মঙ্গলবার, ২০ অক্টোবর, ২০১৫

সিরিয়ায় ৪০ আইএস জঙ্গি নিহত

 
 
সিরিয়ায় বিমান হামলায় তথাকথিত ইসলামিক স্টেটের (আইএস) জঙ্গিরাসহ কমপক্ষে ৪০ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক পর্যবেক্ষক সংস্থা দ্য সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস গত রোববার এ কথা জানিয়েছে। খবর এএফপি ও রয়টার্সের।
 
সংস্থাটির প্রধান রামি আবদেল রহমান বলেছেন, মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট নয়, সিরিয়া অথবা রাশিয়া ওই বিমান হামলায় আইএস জঙ্গিরা নিহত হয়েছে। হামলাস্থলে জঙ্গিদের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। সংস্থাটি জানায়, আইএসের রাজধানী বলে পরিচিত রাকা এলাকায় গত শনিবার চালানো ওই হামলায় জঙ্গিরা নিহত হয়।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে দেশটির বার্তা সংস্থা গতকাল সোমবার জানায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশটির বিমানবাহিনী সিরিয়ায় ৩৩টি হামলা পরিচালনা করেছে। এসব হামলায় ৪৯টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা হয়েছে। আলেপ্পো, দামেস্ক, ইদলিব, লাতাকিয়া ও হামায় এসব হামলা চালানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ইদলিব প্রদেশে নুসরা ফ্রন্টের একটি কমান্ড পয়েন্ট ধ্বংস হয়ে গেছে।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর সিরিয়ায় বিমান হামলা চালানো শুরু করে রাশিয়া। আইএসের বিরুদ্ধে এই অভিযান চলছে বলে দাবি মস্কোর।
সিরিয়ার ‘সম্পূর্ণ ধ্বংসযজ্ঞ’ এড়াতে বৈঠক: মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি গতকাল সোমবার মাদ্রিদে সাংবাদিকদের বলেন, সিরিয়ার ‘সম্পূর্ণ ধ্বংসযজ্ঞ’ এড়াতে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করছে। সংঘাতের অবসানে তাঁরা আসন্ন দিনগুলোতে রাশিয়া, সৌদি ও তুরুস্কের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পরিকল্পনা করছেন।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে ইন্টারফ্যাক্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরিয়া সংকট নিয়ে রাশিয়া, সৌদি আরব, তুরস্ক এবং জর্ডানের প্রতিনিধিদের বৈঠকের বিষয়ে জন কেরির প্রস্তাব সম্পর্কে রাশিয়া অবগত। রাশিয়া প্রস্তাবটি বিবেচনা করছে।
‘ভূপাতিত ড্রোনটি (মানুষবিহীন বিমান) রাশিয়ার তৈরি’: গতকাল তুরস্কের একটি সম্প্রচারমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দেশটির প্রধানমন্ত্রী আহমেদ দাভুতগলু বলেছেন, শুক্রবার তুরস্কের বাহিনী তাদের আকাশসীমায় যে ড্রোনটি ভূপাতিত করে, সেটি রাশিয়ার তৈরি। তিনি বলেন, ওই ড্রোনটি সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বাহিনীর, কুর্দি বিদ্রোহীদের অথবা অন্য বাহিনীর হতে পারে।

বিবিসির সাবেক সাংবাদিকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

জ্যাকুলিন সাটনজ্যাকুলিন সাটন

তুরস্কের ইস্তাম্বুলে আতাতুর্ক বিমানবন্দরের শৌচাগার থেকে গত শনিবার বিবিসির সাবেক সাংবাদিক জ্যাকুলিন সাটনের (৫০) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। খবর বিবিসি ও এএফপির।
"যুক্তরাজ্যের নাগরিক সাটন সর্বশেষ বেসরকারি সংস্থা ইনস্টিটিউট ফর ওয়্যার অ্যান্ড পিস রিপোর্টিংয়ের (আইডব্লিউপিআর) ইরাক মিশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বিবিসির প্রতিনিধি বেন আনদো বলেন, সাটন শনিবার লন্ডন থেকে একটি ফ্লাইটে আতাতুর্ক বিমানবন্দরে পৌঁছান। তিনি তাঁর গন্তব্যে যাওয়ার জন্য সংযোগ ফ্লাইটটি ধরতে পারেননি।  যুক্তরাজ্য ও তুরস্কের গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, অর্থ না থাকায় পরে নতুন টিকিটও কিনতে পারেননি সাটন। এ কারণে তিনি হতাশ ছিলেন। গত শনিবার বিমানবন্দরের শৌচাগারে তাঁর ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়।
সাটনের মৃত্যুর ব্যাপারে আইডব্লিউপিআর কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। সাটন জাতিসংঘ ছাড়াও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনে কাজ করেন। ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত বিবিসির ওয়ার্ল্ড সার্ভিসে সাংবাদিকতা করেন তিনি।

মংলা বন্দরে ‘ব্রাজিলের সেই গম’ আবার খালাসের চেষ্টা



 
মংলা বন্দরে সেই গম আবার খালাসের চেষ্টা করা হচ্ছে। খাদ্য বিভাগের ফ্রান্স থেকে আমদানি করা শত কোটি টাকার অধিক মূল্যের ৫২ হাজার ৫শ’ মেট্রিক টন খাবাব অনুপযোগী পোকা ধরা নিম্নমানের গম খালাসের সুযোগের অপেক্ষায় পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ উপকূলে অবস্থান করেছে সাইপ্রাসের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি পিনটেল। সারা দেশে ‘ব্রাজিলের পচা গম’ নিয়ে হৈ-চৈ এর মধ্যে তখন ফ্রান্স থেকে খাদ্য বিভাগের জন্য আনা খাবাব অনুপযোগী পোকা ধরা নিম্নমানের এই গম খালাসে আদালতের নিশেধাজ্ঞা থাকায় আমদানিকারক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ইমপেক্স কনসালটেন্ট লিমিটেড তা চট্টগ্রাম বন্দরে খালাস করতে না পেরে জাহাজটিকে কৌশলে বঙ্গোপসাগরে নিয়ে যায়।
ঢাকার এই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটিকে খাবার অনুপযোগী পোকা ধরা নিম্নমানের এই গম খালাসের জন্য থাকতে হয় সময় ও সুযোগের অপেক্ষায়। তাদের হাতে মোক্ষম সুযোগটি এসে যায় সেপ্টেম্বরের শেষ ও অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে। ওই সময়ে ঢাকা-রংপুরে ইতালী ও জাপানের দুই নাগরিক সন্ত্রাসীদের গুলীতে খুন হলে দেশ-বিদেশে শুরু হয় তোলপাড়। কর্মরত বিদেশীরা বাংলাদেশ ছাড়তে শুরু করে। এই সময়ে চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানিকৃত গম পরীক্ষায় কর্মরত একজন বিদেশী বিশেষজ্ঞ নিরাপত্তাহীনতায় এদেশ ছেড়ে চলে যান। এই সুযোগে আমদানিকারক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ইমপেক্স কনসালটেন্ট লিমিটেড খাদ্য বিভাগ ও চট্টগ্রামের আমদানিকৃত গম খালাস তদারকি কমিটিকে দ্রুত ম্যানেজ করে তাদের পক্ষে পরীক্ষা রিপোর্ট এনে চট্টগ্রাম বন্দরে ৩১ হাজার ৫০ মেট্রিক টন গম খালাস করে।
এর পরই বাধে বিপত্তি। আমদানিকৃত চাল-গমের ৪০ ভাগ মংলা বন্দরে খালাস করতে হবে প্রধানমন্ত্রীর এমন নির্দেশ থাকায় এরপর এই খাবাব অনুপযোগী পোকা ধরা নিম্নমানের অবশিষ্ট ২১ হাজার মেট্রিক টন গম খালাসের জাহাজটিকে ১২ অক্টোবর নিয়ে আসা হয় মংলা বন্দরে। এই বন্দরে আমদানিকৃত গম খালাশ তদারক কমিটি ১৩ অক্টোবর জাহাজে গিয়ে আমদানিকৃত গম পোকায় খাওয়া, পোকাধরাসহ খাবার অনুপোযোগী ও নিম্নমানের দেখতে পায়। নিয়ে আসে পোকায় খাওয়া, পোকা ধরা গমের নমুনা। তদারকি কমিটি ৪৪ কোটি টাকা মূল্যের এই গম গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ফলে বিপাকে পড়ে যায় গম আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ইমপেক্স কনসালটেন্ট লিমিটেড। তারা খাদ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দিয়ে প্রথমে মংলা বন্দর আমদানিকৃত গম খালাশ তদারকি কমিটির সদস্যদের ম্যানেজের চেষ্ট চালায়। আমদানিকৃত গম খালাশ তদারকী কমিটির সদস্যদের বলা হয় চট্টগ্রামে এই গমের পরীক্ষায় রিপোর্ট ভালো এসেছে, সাড়ে একত্রিশ হাজার মেট্রিক টন গম সেখানে খালাসও হয়েছে। তোমাদের এই গম গ্রহণ করতে তো আপত্তি থাকার কথা নয়। এই গম পুনঃপরীক্ষার জন্য নমুনা ঢাকায় পাঠাও। এভাবেই মংলা বন্দর থেকে গম খালাসের চেষ্টা চালাতে থাকে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ইমপেক্স কনসালটেন্ট লিমিটেড। এই গম নিয়ে সংবাদপত্রে রিপোর্ট বেরোবার পর এখনও ওই গম খাদ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে দ্রুত মংলা বন্দর দিয়ে খালাসের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
আমদানিকৃত গম খালাস তদারকি কমিটির আহ্বায়ক খুলনার আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক কাজী নূরুল ইসলাম সোমবার জানান, নিম্নমানের এই গমবাহী জাহাজ এমভি পিনটেল বর্তমানে মংলা বন্দরের অদূরে পশুর নদীর হাড়বাড়িয়ায় অবস্থান করছে। এই জাহাজের খাবার অনুপোযোগী গম কোন অবস্থাতেই গ্রহণ করা হবে না। এই গম মানব দেহের জন্য উপযোগী নয়। তবে এই গম পশু বা মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। জাহাজে থাকা এই গমের মূল্য প্রায় ৪৪ কোটি।
মংলা বন্দর আমদানি গম খালাস তদারকি কমিটির অন্যতম সদস্য ও সিএসডি গোডাউন ম্যানেজার মো. আব্দুল মান্নান তালুকদার জানান, গম ফের পরীক্ষার জন্য নমুনা ঢাকায় পাঠাতে বলা হয়েছে। জাহাজটির স্থানীয় এজেন্ট লিডমন্ড শিপিং এর পরিচালকরাও এই খাবার অনুপোযোগী গম আমদানিকারকদের অংশীদার। তারাও এর সাথে জড়িত। তিনি জানান, জাহাজে থাকা ওই গম পোকায় খাওয়া ও পোকা ধরেছে।
এমভি পিনটেল জাহাজের স্থানীয় এজেন্ট লিডমন্ড শিপিংয়ের পরিচালক আক্তার হোসেন জানান, এতদিন আদালতের নির্দেশ থাকায় আমরা গম খালাস করতে পারিনি। ৬ মাস ধরে গম জাহাজে থাকায় গমে পোকা ধরা বিচিত্র কিছু না। তিনি স্বীকার করেন মংলায় খালাসের অপেক্ষায় থাকা গমের মধ্যে ২/৩ টন গমে পোকা ধরেছে। এ গমে ডাস্ট একটু বেশি, তবে খাবার উপযোগী। ঢাকা থেকে গমের এ নমুনা পরীক্ষায় তার দেয়া তথ্যের সত্যতা মিলবে বলেও তিনি দাবি করেন। এই জাহাজটিতে ১৯ জন ক্রুর মধ্যে বেশির ভাগই জর্জিয়ার নাগরিক বলে জানান।

শেখ আবু সাঈদ, বাগেরহাট : daily sangram

হাতে অতিরিক্ত তিল ক্যান্সারের কারণ?

    হাতে অতিরিক্ত তিল ক্যান্সারের কারণ?                            

গবেষকরা বলছেন, কোন ব্যক্তির ডান হাতে যদি ১১টির বেশি তিল বা আঁচিল থাকলে সেটি ত্বকের ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। শরীরের তুলনায় ডান হাতে বেশি তিল থাকা ত্বকের ক্যান্সারের পূর্ব লক্ষণ।
ব্রিটেনের প্রায় তিন হাজার জনের ওপর সমীক্ষা চালিয়ে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
ব্রিটিশ জার্নাল অব ডার্মাটোলজিতে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনটিতে বলা হচ্ছে, তিল বা আঁচিলের যেকোনো অস্বাভাবিকতাই ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।
গবেষকদের মতে, শরীরে তিল বা আঁচিলের সংখ্যা থেকে ত্বকের ক্যান্সারের বিষয়ে ধারণা করা যায়।
কিংস কলেজ লন্ডনের গবেষকেরা প্রায় আট বছর ধরে নারীদের ওপর গবেষণা চালিয়েছেন এবং সেসব নারীদের ত্বকের ধরন, তিল ও আঁচিলের সংখ্যা সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জোগাড় করেন।
এর পাশাপাশি ত্বকের বিশেষ এক ধরনের ক্যানসার যেটিকে মেলানোমা বলা হয় ওই মেলানোমায় আক্রান্ত চারশোজন নারী ও পুরুষের ওপর গবেষণা চালান গবেষক দল।
গবেষণা ফলাফলে দেখা যায়, যেসব নারীর ডান হাতে সাতটির বেশি তিল বা আঁচিল রয়েছে, তাদের ত্বকের ক্যানসারের ঝুঁকি বেশি।
আর যাদের ডান হাতে ১১টির বেশি তিল বা আঁচিল রয়েছে এবং সারা শরীরে একশোটির বেশি তিল বা আঁচিল রয়েছে, তাদের মেলানোমার ঝুঁকি অনেক বেশি।
গবেষকদের মতে, শরীরে কোন তিল বা আঁচিল দেখে অস্বাভাবিক মনে হলে বা ব্যথা হলে অবশ্যই তাড়াতাড়ি কোন ত্বকের ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। প্রয়োজনে সতর্ক ব্যবস্থা নিতে হবে।
bbc

ঢাকায় 'বাসের যাত্রীদের দুর্ভোগ দেখার কেউ নেই'

                     ঢাকায় বাস চলাচলের উপর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে।             
 
বাংলাদেশের রাজধানীতে বাসে চলাচল করেন এমন যাত্রীরা বলছেন, ঢাকার বাসগুলোতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়সহ নানা ধরণের দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন তারা।
একটি নাগরিক সংগঠন সোমবার এক গন শুনানিতে বাসযাত্রীদের অনেকে অভিযোগ করেন, পরিস্থিতি এক অসহনীয় ও নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে এবং যাত্রীরা জিম্মি হয়ে পড়েছেন।
এরই মধ্যে গতকালই অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগে কয়েকটি বাসের চালককে সাজা দেওয়া হলে তার প্রতিবাদে পরিবহন শ্রমিকেরা রাস্তায় এলোপাতাড়িভাবে বাস ফেলে রেখে সারাদিন অবরোধ পালন করেন।
ঢাকার ফার্মগেট এলাকায় বাস-মিনিবাসের কয়েকজন যাত্রীর সাথে কথা হয়।
আনোয়ারুল ইসলাম একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বিক্রয় বিভাগে কাজ করেন।তার কাজের জন্য দিনের একটা বড় অংশ বাসে চলাচল করতে প্রতিদিনই তাকে দুর্ভোগের মুখে পড়তে হয়।
“সরকার কিলোমিটার প্রতি দশ পয়সা ভাড়া বাড়িয়েছে। কিন্তু ভাড়া নেয়া হচ্ছে কয়েকগুণ বেশি।
“যেখানে যেতে আগে পাঁচ টাকা লাগতো, সেখানে এখন নেয়া হচ্ছে পনেরো টাকা,” তিনি বলেন।
কলেজ শিক্ষার্থী ফরিদা ইয়াসমিন বলছিলেন, বাসের কর্মচারীদের দুর্ব্যবহারসহ নানান ধরণের হয়রানির মুখোমুখি হতে হয় যাত্রী।
“বাসের যাত্রীদের দুর্ভোগ দেখার কেউ নেই,” তিনি বলেন।
শাহজাহান খান                
          
যাত্রীদের এসব অভিযোগ নিয়ে কয়েকজন বাস চালকের সাথে কথা বললে তারা অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এমন অভিযোগও রয়েছে যে, বেসরকারি বাস মালিক এবং শ্রমিকদের সংগঠনগুলোর নেতারা ক্ষমতাসীন দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকেন। ফলে দুর্ঘটনায় মানুষ নিহত হওয়াসহ কোন অন্যায় হলে, তাতে ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষেত্রেও বাধা আসে।
রোববার দেখা গেছে, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে এক অভিযানে কয়েকজন বাস চালকের জরিমানা এবং সাজা হলে বেসরকারি বাসের শ্রমিকরা ঢাকার রাস্তায় রাস্তায় বাস ফেলে অবরোধ তৈরি করেছিল।
তবে সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাহজাহান খান - যিনি সরকারের একজন মন্ত্রীও – বলেন যে পরিবহন খাতে ‘জবাবদিহিতা এবং নিয়ন্ত্রণ রয়েছে’।
সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বা বিআরটিএ-র বিরুদ্ধেও কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়াসহ অনেক অভিযোগ রয়েছে।
তবে বিআরটিএ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেছেন, সমস্যাগুলো নিরসনের ক্ষেত্রে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং পরিবহন মালিক-শ্রমিকদেরও ভূমিকাসহ সকলের সম্মিলিত পদক্ষেপ প্রয়োজন
“আমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী যতটুকু করার ,তা করছি,”
সাধারণ মানুষের অনেকে বলেছেন, তাদের দুর্ভোগ কমাতে কর্তৃপক্ষের আরও শক্ত অবস্থান নেয়া উচিত বলে তারা মনে করেন।
 

গো-হত্যা’র জেরে কাশ্মীরে উত্তেজনা, অঘোষিত কারফিউ

গরু হত্যার গুজবে কাশ্মীরে সহিংসতায় ১ জনের মৃত্যু

দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা উত্তাল হলো আজ সোমবার। আটটি থানা এলাকা অঘোষিত কারফিউতে রূপ নিল। পুলিশের সঙ্গে জনতা জড়িয়ে পড়ল খণ্ডযুদ্ধে। জাতীয় সড়কে যান চলাচল বিঘ্নিত হলো। বাধা পেল রেল পরিষেবাও।
অশান্তির কারণ জাহিদ আহমেদের মৃত্যু, ‘গো-হত্যার’ কারণে জম্মুর উধমপুরে ১০ দিন আগে পেট্রলবোমায় যিনি মারাত্মক আহত হয়েছিলেন।
এনডিটিভি ও টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, গুরুতর আহত অবস্থায় জাহিদকে নিয়ে আসা হয়েছিল দিল্লি। গতকাল রোববার তাঁর মৃত্যু হয়। সোমবার অনন্ত নাগ জেলার বাটেনগু গ্রামে তাঁকে দাফন করা হয়। পুলিশি প্রহরায় শোকযাত্রা শান্তিপূর্ণ থাকলেও গোলমাল বাধে পরে। পুলিশ জানিয়েছে, শোকযাত্রায় পাকিস্তানি পতাকা হাতে স্থানীয় যুবকদের দেখা গিয়েছে।
পুলিশকে অবশ্য গুলি চালাতে বারণ করা হয়েছিল। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। সাবধানতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে উপত্যকার বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের গৃহবন্দী করে রাখা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুলের পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
চলতি মাসের ৯ তারিখে জাহিদদের ট্রাকে পেট্রলবোমা ছোড়া হয়। ট্রাকটি জম্মু থেকে শ্রীনগর যাচ্ছিল। অভিযোগ, জাহিদেরা নাকি তিনটি গরু হত্যা করেছেন। এই খবর রটে যাওয়ার পরেই আট যুবক ট্রাকটি আক্রমণ করেন। পরে প্রশাসন সূত্রে বলা হয়, খাদ্যে বিষক্রিয়ার ফলেই গরুগুলো মারা গেছে । ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মোট ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপরাধীদের কঠোর সাজা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। রাজ্য মন্ত্রিসভায় ঘটনার নিন্দা করে সর্বসম্মতভাবে এক প্রস্তাব গৃহীত হয়। উপত্যকায় শান্তি বজায় রাখার জন্য জনগণকে অভিনন্দনও জানানো হয়। মুখ্যমন্ত্রী মুফতি মহম্মদ সঈদ জানিয়েছেন, নিহত জাহিদের পরিবারকে এককালীন পাঁচ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। পরিবারের একজনকে দেওয়া হবে সরকারি চাকরি।
রাজ্য বিধানসভায় বিরোধী নেতা সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা গোটা ঘটনার জন্য বিজেপি ও রাজ্যে তার দোসর পিডিপিকে দায়ী করেছেন । তিনি বলেছেন, এই মৃত্যু অবাঞ্ছিত ও অপ্রয়োজনীয়। বিজেপি তার নীতি রূপায়ণের জন্য গোটা দেশে ‘গো-হত্যার’ জিগির তুলছে।
‘গো-হত্যা’কে কেন্দ্র করে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে বেশ কিছুদিন ধরেই উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। দিল্লির অদূরে বিসাদা গ্রামে সম্প্রতি গুজবের বলি হয়েছেন প্রৌঢ় মহম্মদ ইকলাখ। জাহিদ আহমেদ দ্বিতীয় বলি। জম্মু-কাশ্মীরে গো-হত্যা নিষিদ্ধ ১৯৩৪ সাল থেকে। সেই আইন কঠোরভাবে বলবৎ করা নিয়ে গত সেপ্টেম্বর মাসে জম্মু হাইকোর্টের রায়ের পর থেকেই রাজ্যে উপত্যকায় উত্তেজনার সৃষ্টি। এই রায়ের বদলা অন্য রায় দেয় কাশ্মীর হাইকোর্ট। ফলে বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে চলে এসেছে। এর মধ্যেই এক বিধায়ক গরুর মাংস খাওয়ার অনুষ্ঠানের আয়োজন করায় বিজেপি সদস্যদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন।
গরু-বিতর্ক অশান্তি ডেকে আনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিরক্ত। সেই বিরক্তি তিনি প্রকাশও করেছেন। বলেছেন, এই অনর্থক বিতর্ক সরকারের উন্নয়নের কর্মসূচিকে ব্যাহত করছে। তাঁরই নির্দেশে দলীয় সভাপতি অমিত শাহ গতকাল রোববার হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রীসহ দলীয় সাংসদ ও বিধায়কদের ডেকে পাঠিয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন।

prothom alo

গরু হত্যার গুজবে কাশ্মীরে সহিংসতায় ১ জনের মৃত্যু

    গরু হত্যার গুজবে কাশ্মীরে সহিংসতায় ১ জনের মৃত্যু

ভারতে গরু হত্যার গুজবের জের ধরে আহত ট্রাকচালকের মৃত্যুর খবরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে কাশ্মীরে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে কাশ্মীর জুড়ে কারফিউ জারি করা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, কাশ্মীরের উধমপুরের চেনানি গ্রামের রাস্তায় তিনটি গরুর মৃতদেহ দেখতে পাওয়া যায় গত ৯ই অক্টোবর।
এই গরুগুলোকে মৃত পড়ে থাকতে দেখে এ নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে সেখানকার গো-হত্যা বন্ধের সমর্থকরা।
ওই সময় রাস্তায় একটি ট্রাক দাড় করানো ছিল।
গরু হত্যার গুজবে কাশ্মীরে সহিংসতায় ১ জনের মৃত্যু                           
সেটিকে লক্ষ্য করে বিক্ষোভকারীরা পেট্রোল বোমা ছুড়ে মারলে গুরুতর আহত হন পঁয়ত্রিশ বছর বয়সী ট্রাকচালক জাহিদ রাসুল বাট ও তার হেলপার শওকত আহমেদ দার।
৭০ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় সফদরজঙ্গের হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন জাহিদ। রোববার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
যে গরু হত্যা নিয়ে সহিংসতা পরবর্তীতে ফরেনসিক রিপোর্টে দেখা যায়, বিষাক্ত কিছু খেয়ে মারা গিয়েছিল ওই গরুগুলি।
কিন্তু গুজবের ওপর নির্ভর করে ফের হত্যাকাণ্ড ঘটাল চরমপন্থিরা।
এর আগে গত ২৮শে সেপ্টেম্বর গরুর মাংস খাওয়ার গুজবের জের ধরে উত্তরপ্রদেশের দাদরি এলাকায় হিন্দুত্ববাদীদের হাতে নিহত হয়েছিলেন মুহম্মদ আখলাক। দাদরি এলাকার বিক্ষুব্ধ জনতা তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছিল।
গরু হত্যার গুজবে কাশ্মীরে সহিংসতায় ১ জনের মৃত্যু                           
অক্টোবরের শুরুতে কাশ্মীরে একজন সংসদ সদস্য তার নিজস্ব পার্টিতে গরুর মাংস পরিবেশন করেছেন এমন অভিযোগে অধিবেশন চলাকালে তাকে মারধর করে ক্ষমতাসীন বিজেপি দলের সদস্যরা।
ভারতে সাম্প্রতিক সময়ের এ ধরনের ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার প্রতিবাদে বেশ কয়েকজন খ্যাতিমান লেখক তাদের রাষ্ট্রীয় পদক ফিরিয়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
এদিকে রোববার ট্রাকচালক জাহিদের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই তাঁর এলাকা অনন্তনাগের বিক্ষুব্ধ লোকজন রাস্তায় নেমে পড়েন। জাহিদ ও শওকত দু’জনেই দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগের বাসিন্দা।
বিক্ষোভকারীরা জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে টায়ার পোড়াতে শুরু করে।
এক পর্যায়ে সেনা-পুলিশের সঙ্গে বিক্ষুব্ধ জনতার সংঘর্ষ হয়।
সহিংস পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজধানী শ্রীনগরসহ কাশ্মীরের বিভিন্ন স্থানে কারফিউ মোতায়েন করেছে প্রশাসন।
নিহত ট্রাকচালক জাহিদের দাফন আজ সোমবার অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
bbc

নিখোঁজদের খোঁজে বান্দরবানের রুমায় চলছে সেনা অভিযান

   
 
বাংলাদেশের পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে সম্প্রতি নিখোঁজ হওয়া তিনজন বাংলাদেশী পর্যটক ও তাদের গাইডকে উদ্ধারের জন্য সেনাবাহিনীর অভিযান চলছে আজ সকাল থেকে ।
গত ১৪ই অক্টোবর থেকে পর্যটক ও তাদের গাইডদের খোঁজে সেনা অভিযান শুরু হয়।
বান্দরবানের কাছে একটি প্রত্যন্ত এলাকায় ওই অভিযান চালানোর সময় গতকাল গুলিবিদ্ধ হয়ে স্থানীয় গ্রাম প্রতিরক্ষা দলের একজন সদস্য নিহত হন, সেনাবাহিনীর দুজন সদস্যও গুলিবিদ্ধ হন।
বান্দরবানের সাংবাদিকরা জানাচ্ছেন, মিয়ানমারের একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের সদস্যরা এই অপহরণের সাথে জড়িত থাকতে পারে বলে স্থানীয় লোকেরা ধারণা করছেন।
এ ক্ষেত্রে আরাকান লিবারেশন পার্টির নামই শোনা যাচ্ছে বেশি।
বান্দরবান থেকে সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম জানাচ্ছেন, বাংলাদেশ ভারত মিয়ানমার সীমান্তের ওই জায়গাটি অরক্ষিত এবং সেখানে বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের কার্যক্রম রয়েছে।
তারা ইদানীং বেশ তৎপর রয়েছে এবং এরই ভিত্তিতে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়রা জানাচ্ছেন।
মি: ইসলাম জানাচ্ছেন, নিখোঁজদের খুব দ্রুতই পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

অনির্দিষ্ট সংখ্যক অভিবাসী গ্রহণের বিপক্ষে স্লোভেনিয়া

ইউরোপে আশ্রয় প্রার্থীইউরোপে অভিবাসন সমস্যা দিনে দিনে জটিল হচ্ছে - ফাইল ছবি                

স্লোভেনিয়া সতর্ক করে দিয়ে বলেছে যে তাদের পক্ষে অনির্দিষ্ট সংখ্যক অভিবাসী গ্রহণ করা সম্ভব না, যদি না দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় প্রতিবেশী অস্ট্রিয়া বলে যে এদের ঢুকতে দেয়া হবে।
অন্যদিকে হাঙ্গেরী অভিবাসীদের জন্যে তাদের সীমান্ত বন্ধ করার পর দক্ষিণের প্রতিবেশী ক্রোয়েশিয়া প্রতিদিন পাঁচ হাজার অভিবাসীকে গ্রহণ করতে স্লোভেনিয়ার প্রতি আহবান জানিয়েছে।
স্লোভেনিয়া বলছে, এর অর্ধেক পরিমাণ অভিবাসীকে তারা গ্রহণ করবে।
দেশটি বলেছে, এখন থেকে রোজ সর্বোচ্চ আড়াই হাজার অভিবাসীকে সীমানা অতিক্রম করার অনুমতি দেয়া হবে।
তবে প্রতিদিন সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার শরণার্থীকে স্লোভেনিয়ার সীমানায় প্রবেশের অনুমতি দিতে একসময় স্লোভেনিয়াকে অনুরোধ জানিয়েছিল প্রতিবেশী রাষ্ট্র ক্রোয়েশিয়া।
কিন্তু স্লোভেনিয়ার পক্ষে ক্রোয়েশিয়ার অনুরোধ রাখা আর সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
ইউরোপে শরনার্থী                 অনেক অভিবাসন প্রত্যাশীকে বেশ কঠিন সময় পার করতে হচ্ছে - ফাইল ছবি                
কারণ হিসেবে তাঁরা বলেন, অস্ট্রিয়া দৈনিক দেড় হাজার অভিবাসী নেবে বলে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যা বেঁধে দিয়েছে।
সুতরাং তাদের পক্ষে রোজ পাঁচ হাজার করে অভিবাসী গ্রহণ সম্ভব নয়।
স্লোভেনিয়া ও ক্রোয়েশিয়ায় অভিবাসী হিসেবে যারা আসছেন, তাদের অধিকাংশই আফগানিস্তান, সিরিয়া ও ইরাকের নাগরিক।
আর তাঁরা জার্মানী, নরওয়ে ও অস্ট্রিয়ার মত পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোতে পৌঁছানোর উদ্দেশ্যেই স্লোভেনিয়া ও ক্রোয়েশিয়াকে মূলত ট্রানজিট হিসেবেই ব্যবহার করছে।
এদিকে, তুরস্ক বলেছে যে ইউরোপে শরনার্থীর ঢল কিভাবে বন্ধ করা যায় তা নিয়ে জামার্নীর সঙ্গে আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে।
আরো কয়েকে হাজার মানুষ এখন তুরস্ক হয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে ঢোকার চেষ্টা করছে।
ইস্তানবুলে জামার্নীর চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের সঙ্গে বৈঠকের পর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইইপ এরদোয়ান বলেন, তাঁরা আরো ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে রাজী হয়েছেন।
bbc

বিজেপি নেতাদের ওপর ‘অসন্তুষ্ট’ নরেন্দ্র মোদি

Image result for modi prime minister


ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গরুর মাংস খাওয়া নিয়ে তাঁর দল বিজেপির কয়েকজন নেতার সাম্প্রতিক বক্তব্যে ‘অসন্তুষ্ট’। এ ব্যাপারে আলোচনার জন্য দলীয় সভাপতি অমিত শাহ গতকাল রোববার সংশ্লিষ্ট নেতাদের ডেকে পাঠান। সভাপতি তাঁদের সতর্ক করে দেন। খবর এনডিটিভির।
গরুর মাংস খাওয়ার গুজবকে কেন্দ্র করে উত্তর প্রদেশের বিসাদা গ্রামে গত ২৮ সেপ্টেম্বর মুহম্মদ ইকলাখকে (৫২) পিটিয়ে হত্যার ঘটনার পর বিজেপির ওই নেতারা বিতর্কিত মন্তব্য করেন। গতকালের বৈঠকে তাঁদের সতর্ক করে দেওয়ার পাশাপাশি অমিত শাহ প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েও আলোচনা করেন। এতে উপস্থিত ছিলেন হরিয়ানা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খাট্টার, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মহেশ শর্মা, দলীয় আইনপ্রণেতা সংগীত সোম, বিতর্কিত দুই নেতা সাক্ষী মহারাজ ও সঞ্জয় বালিয়ান।
বিজেপির ওই নেতাদের বক্তব্যে ভারতজুড়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। দেশে ক্রমবর্ধমান ‘অসহিষ্ণুতার’ প্রতিবাদে ৪২ জন বিশিষ্ট লেখক সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার ফিরিয়ে দিয়েছেন। তবে বিজেপির নেতারা গতকালের বৈঠককে ‘নিয়মিত আলোচনা’ বলে পাশ কাটানোর চেষ্টা করেছেন। সাক্ষী মহারাজ বলেন, আঞ্চলিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য তিনি গতকালের বৈঠকে যান।
দাদরি হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে ইতিমধ্যে ‘দুঃখজনক’ আখ্যা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। বিজেপি জোটের শরিক শিরোমণি আকালি দল দাদরির ঘটনা নিয়ে ‘দায়িত্বহীন বক্তব্য’ দেওয়া নেতাদের বিরুদ্ধে দলের শীর্ষ পর্যায় থেকে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেছে।
সরকারের সমালোচনায় সোনিয়া: প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের প্রধান সোনিয়া গান্ধী দেশে অসহিষ্ণুতা বৃদ্ধি এবং সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার জন্য মোদির সরকারকে দায়ী করে শনিবার বিহারে এক সমাবেশে বলেছেন, এই সরকার গরিবদের বিরোধী এবং করপোরেট ব্যবসায়ীদের জন্য বন্ধুভাবাপন্ন।
দ্য হিন্দুর খবরে বলা হয়, বিহার রাজ্যের বক্সার ও ছাপড়ায় সোনিয়া বলেন, মোদি ক্ষমতায় আসার পর থেকে বুদ্ধিজীবীদের হয়রানি করা হচ্ছে। গুজব ছড়ানোর মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা চলছে। জনগণের ওপর নিজেদের আদর্শ চাপিয়ে দিতে চাইছে বিজেপি। এটা লজ্জাজনক।
প্রধানমন্ত্রী মোদিকে উদ্দেশ করে সোনিয়া বলেন, হিন্দু ও মুসলিমরা পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়াই করে না, তাদের ওই দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। এ ধরনের লড়াই বন্ধ হলে অনেকের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে। এ কথা বিজেপির চেয়ে ভালো আর কে জানে?

prothom alo

গরুর মাংস খাওয়ায় এবার মুসলিম বিধায়কের মুখে কালি

মুখে কালি ও মবিল নিয়েই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন জম্মু-কাশ্মীরের স্বতন্ত্র বিধায়ক প্রকৌশলী রশিদ। ছবি: রয়টার্সমুখে কালি ও মবিল নিয়েই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন জম্মু-কাশ্মীরের স্বতন্ত্র বিধায়ক প্রকৌশলী রশিদ। ছবি: রয়টার্স

বাড়িতে ‘গোমাংস’ ভোজের আয়োজন করেছেন—এই অভিযোগে ভারতের জম্মু-কাশ্মীরের স্বতন্ত্র বিধায়ক প্রকৌশলী রশিদের মুখে কালি ও মবিল মাখিয়ে দিয়েছে হিন্দু সেনা নামে একটি উগ্র হিন্দু সংগঠন। আজ সোমবার বিকেলে রাজধানী নয়াদিল্লিতে এক প্রেস কনফারেন্স করার সময় রশিদের মুখে কালি মাখিয়ে দেওয়া হয়।
কয়েক দিন আগে পার্লামেন্টে জম্মু-কাশ্মীরের বিজেপির বিধায়কেরাও একই অভিযোগে রশিদকে মারপিট করেন।
এর আগে দেশটির ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সাবেক উপদেষ্টা সুধীন্দ্র কুলকার্নির মুখে কালি মাখিয়ে দিয়েছিলেন ভারতের কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন শিবসেনার সমর্থকেরা। পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী খুরশিদ মাহমুদ কাসুরির একটি বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠান আয়োজন করায় ১৩ অক্টোবর মুম্বাইয়ে কুলকার্নির বাড়ির সামনেই এ ঘটনা ঘটানো হয়। ওই ঘটনার এক সপ্তাহের মাথায় আবারও মুখে কালি মাখানোর ঘটনা ঘটল।
এনডিটিভি ও দ্য হিন্দুর খবরে বলা হয়, আজ বিকেলে দিল্লির প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন জম্মু-কাশ্মীরের স্বতন্ত্র বিধায়ক প্রকৌশলী রশিদ। সংবাদ সম্মেলন চলার সময়ে সাংবাদিক ও পরিবারের সদস্যদের সামনেই তিনজন হঠাৎ করেই ওই বিধায়কের মুখে কালি এবং মবিল মাখিয়ে দেন। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দীপক ও দেব ইন্দিরা ইন্দ্রা সিং নামের দুজনকে পুলিশ আটক করেছে। সংবাদ সংস্থাগুলোর খবরে বলা হচ্ছে, এ ঘটনার দায় স্বীকার করেছে বিষ্ণু গুপ্তার নেতৃত্বাধীন হিন্দু সেনা নামের একটি কট্টরপন্থী হিন্দু সংগঠন।
খবরে বলা হয়েছে, ৭ অক্টোবর নিজের বাড়ি শ্রীনগরে রশিদ ‘গোমাংস’ ভোজের আয়োজন করেন। এতে রাগান্বিত হয়ে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। তিনি কোনো রাজনৈতিক দল করেন না।
আজ এ ঘটনার পর রশিদ বলেন, ‘বিশ্ব দেখুক ভারত কীভাবে বদলে যাচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘অনেকে বলে থাকেন তালেবান পাকিস্তানকে গিলে ফেলছে; কিন্তু তারা দেখুক এখানে (ভারত) কী ঘটছে।’ তিনি বলেন, ‘তারা মানসিকভাবে অসুস্থ। কাশ্মীরে এ পর্যন্ত ৮০ হাজার লোককে মেরে ফেলা হয়েছে। একজন প্রকৌশলীর মুখে কালি ছিটানোর ঘটনায় আর এমন কী-ইবা হবে। তাদের জানা উচিত এটা নরেন্দ্র মোদির ভারত, মহাত্মা গান্ধীর ভারত নয়।’

লাল বল থাকবে না টেস্ট ক্রিকেটে?

লাল বলের পরিবর্তে গোলাপি বল আসছে ক্রিকেটে?লাল বলের পরিবর্তে গোলাপি বল আসছে ক্রিকেটে?টেস্ট ক্রিকেট মানেই তো সাদা পোশাক এবং লাল বল। কিন্তু মাথা থেকে এই চিরপরিচিত চিন্তাটি ফেলে দেওয়ার সময় কি চলে এল? ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা আইসিসির কথাবার্তায় তার ইঙ্গিতই মিলছে। আজ সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী ডেভিড রিচার্ডসন বলেছেন, সবকিছু ঠিক থাকলে টেস্ট ক্রিকেট থেকে লাল বলকে বিদায় বলে দেওয়ার সময় এসে গেছে।
ক্রিকেট নানা সময়ে নানা পরিবর্তন দেখেছে। টি-টোয়েন্টির জনপ্রিয়তার মাঝে টেস্ট ক্রিকেটকে টিকিয়ে রাখতে দিবা-রাত্রির টেস্ট আয়োজনের সিদ্ধান্তও নিয়েছে আইসিসি। আগামী ২৭ নভেম্বর অ্যাডিলেডে ঐতিহাসিক সেই টেস্টে খেলতে নামবে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড। দিবা-রাত্রির খেলায় ফ্লাডলাইটে লাল বল দেখতে পাওয়া মুশকিলের ব্যাপার। সে জন্য এই টেস্টটি খেলা হবে গোলাপি বলে। এই খেলাতেই বোঝা যাবে, গোলাপি বলে টেস্ট খেলা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব কি না। তাহলে যে অনেক দিনের পুরোনো এক ধাঁধার উত্তর খুঁজে পাবে আইসিসি।
আলোক স্বল্পতা টেস্ট ইতিহাসের পুরোনো সঙ্গী। কখনো কখনো দেখা যায়, দিনের নির্ধারিত সময়ের আগেই খেলা থামিয়ে দিতে হচ্ছে পর্যাপ্ত আলো না থাকায়। এর প্রভাব পড়ছে ম্যাচেও। গত শনিবারই যেমন ‘জেতা ম্যাচ’ ড্র করে আসতে হলো ইংল্যান্ডকে। জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল মাত্র ২৫ রান, হাতে ৬ উইকেট। দিনের নির্ধারিত আরও ৮ ওভার খেলা হলেই তো ইংল্যান্ড জেতে।
তাই পুরোনো এই বিষয়েই কথা বলতে হলো রিচার্ডসনকে, ‘ঐতিহাসিকভাবেই আমাদের বারবার এই সমস্যায় পড়তে হয়েছে। আমরা এর সমাধান খুঁজে বেড়াচ্ছি অনেক দিন ধরে। আপাতত অন্য রঙের বলের সন্ধানে আছি আমরা। গোলাপি বলটি কেমন আচরণ করে সেটি দেখেই আমরা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারব।’
এরপরই ইঙ্গিত দিলেন টেস্ট ক্রিকেটে থেকেই লাল বলকে সরিয়ে দেওয়ার, ‘বলটির (গোলাপি) মান, আচরণ কেমন, সেটি দেখতে হবে। বলের সুইং কেমন, দীর্ঘ সময়জুড়ে সেটি টিকে থাকছে কি না, সবকিছুই বিবেচনা করে দেখতে হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে কেবল দিবা-রাত্রি নয়, সব ধরনের টেস্টেই এই বল ব্যবহার করা যেতে পারে। তাহলে আলোক স্বল্পতার এই সমস্যা থেকে আমরা মুক্তি পাব।’
এই উদ্যোগ কতটুকু ফলপ্রসূ হয়, সেটিই দেখার। এখন পর্যন্ত লাল বল ছাড়া অন্য কোনো রঙের বলই ৮০ ওভার টিকে থাকেনি। টেস্টে কমপক্ষে ৮০ ওভার না হলে বল পরিবর্তন করা যায় না। অ্যাডিলেড টেস্টে হয়তো অনেক প্রশ্নেরই উত্তর পেয়ে যাবে আইসিসি। সূত্র: এএফপি।

পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বয়কটের শঙ্কা আইসিসির

শিবসেনাদের বিরুদ্ধে এবার পাকিস্তানে জ্বলল বিক্ষোভের আগুন। ছবি: এএফপি।শিবসেনাদের বিরুদ্ধে এবার পাকিস্তানে জ্বলল বিক্ষোভের আগুন। ছবি: এএফপি।

প্রথম তিনটি ওয়ানডেতে ঠিকঠাক দায়িত্ব পালন করেছেন। করার কথা ছিল সিরিজের বাকি দুটি ওয়ানডেতেও। তবে আলিম দারকে নিয়ে কোনো ঝুঁকি নিতে চায় না আইসিসি। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ২২ ও ২৫ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভারতের চতুর্থ ও পঞ্চম ওয়ানডে থেকে পাকিস্তানি আম্পায়ারকে ফিরিয়ে নিচ্ছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা।
আজ সকালে মুম্বাইয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ নিয়ে আলোচনা করতে সভা বসার কথা ছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি)। সভা হওয়ার আগেই ভেস্তে যায় কট্টরপন্থী সংগঠন শিবসেনার বিক্ষোভের মুখে। পাকিস্তানের সঙ্গে যেকোনো ধরনের সম্পর্কেরই ঘোর বিরোধী তারা। শিবসেনারা চায় না, ভারত ক্রিকেট খেলুক পাকিস্তানের সঙ্গে। তারা প্ল্যাকার্ড-স্লোগানে ভীতিকর এক পরিস্থিতির সৃষ্টি করে বিসিসিআই কার্যালয়ে।
আলিম দারকে ফিরিয়ে আইসিসি আপাতত সমাধান খুঁজে পেল। তবে বড় শঙ্কা তো সামনে। আগামী বছর মার্চ-এপ্রিলে ভারতে আয়োজন করা হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। পরিস্থিতি যদি না বদলায়, সে ক্ষেত্রে পাকিস্তান দলের বয়কটের আশঙ্কা করছেন খোদ আইসিসি সভাপতি জহির আব্বাস, ‘পাকিস্তান ও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে এ নিয়ে অবশ্যই কাজ করতে হবে। নইলে আমার শঙ্কা, নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে পাকিস্তানের খেলোয়াড়েরা আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বয়কট করতে পারে। জানি না টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় কেমন পরিবেশ থাকবে। যদি এমন পরিস্থিতি বজায় থাকে, সেটা পাকিস্তানি খেলোয়াড়ের ওপর অবশ্যই বাড়তি চাপ সৃষ্টি করবে।’
বহু-প্রতীক্ষিত দ্বিপক্ষীয় সিরিজ নিয়ে আলোচনা করতে বিসিসিআইয়ের আমন্ত্রণে ভারতে এসেছিলেন পিসিবি প্রধান শাহরিয়ার খান, প্রধান নির্বাহী নজম শেঠি এবং প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা সুবহান আহমেদ। এ আলোচনায় আপাতত জল ঢেলে দিয়েছে শিবসেনা। এ জল কত দূর গড়ায় সেটাই দেখার। সূত্র: এনডিটিভি।

দুর্দশার কারণ খুঁজতে ধোনিকে নির্বাচকদের ‘সমন’

অধিনায়কের লাগামও ফসকে যাচ্ছে ধোনির হাত থেকে? ছবি: বিসিসিআই।অধিনায়কের লাগামও ফসকে যাচ্ছে ধোনির হাত থেকে?

ছবি: বিসিসিআই।দলের পারফরম্যান্সের কাটাছেঁড়ার কাজটা সাধারণত সিরিজ বা টুর্নামেন্ট শেষেই হয়। কিন্তু ভারতের এমনই দুর্দশা, সিরিজ শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করলেন না নির্বাচকেরা। ডাকলেন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি ও টিম ম্যানেজমেন্টকে। খুঁজে বের করার চেষ্টা করতে চাইলেন, সমস্যাটা কোথায়।
সর্বশেষ নয়টি সীমিত ওভার ম্যাচের সাতটিতেই হারে প্রশ্নের পাহাড় ধোনির দলের সামনে। অজিঙ্কা রাহানেকে নিয়ে কেন এমন টানাহেঁচড়া চলছে? একবার তাঁকে অধিনায়ক করা হচ্ছে। আরেকবার পানি নিয়ে মাঠে নামতে হচ্ছে। একদিন নামছেন তিনে, তো আরেকদিন ছয়ে। ওদিকে বিরাট কোহলির ব্যাটে রান কোথায়? ব্যাটিং অর্ডারে পাঁচ-ছয়-সাত কেন অস্থিতিশীল?
সভায় কী কী আলোচনা হলো, বিস্তারিত না জানালেও ভারতীয় দলের পারফরম্যান্সে উদ্বেগ লুকোলেন না নির্বাচকদের প্রধান সন্দীপ পাতিল। বললেন, ‘এটা খুশি হওয়া-না হওয়ার ব্যাপার নয়। আমরা চিন্তিত। দলের ম্যানেজমেন্ট ও অধিনায়কের সঙ্গে দুই নির্বাচকের বসার কথা ছিল। আজ অধিনায়কের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে।’
কী আলোচনা হয়েছে অধিনায়ক-দলের ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে, এমন প্রশ্নে অবশ্য সন্দীপের কৌশলী উত্তর, ‘তারা যখন জেতে, আমাদের ভালো লাগে। যখন হারে, খারাপ লাগে। যে ম্যাচটা জেতা উচিত, সেটা হারলে কারও ভালো লাগার কথা নয়। যে দল আমরা নির্বাচন করেছি, এখনো তাদের সমর্থন করছি। দলের ম্যানেজমেন্ট ও কোচিং স্টাফকে সমর্থন করছি। তারা ভালো করুক, সেটাই চাই। যে বিষয়গুলোয় আরও মনোযোগ দেওয়া উচিত, সে সব নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করি, দলের ম্যানেজমেন্ট এবং অধিনায়ক এসবে মনোযোগ দেবে।’
সাম্প্রতিক ব্যর্থতায় ধোনি জানিয়েছেন, দলের ব্যাটিং অর্ডারে পাঁচ, ছয় এবং সাত কিছুটা নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। কেন এমনটা মনে করছেন ভারত অধিনায়ক? নির্বাচকেরা যে দল দিয়েছেন তাতে কি তিনি সন্তুষ্ট নন? নাকি নির্বাচকেরা দূরদৃষ্টি দেখাতে পারেননি?
পাতিল বললেন, ‘সব নির্বাচকেরা মনে করেন, সেরা দলটাই বেছে নেওয়া হয়েছে। আর সেরা একাদশ তৈরির দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া হয় টিম ম্যানেজমেন্টের হাতে। এ নিয়ে আলোচনা করেছি কিনা জানতে চাইলে বলব, হ্যাঁ, এ ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা কয়েকটি বিষয় নিয়ে চিন্তিত। আশা করি, এ আলোচনার পর সব ঠিকঠাক কাজ করবে।’
প্রশ্ন উঠেছে রাহানেকে ঠিকমতো ব্যবহার নিয়েও। ভারতের প্রধান নির্বাচক সরাসরি না বললেও খানিকটা ঘুরিয়ে জানালেন, ‘কেবল অজিঙ্কা নয়, অন্যান্য খেলোয়াড় নিয়ে অধিনায়ক ও দলের ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আলোচনা করেছি।’
রাহানেকে যেভাবে খেলানো হচ্ছে তা নিয়ে সন্তুষ্ট কিনা প্রশ্নটা এড়িয়েই গেলেন পাতিল। বললেন, ‘আমি খুশি কী অখুশি, বিষয়টি তা নয়। অধিনায়ক ও দলের ম্যানেজমেন্টের ওপর আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আমরা এসব বিষয় নিয়েই কথা বলেছি। কেবল রাহানে নয়, আরও অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আশা করি, এসব তাদের ভাবনায় কাজে দেবে।’ সূত্র: ক্রিকইনফো।

এবার বিদায়ের ইঙ্গিত দিলেন শেবাগও

বীরেন্দর শেবাগবীরেন্দর শেবাগ২৯৫ রানে ব্যাটিং করছেন এক ব্যাটসম্যান। ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ত্রি-শতক করার হাতছানি। ক্রিকেট ইতিহাসেই এর আগে ভারতের কোনো ব্যাটসম্যান তিন শত করতে পারেননি। এমন অবস্থায় সেই ব্যাটসম্যান ছক্কা হাঁকিয়ে বসলেন! এই সাহসটা খুব কম খেলোয়াড়েরই ছিল। বীরেন্দর শেবাগ সেই সাহসী ব্যাটসম্যানদের একজন। আজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সেই মারকুটে ব্যাটসম্যান অবসর নেওয়ার আভাস দিয়েছেন।
অবসরের আভাস অবশ্য খুব একটা চমক হয়ে আসেনি। শেষবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শেবাগকে দেখা গিয়েছিল দুই বছর আগে। অবসরের ঘোষণা দিলে ভারতীয় ক্রিকেটের একটি যুগেরও অবসান হবে। কদিন আগেই জহীর খান অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন।
এক ঝাঁক নতুন ক্রিকেটারের আবির্ভাবে বদলে গিয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেটে। নতুন যুগের সূচনায় সবার অগ্রভাবে ছিলেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। নতুন ‘টেন্ডুলকার’ হিসেবে আবির্ভাব হয়েছিল তাঁর। কিন্তু মারকাটারি ব্যাটিংয়ের এমনই প্রদর্শনী দেখাতে শুরু করলেন যে, অন্য কারও ছায়া নয়, নিজের নামেই পরিচিতি পেয়েছিলেন শেবাগ। ২৫০টি ওয়ানডে খেলে ৮ হাজার ২৭৩ রান করেছেন ১০৪ স্ট্রাইক রেটে। মারকাটারি ব্যাটিং করেও বড় বড় ইনিংস খেলার অবিশ্বাস্য এক ক্ষমতা ছিল তাঁর। ওয়ানডেতে একসময়ের সর্বোচ্চ ২১৯ রানের ইনিংসটি ছিল তারই। ওই মারকাটারি ব্যাটিং দিয়ে টেস্ট ক্রিকেটেও সফলতা পেয়েছেন। ভারতের হয়ে অনেক রথী মহারথীই খেলে গেছেন। কিন্তু দেশটির হয়ে তিন শত রান সংগ্রহের রেকর্ড একমাত্র তাঁরই। তাও দুই দুইবার তিন শত রান করেছেন। স্যার ডন ব্র্যাডম্যান এবং ব্রায়ান লারার পর তিনিই এই কাজ করে দেখাতে পেরেছেন (পরবর্তীতে ক্রিস গেইলও এই তালিকায় যুক্ত হয়েছিলেন)। আরেকবার ২৯৩ রানে আউট না হলে তো প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনটি ত্রি-শতক হাঁকানোর রেকর্ড টিও তাঁর অধিকারে যেত। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে অবিশ্বাস্য স্ট্রাইক রেটের রেকর্ড তাঁর দখলেই আছে। ১০৪ টেস্টে সাড়ে আট হাজার রান নিয়েছেন ৮২ স্ট্রাইক রেটে!
শেবাগকে অবশ্য তাঁর রান সংখ্যা দিয়ে কখনোই বিচার করা যাবে না। বিশ্বের যেকোনো মাঠে খেলতে নেমেই ঝড় তোলার ক্ষমতা দিয়ে তাঁকে চিনতে হবে। তাঁকে মাঠে নামতে দেখে বোলারের শিরদাঁড়ায় যে ভয়ের চোরা স্রোত বয়ে যেত সেটি দিয়েই বিচার করতে হবে শেবাগকে। তাঁর অবিশ্বাস্য সাহসিকতার প্রদর্শনীতে ভরা ইনিংস গুলো ভক্তদের মনে তাজা হয়ে থাকবে অনেক দিন।
prothom alo

শুটিং স্পটে হার্ট অ্যাটাক, হাসপাতালে রিয়াজ

 
রিয়াজসিনেমার শুটিং চলাকালে সংলাপ দেওয়ার সময় আকস্মিক হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়ক রিয়াজ। দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার পর তাঁর দেহে অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে।
আজ সোমবার রাত সাড়ে আটটার দিকে রাজধানীর উত্তরার হইচই শুটিংবাড়িতে ‘কৃষ্ণপক্ষ’ চলচ্চিত্রের শুটিং চলার সময় রিয়াজ আকস্মিক হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হন।
ছবির পরিচালক মেহের আফরোজ শাওন প্রথম আলোকে রিয়াজের অসুস্থতার খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
‘কৃষ্ণপক্ষ’ ছবির ইউনিট সূত্রে জানা গেছে, সংলাপ দেওয়ার সময় হঠাৎ করেই রিয়াজের সারা শরীর ঘামতে থাকে। একপর্যায়ে মাথা ঘুরে পড়ে যান তিনি। দ্রুত তাঁকে উত্তরার একটি ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক হৃদ্‌রোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে দ্রুত বসুন্ধরা এলাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তিনি কার্ডিওলজি বিভাগের পরামর্শক শাহাবুদ্দীন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন আছেন।
রিয়াজের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে রাত নয়টা ৩২ মিনিটে অ্যাপোলো হাসপাতাল থেকে শাওন প্রথম আলোকে বলেন, ‘রিয়াজ ভাইকে এখন রিং পরানো হচ্ছে। সবাই রিয়াজ ভাইয়ের জন্য দোয়া করবেন।’
prothom alo

নতুন স্টার ওয়ার্স ছবির টিকেট বিক্রি শুরু হতেই ওয়েব সাইট ক্র্যাশ

 
    নতুন স্টার ওয়ার্স ছবিতে পরিচিত পুরনো মুখ।       
          
নতুন স্টার ওয়ার্স সিনেমার অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু হতে না হতেই কয়েকটি সিনেমা হলের ওয়েব সাইট ক্র্যাশ করেছে।
ওডিওন এবং পিকচার হাউস সিনেমা হলের মুখপাত্র বলছেন, ‘স্টার ওয়ার্স: দ্য ফোর্স এ্যাওয়েকেনস’ ছবির টিকেটের জন্য অভূতপূর্ব চাহিদা দেখা যাচ্ছে।
তবে অন্য আরেকটি প্রধান সিনেমা হল, ভিউ-এর মুখপাত্র বলেছেন তাদের ওয়েবসাইট চাপ মোকাবেলা করতে পেরেছে এবং প্রথম ৯০ মিনিটে ১০,০০০ টিকেট বিক্রি হয়েছে।
প্রায় চার দশক আগে প্রথম স্টার ওয়ার্স সিনেমা বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। এর পর, স্টার ওয়ার্স সিরিজের আরো পাঁচটি ছবি তৈরি হয়।
নতুন ফিল্মের জন্য স্টার ওয়ার্স অনুরাগীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিল। এই ছবিতে প্রথম সিরিজের তিন তারকা – হ্যারিসন ফোর্ড, মার্ক হ্যামিল এবং ক্যারি ফিশার – আবার একত্রিত হয়েছেন।
নতুন ছবি মুক্তি পাবে ডিসেম্বর মাসের ১৭ তারিখে কিন্তু অগ্রিম বিক্রি শুরু হলে অভূতপূর্ব চাপ সৃষ্টি হয় বলে জানান পিকচার হাউস সিনেমার মুখপাত্র গ্যাব্রিয়েল সোয়ার্টল্যান্ড।
“এক সাথে হাজার হাজার টিকেট বুক করা হয়েছে”, তিনি বলেন।
ফ্যানদের অনেকেই টিকেট কিনত না পেরে টুইটারে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
আইলসা স্কট টুইটারে বলেন, তিনি ওওিডন সিনেমার ওয়েবসাইটে টিকেট কিনত চেষ্টা করছিলেন কিন্তু বার বার ক্র্যাশ করায় পারছিলেন না।
তিনি জানতে চান, এর কারণে কি অফিসে যেতে দেরী হওয়াটা মাফ করা যেতে পারে? bbc

কল ড্রপ কমান, বাংলাদেশে মোবাইল কোম্পানিগুলোর প্রতি তারানা হালিম

                     বাংলাদেশের ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।                

বাংলাদেশে সরকার মোবাইল ফোন অপারেটরদেরকে তাদের সেবার মান আরো উন্নত করার জন্য পদক্ষেপ নিতে বলেছে।
আজ ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী তারানা হালিম মোবাইল ফোন কোম্পানি গুলোর শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের সাথে এক বৈঠকে এ নির্দেশ দেন ।
বিশেষ করে কল ড্রপ বা মোবাইলে কথার মাঝখানে হঠাৎ করে লাইন কেটে যাওয়া ঠেকাতে ফোন কোম্পানিগুলো কি ব্যবস্থা নেবে, ডিসেম্বরের মধ্যে তা জানাতে বলা হয়।
সম্প্রতি ভারতে এই কল ড্রপের ক্ষেত্রে গ্রাহককে অর্থ ফেরত দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
সোমবার বিকেলে প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোর প্রধান নির্বাহীদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন। তাদের সামনে ফেসবুকে প্রাপ্ত গ্রাহকদের বিভিন্ন অভিযোগের একটি সংকলন তিনি তুলে ধরেন।
এসব অভিযোগের মধ্যে ছিল কল ড্রপ, থ্রি জি ইন্টারনেটের ধীর গতি, গ্রাহক সেবা সেন্টারগুলোতে ফোন করে অপেক্ষমাণ সময় দীর্ঘায়ত হওয়ার ফলে গ্রাহকের অতিরিক্ত অর্থব্যয়, বিভিন্ন সেবার অনাকাঙ্ক্ষিত স্বয়ংক্রিয় নবায়ন ইত্যাদি উঠে আসে।
                 গ্রাহক সেবা সেন্টারগুলোতে ফোন করে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয় বলে অভিযোগ।                
বৈঠকে উপস্থিত বাংলাদেশের বৃহত্তম মোবাইল ফোন কোম্পানি গ্রামীণ ফোনের প্রধান নির্বাহী রাজীব শেঠি বলেন, মোবাইল ফোন একটি তারবিহীন প্রযুক্তি। কোথাও বনাঞ্চল থাকলে বা নতুন কোনও সুউচ্চ ভবন তৈরি হলে কিংবা খারাপ আবহাওয়ার কারণেও এই প্রযুক্তি বাধাপ্রাপ্ত হতে পারে।
“এসব বিবেচনায় এনে কল ড্রপ শূন্যে নামিয়ে আনা সম্ভব নয়, পৃথিবীর কোনও দেশেই এটা সম্ভব নয়,” মি: শেঠি বলেন।
তবে প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম মনে করেন, কল ড্রপের ক্ষেত্রে গ্রাহকের ক্ষতিটা কোনও না কোনও ভাবে পুষিয়ে দেয়া প্রয়োজন।
এক্ষেত্রে মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোর কাছেই প্রস্তাব আহ্বান করেন তিনি। মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব দেবার জন্য আগামী ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত সময়ও বেধে দেন মিস হালিম।
এছাড়া গ্রাহকের অনুমতি ব্যতিরেকে কোনও প্যাকেজ চালু এবং স্বয়ংক্রিয় নবায়ন না করতে মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোকে নির্দেশ দেন প্রতিমন্ত্রী।
সেই সাথে কলার টিউন ব্যাবহারের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট গানের শিল্পীদের রয়্যালটি দেবার ব্যাপারেও উদ্যোগ নিতে বলেন তিনি।

ঢাক-ঢোলের হাট চলছে কিশোরগঞ্জে

    ঢাক-ঢোলের হাট চলছে কিশোরগঞ্জে                           
বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদিতে চলছে তিনদিনব্যাপী এক ঢাকঢোলের হাট।
বলা হচ্ছে প্রায় ৫০০ বছরের পুরোনো এই হাট।
হিন্দু সম্প্রদায়ের দুর্গাপূজা উৎসবের অন্যতম অনুসঙ্গ হলো ঢাকের বাজনা।
এই হাটে প্রতি বছর দুর্গাপূজার সময় বিভিন্ন জেলা থেকে পূজা আয়োজনকারীরা আসেন ঢাকি ও অন্যান্য বাদ্যযন্ত্রী ভাড়া করতে।
নানা জেলা থেকে জড়ো হন ঢাকিরা।
পাঁচদিন ধরে দিন-রাত সেখানে শোনা যায় ঢাকের বাজনা।
কটিয়াদি উপজেলার পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক দিলীপ কুমার সাহা বলছিলেন স্থানীয় লোকশ্রুতি অনুযায়ী, এ মেলার ইতিহাস অন্তত পাঁচশো পছরের পুরনো।
ষোড়শ শতকের মাঝামাঝি সময়ে স্থানীয় সামন্ত রাজা নবরঙ্গ রায় তার প্রাসাদে পূজার আয়োজনের জন্য সেরা ঢাকির খোঁজ করতে গিয়ে বিক্রমপুর পরগনার প্রসিদ্ধ সব ঢাকিকে আমন্ত্রণ জানান।
তারপর সবার বাজনা শুনে বেছে নেন সেরা দলটিকে।
সেই সময় থেকে ঢাক-ঢোলের হাটের শুরু।
দিলীপ কুমার সাহা বলছিলেন, “এ হাটে হাটে ঘুরে ঘুরে বাদকদের বাজনা পরখ করে দেখেন পূজা আয়োজনকারীরা। ঢাকীদের বাজনা পছন্দ হলে আর দরদামে মিল হলে এখান থেকেই পূজামণ্ডপে বাজানোর জন্য ঢাকি নিয়ে যায়”।
bbc

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সদর দপ্তরে শিবসেনার হামলা

 
    ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সদর দপ্তরে শিবসেনার হামলা                 বিসিসিআইয়ের প্রধান শশাঙ্ক মনোহরের সঙ্গে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড প্রধানের বৈঠক হবার কথা ছিল। (ফাইল ফটো)     
           
মুম্বাইয়ে অবস্থিত ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বা বিসিসিআই সদর দপ্তরে হামলা চালিয়েছে শিবসেনার কর্মীরা।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান শাহরিয়ার খানের সঙ্গে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্ট শশাঙ্ক মনোহরের বৈঠক হবার কথা ছিল আজ সকালে।
বিসিসিআই সদরদপ্তরে শিবসেনাদের ওই হামলার পরপরই আজকের বৈঠকটি স্থগিত করা হয়।
ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট বিষয়ক বৈঠককে বানচাল করতেই এই হামলা চালিয়েছে শিবসেনার সদস্যরা।
ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, সকালে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে বিসিসিআই-এর সদর দফতরে সেই বৈঠক শুরুর আগেই হাজির হন শিবসেনা সমর্থকেরা।
বিসিসিআইয়ের কার্যালয়ের দরজা ঠেলে তারা দফতরের ভিতরে ঢুকে পড়ে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে।
শিবসেনাদের মুখে ছিল পাকিস্তান বিরোধী স্লোগান।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান শাহরিয়ার খানের বিরুদ্ধেও স্লোগান দেয় শিবসেনা কর্মীরা।
তাদের একটাই দাবী- পাকিস্তানের সাথে ভারতের কোন ক্রিকেট নয়।
আইপিএল প্রধান রাজীব শুকলা এক টুইট বার্তায় বলেছেন, বিসিসিআই ভারতের মানুষের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছু করতে যাবেনা।
উল্লেখ্য ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্ট শশাঙ্ক মনোহরের আমন্ত্রণে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধানসহ বোর্ডের কর্মকর্তারা এখন ভারত সফরে রয়েছেন।

BBC