শনিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৫

শিশুদেরকে দিয়ে বন্দী হত্যার ভিডিও ছেড়েছে আইএস

 
   
সিরিয়ায় তথাকথিত ইসলামিক স্টেটের জঙ্গিরা একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে যাতে দেখা যাচ্ছে ছ’টি বাচ্চা শিশু জঙ্গিদের হাতে আটক সামরিক বন্দীদেরকে হত্যা করছে।
ভিডিওটির শুরুতে মাদ্রাসায় কোরান পড়ছে এরকম কিছু ছাত্রের ছবি দেখানো হয়। একই সাথে দেখানো হয় তাদেরকে কিভাবে কারাটে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের ভেতর থেকে ছ’জন শিশুর নাম ঘোষণা করা হয়।
তারপর দেখা যায় ওই শিশুরা ধ্বংস হয়ে যাওয়া একটি দুর্গের ভেতরে ও চারপাশে দৌড়ে বেড়াচ্ছে।
মনে হচ্ছে, শিশুরা যাদেরকে হত্যা করবে তাদেরকে ওরা সেখানে খুঁজে বেড়াচ্ছে। একসময় তাদের হাতে পিস্তল তুলে দেওয়া হয়।
একসময় তারা বন্দীদের খুঁজে পায়, তাদের হাত বাঁধা ছিলো।
তারপর একেকজন শিশু একেকজন বন্দীকে হত্যা করে।
পাঁচজনকে হত্যা করা হয়েছে গুলি করে। আর একজনকে গলা কেটে।
এর আগেও আই এস তাদের হাতে আটক বন্দীদের জবাই করে ও আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ভিডিও প্রকাশ করেছে। কিন্তু শিশুদেরকে দিয়ে জিম্মিদেরকে হত্যা করার ভিডিও এটাই প্রথম।
বিবিসির একজন সংবাদদাতা বলছেন, এই ভিডিওটি প্রকাশের মাধ্যমে আই এস এই বার্তা দিতে চাইছে যে তারা নতুন প্রজন্মের জিহাদি তৈরি করছে যারা আগামীতেও তাদের শত্রুদের বিরুদ্ধে বর্বরতা অব্যাহত রাখতে পারবে।

বাছাইয়ের প্রথমদিনে বিএনপির ৪ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল

ফরিদপুরের নগরকান্দায় পৌর নির্বাচনে প্রার্থী ও তাদের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের কাজ করছেন নির্বাচনী কর্মকর্তারা
 
 
ফরিদপুরের নগরকান্দায় পৌর নির্বাচনে প্রার্থী ও তাদের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের কাজ করছেন নির্বাচনী কর্মকর্তারা

দলীয় প্রতীকে পৌরসভা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের প্রথমদিনে দেশের কয়েকটি জেলায় বিএনপির চার মেয়র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিলের খবর পাওয়া গেছে।

'গির্জার ফাদারকে আমরা নিজেরাই পাহারা দিচ্ছি'

 
   
 
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা এবং রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের অধিকারের দাবীতে ঢাকায় এক সমাবেশ করেছে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের এটি ছিল সবেচয়ে বড় সমাবেশ।
দেশের প্রায় সবগুলো জেলা থেকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বেশ কয়েক হাজার মানুষ ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশে যোগ দিয়েছে।
এই কর্মসূচি তারা এমন এক সময়ে করলো যখন দেশের বিভিন্ন জায়গায় খ্রিস্টান যাজকরা এক ধরনের নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছেন।
শেরপুর থেকে এই সমাবেশে আসা প্রাঞ্জল দ্রং জানালেন, সম্প্রতি বিভিন্ন গির্জায় হুমকির ঘটনা তাদের মারাত্মকভাবে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।
যেকোন সময় যেকোন জায়গায় হামলার আশঙ্কা করছেন তারা।
                 দিনাজপুরে হামলায় আহত ইটালিয়ান এক যাজক                
বর্তমান পরিস্থিতিকে ‘দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার’ মতো বলে বর্ণনা করছেন সমাবেশে আসা আরেকজন।
এই পরিস্থিতিতে গত বেশ কিছুদিন ধরে দেশের বিভিন্ন গির্জায় নিরাপত্তারও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলার ব্যাপারে অনেক অভিযোগ থাকলেও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনা খুব বেশী শোনা যায় না।
কিন্তু সম্প্রতি পাবনা এবং দিনাজপুরে দু’জন যাজককে হত্যার চেষ্টা হয়েছে।
পাশাপাশি বেশ কিছু গির্জায় যাজকদের হত্যার হুমকি দিয়ে অজ্ঞাত ঠিকানা থেক চিঠিও পাঠানো হয়েছে।
                           
