রবিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

মোবাইল ইন্টারনেটের দাম কমাতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

শনিবার গণভবনে ইন্টারনেট সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, “ইন্টারনেটের দাম জনগণের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসতে আমরা প্রতি এমবিপিএস ব্যান্ডউইডথের দাম আট দফায় কমিয়ে ৭৮ হাজার টাকা থেকে মাত্র ৬২৫ টাকায় নামিয়ে এনেছি। “মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোকে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি যে, তারাও সমানভাবে গ্রাহক পর্যায়ে দাম কমাতে পারে।” দাম কমালে ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়বে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, “তাতে করে মানুষ বেশি করে ইন্টারনেট ব্যবহার করবে। আয়টা বাড়বে।” গত জুলাইয়ের শেষ নাগাদ বাংলাদেশে ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়ায় পাঁচ কোটি সাত লাখ সাত হাজার, যার মধ্যে মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহক ৪ কোটি ৯২ লাখ ৪১ হাজার বলে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) তথ্য। বাংলাদেশে ইন্টারনেটের দাম নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে গ্রাহকদের মধ্যে; দাম কমানোর দাবি উঠছে অনলাইনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগিতায় ইন্টারনেট সপ্তাহের আয়োজন করেছে সফটওয়ার রপ্তানিকারকদের সংগঠন বেসিস। বেসরকারি মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন এতে সহযোগিতা করছে।
গণভবনে ইন্টারনেট সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী।
গণভবনে ইন্টারনেট সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী। 
অনুষ্ঠানেগ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীব শেঠীও উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্যে বিএনপি নেতৃত্বাধীন সরকারের বিনামূল্যে সাবমেরিন কেবল সংযোগ পাওয়ার প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার কথা তুলে ধরে তথ্য-প্রযুক্তির বিকাশে আওয়াম লীগ সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালেই বেসরকারি মোবাইল অপারেটরদের জন্য এই খাত উন্মুক্ত করা হয়েছিল বলে জানান তিনি। তার আগে মাত্র একটি অপারেটরের মোবাইল সেবা এবং উচ্চ কল রেটের কথা উল্লেখ করেন তিনি। বক্তব্যের শেষদিকে গ্রামীণ ফোনের সিইও রাজীব শেঠীর দিকে তাকিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গ্রামীণফোনকে একটা কথাই বলব, প্রথম বেসরকারি খাতে মোবাইল কোম্পানিকে যে আমি অনুমতি দিয়েছিলাম তার মধ্যে গ্রামীণফোন একটা। এই ব্যবসাটা আমারই দেওয়া। এই সাহসটা আগে কেউ পায়নি, এটাকে উন্মুক্ত করে দেওয়া। আগে একটা মাত্র মোবাইল কোম্পানি ছিল, আমরা এটাকে উন্মুক্ত করে দিয়েছি।” বক্তব্যে অবৈধ ভিওআইপি বন্ধের কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। “ভিওআইপির ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। এটা আমাদের সরকারেরও লোকসান, দেশেরও ক্ষতি হচ্ছে।সে বিষয়টা দেখতে হবে,” বলেন তিনি।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

হিলিতে ট্রেনের ধাক্কায় আহত বিজিবি সদস্যের মৃত্যু

দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে ট্রেনের ধাক্কায় আহত বিজিবি সদস্য মাকসুদুল আলম রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ শনিবার সন্ধ্যা সাতটায় মারা গেছেন। মাকসুদুল গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায় হিলি সীমান্তে কর্তব্যরত অবস্থায় চলন্ত ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন। মাকসুদুলের বাড়ি কক্সবাজারের মহেশখালীতে।
হিলি আইসিপি বিওপির কোম্পানি কমান্ডার নায়েক সুবেদার আবদুর জব্বার বলেন, সীমান্তে ২৮৫ / ১৯ সাব সীমান্ত পিলার এলাকায় রেল লাইনের ওপর বিজিবি সদস্য মাকসুদুল আলম কর্তব্যরত ছিলেন। রাত সাড়ে ১১টায় ঢাকা থেকে দিনাজপুরগামী আন্তনগর একতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ওই এলাকা অতিক্রম করার সময় ট্রেনের ধাক্কায় মাথা ফেটে গুরুতর আহত হন তিনি। এরপর মাকসুদুলের সঙ্গে কর্তব্যরত বিজিবি সদস্যরা তাঁকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এবং পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। আজ সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি | আপডেট: