সোমবার, ৪ জানুয়ারী, ২০১৬

পাঠানকোটে এখনো চলছে বন্দুক যুদ্ধ

 

pathankoteImage copyrightAFP
Image captionআশপাশে ব্যাপক এলাকা জুড়ে তল্লাসি চলছে।
ভারতের পাঠানকোটে বিমানবাহিনীর ঘাঁটিতে একদল বন্দুকধারীর আক্রমণের ৪৮ ঘণ্টা পরও লুকিয়ে থাকা সশস্ত্র ব্যক্তিদের সাথে এখনো বন্দুকযুদ্ধ চলছে।
ভারতের স্বরাষ্ট্র সচিব রাজিভ মেহরিশি জানিয়েছে দুজন সশস্ত্র ব্যক্তি এখনো লুকিয়ে রয়েছেন।
আশপাশে ব্যাপক এলাকা জুড়ে তল্লাসি চলছে।
ভারতের কর্মকর্তার বলছেন, আক্রমণের ধরন দেখে তাদের পাকিস্তান ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠনের কথা মনে হচ্ছে।
পাঠানকোটের ওই ঘাঁটিটি পাকিস্তান সীমান্ত থেকে বেশি দূরে নয়।
তবে হামলার দায় এখনো কেউ স্বীকার করে নি।
বিমানঘাঁটিতে ঐ ঘটনায় সাতজন ভারতীয় সেনা এবং চারজন হামলাকারী নিহত হয়েছে।
মাত্র কদিন আগেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রো সিং অনেকটা হটাৎ করে পাকিস্তানে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নেওয়াজ শরীফের সাথে সাক্ষাত করেন।
সেই পটভূমিতে ঘটলো এই হামলার ঘটনা।

কে এই ডোনাল্ড ট্রাম্প

 

donald trumpImage copyrightAP
Image captionবিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে প্রায়ই আলোচিত হন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ইদানীং বিতর্কের রাজা বলে খেতাব পেয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তার জন্ম নিউ ইয়র্কে ১৯৪৬ সালে। বাবা ছিলেন রিয়াল এস্টেট ব্যবসায়ী।
তিনি নিজেও এই খাতে সফল। কিন্তু তার রয়েছে হরেক রকম পরিচয়।
ব্যবসায়ী ছাড়াও তিনি মিস ইউনিভার্সের স্পন্সর ছিলেন দীর্ঘদিন।
তাতে তার নামযশ অর্থ বিত্ত হয়েছে অনেক।
এপ্রেনটিস্ট নামের একটি রিয়ালিটি টিভি অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ছিলেন।
রেসলিং ম্যাচ উপস্থাপনা করেছেন।
বেশ কবার নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করেছেন।
trump fansImage copyrightAP
Image captionতার বেশ সমর্থকও জুটেছে যুক্তরাষ্ট্রে।
কিন্তু আবার উঠে দাঁড়িয়েছেন। মামলা ঠুকেছেন এবং মামলা খেয়েছেন।
এখন তার রয়েছে ৫৮ তলা একটি ভবন, স্পোর্টস ক্লাব, শেয়ার বাজারে পুঁজি।
সবমিলিয়ে ৯ শত কোটি ডলার সমপরিমাণ সম্পদের মালিক।
রাজনীতিতে তার কোন অভিজ্ঞতাই নেই।
কিন্তু তবুও যুক্তরাষ্ট্রের এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বলা হয় নিজের সম্পর্কে প্রচার তিনি খুব ভালভাবে করেন।
তাই পাচ্ছেন সেলেব্রিটির মতো মনোযোগ। তবে সেই মনোযোগের সবটাই সুখের নয়।
সে দেশে মুসলিম দের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা উচিত এমন বক্তব্য দিয়ে হাততালি যেমন পেয়েছেন আবার ব্যাপক সমালোচিতও হয়েছেন।
সম্প্রতি সোমালিয়ার জিহাদি গোষ্ঠী আল-শাবাব তাদের একটি প্রচারণামুলক তথ্যচিত্রে ট্রাম্পের এই বক্তব্য জুড়ে দেয়।
এর পরও পিছু হটেন নি তিনি।
trump towerImage copyrightBin im Garten.Wikimedia Commons
Image captionডোনাল্ড ট্রাম্পের বহুতল ভবন ট্রাম্প টাওয়ার।
বরং উল্টো বলেছেন, দেশের জনগণ তার এই সাহসিকতার জন্য প্রশংসা করছে কারণ, তার ভাষায়, সমস্যাটিকে অনেকেই এড়িয়ে গেছেন।
প্রতিবন্ধী এক সাংবাদিককে ব্যঙ্গ করে সমালোচিত হয়েছেন।
রিপাবলিকান দলের এক নারী রাজনীতিবিদকে কুৎসিত বলেছেন আবার সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের সাথে ঝগড়া করেছেন।
প্রায় নিয়মিতই এরকম নানান বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে আলোচিত এবং সমালোচিত এমনকি অনেকের হাসির খোরাকও হচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মার্কিন কমেডিয়ানরা নিয়মিত তাকে নিয়ে ঠাট্টা করে।
এর আগে বেশ কবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।
কিন্তু কখনোই শেষ পর্যন্ত দাঁড়ানো হয়নি। তবে এবার বেশ শক্তভাবে এগুচ্ছেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন ক্ষমতা আর প্রচারে ব্যাপক আগ্রহী ট্রাম্প অনেকটাই আত্মপ্রেমী।
সেখান থেকেই হয়ত তার প্রেসিডেন্ট হবার স্বপ্ন।

আইএস-এর নতুন জিহাদি জন?

 

আইএস-এর ভিডিওতে মুখোশ পরা নতুন মুখপাত্র।Image copyrightisis video
Image captionআইএস-এর ভিডিওতে মুখোশ পরা নতুন মুখপাত্র।
ব্রিটেনের নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এখন ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর একটি নতুন ভিডিও পরীক্ষা করে দেখছে যেখানে মুখোশ পর এক বালককে দেখা গিয়েছে যে ব্রিটিশ ইংরেজি উচ্চারণে কথা বলছে।
এই ভিডিওতে জাম্প-সুট পর পাঁচ ব্যক্তিকে কোন এক অজ্ঞাত মরুভূমিকে গুলি করে হত্যা করার দৃশ্য দেখানো হয়েছে।
আই-এস অভিযোগ করছে, এরা ব্রিটেনের হয়ে গুপ্তচরের কাজ করছিলেন বলেই এদের হত্যা করা হলো।
এই হত্যাকাণ্ডের পর ঐ ভিডিওতে আনুমানিক ৬/৭ বছর বয়সী ছেলেটিকে দেখা যায় অস্ত্র হাতে নিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনকে বিদ্রূপ করে কথা বলছে এবং ব্রিটেন দখল করার হুমকি দিচ্ছে।
আই-এস এর আগেও এধরনের হত্যার ভিডিও প্রকাশ করেছে, এবং জিহাদি জন নামে পরিচিত ব্রিটিশ নাগরিক মোহাম্মদ এমওয়াজিকে এসব ভিডিওতে অংশ নিতে দেখা গিয়েছে।
বিবিসির মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সম্পাদক অ্যালান জনস্টন বলছেন, নতুন এই ভিডিওতে জিহাদি জনের জায়গায় আই-এস এর মুখপাত্র হিসেবে আরেকজন আসছেন বলেই মনে হচ্ছে।
তিনি বলেন,``মুখোশ পরা এই জঙ্গি অন্তত ব্রিটিশ টেলিভিশন দর্শকদের কাছে আই-এস-এর নতুন মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত হতে যাচ্ছে।``
রাকায় আইএস যোদ্ধাদের শক্তি মহড়া।
Image captionরাকায় আইএস যোদ্ধাদের শক্তি মহড়া।
বিবিসির নিরাপত্তা বিষয়ক সংবাদদাতা গর্ডন ক্যারেরা বলছেন, জিহাদি জন নামে পরিচিত মোহাম্মদ এমওয়াজি ড্রোন হামলায় নিহত হয়েছেন দু`মাসেরও কম সময় আগে।
গোয়েন্দা সূত্রগুলো তার অবস্থান সিরিয়ার রাকায় নিশ্চিত করার পর তার ওপর এই হামলা চালানো হয়।
তিনি বলেন, সর্বশেষ ভিডিওতে এসব কথিত গুপ্তচরের হত্যার মধ্য দিয়ে এটা বোঝা যাচ্ছে যে আই এস-এর বিরুদ্ধে যারা তথ্য জোগান দিচ্ছেন আই-এস এখন তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।