টাংগাইলের মধুপুরের বাসিন্দা বিনেশ রেমা জানালেন সেখানে যাজকদের নিরাপত্তার জন্য নিজেরাই পাহারার ব্যবস্থা করেছেন।
মি. রেমা বলেন, “ দিনে রাতে মিলিয়ে পালাক্রমে আমরা ১৫ জন গির্জার ফাদারকে পাহারা দিই। কখন কি হয়ে সেটা তো বলা যায় না।”
বাংলাদেশে বর্তমানে খ্রিস্টানের সংখ্যা প্রায় ১০ লাখ বলে ধারণা করা হয়।
সমাবেশ আসা অনেকেই জানালেন নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ থাকায় তাদের এলাকায় যাজকরা এখন চলাফেরা সীমিত করে দিয়েছেন।
এমনকি অনেকে চার্চের বাইরেও যাচ্ছেন না।

ঢাবি ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা: পরিবহনকর্মী মামুন রিমান্ডে


             

ফেসবুক খুলে দেওয়ার দাবীতে ব্যবসায়ীদের সমাবেশ

 
   
 
বাংলাদেশে ফেসবুক খুলে দেয়ার দাবিতে রাজধানী ঢাকায় আজ শুক্রবার মানব বন্ধন করেছে ফেসবুকের মাধ্যমে ব্যবসা করেন এরকম নানা শ্রেণীর ব্যবসায়ীরা।
দেশটিতে দু’সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে সরকার ফেসবুকসহ বেশ কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম বন্ধ করে রেখেছে।
ফেসবুকের মাধ্যমে যারা ব্যবসায়িক লেনদেন করেন তারা বলছেন, এরই মধ্যে তাদের কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
‘ফ্রি ফেসবুক ইন বাংলাদেশ’এই দাবি নিয়ে শাহবাগের জড়ো হন এই ব্যবসায়ীরা।
তাদের মধ্যে অনেকই বই বিক্রেতা, অনেকই আবার পোশাক বিক্রি করেন এই ফেসবুকে।
ইন্টারনেটের মাধ্যমে যোগাযোগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে ফেসবুক বেশ জনপ্রিয় হওয়ায় এটাকে অনেকেই ব্যবহার করছেন অনলাইন ব্যবসার মাধ্যম হিসেবে।
ইফতেখার আহমেদ- বইনিউজ.কম নামে একটি পেজ তৈরি করে ফেসবুকের মাধ্যমে বই বিক্রি করেন তিনি।
মি. আহমেদ বলেছেন, “ আমরা প্রতিমাসে লক্ষাধিক টাকার বই শুধু ফেসবুকের মাধ্যমে বিক্রি করি, এভাবে আর কয়েকদিন বন্ধ থাকলে আমাদের প্রচুর ক্ষতি হবে।”
কেউ কেউ ব্যবসার একটি নাম দিয়ে ফেসবুক পেজ তৈরি করে, সেই পেজে নির্দিষ্ট পণ্যের ছবি, দাম লিখে দেন।
আগ্রহী ক্রেতারা সেই পেজে লিখে দেন পণ্যটি তিনি কিনতে চান। পরের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ক্রেতার ঠিকানায় পৌছে যায় পণ্যটি ।
ঢাকার মিরপুরের ব্যবসায়ী সাঈদ উজ্জ্বল, ফেসবুকে ‘সাদাসিধা’ নামে একটি পেজে বছর খানেক ধরে পোশাক বিক্রি করেন। প্রতিমাসে পোশাক বিক্রি করে তার আয় হয় প্রায় দুই লক্ষ টাকা।
তিনি বলছিলেন “আমার দু’জন কর্মচারী আছে যারা ডেলিভারির কাজ করে, বিক্রি একদম বন্ধ এখন কর্মচারীদের বেতন দেয়া কষ্ট হচ্ছে, দুই সপ্তাহে ক্ষতি হয়েছে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা।”
ফেসবুকে শুধু যে বই, পোশাক কেনাবেচা হচ্ছে তাই না, প্রতিদিনকার কাঁচাবাজার থেকে শুরু করে নানা প্রসাধনী, ও ইলেকট্রনিক্স পণ্য কেনারও সুযোগ তৈরি করেছেন অনেকে। ফেসবুক খোলা থাকার সময় অনেক ক্রেতা আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন কিন্তু
হঠাৎ করেই ফেসবুক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাদের পণ্যগুলো এখনও পরে রয়েছে।
বাংলাদেশে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখের মত।
আর এই ফেসবুকে নানা পণ্যের বিক্রির এমন পেজের সংখ্যা কয়েক হাজার।
জাহিদ হাসান নামে একজন ফেসবুক ব্যবসায়ী বলেছেন, “সরকার ফেসবুক খোলা রেখেও নিরাপত্তা দিতে পারতো, তারা যে যুক্তিটি দিচ্ছেন সেটা একেবারেই খোড়া যুক্তি।” ফেসবুকের মাধ্যমে কেনাবেচা শুধু যে রাজধানীভিত্তিক তাই না, ঢাকার বাইরে অনেকে এর মাধ্যমে ব্যবসার করেন, আবার দেশের বাইরে থেকে অর্ডার আসলে সেগুলো তারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে পাঠিয়ে দেন।
এই বেচাকেনার প্রক্রিয়াগুলো হয় যে ফেসবুকে সেই ফেসবুক দু’সপ্তাহেরও বেশি সময় বন্ধ থাকায় তাদের ব্যবসা যে ধস নেমেছে সেটা বেশ পরিষ্কার।

সিরিয়ায় আইএসবিরোধী অভিযানে যোগ দিলো জার্মানি

 
                     সিরিয়া ও ইরাকের একটি বিস্তৃত এলাকায় সক্রিয় ইসলামিক স্টেট       
         
সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামরিক সাহায্য এবং সমর্থন যোগানোর এক প্রস্তাব জার্মান পার্লামেন্টে বিপুল ভোটে পাশ হয়েছে।
জার্মানি এই কাজে টর্নেডো জঙ্গি বিমান, একটি যুদ্ধ জাহাজ এবং বারোশো সৈন্য পাঠাবে।
তবে জার্মান সৈন্যরা সরাসরি যুদ্ধে অংশ নেবে না।
বিবিসির সংবাদদাতা বলছেন, জার্মানি মধ্যপ্রাচ্যের এই যুদ্ধে জড়াতে খুব আগ্রহী ছিল না, কিন্তু প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলার পর জার্মানি ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামিল হবে বলে অঙ্গীকার করে।
এর মধ্য দিয়ে তথাকথিত ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে যে সামরিক অভিযান চলছে, তাতে সবশেষ যোগ দিলো জার্মানি।
গত মাসে প্যারিসে হামলার পর ফরাসী সরকারের পক্ষ থেকে এই অনুরোধ করা হয়েছিলো।
জার্মান সংসদে এই অভিযানের পক্ষে ভোট পড়েছে ৪৪৫। আর বিপক্ষে ১৪৬।
বর্তমানে দেশের বাইরে এটাই জার্মানির সবচে বড়ো সামরিক অভিযান।
                                             
জার্মান সেনাবাহিনী বলছে, সিরিয়ার যেখানেই আই এস তৎপর জার্মান সৈন্যদের সেখানেই মোতায়েন করা হবে।
জার্মানির বামপন্থী বিরোধী দল এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।
আরো একটি দল গ্রিন পার্টি বেশিরভাগ এমপিরাও এর বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। এই দলের প্রধান জাতিসংঘের অনুমোদন ছাড়া এধরনের অভিযান কতোটা বৈধ সেবিষয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।
কিন্তু সরকারের আইনমন্ত্রী বলেছেন, এর বৈধতা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
এর আগে দেশের বাইরে জার্মানির সবচে বড়ো সামরিক অভিযান ছিলো আফগানিস্তানে।
সিরিয়ায় ব্রিটেনের বিমান হামলা শুরু হওয়ার একদিন পরেই জার্মান সংসদেও এই অনুমোদন দেওয়া হলও।bbc

মঙ্গলে একটি চিঠি পাঠাতে কতো খরচ পড়বে

 
                               
মঙ্গল গ্রহে চিঠি পাঠাতে কতো খরচ করতে পারে তার একটি হিসেব দিয়েছে ব্রিটিশ ডাক বিভাগ।
পাঁচ বছর বয়সী এক শিশুর কাছ থেকে অস্বাভাবিক এই প্রশ্নটি আসার পর পোস্টাল সার্ভিস এই হিসেব দিয়েছে।
অলিভার গিডিংস এই প্রশ্নটি করেছিলো। সে নিজে বড়ো হয়ে একজন নভোচারী হতে চায়।
ডাক বিভাগের কাছে এই শিশুটির প্রশ্ন ছিলো- আমি যদি মঙ্গল গ্রহে একটি চিঠি পাঠাতে চাই তাহলে তার জন্যে কতো খরচ পড়বে?
                 প্রশ্নটি করা হয়েছিলো রয়্যাল মেইলের কাছে                
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার সহযোগিতা নিয়ে এই হিসেবটি তৈরি করেছে রয়্যাল মেইল।
ডাক বিভাগ বলছে, লাল ওই গ্রহটিতে স্বাভাবিক ওজনের একটি চিঠি পাঠাতে খরচ হবে প্রায় সতেরো হাজার ডলার।
এই পৃথিবী থেকে মঙ্গল গ্রহের দূরত্ব প্রায় ৫৫ মিলিয়ন কিলোমিটার।
ভাবুনতো এই হিসেব পাওয়ার পর ডাক বিভাগের কাছে শিশু অলিভারের উত্তর কি ছিলো?
                 অলিভারের বিস্ময় - এতো স্ট্যাম্প লাগবে!                
“ওয়াও! এতো অনেক টাকা! এজন্যে এত্তোগুলে ডাকটিকেট লাগবে!”
অলিভারের মা জানিয়েছেন, তার সন্তান সবসময়ই খুব কৌতূহলী।
“মহাকাশ, তারকামণ্ডলী আর গ্রহ নক্ষত্রের বিষয়ে তার প্রচুর আগ্রহ।”
রয়্যাল মেইলের কাছ থেকে এরকম এক জবাব পেয়ে মহা খুশি অলিভার।bbc

তেলের জন্য পাঁচ যুদ্ধ: পার্ল হারবার থেকে সিরিয়া

 
                     সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট অধিকৃত এলাকায় বোমায় ধ্বংস এক তেল স্থাপনা     
           
