বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা রপ্তানির ক্ষেত্রে বড় প্রশ্নবোধক চিহ্ন

    বাংলাদেশ সহিংসতা বাংলাদেশে রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বলে ব্যবসায়ীরা অনেক দিন ধরে অভিযোগ করছেন - ফাইল ছবি      
          
বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা একটি বড় প্রশ্নবোধক চিহ্ন হয়ে রয়েছে বলে মনে করেন এই শিল্পের মালিকরা।
২০২১ সালের মধ্যে রপ্তানি আয় পাঁচ হাজার কোটি মার্কিন ডলারে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে তৈরি করা এক রোডম্যাপ প্রকাশের পর তাঁরা এ কথা বলেছেন।
তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ এই রোডম্যাপটি তৈরি করেছে।
এতে বলা হয়, এই লক্ষ্য অর্জন করতে হলে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং যোগাযোগ অবকাঠামোয় দ্রুত বড় ধরণের অগ্রগতি ঘটাতে হবে।
বিজিএমইএ’র বিদায়ী সভাপতি আতিকুল ইসলাম বিবিসিকে বলেন যে গত বছর ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছরে ৫০ বিলিয়ন ডলার’ আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করার পরপরই রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দেয়।
একটি কারখানা
                 বাংলাদেশের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করছেন শ্রমিকরা - ফাইল ছবি
এর ফলে বাংলাদেশের যে ইমেজ সংকট হয়েছে, সেখান থেকে উত্তরণ প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।
মি. ইসলাম বলেন, ৫০ বিলিয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে ব্যাংকের সুদের হার, পণ্য বহুমুখীকরণ, জ্বালানী সরবরাহ – এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে।
তিনি বলেন, গত ১০ বছরে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে গড়ে ১৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে, আর ৫০ বিলিয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে প্রবৃদ্ধি হতে হবে বছরে ১১ শতাংশ হারে।
তবে অটোমেটিক বলে কিছু নেই, ঘুমিয়ে থাকলে এই প্রবৃদ্ধি অর্জন করা যাবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।

টেক্সাস স্কুল ছাড়লো ঘড়ি বানিয়ে গ্রেফতার হওয়া আহমেদ

    আহমেদ মোহামেদ  স্কুল বালক আহমেদ মোহামেদ পিতার পাশে দাড়িয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন - ফাইল ছবি            
    
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে মুসলিম যে বালকটি তাঁর বানানো একটি ঘড়ি স্কুলে নিয়ে যাওয়ার পর গ্রেফতার হয়েছিল, সেই বালকের পরিবার তাকে স্কুলটি থেকে ছাড়িয়ে নিয়েছে।
ঐ ঘড়িটিকে বোমা বলে মনে করার পর আহমেদ মোহামেদকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
তার পিতা মোহামেদ এল-হাসান মোহামেদ বলেন যে তিনি তাঁর সব সন্তানকে ঐ এলাকার স্কুল থেকে সরিয়ে নিয়েছেন।
তাঁর মতে, গ্রেফতারের ঘটনা আহমেদের উপরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলেছে।
আহমেদের গ্রেফতারের ঘটনা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ খুব দ্রুত প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।
আহমেদ মোহামেদ                 যে ঘড়ি নিয়ে এত হৈচে - ফাইল ছবি                

টেক্সাসের আরভিংয়ে ম্যাকআরথার স্কুলে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
মি. মোহামেদ বলেন, আহমেদ ম্যাকআরথার স্কুলে ফিরে যেতে চায় না। বাচ্চারা আর সেখানে সুখী নয়।
তিনি আরো জানান যে আহমেদ বেশ কিছু স্কুল থেকে ভর্তি হওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছে, তবে একটি সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে তিনি আরো সময় নিতে চান।
বুধবারে পুরো পরিবার নিউইয়র্কে যাচ্ছে, কারণ জাতিসংঘের বেশ কিছু গণ্যমান্য ব্যক্তি আহমেদের সঙ্গে দেখা করতে আগ্রহী।
আহমেদ                           
                 ঘরে বানানো ঘড়িকে বোমা মনে করার পর আহমেদকে গ্রেফতার করা হয় - ফাইল ছবি

এরপর আহমেদের পিতা তাকে নিয়ে সৌদি আরবের মক্কায় যাওয়ার আশা করছেন।
মি. মোহামেদ বলেন, আমি আল্লাহর কাছে প্রার্থণা করবো যাতে তিনি সহায় হোন।
ফিরে আসার পর তাদের পরিকল্পনা হলো হোয়াইট হাউজে গিয়ে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে সাক্ষাৎ করা।
গত সপ্তাহে আহমেদ জানায় যে সে স্কুল পরিবর্তন করতে চায়, কারন তার শিক্ষক তার বানানো ঘড়িটিকে একটি হুমকি হিসেবে নেয়ার বিষয়টিতে সে খুবই দুঃখ পেয়েছে।
 
BBC BANGLA

"বিনাশর্তে পাকিস্তান যাবে বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটাররা"

    ক্রিকেট দল   বাংলাদেশের জাতীয় নারী ক্রিকেট দল - ফাইল ছবি               
 
নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা থাকলেও বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট দলকে পাকিস্তান সফরের অনুমতি দিয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার বিবিসি বাংলাকে বলেছেন যে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার নিশ্চয়তা পাওয়ার পরই কেবল নারী ক্রিকেটারদের সে দেশ সফরের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা জানি যে পাকিস্তানের সামগ্রিক অবস্থা ভালো না। কিন্তু তাঁরা আমাদের নিশ্চয়তা দিয়েছে যে ক্রিকেটারদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেয়া হবে।
এরপর সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সফরের অনুমতি দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটারদের এই সফর হবে শর্তবিহীন, অর্থাৎ এর বিনিময়ে বাংলাদেশ কিছু আশা করছে না।
মি. শিকদার বলেন, নারী ক্রিকেটারদের সফরের আমন্ত্রণ পাওয়ার পর বাংলাদেশের একটি নিরাপত্তা দল পাকিস্তান সফর করে সে দেশের ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে নিরাপত্তা নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছে।
তবে নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে আরও আলোচনা হবে বলেও তিনি জানান।
পাকিস্তান নিরাপত্তা                           
পাকিস্তানে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা দীর্ঘদিনের, আর সে কারণে দেশটিতে অনেক দিন কোন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ হয়নি - ফাইল ছবি                
২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের ওপর হামলার পর পাকিস্তানে দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের আয়োজন বন্ধ ছিল।
শেষ পর্যন্ত চলতি বছরেই জিম্বাবোয়ের সফরের মাধ্যমে দেশটিতে আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরে আসে।
তবে ক্রিকেটের বড় ও প্রভাবশালী দেশগুলো এখনো পাকিস্তান সফর করতে চাইছে না।
বাংলাদেশের পুরুষ জাতীয় ক্রিকেট দলকে এর আগে পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ জানানো হলেও নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা থাকার কারণে সেই সফর শেষ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়নি।
ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জানান, নারী ক্রিকেটাররা আগামী ২৭শে সেপ্টেম্বর পাকিস্তানে যাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এই সফরে তাঁরা করাচি ও লাহোরে দুটো একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ এবং দুটো টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবেন।