শনিবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০১৬

Artile

Artile
Artile

সৌদি আরবের পর ইরানে গেলেন চীনা প্রেসিডেন্ট


Image copyrightAP
Image captionইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সাথে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং
গত সপ্তাহে ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার পর তেহরান সফরে গেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
গত এক দশকের মধ্যে এই প্রথম কোন চীনা নেতা ইরানে গেলেন।
ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সঙ্গে তার বৈঠকের পর দু’দেশের তরফ থেকে বলা হচ্ছে, চীন এবং ইরান তাদের সম্পর্কের এক নতুন অধ্যায় শুরু করতে যাচ্ছে।
ইরান ও চীনের নেতারা শুধু অর্থনৈতিক সম্পর্ক নয়, নিজেদের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্কও আরো জোরদার করার কথা বলেছেন।
বাণিজ্য সম্প্রসারণ থেকে শুরু করে জ্বালানীর ব্যাপারে ১৭টি সমঝোতায় স্বাক্ষর করেছেন তারা। ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, এসময় কৌশলগত সম্পর্কের ব্যাপারে ২৫ বছরের একটি চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়েছে।
বৈঠকের পর এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, বিজ্ঞান, আধুনিক প্রযুক্তি, সংস্কৃতি ও পর্যটনের পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদ, মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতার মতো বিষয়েও তারা কথাবার্তা বলেছেন।
Image copyrightGetty
Image captionএর আগে সৌদি বাদশাহর সাথে চীনা প্রেসিডেন্ট
“মধ্যপ্রাচ্যে সন্ত্রাসবাদ, উগ্রপন্থা এবং সহিংসতা মোকাবেলার ব্যাপারেও আমরা আলোচনা করেছি।”
তিনি বলেন, গোয়েন্দা সহযোগিতার মাধ্যমে আফগানিস্তান, ইরাক, সিরিয়া এবং ইয়েমেনে সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলার ব্যাপারেও তাদের কথাবার্তা হয়েছে।
চীন ইরানের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। ইরানের ওপর থেকে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর চীনা প্রেসিডেন্ট প্রথম বিদেশি কোনো নেতা যিনি ইরান সফরে গেলেন। এর আগে তিনি সৌদি আরবে গিয়েছিলেন।
এমন সময়ে চীনা প্রেসিডেন্ট এই দুটো দেশ সফরে গেলেন যখন ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বিবিসির সংবাদদাতারা বলছেন, যেসব এলাকায় এর আগে মার্কিন ও রুশ স্বার্থই প্রাধান্য পেতো সেখানে গিয়ে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং চীনের ক্রমবর্ধমান শক্তিকেই তুলে ধরার চেষ্টা করছেন।