শুক্রবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০১৬

সমকামী বিয়েকে বৈধতা দেয়ায় চার্চের শাস্তি

anglican_communion_gay
Image captionক্যান্টরব্যারির আর্চবিশপের আয়োজনে সোমবার শুরু হয় বিশেষ সভা
সমকামীদের বিয়েকে বৈধতা দেয়ায় উত্তর অ্যামেরিকার চার্চসমূহের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে এ্যাংলিকান চার্চের আন্তর্জাতিক সংগঠন।
চার্চ অব ইংল্যান্ডের অধীনে থাকা বিশ্বের অন্যান্য চার্চসমূহের সমষ্টিকে এ্যাংলিকান কম্যুনিয়ন বলা হয়।
এ্যাংলিকান কম্যুনিয়ন বলছে, বিয়ে মূলত একজন পুরুষ ও নারীর মধ্যকার বন্ধন। যা কখনোই সম লিঙ্গের মধ্যে হতে পারেনা।
ফলে সমকামী বিয়েকে স্বীকৃতি দিয়ে মানুষের ধর্মবিশ্বাসে আঘাত দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের এ্যাংলিকান চার্চগুলো।
এই নিষেধাজ্ঞার ফলে এখন উত্তর অ্যামেরিকার চার্চগুলো এ্যাংলিকান মতানুসারীদের জীবনযাপনে কোনভাবে আর অংশ নিতে পারবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের এপিসকোপাল বিশপ মাইকেল কারি এই নিষেধাজ্ঞাকে অত্যন্ত বেদনাদায়ক একটি ব্যপার বলে অভিহিত করেছেন।
ব্রিটেনের ক্যান্টরব্যারির আর্চবিশপের আয়োজনে সোমবার শুরু হওয়া ঐ সভায় সারা বিশ্বের মোট ৩৯জন প্রতিনিধি অংশ নেন।
এর আগে সমলিঙ্গের মানুষের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিশ্বের একেক দেশের চার্চের ভিন্ন ভিন্ন অবস্থানের সমালোচনা করে আর্চবিশপের কাছে শতাধিক চিঠি পাঠান বিভিন্ন দেশের ঊর্ধ্বতন এ্যাংলিকান নেতৃবৃন্দ।
ক্যান্টরব্যারি থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, বিয়ে মূলত একজন পুরুষ ও নারীর মধ্যকার বন্ধন।
ফলে সম লিঙ্গের মানুষের মধ্যে হওয়া বিয়েকে স্বীকৃতি দিয়ে মানুষের ধর্মবিশ্বাসে আঘাত দিয়েছে উত্তর অ্যামেরিকার এ্যাংলিকান চার্চগুলো।
এখন এই সাময়িক নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে বিশ্বের এ্যাংলিকান চার্চগুলোর মধ্যে ঐক্য ধরে রাখার একটি প্রচেষ্টা চালিয়েছে চার্চ অব ইংল্যান্ড।
আফ্রিকার অনেক দেশই এ্যাংলিকান চার্চ সমকামী বিয়ের তীব্র বিরোধী।

আমি ৮০০ সন্তানের পিতা’