ইসলামিক স্টেটের কাছ থেকে তেল পাওয়ার স্বার্থেই তুরস্ক গুলি করে রুশ বিমান ফেলে দিয়েছে বলে অভিযোগ করছে রাশিয়া।
কথিত ইসলামিক স্টেট থেকে বছরে শত কোটি ডলারের তেলের সরবরাহ তুরস্কে যায় বলে অভিযোগ।
সেই তেলবাহী ট্রাক বহরের ওপর বিমান হামলা চালাচ্ছিল রুশ জঙ্গী বিমানগুলো। উদ্দেশ্যে ইসলামিক স্টেট জঙ্গীদের অর্থের অন্যতম উৎসে আঘাত হানা।
যদিও তুরস্ক এর প্রতিবাদ জানিয়েছে তীব্র ভাষায়। তারা বলছে, ইসলামিক স্টেটের কাছ থেকে তেল কেনার অভিযোগ সত্য নয়।
তবে এই অভিযোগকে ঘিরে বিভিন্ন যুদ্ধে তেলের ভূমিকা আবারও আলোচনায় আসছে। সেরকম পাঁচটি যুদ্ধ:
সিরিয়া এবং ইরাক ঃ ২০১১ থেকে বর্তমান
ইরাক এবং সিরিয়ায় কথিত ইসলামিক স্টেটকে ঘিরে যে যুদ্ধ, তাতে তেলের যে বিরাট ভূমিকা আছে তাতে কোন সন্দেহ নেই।
কথিত ইসলামিক স্টেট জঙ্গীদের আয়ের বড় উৎস তেল সম্পদ। তারা সিরিয়া তেল সমৃদ্ধ অঞ্চলের বেশিরভাগটাই নিয়ন্ত্রণ করে।
                 ইরাক যুদ্ধের পেছনেও ছিল পশ্চিমা দেশগুলোর তেলের স্বার্থ                
২০১৪ সালে ইসলামিক স্টেট প্রতিদিন দুই মিলিয়ন ডলারের তেল বিক্রি করতো।
ইরাকের মোসুলের কাছে অনেক তেলকূপও তাদের দখলে। এই তেল নাকি তারা চারাচালানি থেকে শুরু করে বিভিন্ন পক্ষের কাছে বিক্রি করে।
চোরাচালানিরা আবার এই তেল বিক্রি করে সিরিয়ার আসাদ সরকার থেকে শুরু করে প্রতিবেশি তুরস্কের কাছে।
রাশিয়া আসলে তাদের অভিযোগে এই বিষয়টির দিকেই ইঙ্গিত করেছে।
বিবিসির সংবাদদাতা ফ্রাংক গার্ডনার বলছেন, তেল নিয়ে এই ব্যবসা যে চলছে তাতে কোন সন্দেহ নেই। তবে এতে তুরস্কের সরকার জড়িত থাকার কোন প্রমাণ এখনো নেই।
২০০৩ সালে সালের ইরাক যুদ্ধ
২০০২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে যখন ইরাক যুদ্ধের প্রস্তুতি চলছে, তখন তৎকালীন ইরাকী উপ-প্রধানমন্ত্রী তারেক আজিজ বলেছিলেন, ইরাকের তেলের লোভেই পশ্চিমা শক্তি এই যুদ্ধে যাচ্ছে।
আরব বিশ্বে সেসময় এই ধারণাটাই আসলে বদ্ধমূল ছিল।
ইরাকের রয়েছে বিপুল তেলসম্পদ। বিশেষজ্ঞরা একমত যে, এই তেলের স্বার্থ ঐ যুদ্ধের অন্যতম কারণ, তবে একমাত্র কারণ নয়।
ইকনমিস্ট ম্যাগাজিন, যাদের কোন ভাবেই সাদ্দাম হোেসেনের প্রতি বন্ধুভাবাপন্ন বলা যাবে না, তারাও এক নিবন্ধে একথা স্বীকার করে।
ইকনমিস্টের ঐ নিবন্ধে বলা হয়, ইরাকের বিপুল তেল সম্পদ উন্মুক্ত করা এই অভিযানের অন্যতম লক্ষ্য ছিল।
অন্যদিকে সাদ্দাম হোসেন যেভাবে এই তেলসম্পদকে ইরাকের প্রভাব বৃদ্ধির কাজে লাগাচ্ছিলেন, সেটা বন্ধ করাও পশ্চিমা দেশগুলোর উদ্দেশ্য ছিল।
১৯৯১ সালের প্রথম উপসাগরীয় যুদ্ধ
প্রথম উপসাগরীয় যুদ্ধের আগে যেসব যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ হতো, সেগুলোতে একটা জনপ্রিয় শ্লোগান ছিল 'তেলের জন্য রক্ত নয়'।
এই যুদ্ধে তেলের স্বার্থ যে সবচেয়ে বড় ছিল তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।
ইরাক মূলত এই তেল সম্পদের লোভেই প্রতিবেশি কুয়েত দখল করে নেয়। সাদ্দাম হোসেন অবশ্য কুয়েতকে তাদের একটি প্রদেশ হিসেবে দাবি করে।
আর যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের মিত্ররা যে কুয়েতকে দখলমুক্ত করতে চেয়েছে, সেটাও তেলের স্বার্থেই। তারা চেয়েছে কুয়েতের বিপুল তেলের সরবরাহ যেন তাদের জন্য উন্মুক্ত থাকে।
                 ১৯৭৯ সালে ইরানের ইসলামী বিপ্লব                
১৯৫৩ সালের ইরান অভ্যুত্থান
১৯৫৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেন মিলে ইরানে যে অভ্যুত্থান ঘটায়, তার পেছনে ছিল তেলের স্বার্থ।
নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মোসাদ্দেগের সরকারকে তারা যে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয় তার কারণ তিনি ইরানে ব্রিটিশ মালিকানাধীন তেল কোম্পানিকে জাতীয়করণ করেছিলেন।
পশ্চিমা দেশগুলোর বিরুদ্ধে যে ইরানে ব্যাপক সন্দেহ তৈরি হয়, তার সূত্রপাত এখান থেকেই।
এর পরিণতিতেই কিন্তু ১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামী বিপ্লব সংঘটিত হয়, ক্ষমতাচ্যূত হন রেজা শাহ পাহলভি।
                 দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের হাতে বন্দী মার্কিন সেনাদল                
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকে ফ্যাসীবাদের বিরুদ্ধে লড়াই হিসেবে বর্ণনা করা হয়। কিন্তু এই যুদ্ধেও তেলের ভূমিকা ছিল।
জাপান যখন চীনে অভিযান চালায়, তার জবাবে যুক্তরাষ্ট্র জাপানে তেল সরবরাহ বন্ধ করে দেয়।
তখন এর পাল্টা জবাব হিসেবে জাপান আক্রমণ চালায় যুক্তরাষ্ট্রের পার্ল হারবারে।
জাপানের অর্থনীতি পুরোপুরি নির্ভরশীল ছিল আমদানি করা তেলের ওপর।
অন্যদিকে ইউরোপীয় রণক্ষেত্রে সেসময়ের সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ, তেল সমৃদ্ধ আজারবাইজান দখল করা ছিল জার্মানদের লক্ষ্য।

ফেইসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে রোববার বৈঠকে বসছেন বাংলাদেশ সরকারের তিন মন্ত্রী।

আমেরিকায় বন্দুকের যথেচ্ছ ব্যবহার বন্ধ হচ্ছেনা কেন

 
   
আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ বেড়েই চলেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সে দেশে আগ্নেয়াস্ত্র আইন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বহুবার কথা বলেছেন। কিন্তু আমেরিকায় আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা যাচ্ছেনা।
২০১৫ সালে আমেরিকায় বন্দুক হামলায় ১২ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে এবং আহত হয়েছে প্রায় ২৫ হাজার।
বড় ধরনের যেসব ঘটনা ঘটে – অর্থাৎ কোন স্কুল বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, অথবা কোন বড় জমায়েতে হামলার মতো ঘটনাগুলো গণমাধ্যমে খবর হয়।
কিন্তু প্রতিদিন আগ্নেয়াস্ত্রের গুলিতে এমন অনেকে মারা যায়, যেটি কোন খবর হয়না।
পলিটিফ্যাক্ট-এর পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে ১৯৬৮ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত বন্দুক বা পিস্তলের গুলিতে আমেরিকায় ১৪ লাখ মানুষ মারা গেছে।
বন্দুকের যথেচ্ছ ব্যবহার নিয়ে প্রেসিডেন্ট ওবামার ক্ষোভ এবং হতাশা বেড়েই চলেছে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবার পর থেকে মি: ওবামা এনিয়ে ১৫বার বন্দুকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করার পক্ষে কথা বলেছেন।কিন্তু তাতে কোন লাভ হয়নি।
আমেরিকায় একটি বন্দুকের দোকান।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমেরিকায় বন্দুকধারীদের হামলার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় তিনি বরাবরই উদ্বেগ জানিয়ে আসছেন। কিন্তু তাতে কোন কাজ হচ্ছেনা।
আমেরিকায় এখন কতগুলো পিস্তল বা বন্দুক ব্যবহার করা হচ্ছে তার সঠিক কোন পরিসংখ্যান নেই।
তবে ধারনা করা হয়, এই সংখ্যা প্রায় ৩০ কোটি। এই সংখ্যা আমেরিকার মোট জনসংখ্যার সমান।
প্রেসিডেন্ট ওবামা বন্দুকের যথেচ্ছ ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলেও সেটি সম্ভব হচ্ছেনা। কারণ ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে আইনপ্রণয়ন করেতে মার্কিন কংগ্রেসে যথেষ্ট সমর্থন নেই।
এমন প্রেক্ষাপটে হতাশ প্রেসিডেন্ট ওবামা সংবাদমাধ্যমকে একটি বিষয় তুলনা করার আহবান জানিয়েছেন। সেটি হচ্ছে- সন্ত্রাসী হামলায় আমেরিকার কতজন নাগরিক মারা গেছে আর অন্যদিকে নিজ দেশে আগ্নেয়াস্ত্রের গুলিতে কতজন মারা গেছে?
তিনি বলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রতিবছর সন্ত্রাসী হামলা থেকে নিজেদের নাগরিকদের রক্ষা করতে এক ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় করে।
অথচ সন্ত্রাসী হামলায় যে পরিমাণ লোক মারা যায়, তার চেয়ে বেশি মানুষ মারা যায় আমেরিকার অভ্যন্তরে আগ্নেয়াস্ত্রের গুলিতে।
প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
বিভিন্ন জরিপের কথা উল্লেখ করে মি: ওবামা বলেন, আমেরিকার অধিকাংশ মানুষ আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের পক্ষে।
যেখানে স্বয়ং প্রেসিডেন্ট এবং দেশের অধিকাংশ জনগণ আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহারের নিয়ন্ত্রণের পক্ষে, তারপরে সেটি নিয়ন্ত্রণের জন্য আইন করা যাচ্ছেনা। সমস্যাটা কোথায়?
পিউ রিসার্চ সেন্টারের এক জরিপে বলা হচ্ছে ,আমেরিকার ৮০ শতাংশ জনগণ মনে করে যে মানসিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তিদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রি করা উচিত নয়।
কিন্তু সাধারণ মানুষের মতামত এখানে খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যদের মতামত এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। মার্কিন কংগ্রেস আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের বিপক্ষে।
অধিকাংশ মার্কিন নাগরিকের চিন্তাভাবনাকে কংগ্রেস গুরুত্ব না দিলেও চলে। সেজন্য জরিপের ফলাফলের তেমন গুরুত্ব নেই।
নির্বাচনের দিন যেসব আমেরিকান ভোট দিতে যায় তাদের মতামতকে গুরুত্ব দিলেই চলে।
মার্কিন সিনেটে বর্তমানে পিাবলিকান সদস্য ৫৪জন এবং ডেমোক্রেটস সদস্য ৪৬জন। এখানে প্রতিটি রাজ্যের জনসংখ্যা গুরুত্বপূর্ণ।
                 আগ্নেয়াস্ত্রের যথেচ্ছ ব্যবহার বন্ধে কঠোর আইন করতে কংগ্রেসে পর্যাপ্ত সমর্থন পাওয়া যাচ্ছেনা।
আমেরিকার পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য ওআয়ামিং জনসংখ্যা ছয় লাখের মতো । সেখানকার মানুষ বন্দুক ব্যবহারের পক্ষে। অন্যদিকে ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের জনসংখ্যা তিন কোটি ৮০ লাখ। সেখানকার মানুষ চায় বন্দুকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা হোক।
কিন্তু জনসংখ্যা কম হলেও ওআয়ামিং –এর দুজন সেনেটরের কংগ্রেসে যে অধিকার আছে, অন্যদিকে জনসংখ্যা অনেক বেশি থাকা সত্ত্বেও ক্যালিফোর্নিয়ার দুজন সিনেটরের একই অধিকার আছে।
মার্কিন কংগ্রেসের ‘জটিল হিসেব- নিকেশের’ কারণে অনেক সময় কংগ্রেসম্যানদের চিন্তাধারায় সার্বিকভাবে আমেরিকার অধিকাংশ জনগণের মনোভাবের প্রতিফলন হয়না।
সেজন্যই বন্দুকের যথেচ্ছ ব্যবহার বন্ধের জন্য প্রেসিডেন্টর আগ্রহ থাকলেও সেটি বাস্তবায়ন হচ্ছে না।bbc

ফিফা দুর্নীতির দায়ে ১৬জন অভিযুক্ত

 
                     শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর সংকটে রয়েছে ফিফা    
            
বিশ্ব ফুটবল সংস্থা ফিফায় বড় ধরণের দুর্নীতির সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৬ জন কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের তদন্তকারীরা। এদের মধ্যে পাঁচজনই ফিফার বর্তমান বা সাবেক নির্বাহী কমিটির সদস্য।
মার্কিন আইনজীবীরা বলছেন, দুই দশকের বেশি সময় ধরে তারা বিশ্ব ফুটবলকে দুষিত করে আসছেন, এই সময়ে তারা দুইশ মিলিয়ন ডলারের বেশি ঘুষ নিয়েছেন।
সুইজারল্যান্ডের জুরিখের একটি হোটেল থেকে গতকাল ভোরে দুজন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করার পর এই ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করলেন মার্কিন তদন্তকারীরা।
গ্রেপ্তারকৃত দুজনও ১৬ জনের মধ্যে রয়েছেন। রয়েছেন ফিফার নির্বাহী কমিটির কয়েকজন বর্তমান ও সাবেক সদস্য।
তালিকায় রয়েছেন ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশনের সাবেক প্রধান রিকার্ডো টেইজেরিয়া। তার বিরুদ্ধে দুইশ মিলিয়ন ডলার ঘুষের অভিযোগ আনা হয়েছে। তালিকায় আরো রয়েছেন ব্রাজিলের ফুটবলের প্রেসিডেন্ট মার্কো পেলো ডেল নেরো।
মার্কিন এটর্নি জেনারেল লরেট্টা লিঞ্চ বলছেন, দুই দশকের বেশি সময় ধরে এই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা ফুটবল বিশ্বকে দুষিত করে তুলেছেন।
মিজ. লিঞ্চ বলছেন, তারা যে প্রতারণা করেছেন, যেভাবে দুর্নীতি করেছেন, তা অবিশ্বাস্য। তবে এটা এখন পরিষ্কার করে দেয়া হচ্ছে, যারাই ফুটবলের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত কিন্তু এখনো আড়ালে লুকিয়ে রয়েছে, তাদেরকেও খুঁজে বের করা হবে।
ফিফা জানিয়েছে, তদন্ত কাজে যুক্তরাষ্ট্রকে পূর্ণ সহযোগিতা দেবে সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার ফিফা'র নির্বাহী কমিটি সংস্থাটির মধ্যে কার দুর্নীতিরোধে একটি গুচ্ছ সংস্কার কর্মসূচি অনুমোদন করেছে।
গত মে মাসে ফিফার সাতজন কর্মকর্তাকে বেআইনি কার্যকলাপে সংশ্লিষ্টতা, মানি লন্ডারিং ও প্রতারণার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল।