শনিবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৫

বিপিএলের মঞ্চ মাতাতে রাত ৯টায় উঠবেন হৃতিক রোশন!

 
সময়ের কন্ঠস্বর- বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল)-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন ঋত্বিক রোশন ও জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তারা ঢাকায় এসে পৌঁছান। সকালে বিমানবন্দরে নেমে যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে বলিউডের এ তারকা চলে যান মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে। দুপুরের পর মঞ্চে উঠে নাচের দলের সঙ্গে মহড়ায় অংশ নেন বলিউডের এ সুপারস্টার।
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফর। নতুন দর্শকদের সামনে নাচবেন বলিউডের হার্টথ্রব নায়ক হৃতিক রোশন। তার সঙ্গে থাকবেন লংকান সুন্দরী জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজও। শুক্রবার বিকেল থেকে শুরু হয়েছে বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। তবে রাত নটায় স্টেজে উঠবেন হৃতিক-জ্যাকুলিন। বাংলাদেশে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ বা বিপিএল। এর তৃতীয় আসরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাত ৯টায় মঞ্চে উঠার কথা রয়েছে ঋত্বিক রোশনের। তিনি মঞ্চ মাতাবেন আধা ঘণ্টা।
এর আগে মঞ্চে উঠবেন শ্রীলঙ্কান বংশোদ্ভূত বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ। এছাড়া মঞ্চ মাতাবেন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী কেকে। তবে মৌয়ের নৃত্য পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে যাবে বর্ণিল অনুষ্ঠান। এরপর একে একে মঞ্চে উঠবে ব্যান্ড চিরকুট ও এলআরবি, সংগীতশিল্পী মমতাজ। কে কের পরিবেশনা এরপরই। রাত ৮টায় বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানের উদ্বোধনী বক্তব্যের পর মঞ্চস্থ হবে মূল আকর্ষণ জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ ও হৃতিক রোশনের পরিবেশনা। অনুষ্ঠান শেষ হবে লেজার শো আর আতশবাজির আলোয়। চ্যানেল নাইন পুরো অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করছে।
 

বগুড়া মহিলা কলেজ হোস্টেলে ছাত্রলীগ নেতৃদের তুলকালাম মারামারি, আতংকে সাধারন ছাত্রীরা

 
-------------------------
বগুড়া প্রতিনিধি: অনৈতিক কাজে রাজী না হওয়ায় বৃহস্পতিবার রাতে বগুড়া সরকারি মজিবুর রহমান মহিলা কলেজ হোস্টেলে ছাত্রলীগের এক নারী কর্মীকে চুলের মুঠি ধরে মেরে পিটিয়ে অবশেষে তরকারী কাটা বটি দিয়ে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ নেত্রী রত্না সরকার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ।
 
বটির আঘাতে গুরুতর জখম অবস্থায় আক্রমনের শিকার এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী মোত্তাকিয়াকে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত ছাত্রী গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন আক্রমনকারী ছাত্রলীগ নেতৃদের উপর। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ঐ ছাত্রী (ছাত্রলীগ কর্মী) মোত্তাকিয়া আকতার ও তার সহযোগীরা সাংবাদিকদের জানায়, ‘অনৈতিক কাজে রাজি না হওয়ায় সৃষ্ট বিরোধের জের ধরে ছাত্রলীগ নেত্রী রত্না সরকারের নেতৃত্বে এই হামলা ঘটেছে তাদের উপরে’
সুত্র বলছে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে  সরকারি মজিবুর রহমান মহিলা কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। একপক্ষ আরেক পক্ষকে নানা ভাবে হেয় করার চেষ্টা করে আসছিল। একপক্ষের নেতৃত্বে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভানেত্রী আঞ্জুমান আকতার আয়না এবং অপরপক্ষে সাধারণ সম্পাদিকা  রত্না সরকার। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। রাত ৮টার দিকে সভানেত্রী গ্রুপের কর্মী এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী মোত্তাকিয়া আকতারের উপর হামলা চালায় সাধারণ সম্পাদিকা ও তার সহযোগীরা। তাকে এলাপাতারি মারপিট ছাড়াও বটি দিয়ে মাথায় ও পিঠে কুপিয়ে জখম করা হয়।
ছাত্রলীগের সভানেত্রী অভিযোগ করেন, সাধারণ গ্রুপ রাজনৈতিক পরিচয়ে নানা অনৈতিক ও অসামাজিক কাজে জড়িয়ে পড়েছে। একই কক্ষে বসবাসকারী কয়েকজন ছাত্রী মোত্তাকিয়া আকতারকে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হতে চাপ দিয়ে আসছিল। এনিয়ে বিরোধ দেখা দিলে তাকে কুপিয়ে এবং লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়।
তবে রাত সাড়ে ১০টায় কলেজের হোস্টেল সুপার শাহিন সাখাওয়াতের কাছে মোবাইলে এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে তিনি সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, ‘সামান্য কথাকাটাকাটি হয়েছে,ওই বিষয়ে জরুরি মিটিং চলছে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে। এসব ঠিক হয়ে যাবে’ ।
 
