ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিদের দমনে রাশিয়ার সহায়তা চাইতে দেশের ভিতর থেকে চাপ বাড়ছে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল আবাদির ওপর। শিয়া মিলিশিয়া ও জোট সরকারের শরিকরা এ নিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রীকে চাপ দিচ্ছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে রয়টার্স।
ইরাকের বর্তমান জোট সরকারের একটি বড় অংশের ওপর প্রভাব রয়েছে এদের। এর আগে দেশটির পার্লামেন্টের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত কমিটির প্রধান রয়টার্সকে রুশ সহায়তা চাওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিলেন।
সেসময় তিনি জানিয়েছিলেন, ইরাক চায় আইএস জঙ্গিদের দমন করতে রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও বড় ভূমিকা গ্রহণ করুক। রাশিয়াকে হামলা চালাতে অনুরোধ করতে সরকারের ওপর অব্যাহত চাপ রয়েছে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।
রুশ সহায়তা চাইতে অব্যাহত এই চাপে জোটের মধ্যে বেশ নাজুক অবস্থানে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এক দিকে রাজনৈতিক চাপ ও অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে মৈত্রী রক্ষা করা তার প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর শীর্ষ জেনারেল জোসেফ ডানফোর্ড বাগদাদ সফরে গিয়ে মঙ্গলবার জানান, ইরাক সরকার আইএস দমনে রাশিয়ার কাছে সহযোগিতা চাইবে না এমন নিশ্চয়তা পেয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী আবাদি ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী খালেদ আল ওবেইদি দুজনেই রুশ সহযোগিতা চাওয়ার বিষটি নাকচ করে দেন বলে তিনি জানান।
এ মাসের প্রথম সপ্তাহে ইরাকি পার্লামেন্টের নিরাপত্তা সংক্রান্ত কমিটির প্রধান রয়টার্সকে জানিয়েছিলেন, ইরাক সরকার শিগগিরই রাশিয়ার কাছে বিমান হামলা চালাতে অনুরোধ করতে বাধ্য হতে পারে। সিরিয়ায় আইএস দমনে রাশিয়ার সাফল্যের ওপর সহায়তা চাওয়ার বিষয়টি নির্ভর করছে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন। ittefaq
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন