বীরাঙ্গনা হিসেবে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নিজের নাম না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী, একাত্তরে পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের হাতে নির্যাতিত নারীদের অধিকার আদায়ে সব সময় সোচ্চার ছিলেন যিনি।
সোমবার ৪১ জন বীরাঙ্গনার নাম মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে গেজেট প্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। ওই তালিকায় প্রিয়ভাষিণীর নাম না দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অনেকে।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার প্রিয়ভাষিণীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমি স্তম্ভিত। দুঃখিত নই, ক্ষুব্ধ। খুবই ক্ষুব্ধ।”
যুদ্ধদিনের সেই ‘ভয়াবহ’ অভিজ্ঞতা স্মরণ করে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে “১৯৭১ সালে আমি খুলনা ছিলাম। অক্টোবরের শেষের দিকে আমাকে কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়…৩২ ঘণ্টা আমাকে আটকে রাখা হয়েছিল। এমন কোনো নির্যাতন নেই, যা তারা করেনি। আমার জীবনে সে এক দুঃসহ স্মৃতি।”
বীরাঙ্গনাদের তালিকায় উপেক্ষার জন্য মনোকষ্ট পেয়েছেন জানিয়ে এই শিল্পী বলেন, “কারও কাছে কখনও কিছু চাইনি, শুধু স্বীকৃতি চেয়েছিলাম। আমার নামটা আসা উচিত ছিল। আমি দুঃখিত না, অভিযোগ করছি না… আমি ক্ষুব্ধ। অত্যন্ত মনোকষ্ট পেয়েছি।”
নিজের বক্তব্যের পক্ষে যুক্তি দিয়ে তিনি বলেন, “যুদ্ধে আমার ভূমিকার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে স্বাধীনতা পদক দিয়েছেন। একজন বীরাঙ্গনা হিসেবে দেশে-বিদেশে বহু জায়গায় আমি সাক্ষাৎকার দিয়েছি। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক অনুষ্ঠানগুলোতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আমাকে নিমন্ত্রণ করা হয়।
“বীরাঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতির জন্য ১৯৯৯ সাল থেকে রাজপথে আছি। নির্যাতিত নারী এবং পাক হানাদার বাহিনীর বিষয়ে যারা সরকারকে সবচেয়ে বেশি তথ্য দিয়েছে তাদের মধ্যে আমি একজন। আর আজ আমাকে তারা পাশ কাটিয়ে চলে যায়।”
এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে যোগযোগ করা হলে সচিব এম এ হান্নান বলেন, “এটা আসলে চলমান প্রক্রিয়া। আমাদের কাছে যাদের নাম আছে, তাদের বিষয়ে যাবতীয় তথ্য হাতে আসার পর সেগুলো যাচাই বাছাই, পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে এই গেজেটটি প্রকাশ করা হয়েছে।
“বীরাঙ্গনাদের নাম, তথ্য সংগ্রহ ও যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে। গতকালকের তালিকায় যাদের নাম আসেনি, পরবর্তী গেজেটে আসবে। এখানে হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই। কেউ যদি সত্যিই মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখেন তিনি স্বীকৃতি পাবেন।”
এ বিষয়ে মঙ্গলবার প্রিয়ভাষিণীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমি স্তম্ভিত। দুঃখিত নই, ক্ষুব্ধ। খুবই ক্ষুব্ধ।”
যুদ্ধদিনের সেই ‘ভয়াবহ’ অভিজ্ঞতা স্মরণ করে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে “১৯৭১ সালে আমি খুলনা ছিলাম। অক্টোবরের শেষের দিকে আমাকে কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়…৩২ ঘণ্টা আমাকে আটকে রাখা হয়েছিল। এমন কোনো নির্যাতন নেই, যা তারা করেনি। আমার জীবনে সে এক দুঃসহ স্মৃতি।”
বীরাঙ্গনাদের তালিকায় উপেক্ষার জন্য মনোকষ্ট পেয়েছেন জানিয়ে এই শিল্পী বলেন, “কারও কাছে কখনও কিছু চাইনি, শুধু স্বীকৃতি চেয়েছিলাম। আমার নামটা আসা উচিত ছিল। আমি দুঃখিত না, অভিযোগ করছি না… আমি ক্ষুব্ধ। অত্যন্ত মনোকষ্ট পেয়েছি।”
নিজের বক্তব্যের পক্ষে যুক্তি দিয়ে তিনি বলেন, “যুদ্ধে আমার ভূমিকার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে স্বাধীনতা পদক দিয়েছেন। একজন বীরাঙ্গনা হিসেবে দেশে-বিদেশে বহু জায়গায় আমি সাক্ষাৎকার দিয়েছি। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক অনুষ্ঠানগুলোতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আমাকে নিমন্ত্রণ করা হয়।
“বীরাঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতির জন্য ১৯৯৯ সাল থেকে রাজপথে আছি। নির্যাতিত নারী এবং পাক হানাদার বাহিনীর বিষয়ে যারা সরকারকে সবচেয়ে বেশি তথ্য দিয়েছে তাদের মধ্যে আমি একজন। আর আজ আমাকে তারা পাশ কাটিয়ে চলে যায়।”
এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে যোগযোগ করা হলে সচিব এম এ হান্নান বলেন, “এটা আসলে চলমান প্রক্রিয়া। আমাদের কাছে যাদের নাম আছে, তাদের বিষয়ে যাবতীয় তথ্য হাতে আসার পর সেগুলো যাচাই বাছাই, পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে এই গেজেটটি প্রকাশ করা হয়েছে।
“বীরাঙ্গনাদের নাম, তথ্য সংগ্রহ ও যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে। গতকালকের তালিকায় যাদের নাম আসেনি, পরবর্তী গেজেটে আসবে। এখানে হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই। কেউ যদি সত্যিই মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখেন তিনি স্বীকৃতি পাবেন।”