Image captionএ পর্যন্ত ৮০০জনকে শুক্রাণু দিয়েছেন বলে দাবি সাইমন ওয়াটসনের
যুক্তরাজ্যের বাসিন্দা সাইমন ওয়াটসন দাবি করেছেন, গত দেড় দশকে তিনি অন্তত ৮০০ সন্তানের পিতা হয়েছেন।
৪১ বছর বয়সী পেশাদার শুক্রানুদাতা মি. ওয়াটসন ১৬ বছর ধরে শুক্রাণু দিয়ে আসছেন। তবে এই কাজের জন্য তার কোন লাইসেন্স নেই।
মি. ওয়াটসন বলছেন, এ পর্যন্ত আমি অন্তত ৮০০ সন্তানের পিতা হয়েছি। এভাবে আমি যত বেশি সম্ভব সন্তানের পিতা হতে চাই, যাতে আমার রেকর্ড আর কেউ ভাঙ্গতে না পারে।
প্রতি তিনমাস পরপর নিজের সুস্থতার বিষয়ে তাকে পরীক্ষা করাতে হয়। সেই রিপোর্ট তিনি ইন্টারনেট এবং সামাজিক মাধ্যমে তুলে দেন, যাতে তার ক্লায়েন্ট তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন।
তার বেশিরভাগ ক্লায়েন্ট ইন্টারনেটের মাধ্যমে আসে বলে তিনি জানান।
Image captionশুক্রাণু দেয়ার জন্য ৫০ পাউন্ড করে সার্ভিস চার্জ নেন সাইমন ওয়াটসন
শুক্রাণু দেয়ার জন্য তিনি পঞ্চাশ পাউন্ড করে সার্ভিস চার্জ নেন।
নারীরা তার কাছ থেকে শুক্রাণু সংগ্রহ করে বেসরকারি ক্লিনিকে সন্তান জন্ম দেয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন।
যুক্তরাজ্যে কৃত্রিম গর্ভধারণের বিষয়টি কড়াকড়ি ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এ কারণে অনেকে এই প্রক্রিয়ার দারস্থ হন।
নিয়ম না মেনে সন্তান ধারণে অনেক জটিলতা তৈরি হয়। তা সত্ত্বেও অনেকে সন্তান ধারণের জন্য সাইমন ওয়াটসনের মতো দাতাদের শরণাপন্ন হন।

পশ্চিম আফ্রিকায় আবারও মৃত্যু ইবোলায়

Image copyrightAFP
Image captionইবোলায় আক্রান্ত হয়ে সিয়েরা লিওনেই চার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে
পশ্চিম আফ্রিকাকে ইবোলামুক্ত ঘোষণা করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সিয়েরা লিওনে আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে এই প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে।
রাজধানী ফ্রিটাউনের কর্মকর্তারা বলছেন, উত্তরাঞ্চলীয় একটি জেলায় যে রোগীটির মৃত্যু হয়েছে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষায় নিশ্চিত হয়েছে যে তিনি ইবোলা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গতকাল বৃহস্পতিবারই ঘোষণা করেছিলো যে পশ্চিম আফ্রিকা থেকে ইবোলা ভাইরাসকে নির্মূল করা হয়েছে।
আর সিয়েরা লিওনকে ইবোলামুক্ত ঘোষণা করা হয়েছিলো ৭ই জানুয়ারি।
তবে এই ঘোষণার সময় সংস্থাটির পক্ষ থেকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিলো যে, তার মানে এই নয় যে এখানে আর কেউ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হবে না।
স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মকর্তারা বলছেন, এই ভাইরাস থেকে আক্রান্ত ব্যক্তিকে মুক্ত করা সম্ভব হলেও ইবোলা তার শরীরে আরো কয়েক মাস থেকে যেতে পারে।
কর্মকর্তারা বলছেন, নিহত ব্যক্তির সংস্পর্শে যারা এসেছিলেন তাদেরকে এখন কয়েক সপ্তাহের জন্যে আলাদা করে রাখা হচ্ছে।
এই ভাইরাসে পশ্চিম আফ্রিকার গিনি, লাইবেরিয়া এবং সিয়েরা লিওনে গত দু’বছরে ১১ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
শুধু সিয়েরা লিওনেই নিহত হয়েছে প্রায় চার হাজার মানুষ।

