ব্রিটেনের নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এখন ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর একটি নতুন ভিডিও পরীক্ষা করে দেখছে যেখানে মুখোশ পর এক বালককে দেখা গিয়েছে যে ব্রিটিশ ইংরেজি উচ্চারণে কথা বলছে।
এই ভিডিওতে জাম্প-সুট পর পাঁচ ব্যক্তিকে কোন এক অজ্ঞাত মরুভূমিকে গুলি করে হত্যা করার দৃশ্য দেখানো হয়েছে।
আই-এস অভিযোগ করছে, এরা ব্রিটেনের হয়ে গুপ্তচরের কাজ করছিলেন বলেই এদের হত্যা করা হলো।
এই হত্যাকাণ্ডের পর ঐ ভিডিওতে আনুমানিক ৬/৭ বছর বয়সী ছেলেটিকে দেখা যায় অস্ত্র হাতে নিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনকে বিদ্রূপ করে কথা বলছে এবং ব্রিটেন দখল করার হুমকি দিচ্ছে।
আই-এস এর আগেও এধরনের হত্যার ভিডিও প্রকাশ করেছে, এবং জিহাদি জন নামে পরিচিত ব্রিটিশ নাগরিক মোহাম্মদ এমওয়াজিকে এসব ভিডিওতে অংশ নিতে দেখা গিয়েছে।
বিবিসির মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সম্পাদক অ্যালান জনস্টন বলছেন, নতুন এই ভিডিওতে জিহাদি জনের জায়গায় আই-এস এর মুখপাত্র হিসেবে আরেকজন আসছেন বলেই মনে হচ্ছে।
তিনি বলেন,``মুখোশ পরা এই জঙ্গি অন্তত ব্রিটিশ টেলিভিশন দর্শকদের কাছে আই-এস-এর নতুন মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত হতে যাচ্ছে।``
বিবিসির নিরাপত্তা বিষয়ক সংবাদদাতা গর্ডন ক্যারেরা বলছেন, জিহাদি জন নামে পরিচিত মোহাম্মদ এমওয়াজি ড্রোন হামলায় নিহত হয়েছেন দু`মাসেরও কম সময় আগে।
গোয়েন্দা সূত্রগুলো তার অবস্থান সিরিয়ার রাকায় নিশ্চিত করার পর তার ওপর এই হামলা চালানো হয়।
তিনি বলেন, সর্বশেষ ভিডিওতে এসব কথিত গুপ্তচরের হত্যার মধ্য দিয়ে এটা বোঝা যাচ্ছে যে আই এস-এর বিরুদ্ধে যারা তথ্য জোগান দিচ্ছেন আই-এস এখন তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।
বাংলাদেশে ঢাকার আশপাশের কোন জেলাতেই যদি সাত মাত্রার কোন ভূমিকম্প হয় তাহলে তা হবে শহরটির জন্য একটি বিশাল বিপর্যয়।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করছে এমন একটি সরকারি প্রকল্প কমপ্রিহেনসিভ ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রামের পরিচালক মোঃ আব্দুল কাইউম বলছেন, তারা এই প্রকল্পের অধীনে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট সহ নটি বড় শহরের ঝুঁকি নির্ণয় করেছেন।
ঢাকার পাশে মধুপুরকে একটি ভূমিকম্প ঝুঁকি এলাকা মনে করা হয়।
সেখানে সাত বা সাড়ে সাত মাত্রার কোন ভূমিকম্প হলেই ঢাকার সাড়ে তিন লক্ষ ভবনের মধ্যে ৭০ হাজারের মতো ভবন ধসে পড়বে বা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
আর তাতে ২০১০ সালে হাইতির পোর্ট অ প্রিন্সে ভূমিকম্পের পর যে ধরনের ধসের চিত্র দেখা গেছে ঢাকাতেও একই ভয়াবহ অবস্থা হবে।
এধরনের কোনও বিপর্যয় হলে ঢাকায় লোকজনকে সরিয়ে নেয়ার কোন যায়গা নেই।
হাসপাতালগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হলে ফিল্ড পর্যায়ে অস্থায়ী চিকিৎসা কেন্দ্র তৈরির কোন যায়গা থাকবে না।
মি কাইউম আরো বলছেন, ঢাকায় সম্ভাব্য কোনো পরিস্থিতি সামাল দিতে সেচ্ছাসেবী তৈরি করা ছাড়া উপায় নেই।
সেরকম ৬২ হাজার সেচ্ছাসেবী তৈরি করার উদ্যোগ নেয়া হলেও তার অর্ধেকই হয়নি।
তিনি উদাহরণ হিসেবে রানা প্লাজা ধসের ঘটনা উল্লেখ করে বলেন সেখানে স্বেচ্ছাসেবীরাই অনেক উদ্ধার কাজ করেছে।
সৌদি আরবে প্রখ্যাত এক শিয়া নেতার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পর ইরাকে সোমবার একজন সুন্নি ইমামকে হত্যা করা হয়েছে, হামলা চালানো হয়েছে সুন্নিদের দুটো মসজিদে।
ধারণা করা হচ্ছে, শিয়া নেতার মৃত্যুদণ্ডের প্রতিশোধ হিসেবেই এসব হামলা হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ঘটনার জেরে সৌদি আরব ইরানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার পর সোমবার আরো তিনটি দেশ -- বাহরাইন, সুদান এবং সংযুক্ত আরব আমীরাতও ইরানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্কচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেছে।
সন্ত্রাসী তৎপরতার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে সৌদি আরবে শনিবার ৪৭ ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
এদের মধ্যে একজন ছিলেন শিয়া নেতা শেখ নিমর আল-নিমর।
সৌদি আরবে শেখ আল-নিমরের মৃত্যুদন্ড লেবানন থেকে ইরান পর্যন্ত বিভিন্ন দেশে শিয়া জনগোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে উত্তপ্ত বিবৃতি বিনিময়ের পর শনিবারই তেহরানে সৌদি দূতাবাস আক্রান্ত হয়।
আর এখন এরই জের ধরে ইরানের সাথে একাধিক দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে।
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন ইরান পুরো অঞ্চল জুড়ে সন্ত্রাসী চক্রগুলোকে অস্ত্র দিচ্ছে।
এর জবাব হিসেবেই সৌদি সরকার ইরানের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে তার সব কূটনীতিককে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সৌদি আরব ছাড়তে বলেছে।
সৌদি আরব হচ্ছে এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় সু্ন্নি শক্তি।
এর পর দেখা যাচ্ছে যে তারই পথ ধরে বাহ্রাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সুদান ইরানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুরোপুরি বা আংশিকভাবে ছিন্ন করছে।
স্পষ্টতই এই সংঘাতে এই দেশগুলো সৌদি সরকারের পথকেই অনুসরণ করছে।
তেহ্রান কর্তৃপক্ষ অবশ্য সবাইকে উত্তেজনা হ্রাসে পদক্ষেপ নিতে বলেছে এবং তাদের পাল্টা অভিযোগ সৌদি আরবের পদক্ষেপ ঐ অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়িয়ে দিয়েছে।