মধ্যপ্রাচ্যের জঙ্গি-সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান ‘কয়েকগুণ’ বাড়ানোর একটি প্রস্তাব জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়েছে।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম জানিয়েছে, গেল সপ্তায় ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ১২৯ জন নিহতের ঘটনায় দায় স্বীকার করে আইএস। আর এরই জেরে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা এক জরুরি বৈঠকে বসে শুক্রবার ফ্রান্স প্রস্তাবিত খসড়া প্রস্তাব অনুমোদন করে।
প্যারিসের স্টেডিয়াম, কনসার্ট হল এবং বেশ কয়েকটি বার ও রেস্টুরেন্টে চালানো ওই হামলায় শতাধিক মানুষ আহত হন। ২০০৪ সালে মাদ্রিদে বোমা হামলার পর এই ঘটনাকেই ইউরোপে সংঘটিত ‘সবচেয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা’ বলে অভিহিত করা হচ্ছে।
বিবিসি জানিয়েছে, ফ্রান্সের পেশ করা এই খসড়া প্রস্তাবে জাতিসংঘ সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে আইএসের বিরুদ্ধে ‘প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ’ নেয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
আইএস চলতি মাসের শুরুতে লেবাননে বোমা হামলার কথাও স্বীকার করেছে, যেখানে ৩৭ জন নিহত হয়।
গেলমাসের শেষদিকে ২২৪ আরোহী বহনকারী রাশিয়ার একটি বিমান উড়িয়ে দেয়ার ঘটনায়ও আইএস সংশ্লিষ্ট একটি জঙ্গিগোষ্ঠী জড়িত ছিল বলে রুশ গোয়েন্দারা নিশ্চিত হয়েছে।
তিউনিসিয়ার সুশি ও তুরস্কের আঙ্কারায় সাম্প্রতিক হামলার জন্যও আইএসকে দায়ী করেছে নিরাপত্তা পরিষদ।
প্রস্তাবে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে ইরাক ও সিরিয়ার বিভিন্ন অংশজুড়ে আইএস ও অন্যান্য জঙ্গিগোষ্ঠীর ‘নিরাপদ আশ্রয়স্থলগুলো’ নির্মূলে ভূমিকা রাখতে আহ্বান জানানোর পাশাপাশি ‘সন্ত্রাসী হামলা দমন ও প্রতিরোধে’ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোরও তাগিদ দেয়া হয়েছে।
তবে রাশিয়া ও ফ্রান্সের বিরোধিতায় প্রস্তাবে আইএসের দখল করা অঞ্চলে স্থলসেনা পাঠানোর বিধান (জাতিসংঘ সনদের অধ্যায়-৭ অনুযায়ী) যুক্ত করা হয়নি। দেশদুটো মনে করে, এক্ষেত্রে ইরাক ও সিরিয়ার নিজস্ব বাহিনীই ‘যথেষ্ট’।
এরআগে গেল মঙ্গলবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন সিরিয়ায় বিমান হামলা চালাতে একটি ‘সমন্বিত কৌশল’ পার্লামেন্টে উত্থাপনের কথা সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন। ২০১৩ সালে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ বাহিনীর উপর বোমা হামলা চালানোর লক্ষ্যে একই ধরনের একটি প্রস্তাব পার্লামেন্টে বাতিল হয়ে যায়।
আইএসবিরোধী নতুন এ প্রস্তাব পাস হওয়ার পর ক্যামেরনের চাহিদা পূরণ হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত ব্রিটেনের রাষ্ট্রদূত ম্যাথিউ রাইক্রফ্ট।
তিনি বলেন, “সিরিয়া ও অন্যান্য স্থানে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যের অবস্থান তুলে ধরার একটা ভালো সুযোগ পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী (ক্যামেরন), আর এটাই এ মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”
নিরাপত্তা পরিষদ এমন এক সময়ে আইএসবিরোধী এ ‘শক্তিশালী’ প্রস্তাব গ্রহণ করেছে, যখন ‘আসন্ন হুমকি’ মোকাবিলায় বেলজিয়াম কর্তৃপক্ষ ব্রাসেলসে সর্বোচ্চ স্তরের নিরাপত্তা সতর্কতা ঘোষণা করেছে।
প্যারিসে হামলাকারী সন্ত্রাসীদের কয়েকজন ব্রাসেলসে বসবাস করতেন বলে গোয়েন্দারা নিশ্চিত হয়েছেন। ওই হামলার পর বেঁচে থাকা একমাত্র সন্দেহভাজন জঙ্গি সালেহ আব্দেস্লাম আবারও ব্রাসেলসে ফিরে আসতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শুক্রবার বেলজিয়ামে আরও এক সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে প্যারিস হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তারের সংখ্যা ৩-এ দাঁড়িয়েছে।
এদিকে ফরাসি গোয়েন্দারা বুধবারের পুলিশি অভিযানে প্যারিস হামলার সন্দেহভাজন হোতা আবদেলহামিদ আবাউদের দূর সম্পর্কের আত্মীয় হাসনা আইত বোউলাহসেন আত্মঘাতী বোমার বিস্ফোরণ ঘটাননি বলে নিশ্চিত করেছেন।
ওইদিনের কমান্ডো অভিযানে অংশ নেয়া পুলিশের এক সদস্য বিবিসিকে জানান, ২৬ বছর বয়সী হাসনা খুব সম্ভবত আত্মসমর্পণ করতে চেয়েছিলেন।