ভারতে গরুর মাংস রাখার সন্দেহে ট্রেনে মুসলিম দম্পতির ওপর হামলা

Image copyrightReuters
Image captionভারতে গরুর মাংস খাওয়ার অভিযোগে সম্প্রতি বেশ কয়েকটি হামলার ঘটনা ঘটেছে
ভারতে আবারও গরুর মাংসের জন্য এক দম্পতিকে হেনস্থা করেছে উগ্র হিন্দুত্ববাদী একটি সংগঠন।
মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের ওই মুসলমান দম্পতি অভিযোগ করেছেন, ট্রেনে করে তারা গোমাংস নিয়ে যাচ্ছেন, এই অভিযোগে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়।
এর আগে উত্তরপ্রদেশ রাজ্যে বাড়িতে গোমাংস রাখা আছে এই মিথ্যা রটনা ছড়িয়ে এক মুসলিমকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছিল।
মধ্যপ্রদেশের হারদা জেলার বাসিন্দা নাসিমা বানো আর তার স্বামী মুহম্মদ হুসেইন অভিযোগ করেছেন, গোরক্ষক সমিতি নামের একটি সংগঠনের সদস্যরা গোমাংস খোঁজার নামে তাদেরকে হেনস্থা করেছে।
ওই দম্পতি যখন ট্রেনে করে এক স্টেশন থেকে অন্য জায়গায় যাচ্ছিলেন, তখন খিরকিয়া নামের একটি স্টেশনে ওই হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সদস্যরা উঠে ওই দম্পতিকে বলে যে তাদের কাছে খবর আছে কেউ গোমাংস নিয়ে ট্রেনে উঠেছেন।
তারপর সবার ব্যাগ তল্লাশি শুরু করে তারা। এই দম্পতির ব্যাগও তল্লাশি করা হয়, কিন্তু তারপরেই শুরু হয় হেনস্থা।
মি. হুসেইন বিবিসিকে টেলিফোনে বলেছেন, প্রত্যেক যাত্রীর ব্যাগ বা সুটকেসে তল্লাশি করছিল ওরা। সব মালপত্র বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেওয়া হয়। তার স্ত্রী প্রতিবাদ করতে গেলেই স্ত্রীর হাত ধরে টানতে থাকে অভিযুক্তরা।
তিনি বলেন, ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয় তার স্ত্রীকে। কিছু ব্যাগ বাইরেও ফেলে দেওয়া হয়েছিল।
গোমাংস অবশ্য পায় নি ওই গোরক্ষক সমিতির সদস্যরা।
Image copyrightAFP
Image captionউত্তরপ্রদেশ রাজ্যে বাড়িতে গোমাংস রাখা আছে এই মিথ্যা রটনা ছড়িয়ে এই মুসলিমকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছিল
দেখা যায় যে ওই দম্পতির কাছে যা রয়েছে তা হল মহিষের মাংস।
কিন্তু শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগে পুলিশ ওই সমিতির সদস্যদের গ্রেপ্তার করেছে।
হারদার পুলিশ সুপারিন্টেনডেন্ট রামবাবু শর্মা বিবিসিকে বলেন, কুশীনগর এক্সপ্রেসে কিছু মাংস আটক করা হয়েছিল আর তা নিয়ে বিবাদ শুরু হয়।
তিনি জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরেই পুলিশ বেশ কয়েকজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে এলাকায় কোনও সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা নেই এই ব্যাপার নিয়ে।
ভারতে গত কয়েক মাস ধরেই গোমাংস নিয়ে নতুন করে বিবাদ সৃষ্টি করেছে উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো।
বাড়িতে গোমাংস রয়েছে, এই খবর রটিয়ে দিয়ে উত্তরপ্রদেশের দাদরিতে এক মুসলমান ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
এই ঘটনা চূড়ান্ত ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার পরিবেশ তৈরি করেছে – এই অভিযোগ তুলে দেশের বহু কবি, সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবী তাদের সরকারি পুরস্কার ফিরিয়ে দিতে থাকেন।
তবে বুদ্ধিজীবীদের সেই প্রতিবাদে বিশেষ কান না দিয়ে একের পর এক বি জে পি শাসিত বিভিন্ন রাজ্যের সরকারগুলোও গোমাংস বিক্রি ও খাওয়া নিষিদ্ধ করতে থাকে।

খুৎবার বাংলা ও আরবি বক্তব্যে সামঞ্জস্য রাখার উদ্যোগ

Image copyrightBBC Bangla
Image captionমসজিদে নামাজ পড়ছেন মুসুল্লিরা
বাংলাদেশের মসজিদগুলোকে যেন রাজনৈতিক প্রচারণার কাজে ব্যবহার করা না যায়, সেজন্যে নতুন এক উদ্যোগ নিয়েছে সরকারি প্রতিষ্ঠান ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
কর্মকর্তারা বলছেন, কোন কোন মসজিদে জুম্মার নামাজের খুতবার সময় বাংলা বক্তব্যে এমন অনেক রাজনৈতিক বিষয়ের অবতারণা করা হয় যা পরোক্ষভাবে জঙ্গি কার্যক্রমকে উস্কে দিতে পারে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক জানিয়েছেন, এটি বন্ধ করতে এবং খুতবায় আরবিতে দেয়া বক্তব্যের সঙ্গে যেন বাংলায় দেয়া বক্তব্যের মিল থাকে, সেটি নিশ্চিত করতে তারা সামনের মাস থেকে ইমামদের প্রশিক্ষণ দেবেন।
সাধারণত জুম্মার নামাজের সময় খতিবরা প্রথমে বাংলায় বক্তব্য দেন। এ বক্তব্য খানিকটা দীর্ঘ হয়। এরপর আরবিতে কম সময়ে খুৎবা পড়া হয়।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক শামীম মো: আফজাল বলছেন,বাংলা বক্তব্যের সময় অনেক সময় রাজনৈতিক প্রসঙ্গ টানা হয়।
মি: আফজাল বলেন, “খতিবরা বাংলায় যে ওয়াজ করেন সেখানে যেন তারা আরবি খুৎবার সারমর্মটি বলেন। মসজিদ আল্লাহর ঘর। সেখানে কোরান-হাদিসের পরিপন্থী অথবা কোন রাজনৈতিক দলের কথাবার্তা মসজিদে যেন ওনারা না করেন।”
সেজন্য খতিবদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে বলে জানালেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক। এজন্য এরই মধ্যে একটি খতিব কাউন্সিল গঠন করা হয়েছে।
খুৎবা যেন আরবিতে দেয়া হয় সেজন্য আগামী মাস থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
মি: আফজাল বলেন , “আমাদের দেশের হাজার বছরের রীতি খুৎবা আরবিতে দিতে হবে। এটাই আমরা মনে করি উত্তম। খুৎবাতে কোরানের আয়াত থাকে, হাদিসের আয়াত থাকে। এবং কোরান হাদিসের আলোকেই সামাজিক সমস্যাগুলো তুলে ধরে।”
Image captionএকটি মসজিদে নামাজের দৃশ্য
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের হিসেব অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রায় তিন লক্ষ মসজিদ আছে। সব মসজিদের খতিব এবং ইমামদের চিন্তা এবং দৃষ্টিভঙ্গি একরকম নয়। ইসলামের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে।
ঢাকার একটি মসজিদের ইমাম মুফতি তানঈম হাসান মাহমুদী বলেন, তিনি আরবি খুৎবার সাথে বাংলা বক্তব্যের সামঞ্জস্য রেখে সেটিকে উপস্থাপন করেন।
মি: মাহমুদী বলেন,“আমরা বাংলা যে বয়ানটা করি সেটাকে হুবহু আরবি খুৎবায় বলি। হাদিসের রেফারেন্স ছাড়া কোন কথা হয়না।”
তিনি উল্লেখ করেন, বাংলা খুৎবায় বাড়তি কিছু বলা হয় না।
মি: মাহমুদী বলেন, “ যেহেতু বাংলায় সময় একটু বেশি সেজন্য বুঝিয়ে বলার জন্য বিভিন্ন উদাহরণ আসে। কিন্তু এর মূল কথাটা আরবির মধ্যে চলে আসে। ”
খতিবরা যাতে জঙ্গি কার্যক্রমের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালায় সেজন্য সরকারের তরফ থেকে তাদের আহবান করা হয়েছে।
দেশের মসজিদগুলোতে ইমাম এবং খতিবরা কি ধরনের বক্তব্য রাখছেন সে বিষয়ে খোঁজ-খবর রাখছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
মি: আফজাল বলেন , “ আমি ৬০ হাজার ওলামাকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকি। প্রতিটি ইউনিয়নে আমার আট থেকে ১২ জন ইমাম এবং ধর্ম শিক্ষক আছেন। তাদের মাধ্যমে আমার একটা নেটওয়ার্ক আছে।”
এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে তিনি দেশের প্রত্যন্ত এলাকার মসজিদগুলো সম্পর্কে খোঁজ-খবর রাখেন বলে উল্লেখ করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক।

পাকিস্তানি নারীর সাথে দেখা করতে গিয়ে আটক ভারতীয় যুবক


Image copyrightROBIN SINGH
Image captionভারত ও পাকিস্তানের সীমান্ত

ভারতের মুম্বই থেকে তিন বছর আগে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া এক ইঞ্জিনিয়ারকে খুঁজে পাওয়া গেছে পাকিস্তানের জেলে।
পাকিস্তান সেনাবাহিনী সেদেশের একটি আদালতে তার বিচার করছে।
নেহাদ হামিদ আনসারি নামের ওই যুবকের পরিবার জানিয়েছেন, তারা নিশ্চিত হয়েছেন যে তাদের ছেলে বেঁচে রয়েছে পাকিস্তানে।
তবে জিনাত শেহজাদী নামের যে পাকিস্তানি নারী সাংবাদিক মি. আনসারির খোঁজ করছিলেন,তাকে গত বছরের অগাস্ট মাস থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
মুম্বইতে নেহাদ আনসারির মা ফৌজিয়া আনসারি জানিয়েছেন, “নেহালকে খুঁজে পাওয়া গেছে জেনে যে কি ভাল লাগছে আমাদের! তবে একইসঙ্গে মেয়ের মতো জিনাতকেও যদি তার মা ফিরে পেতেন!”
নেহাদ আনসারির পরিবার সূত্রে জানা গেছে ওই যুবক ইঞ্জিনিয়ার আফগানিস্তানে গিয়েছিলেন কাজের সূত্রে।
সেখান থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে পাকিস্তানের কোহাট প্রদেশের এক নারীর সঙ্গে আলাপ হয় নেহাদের।
তারপর সীমান্ত পেরিয়ে তিনি ওই নারীর সঙ্গে দেখা করতে কোহাটের একটি হোটেলে উঠেছিলেন।
সেখান থেকেই সেনা ও গোয়েন্দারা গ্রেপ্তার করেন নেহাদকে।
তারপর থেকেই তার পরিবারের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ হয় নি।
নেহাদের পরিবার পুলিশ ও আফগানিস্তানের দূতাবাসে আবেদন করেছিলেন।
তিনি যে এক পাকিস্তানী নারীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন, সেটা জানা যায় তার সামাজিক যোগাযোগ রক্ষাকারী সাইটগুলিতে খোঁজ চালিয়ে।
তারপরেই পাকিস্তানের আদালতে ছেলের খোঁজ চেয়ে আবেদন করেন মিসেস আনসারি।
বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে যে নেহাদ তাদের হেফাজতে আছেন এবং সেনা আদালতে তার বিচার হবে।
ওই মামলাটির ১৮ মাস ধরে শুনানি হওয়ার পরে সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে নেহাদের হেফাজতে থাকার কথা স্বীকার করল।
তবে ঠিক কী অভিযোগে নেহাদ হামিদ আনসারির বিচার চলছে, তা পরিবারের কাছে স্পষ্ট নয়।