 
সাম্প্রতিক একই হোস্টেলে ছাত্রলীগ নেতৃদের মারামারি- চুলোচুলির ছবি
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১০ সালেও বগুড়ায় সরকারি মুজিবুর রহমান মহিলা কলেজ হোস্টেলের ক্যান্টিন পরিচালনা নিয়ে বিরোধের জের ধরে ছাত্রলীগ সমর্থক দু’গ্রুপের ছাত্রীদের মধ্যে  চুলাচুলি, মারপিট ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সে সময় বিষয়টি গনমাধ্যমে ব্যাপক আলোচিত হয় ।
সেসময় বিক্ষুব্ধ ছাত্রীরা অধ্যক্ষের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়। সন্ধ্যায় ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পরিস্থিতি সামলাতে কলেজ কর্তৃপক্ষ ছাত্রীদের হলত্যাগের নির্দেশ  দেয় ।
ঘটনা সূত্র জানায়, তামান্না ও কুইন নামে ছাত্রলীগের দুই কর্মী হোস্টেলের ক্যান্টিনের ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পায়। এ নিয়ে কলেজের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী এবং একই সংগঠনের সিনিয়র কর্মী রিক্তার সঙ্গে তাদের বিরোধ বাধে। উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। রিক্তা সিনিয়র শিক্ষার্থী হওয়ায় দ্বন্দ্ব সিনিয়র-জুনিয়র বিরোধে রূপ নেয়। বুধবার বিকেলে রিক্তার সর্মথক সিনিয়র ছাত্রীরা হোস্টেল চত্বর ও প্রশাসন ভবনের সামনে বিক্ষোভ মিছিল বের করে । এক পর্যায়ে এক গ্রুপ অপর গ্রুপের ওপর হামলা চালিয়ে চুল ধরে টানাটানি ও মারপিট করে। পরে এ নিয়ে ধাওয়া ও বিক্ষোভ হয়। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রিক্তা গ্রুপ অধ্যক্ষের রুমে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে অবস্থান নেয়।
খবর পেয়ে ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ ক্যাম্পাসে গিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন।
সেসময়ের জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শুভাশীষ পোদ্দার লিটন অবশ্য দাবি করেন, মহিলা কলেজে তাদের কোনো কমিটি নেই। সাধারণ ছাত্রীরাই এসব করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা বিরোধ মীমাংসার উপায় নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলার জন্য ক্যাম্পাসে গিয়েছিলাম।’ কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক রোকেয়া বেগম সাংবাদিকদের বলেন, সামান্য বিষয় নিয়ে ছাত্রীরা নিজেদের মধ্যে গণ্ডগোল শুরু করে।
 

বাংলাদেশে খ্রীস্টান যাজকদের হত্যার হুমকি


                               
বাংলাদেশে খ্রীস্টান ধর্মাবলম্বীরা অভিযোগ করছেন যে গত দুই সপ্তাহে তাদের বেশ কয়েকজন যাজককে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে, ফলে এই সম্প্রদায়ের মানুষদের মধ্যে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা তৈরী হয়েছে।
খ্রীস্টানদের জাতীয় সংগঠন বাংলাদেশ ক্রিশ্চিয়ান অ্যাসোসিয়েশন বলছে, ধর্মীয় কর্মকাণ্ডে তৎপর এমন খ্রীস্টানদের লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে এবং সম্প্রতি দু’জন যাজকের ওপর হামলার ঘটনায় এটি প্রমানিত হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অবশ্য বিবিসিকে বলেছেন, সরকারের কাছে এ বিষয়ে কেউ এখনো অভিযোগ করেনি, তবে খ্রীস্টানদের নিরাপত্তায় সবার মতোই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলার ব্যাপারে অনেক অভিযোগ থাকলেও খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনা খুব বেশী শোনা যায় না।
তবে ছোট এই ধর্মীয় সম্প্রদায়ের একজন যাজককে হত্যাচেষ্টার প্রত্যক্ষ ঘটনাটি ঘটেছে গত মাসের গোড়ার দিকে, যখন পাবনায় লুক সরকারকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করা হয়।
এরপর মাত্র কয়েকদিন আগে দিনাজপুরে আরেকজন যাজক ইতালীয় নাগরিক পিয়েরো পারোলারির ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। তাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হলেও তিনি প্রাণে বেঁচে গেছেন।
বাংলাদেশ ক্রিশ্চিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব নির্মল রোজারিও বলছেন, সর্বশেষ ঘটনার আগে পরে বেশ কয়েকজন যাজককে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে।
                 দিনাজপুরে সম্প্রতি হামলায় হয় এক ইটালিয়ান যাজকের ওপর                
বাংলাদেশের সর্বশেষ আদম শুমারীতে খ্রীস্টান জনসংখ্যা পাঁচ লক্ষ বলে বলা হচ্ছে। তবে মি. রোজারিও মনে করেন, ক্ষুদ্র জাতিসত্ত্বার লোকজনকে ধরে হিসেব করলে এই সংখ্যা দশ লক্ষ হতে পারে।
দিনাজপুরে যাজকের ওপর হামলার পর ইসলামিক স্টেট জঙ্গি গোষ্ঠি দায়িত্ব স্বীকার করেছে বলে দাবী করা হয়েছে। কিন্তু খ্রীস্টানদের লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে কেন?
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক মুহাম্মদ নূরুল হুদা বলেন, এর পেছনে খারাপ উদ্দেশ্যে রয়েছে। কারণ বাংলাদেশের এই সংখ্যালঘুরা কারও জন্য হুমকি নয়। বিশ্বের নজর কাড়ার জন্য হয়তো এটা করা হচ্ছে। যাতে প্রমাণ করা যায় যে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা নিরাপদ নয়।
তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলছেন, খ্রীস্টানদের হুমকি দেয়ার বিষয়ে সরকারকে কিছু জানানো হয়নি।
বাংলাদেশ ক্রিশ্চিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের নির্মল রোজারিও বলেছেন, আগামী রোববার আর্চ বিশপ প্যাট্রিক ডি’রোজারিও’র নেতৃত্বে খ্রীস্টানদের একটি প্রতিনিধিদল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে স্বারকলিপি পেশ করবে। এছাড়া, সাম্প্রতিক হামলা ও হুমকির প্রতিবাদে আগামীকাল ঢাকায় খ্রীস্টানদের পক্ষ থেকে একটি মানববন্ধন করা হবে।

হাসনা আইটবুলাসেনঃ পার্টি গার্ল থেকে আত্মঘাতী বোমারু

 
                     হাসনা আইটবুলাসেন- পশ্চিম ইউরোপের প্রথম আত্মঘাতী মহিলা বোমারু     
           
২৬ বছরের এক তরুণী। বেড়ে উঠেছে প্যারিসের দরিদ্র শহরতলীতে। পার্টিতে গিয়ে আমোদ-ফুর্তি করতে ভালোবাসতো। বন্ধুদের ভাষায় হাসিখুশি এক মেয়ে। যদিও শৈশবে অনেক দুঃখজনক অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে তাকে। সেই মেয়েটি কিভাবে জঙ্গীদের সঙ্গে ভিড়ে গিয়ে আত্মঘাতী বোমারুতে পরিণত হলো সেই সমীকরণ যারা তাকে চিনতেন তাদের কেউ মেলাতে পারছেন না ।
প্যারিসের শহরতলীর যে ফ্ল্যাটকে ঘিরে বুধবার ভোররাত থেকে জঙ্গীদের সঙ্গে পুলিশের তীব্র লড়াই চলেছে, সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় হাসনা আইটবুলাসেনের মৃতেদহ। পুলিশের ধারণা, একটি আত্মঘাতী বোমার বেল্ট বাঁধা ছিল তার শরীরে। এই অভিযান চলার সময় এক পর্যায়ে সেই বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়।
পুলিশের ধারণা যদি সত্যি হয়, হাসনা আইটবুলাসেন হচ্ছে পশ্চিম ইউরোপের প্রথম আত্মঘাতী মহিলা জঙ্গী।
প্যারিসের সন্ত্রাসী হামলার মূল হোতা বলে যাকে ধারণা করা হয়, সেই আবদেলহামিদ আবাউদের দূর সম্পর্কিত বোন বলে বর্ণনা করা হচ্ছে হাসনা আইটবুলাসেনকে।
প্যারিসের যে এলাকায় হাসনা বেড়ে উঠে, সেখানে তার বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলে বিবিসি জানতে পেরেছে, তার শৈশব বেশ দুঃখ-কষ্টের ভেতর দিয়ে কেটেছে। অল্প বয়সে তার মা এবং ভাই-বোনদের ফেলে চলে যায় তার বাবা। প্যারিসের খুবই গরীব এক এলাকায় একটি ফ্ল্যাটে থাকে তার মা। সেখানে এখন কড়া পুলিশ প্রহরা।
হাসনা আইটবুলাসেনের সঙ্গে এক সঙ্গে স্কুলে পড়াশোনা করেছেন খেমিসা। তিনি বলছেন, ‘হাসনা জীবনকে ভালোবাসতো। আমার মনে হয় না আত্মঘাতী বোমারু হওয়ার কোন ইচ্ছে ওর ছিল। কেউ হয়তো শেষ মূহুর্তে ওকে প্রভাবিত করেছে।”
                 হাসনার বন্ধু খেমিসা।
খেমিসা আরও জানান, তার দুজন এক সঙ্গে নাচের ক্লাসও করেছেন। “ও নাচে খুব ভালো ছিল, ভালো গ্রেড পেয়েছিল।
“আমার মনে হয় না ও মানসিকভাবে সুস্থির ছিল। আমার ধারণা ওকে হয়তো মাদক খাওয়ানো হয়েছিল। হয়তো ও মাদক নিয়েছিল। যদি ও স্বাভাবিক অবস্থায় থাকতো এরকম একটা কাজ ও করতে পারতো না।”
তবে হাসনা আইটবুলাসেন একবার ফেসবুকে সিরিয়ায় যাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিল সেটা স্বীকার করলেন খেমিসা।
“ আমরা তখন তাকে বিশ্বাস করিনি। আমরা ভেবেছি এসবই অর্থহীন কথাবার্তা।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক মহিলা জানিয়েছেন, হাসনা বেড়ে উঠেছে এমন এক পরিবারে যেখানে নানা সমস্যা ছিল। খুব বিষাদময় শৈশব ছিল তার। “তারপরও আমি কল্পনা করতে পারছি না এরকম একটা কাজ ও করেছে। সবসময় আমি ওকে হাসিখুশি দেখেছি, খুবই ভদ্র এবং নম্র মেয়ে ছিল।”
হাসনা কি খুব ধর্মভীরু ছিল? বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিবরণ থেকে তার উল্টো চিত্রই পাওয়া যায়। ‘লে রিপালিকান লোরেন’ নামের স্থানীয় এক সংবাদপত্রে তার এক প্রতিবেশিকে উদ্ধৃত করে বলা হচ্ছে, যে মদ পান করতো। মাথায় বিরাট একটা হ্যাট পরতো। যার জন্য তাকে অনেকে ‘কাউগার্ল’ বলেও ডাকতো।”
ব্রিটেনের ডেইলি মেল পত্রিকা হাসনার ভাইকে উদ্ধৃত করে বলছে, “আমি তাকে জীবনে কখনো কোরান পড়তে দেখিনি। সারাক্ষণ সে তার ফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকতো। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এসব নিয়ে সময় কাটাতো।”
মাত্র আট মাস আগে থেকে হাসনা আইটবুলাসেন হঠাৎ ধর্মের দিকে ঝুঁকতে শুরু করে। তাকে নিকাব পরতে দেখা যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইসলামিক স্টেটকে সমর্থন করে নানা রকম বক্তব্যও পোষ্ট করতে থাকে। bbc

মালির জিম্মি সংকটের অবসান, বহু প্রাণহানির আশংকা

                              
মালির রাজধানী বামাকোর এক আন্তর্জাতিক হোটেলে জিম্মি সংকটের অবসান ঘটেছে ইসলামী জঙ্গীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর রক্তাক্ত সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে।
বহু মানুষ এই ঘটনায় নিহত হয়েছেন বলে আশংকা করা হচ্ছে।
এই অভিযানের বিস্তারিত খবর এখনো আসছে।
শুক্রবার বামাকোর র‍্যাডিসন ব্লু হোটেলে যখন জঙ্গীরা আক্রমণ চালায় তখন সেখানে প্রায় ১৩০ জন অতিথি এবং ৩০ জন কর্মী ছিল। এদের সবাইকে জঙ্গীরা আটক করে।
জিম্মিদের উদ্ধারে মালির নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে যোগ দিয়েছে সেখানে মোতায়েন ফরাসী সেনা ও গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।
অভিযানের সঙ্গে জড়িতরা বলছেন, তাদের লক্ষ্য যত বেশি জিম্মিকে প্রাণে বাঁচানো যায় সেই চেষ্টা করা।
                            
ফ্রান্স থেকে বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত ৫০ জনের এক পুলিশ কমান্ডো দলও বামাকোর উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। হোটেল থেকে প্রচন্ড গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে।
কিভাবে এই হামলা হয়েছে তার নানা রকম ভাষ্য পাওয়া যাচ্ছে। একজন প্রত্যক্ষদর্শী, হোটেলের বাগানের এক মালি বলছেন, যে গাড়ীতে করে জঙ্গীরা এসেছিল, সেটিতে ডিপ্লোমেটিক লাইসেন্স প্লেট লাগানো ছিল।
হোটেলের এই কর্মী বলছেন, তিনি যখন হোটেলের চত্ত্বর ঝাড়ু দিচ্ছিলেন, তখন ডিপ্লোমেটিক লাইসেন্স প্লেট লাগানো গাড়ীতে তারা আসে। তবে জঙ্গীরা মুখোশ পরিহিত ছিল। হোটেলের গেটে তাদের থামানোর চেষ্টা করে নিরাপত্তা রক্ষীরা। তখন তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় জঙ্গীরা।
হোটেলের ভেতরে তখন প্রায় ১৪০ জন অতিথি এবং তিরিশ জন কর্মী ছিল। বলা হচ্ছে, অতিথিদের মধ্যে ভারত, চীন, তুরস্ক, ফ্রান্স সহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা ছিলেন। এদের মধ্যে অনেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন। এয়ার ফ্রান্সের ১২ জন ক্রু এই হোটেলে জঙ্গীদের হামলার পর আটকে পড়েছিলেন।
                           
কিন্তু এয়ার ফ্রান্স টুইটারে এক বার্তায় একটু আগে জানিয়েছে, তাদের ১২ জনই সেখান থেকে পালাতে পেরেছে।
ভারত সরকার বলছে, এই হোটেলে তাদের বিশ জন নাগরিক ছিল।
এখনো পর্যন্ত কেউ এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। কিন্তু মালিতে ইসলামী জঙ্গীরা অনেক দিন ধরেই তৎপর। সেখানে এদের দমনে ফরাসী বাহিনী অভিযান চালাচ্ছে গত তিন বছর ধরে।
মাত্র গতকালই একটি ইসলামী জঙ্গী দল আনসার আল দীনের এক নেতা ইয়া আগঘালি , ফ্রান্সের বিরুদ্ধে এবং মালিতে তাদের বিভিন্ন স্থাপনায় হামলার আহ্বান জানিয়েছিল। তারপরই কিন্তু আজ এই ঘটনা ঘটলো। এই দলটি আল কায়েদার সঙ্গে সম্পর্কিত বলে মনে করা হয়। bbc

সাংবাদিক পেটানো এএসপির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: আইজিপি



             
শাহবাগে তল্লাশি চৌকিতে ছবি তোলার সময় এক সাংবাদিককে মারধর করেছেন মাতাল এক শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপার, যার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে পুলিশ প্রধান জানিয়েছেন।

খাদ্যশস্য ব্যবহার করে জ্বালানি তৈরিতে সংকট হতে পারে, ওয়াশিংটনে মতিয়া

ওয়াশিংটনে আন্তর্জাতিক খাদ্যনীতি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।
ওয়াশিংটনে আন্তর্জাতিক খাদ্যনীতি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।

প্রাণভিক্ষা নিয়ে জবাব আসেনি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী


যুদ্ধাপরাধী আলী আহসান মুজাহিদ ও সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী প্রাণভিক্ষা চাইবেন কি না সে প্রশ্নের কোনো জবাব এখনও পাননি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

প্রাণভিক্ষা: দুই যুদ্ধাপরাধীর সিদ্ধান্ত জানার অপেক্ষা

বিপিএলের তৃতীয় আসরের উদ্বোধন









 নাচ-গান আর নানা অসামঞ্জস্য ও বিশৃঙ্খলায় উদ্বোধন করা হলো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) তৃতীয় আসরের।

পরমাণু বিজ্ঞানী সিএস করিম আর নেই

চৌধুরী সাজ্জাদুল করিম
চৌধুরী সাজ্জাদুল করিম

পরমাণু বিজ্ঞানী ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা চৌধুরী সাজ্জাদুল করিম আর নেই।