সমকামীদের বিয়েকে বৈধতা দেয়ায় উত্তর অ্যামেরিকার চার্চসমূহের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে এ্যাংলিকান চার্চের আন্তর্জাতিক সংগঠন।
চার্চ অব ইংল্যান্ডের অধীনে থাকা বিশ্বের অন্যান্য চার্চসমূহের সমষ্টিকে এ্যাংলিকান কম্যুনিয়ন বলা হয়।
এ্যাংলিকান কম্যুনিয়ন বলছে, বিয়ে মূলত একজন পুরুষ ও নারীর মধ্যকার বন্ধন। যা কখনোই সম লিঙ্গের মধ্যে হতে পারেনা।
ফলে সমকামী বিয়েকে স্বীকৃতি দিয়ে মানুষের ধর্মবিশ্বাসে আঘাত দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের এ্যাংলিকান চার্চগুলো।
এই নিষেধাজ্ঞার ফলে এখন উত্তর অ্যামেরিকার চার্চগুলো এ্যাংলিকান মতানুসারীদের জীবনযাপনে কোনভাবে আর অংশ নিতে পারবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের এপিসকোপাল বিশপ মাইকেল কারি এই নিষেধাজ্ঞাকে অত্যন্ত বেদনাদায়ক একটি ব্যপার বলে অভিহিত করেছেন।
ব্রিটেনের ক্যান্টরব্যারির আর্চবিশপের আয়োজনে সোমবার শুরু হওয়া ঐ সভায় সারা বিশ্বের মোট ৩৯জন প্রতিনিধি অংশ নেন।
এর আগে সমলিঙ্গের মানুষের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিশ্বের একেক দেশের চার্চের ভিন্ন ভিন্ন অবস্থানের সমালোচনা করে আর্চবিশপের কাছে শতাধিক চিঠি পাঠান বিভিন্ন দেশের ঊর্ধ্বতন এ্যাংলিকান নেতৃবৃন্দ।
ক্যান্টরব্যারি থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, বিয়ে মূলত একজন পুরুষ ও নারীর মধ্যকার বন্ধন।
ফলে সম লিঙ্গের মানুষের মধ্যে হওয়া বিয়েকে স্বীকৃতি দিয়ে মানুষের ধর্মবিশ্বাসে আঘাত দিয়েছে উত্তর অ্যামেরিকার এ্যাংলিকান চার্চগুলো।
এখন এই সাময়িক নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে বিশ্বের এ্যাংলিকান চার্চগুলোর মধ্যে ঐক্য ধরে রাখার একটি প্রচেষ্টা চালিয়েছে চার্চ অব ইংল্যান্ড।
আফ্রিকার অনেক দেশই এ্যাংলিকান চার্চ সমকামী বিয়ের তীব্র বিরোধী।