যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডের আইনি প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত নিষ্পত্তির পর দণ্ড কার্যকরের তোড়জোড়ের মধ্যে শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে রাষ্ট্রপ্রধানের প্রতি এই আহ্বান জানানো হয়।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে মুজাহিদের স্ত্রী তামান্না ই জাহান বলেন, “আমরা মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে আর্জি জানাই, তার বিরুদ্ধে একটা মামলা বিচারাধীন, সেই মামলা শেষ হওয়ার পর্যন্ত আমাকে যেন আইনি লড়াই চালানোর অধিকার দেওয়া হয়।”
একাত্তরে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা এবং ইন্ধনের দায়ে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত সাবেক মন্ত্রী মুজাহিদ ২০০৪ সালের ২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলার অন্যতম আসামি।
মুজাহিদের স্ত্রী বলেন, “২০১১ সালে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার সম্পূরক চার্জশিটে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এই মামলায় দেড়শর মতো সাক্ষী তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন।
“এমতাবস্থায় আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে এই মামলায় নিজের পক্ষে শেষ পর্যন্ত আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অধিকার রাখেন। সম্পূরক চার্জশিটে একজন হত্যাকারী হিসেবে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করার কারণে তিনি সেই দায় থেকে মুক্তি পেতে চান।”
মুজাহিদের সঙ্গে দেখা করতে আইনজীবীরা চেষ্টা চালাবেন জানিয়ে তার ছেলে আলী আহমেদ মাবরুর বলেন, “যদি আইনজীবীরা সাক্ষাৎ করতে পারেন, তারা তার সাথে সাক্ষাৎ করে যদি বিষয়টা ক্লিয়ার করতে পারেন, করলেন। না করতে পারলে উনারা দেখা করে এসে আপনাদেরকে বিষয়টা বলবেন।”
মৃত্যুদণ্ডের চূড়ান্ত রায় রিভিউয়ের আবেদন গত বুধবার খারিজ হয়ে যাওয়ার পর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি মুজাহিদকে তা শুনিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।
ফাঁসি এড়াতে এই যুদ্ধাপরাধীর শেষ সুযোগ দোষ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়া। তা তিনি চেয়েছেন বলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন।
তবে ক্ষমা চাওয়ার বিষয়ে মুজাহিদের ছেলে বলেন, এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত তার বাবাই নেবেন।
মাবরুর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আইনজীবীদের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ না দিয়ে কারা কর্তৃপক্ষ বা সরকার থেকে বলা হচ্ছে, ‘উনি মার্সি পিটিশন করেছেন’। এটা আমাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হচ্ছে না।”
এর আগে যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামায়াতের যে দুই নেতার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে, সেই আব্দুল কাদের মোল্লা ও মো. কামারুজ্জামান প্রাণভিক্ষা চাননি।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে মুজাহিদের স্ত্রী তামান্না ই জাহান বলেন, “আমরা মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে আর্জি জানাই, তার বিরুদ্ধে একটা মামলা বিচারাধীন, সেই মামলা শেষ হওয়ার পর্যন্ত আমাকে যেন আইনি লড়াই চালানোর অধিকার দেওয়া হয়।”
একাত্তরে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা এবং ইন্ধনের দায়ে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত সাবেক মন্ত্রী মুজাহিদ ২০০৪ সালের ২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলার অন্যতম আসামি।
মুজাহিদের স্ত্রী বলেন, “২০১১ সালে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার সম্পূরক চার্জশিটে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এই মামলায় দেড়শর মতো সাক্ষী তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন।
“এমতাবস্থায় আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে এই মামলায় নিজের পক্ষে শেষ পর্যন্ত আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অধিকার রাখেন। সম্পূরক চার্জশিটে একজন হত্যাকারী হিসেবে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করার কারণে তিনি সেই দায় থেকে মুক্তি পেতে চান।”
মুজাহিদের সঙ্গে দেখা করতে আইনজীবীরা চেষ্টা চালাবেন জানিয়ে তার ছেলে আলী আহমেদ মাবরুর বলেন, “যদি আইনজীবীরা সাক্ষাৎ করতে পারেন, তারা তার সাথে সাক্ষাৎ করে যদি বিষয়টা ক্লিয়ার করতে পারেন, করলেন। না করতে পারলে উনারা দেখা করে এসে আপনাদেরকে বিষয়টা বলবেন।”
মৃত্যুদণ্ডের চূড়ান্ত রায় রিভিউয়ের আবেদন গত বুধবার খারিজ হয়ে যাওয়ার পর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি মুজাহিদকে তা শুনিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।
ফাঁসি এড়াতে এই যুদ্ধাপরাধীর শেষ সুযোগ দোষ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়া। তা তিনি চেয়েছেন বলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন।
তবে ক্ষমা চাওয়ার বিষয়ে মুজাহিদের ছেলে বলেন, এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত তার বাবাই নেবেন।
মাবরুর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আইনজীবীদের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ না দিয়ে কারা কর্তৃপক্ষ বা সরকার থেকে বলা হচ্ছে, ‘উনি মার্সি পিটিশন করেছেন’। এটা আমাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হচ্ছে না।”
এর আগে যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামায়াতের যে দুই নেতার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে, সেই আব্দুল কাদের মোল্লা ও মো. কামারুজ্জামান প্রাণভিক্ষা চাননি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন