন আবার গর্ভবতী হলেন তখন তিনি প্রাকৃতিক পন্থায় জন্মদানের ব্যাপারে ডাক্তারদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেন।
সেজন্য লোকজনের কাছ থেকে তিরস্কারের শিকারও হয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু অবশেষে পেয়ে গেলেন বয়সে তরুণ এক ডাক্তার যিনি তার সহায়তায় এগিয়ে এলেন।
“প্রসব বেদনা ওঠার পর একেবারে শেষমুহুর্তে হাসপাতালে গেলাম। ওরকম ব্যথা নিয়েও আমি চেষ্টা করছিলাম কোন শব্দ না করার। চুপটি করে বসে ছিলাম। বেশ কষ্ট করে সয়ে গিয়েছিলাম প্রসব বেদনা। কারণ যাতে আমাকে সহায়তা করতে গিয়ে আমার ডাক্তার কোন বিপদে না পড়ে”
মনিকা বলছিলেন, খুব বেশি কষ্ট অবশ্য তাকে করতে হয়নি।
“সামান্য একটু চেষ্টাতেই আমার চতুর্থ সন্তান হোসে ভিটর জন্ম নিলো। আমার মনে হয়েছিলো তার জন্মের মাধ্যমে আমারও নতুন করে জন্ম হলও”

bbc bangla

‘বাংলাদেশে কন্যা শিশুদের নিরাপত্তাহীনতা এখনো বড় চ্যালেঞ্জ’

    child marriage
অপ্রাপ্ত বয়সে মাতৃত্বের কারণে নানান স্বাস্থ্যগত সমস্যার ভুগতে হয় মেয়েদের।
বাংলাদেশে কন্যা শিশুদের জীবনের উন্নয়নের জন্য বেশকিছু অগ্রগতি হলেও তাদের নিরাপত্তাহীনতা এখনো একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
কন্যা শিশুদের জীবনকে আরও বেশি সুন্দর ও সহজ করে তোলার লক্ষ্য নিয়ে বিশ্বব্যাপী আজ কন্যা শিশু দিবস পালনের প্রেক্ষাপটে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে বাল্যবিবাহ ও অপুষ্টিও একটি বড় সমস্যা।
জাতীয় কন্যা শিশু এডভোকেসি ফোরামের সম্পাদক নাছিমা আক্তার বলছেন, উচ্চবিত্ত পরিবারই হোক বা নিম্নবিত্ত কোথাও কন্যা শিশুরা যৌন নির্যাতন বা ধর্ষণের মতো ঘটনা থেকে বাদ পড়ছে না।
এবং তা ঘটছে পরিবারের অভ্যন্তরে, যাত্রাপথে সকল ক্ষেত্রে।
এমনকি বুদ্ধি প্রতিবন্ধী শিশুকেও এধরনের নির্যাতনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়।
তবে এধরনের ঘটনায় আগের মতো চেপে যাওয়ার প্রবণতা খানিকটা কমেছে বলে মনে করছেন মিজ আক্তার।
তিনি বলছেন, আগে কন্যা শিশুর প্রতি এ ধরনের কোন ঘটনা হলে তা চেপে যাওয়া হতো বা মেয়েটিকেই দোষারোপ করা হতো।
ইদানীং সেই পরিস্থিতিতে খানিকটা পরিবর্তন হয়েছে।
এখন অনেকেই বিষয়টিতে আইনের আশ্রয় নিচ্ছেন বলে জানান মিজ আক্তার।
কন্যা শিশু জন্ম নিলে পরিবারে মন:ক্ষুণ্ণ হওয়ার বিষয়টিও অনেক প্রচারের পর খানিকটা কমেছে বলে বলছেন নাছিমা আক্তার।
কন্যা শিশুর জন্মের জন্য মায়েদের দায়ী করার বিষয়টিতেও খানিকটা পরিবর্তন হয়েছে।
বাংলাদেশে মেয়েদের অল্প বয়সে বিয়ে ও অপ্রাপ্ত বয়সে মাতৃত্বের কারণে তাদের স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠায় বাধা ও নানান স্বাস্থ্যগত সমস্যার বিষয়ে সাবধান করছেন মিজ আক্তার।

bbc bangla

‘অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে সুবিধা আদায়ের জন্য একে অপরকে দোষারোপ’

    hasina khaleda

                 বাংলাদেশে প্রধান দুই দল প্রায়শই নানা ইস্যুতে একে অপরকে দোষারোপ করে থাকে।
বাংলাদেশে অল্প সময়ের ব্যবধানে দু'জন বিদেশী নাগরিক খুন হওয়ার পর তদন্তে দৃশ্যত তেমন কোন অগ্রগতি না হলেও এ নিয়ে দেশটির সরকার এবং বিরোধী দল পরস্পরকে দোষারোপ করতে শুরু করেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে সুবিধা আদায়ের জন্য একে অপরকে দোষারোপ করছে বাংলাদেশের প্রধান দুই দল।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল এক অনুষ্ঠানে অনেকটা সরাসরিই দুই বিদেশী হত্যার ঘটনার জন্যে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে দায়ী করেছেন।
অন্যদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে দায়িত্বজ্ঞানহীন বর্ণনা করে বলা হয়েছে যে সরকার ব্যর্থতার দায় এড়াতে এ ধরণের দাবী করছে।
বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলগুলোর পরস্পরকে দোষারোপ করার যে সংস্কৃতি তার কারণ হিসবে দৈনিক সকালের খবরের সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন মঞ্জুর বলছেন, অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে সুবিধা আদায়ের জন্য বাংলাদেশের বড় দুই দল এধরনের আচরণ করে থাকে।
প্রকৃতপক্ষে দুই দলের কেউই এতে লাভবান হয়না বলে মনে করেন মি হোসেন।
তার মতে এতে বরং গণতন্ত্রের বিপক্ষের শক্তি বা এক্ষেত্রে বিদেশি হত্যাকাণ্ডের পেছনে জড়িতরাই লাভবান হচ্ছে।
মি হোসেন বলছেন প্রধানমন্ত্রী নিজেই বিদেশি হত্যায় বিএনপি চেয়ারপার্সনকে সরাসরি দায়ী করলেও তাতে খালেদা জিয়া বা বিএনপির উপর তেমন কোন প্রভাব পড়বে না।
এই চাপে খালেদা জিয়া এখন হয়ত সুস্থভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি নিতে পারছেন না তবে এই পরিস্থিতি সাময়িক।
মুল যে বিষয় নিয়ে বিতর্ক তার চূড়ান্ত সমাধান কিছুই হবে না বলে মন্তব্য করেছেন মি হোসেন।
 
bbc bangla