সোমবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

বার্মায় সেনাবাহিনীর সাথে অং সান সূচির সমঝোতা?


Image copyrightAP
Image captionঅং সান সূচির দল বিপুল ভোটে জয়ী হলেও সাংবিধানিক বিধিনিষেধের কারণে তিনি প্রেসিডেন্ট হতে পারছেন না
মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচনের পর তিন মাস পার হলেও, সংসদের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে মার্চের মাঝামাঝির আগে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করা হচ্ছে না।
কেন তা হবে না – সেটা বলা হয়নি, তবে সংবাদদাতারা বলছেন, এই ঘোষণার পর জল্পনা বাড়বে যে অং সান সূচিকে প্রেসিডেন্ট হিসাবে নিয়োগের চেষ্টা চলছে কিনা।
মিয়ানমারের বর্তমান সংবিধান অনুসারে মিস সূচি প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না, কারণ তার দুই ছেলে বিদেশী পাসপোর্টের অধিকারী।
মিয়ানমারের সংসদের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কাজটি করা হবে ১৭ই মার্চ।
কিন্তু প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এবং মিস সূচির মধ্যে কোন সমঝোতা হয়েছে কি না, কিংবা তিনি এখনই তার শক্তি দেখাতে শুরু করেছেন কিনা -- এই প্রশ্নই এখন সবার মনে।
যদি সত্যি সত্যি কোন সমঝোতা হয়, তবে তা হবে একটি বিপজ্জনক খেলা।
Image captionমিয়ানমার সংসদের ২৫ শতাংশ আসন সেনাবাহিনীর জন্যে বরাদ্দ
বিবিসির সংবাদদাতারা জানাচ্ছেন, দেখে মনে হয় মিস সূচির বর্তমান পরিকল্পনা হচ্ছে, তার দলের এমপিদের দিয়ে সংবিধানের সেই অনুচ্ছেদগুলো আপাতত স্থগিত করে দেয়া যার কারণে তিনি প্রেসিডেন্ট হতে পারছেন না।
এ ধরনের কোন পদক্ষেপের বিধান মিয়ানমারের বর্তমান সংবিধানে নেই।
এবং এটি শেষ পর্যন্ত করা হলেও তা অবৈধ এবং সংবিধান-বিরোধী বলে আদালতে চ্যালেঞ্জ হতে পারে।

স্বর্ণপদক জিতেও কেন এত কাঁদছিলেন মাবিয়া?


mabia_aktar
Image captionগলায় পদক পরে স্যালুট তুলে আকুল হয়ে কেঁদে যাচ্ছিলেন মাবিয়া
দুই সপ্তাহ আগে অনুশীলনের সময় কনুই এ ফ্রাকচার হয়েছিল, তা নিয়েই ভারতের গুয়াহাটিতে দক্ষিণ এশিয়া গেমসে খেলতে গিয়েছিলেন মাবিয়া আক্তার সীমান্ত।
রোববার ভারোত্তোলনে মেয়েদের ৬৩ কেজি ওজন শ্রেণিতে স্বর্ণপদক জিতলেন তিনি।
পদক জেতার পর পুরস্কার মঞ্চে দাড়িয়ে আছেন, মাইকে বাজছে জাতীয় সঙ্গীত, পাশে উড়ছে জাতীয় পতাকা।
গলায় পদক পড়ে স্যালুট তুলে দাড়িয়ে দাড়িয়ে আকুল হয়ে কেঁদে যাচ্ছেন দক্ষিণ এশীয় গেমসে বাংলাদেশের জন্যে প্রথম স্বর্ণপদক এনে দেয়া কিশোরী মেয়েটি।
গত চব্বিশ ঘণ্টায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক মিনিটব্যপী এই ভিডিওটি দেখেছেন এবং শেয়ার করেছেন বহু মানুষ।
কেন এমন কান্না?
জানতে চাইলে মাবিয়া আক্তার সীমান্ত বিবিসি বাংলাকে বলেন, কনুই এ ফ্রাকচারের কারণে ডাক্তার বলেছিল আপাতত কিছুদিন খেলা উচিত হবেনা।
‘সেই হাত নিয়ে জিতেছি আমার প্রথম স্বর্ণপদক।
আশাই ছিল না পদক জেতার।
এরপর যখন পুরস্কার মঞ্চে উঠি, মাইকে জাতীয় সঙ্গীত বাজছিল, পাশে জাতীয় পতাকা উড়ছিল।
সবকিছু মিলে কান্না থামাতে পারছিলাম না।’
জাতীয় বক্সিং দলের কোচ মামা শাহাদাত কাজী অনেকটা জোর করে ২০১০ সালে মাবিয়াকে নিয়ে এসেছিলেন ভারোত্তোলনে।
সেসময় এই খেলার ব্যপারে একেবারেই উৎসাহ ছিল না তার, বরং পাড়ার বন্ধুদের সঙ্গে খেলতেন কাবাডি, ক্যারাম, আর ব্যাডমিন্টনসহ অন্যসব খেলা।
তিন ভাইবোনের সংসারে একসময় পড়ালেখা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল মাবিয়ার।
বাংলাদেশ আনসারে চাকরি করছেন এখন।
এখন উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছেন।
সামনের বছর এসএসসি পরীক্ষা দেবেন ১৭ বছর বয়সী এই এ্যাথলেট।
স্বপ্ন দেখেন একদিন অলিম্পিকে খেলতে যাবেন।
মাবিয়া বলছিলেন এর আগে ২০১৩ সালে কমনওয়েলথ ভারোত্তোলন চ্যাম্পিয়নশিপে রৌপ্য পদক জিতেছিলেন তিনি।
২০১৪ সালে উজবেকিস্তানে আফ্রো-এশিয়া কাপেও রৌপ্য পদক জিতেছিলেন তিনি।
একই বছর থাইল্যান্ডে কিংস কাপে জিতেছিলেন ব্রোঞ্জ।

হিজাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় বিক্ষোভ


bosnia
Image copyrightAFP.Getty
Image captionহিজাব আমার অধিকার লেখা প্ল্যাকার্ড বহন করেন বহু নারী
হিজাব পরিধানে নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ায় পথে নেমে এসেছেন বসনিয়ার বিক্ষুব্ধ নারীরা।
নতুন এই সরকারি নির্দেশনায় দেশটির বিচার বিভাগীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে কোন ধরনের ধর্মীয় প্রতীক ব্যবহারের প্রতি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
দেশটির প্রায় ৪০ভাগ মানুষই মুসলিম।
রাজধানী সারায়েভোর আদালত এবং অন্যান্য সরকারী প্রতিষ্ঠানে স্কার্ফ বা হিজাব পরিধানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন প্রায় দুই হাজার নারী।
এসময় অনেকেই হিজাবের পক্ষে নানা শ্লোগান তুলে ধরেন।
হিজাব আমার অধিকার লেখা প্ল্যাকার্ড বহন করতে দেখা যায় বহু নারীকে।
দেশটির মুসলিম রাজনীতিবিদ এবং ধর্মীয় নেতৃবৃন্দও নতুন এই নিষেধাজ্ঞার কড়া সমালোচনা করেছেন।