সেল্‌ফি তুলে ধরা খেল আমেরিকান ডাকাত

 

বেশি বেশি সেল্‌ফি তোলা মানসিক রোগ কিনা তা ভাবিয়ে তুলেছে বিজ্ঞানীদের।Image copyrightAFP
Image captionবেশি বেশি সেল্‌ফি তোলা মানসিক রোগ কিনা তা ভাবিয়ে তুলেছে বিজ্ঞানীদের।
সেল্‌ফি তোলার নেশা কী বাস্তব বোধকে হার মানাতে পারে? এমনটাই ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের এক ডাকাতের ভাগ্যে।
ক্যালিফোর্নিয়ার পুলিশ বলছে, এক সশস্ত্র ডাকাতির মামলায় তারা এক সন্দেহভাজনকে আটক করেছে তার সেল্‌ফির ছবি দেখে।
তারা বলছে, ১৮-বছর বয়সী ভিক্টর আলমাঞ্জা মার্টিনেজের বিরুদ্ধে অভিযোগ গত সপ্তাহে সে একটি গাড়িতে ডাকাতি করে।
অস্ত্রে মুখে সে চার জন আরোহীর মূল্যবান ব্যক্তিগত জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয় এবং গাড়িটি কেড়ে নেয়।
তবে ব্যাপারটা সেখানেই থেমে থাকেনি।
গাড়ি চালিয়ে চলে যাবার আগে সে বিপর্যস্ত যাত্রীদের একজনের সাথে একটি সেল্‌ফিও তোলে।
আর সেটাই হয় তার কাল।
পুলিশ সেল্‌ফির ছবি দেখে তাকে শেষ পর্যন্ত শনাক্ত করে এবং ডাকাতি ও অপহরণের অভিযোগে তাকে আটক করে।

‘ভূমিকম্পে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হবে ঢাকা’

 

Image captionবড় ভূমিকম্পে ঢাকায় হাইতির পোর্ট অ প্রিন্সের মতো ভয়াবহ পরিস্থিতি হতে পারে।
বাংলাদেশে ঢাকার আশপাশের কোন জেলাতেই যদি সাত মাত্রার কোন ভূমিকম্প হয় তাহলে তা হবে শহরটির জন্য একটি বিশাল বিপর্যয়।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করছে এমন একটি সরকারি প্রকল্প কমপ্রিহেনসিভ ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রামের পরিচালক মোঃ আব্দুল কাইউম বলছেন, তারা এই প্রকল্পের অধীনে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট সহ নটি বড় শহরের ঝুঁকি নির্ণয় করেছেন।
ঢাকার পাশে মধুপুরকে একটি ভূমিকম্প ঝুঁকি এলাকা মনে করা হয়।
সেখানে সাত বা সাড়ে সাত মাত্রার কোন ভূমিকম্প হলেই ঢাকার সাড়ে তিন লক্ষ ভবনের মধ্যে ৭০ হাজারের মতো ভবন ধসে পড়বে বা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
আর তাতে ২০১০ সালে হাইতির পোর্ট অ প্রিন্সে ভূমিকম্পের পর যে ধরনের ধসের চিত্র দেখা গেছে ঢাকাতেও একই ভয়াবহ অবস্থা হবে।
এধরনের কোনও বিপর্যয় হলে ঢাকায় লোকজনকে সরিয়ে নেয়ার কোন যায়গা নেই।
হাসপাতালগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হলে ফিল্ড পর্যায়ে অস্থায়ী চিকিৎসা কেন্দ্র তৈরির কোন যায়গা থাকবে না।
মি কাইউম আরো বলছেন, ঢাকায় সম্ভাব্য কোনো পরিস্থিতি সামাল দিতে সেচ্ছাসেবী তৈরি করা ছাড়া উপায় নেই।
সেরকম ৬২ হাজার সেচ্ছাসেবী তৈরি করার উদ্যোগ নেয়া হলেও তার অর্ধেকই হয়নি।
তিনি উদাহরণ হিসেবে রানা প্লাজা ধসের ঘটনা উল্লেখ করে বলেন সেখানে স্বেচ্ছাসেবীরাই অনেক উদ্ধার কাজ করেছে।

ইরানের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ আরো ৩টি দেশের

 

সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল-জুবেইর ইরানের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক পদক্ষেপের ঘোষনা করছেন।
Image captionসৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল-জুবেইর ইরানের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক পদক্ষেপের ঘোষনা করছেন।
সৌদি আরবে প্রখ্যাত এক শিয়া নেতার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পর ইরাকে সোমবার একজন সুন্নি ইমামকে হত্যা করা হয়েছে, হামলা চালানো হয়েছে সুন্নিদের দুটো মসজিদে।
ধারণা করা হচ্ছে, শিয়া নেতার মৃত্যুদণ্ডের প্রতিশোধ হিসেবেই এসব হামলা হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ঘটনার জেরে সৌদি আরব ইরানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার পর সোমবার আরো তিনটি দেশ -- বাহরাইন, সুদান এবং সংযুক্ত আরব আমীরাতও ইরানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্কচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেছে।
সন্ত্রাসী তৎপরতার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে সৌদি আরবে শনিবার ৪৭ ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
এদের মধ্যে একজন ছিলেন শিয়া নেতা শেখ নিমর আল-নিমর।
সৌদি আরবে শেখ আল-নিমরের মৃত্যুদন্ড লেবানন থেকে ইরান পর্যন্ত বিভিন্ন দেশে শিয়া জনগোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে উত্তপ্ত বিবৃতি বিনিময়ের পর শনিবারই তেহরানে সৌদি দূতাবাস আক্রান্ত হয়।
আর এখন এরই জের ধরে ইরানের সাথে একাধিক দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে।
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন ইরান পুরো অঞ্চল জুড়ে সন্ত্রাসী চক্রগুলোকে অস্ত্র দিচ্ছে।
এর জবাব হিসেবেই সৌদি সরকার ইরানের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে তার সব কূটনীতিককে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সৌদি আরব ছাড়তে বলেছে।
শেখ আল-নমিরের হত্যার প্রতিবাদে তেহ্‌রানে বিক্ষোভ।Image copyrightAPTN
Image captionশেখ আল-নমিরের হত্যার প্রতিবাদে তেহ্‌রানে বিক্ষোভ।
সৌদি আরব হচ্ছে এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় সু্ন্নি শক্তি।
এর পর দেখা যাচ্ছে যে তারই পথ ধরে বাহ্‌রাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সুদান ইরানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুরোপুরি বা আংশিকভাবে ছিন্ন করছে।
স্পষ্টতই এই সংঘাতে এই দেশগুলো সৌদি সরকারের পথকেই অনুসরণ করছে।
তেহ্‌রান কর্তৃপক্ষ অবশ্য সবাইকে উত্তেজনা হ্রাসে পদক্ষেপ নিতে বলেছে এবং তাদের পাল্টা অভিযোগ সৌদি আরবের পদক্ষেপ ঐ অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়িয়ে দিয়েছে।