“তিনি বোঝাতে চেয়েছিলেন যে তিনি সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যুক্ত নন। যদিও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আমাদের কাছে মনে হয়েছে, হাসনা আমাদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন।”
তদন্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অন্য একজন পুরুষ জঙ্গি ওই ভবনে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটিয়েছিলেন, যার লাশ আবদেলহামিদ আবাউদের সঙ্গে পাওয়া গেছে।
প্যারিসের স্টেডিয়াম, কনসার্ট হল এবং বেশ কয়েকটি বার ও রেস্টুরেন্টে চালানো ওই হামলায় শতাধিক মানুষ আহত হন। ২০০৪ সালে মাদ্রিদে বোমা হামলার পর এই ঘটনাকেই ইউরোপে সংঘটিত ‘সবচেয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা’ বলে অভিহিত করা হচ্ছে।
বিবিসি জানিয়েছে, ফ্রান্সের পেশ করা এই খসড়া প্রস্তাবে জাতিসংঘ সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে আইএসের বিরুদ্ধে ‘প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ’ নেয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
আইএস চলতি মাসের শুরুতে লেবাননে বোমা হামলার কথাও স্বীকার করেছে, যেখানে ৩৭ জন নিহত হয়।
গেলমাসের শেষদিকে ২২৪ আরোহী বহনকারী রাশিয়ার একটি বিমান উড়িয়ে দেয়ার ঘটনায়ও আইএস সংশ্লিষ্ট একটি জঙ্গিগোষ্ঠী জড়িত ছিল বলে রুশ গোয়েন্দারা নিশ্চিত হয়েছে।
তিউনিসিয়ার সুশি ও তুরস্কের আঙ্কারায় সাম্প্রতিক হামলার জন্যও আইএসকে দায়ী করেছে নিরাপত্তা পরিষদ।
প্রস্তাবে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে ইরাক ও সিরিয়ার বিভিন্ন অংশজুড়ে আইএস ও অন্যান্য জঙ্গিগোষ্ঠীর ‘নিরাপদ আশ্রয়স্থলগুলো’ নির্মূলে ভূমিকা রাখতে আহ্বান জানানোর পাশাপাশি ‘সন্ত্রাসী হামলা দমন ও প্রতিরোধে’ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোরও তাগিদ দেয়া হয়েছে।
তবে রাশিয়া ও ফ্রান্সের বিরোধিতায় প্রস্তাবে আইএসের দখল করা অঞ্চলে স্থলসেনা পাঠানোর বিধান (জাতিসংঘ সনদের অধ্যায়-৭ অনুযায়ী) যুক্ত করা হয়নি। দেশদুটো মনে করে, এক্ষেত্রে ইরাক ও সিরিয়ার নিজস্ব বাহিনীই ‘যথেষ্ট’।
এরআগে গেল মঙ্গলবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন সিরিয়ায় বিমান হামলা চালাতে একটি ‘সমন্বিত কৌশল’ পার্লামেন্টে উত্থাপনের কথা সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন। ২০১৩ সালে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ বাহিনীর উপর বোমা হামলা চালানোর লক্ষ্যে একই ধরনের একটি প্রস্তাব পার্লামেন্টে বাতিল হয়ে যায়।
আইএসবিরোধী নতুন এ প্রস্তাব পাস হওয়ার পর ক্যামেরনের চাহিদা পূরণ হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত ব্রিটেনের রাষ্ট্রদূত ম্যাথিউ রাইক্রফ্ট।
তিনি বলেন, “সিরিয়া ও অন্যান্য স্থানে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যের অবস্থান তুলে ধরার একটা ভালো সুযোগ পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী (ক্যামেরন), আর এটাই এ মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”
নিরাপত্তা পরিষদ এমন এক সময়ে আইএসবিরোধী এ ‘শক্তিশালী’ প্রস্তাব গ্রহণ করেছে, যখন ‘আসন্ন হুমকি’ মোকাবিলায় বেলজিয়াম কর্তৃপক্ষ ব্রাসেলসে সর্বোচ্চ স্তরের নিরাপত্তা সতর্কতা ঘোষণা করেছে।
প্যারিসে হামলাকারী সন্ত্রাসীদের কয়েকজন ব্রাসেলসে বসবাস করতেন বলে গোয়েন্দারা নিশ্চিত হয়েছেন। ওই হামলার পর বেঁচে থাকা একমাত্র সন্দেহভাজন জঙ্গি সালেহ আব্দেস্লাম আবারও ব্রাসেলসে ফিরে আসতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শুক্রবার বেলজিয়ামে আরও এক সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে প্যারিস হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তারের সংখ্যা ৩-এ দাঁড়িয়েছে।
এদিকে ফরাসি গোয়েন্দারা বুধবারের পুলিশি অভিযানে প্যারিস হামলার সন্দেহভাজন হোতা আবদেলহামিদ আবাউদের দূর সম্পর্কের আত্মীয় হাসনা আইত বোউলাহসেন আত্মঘাতী বোমার বিস্ফোরণ ঘটাননি বলে নিশ্চিত করেছেন।
ওইদিনের কমান্ডো অভিযানে অংশ নেয়া পুলিশের এক সদস্য বিবিসিকে জানান, ২৬ বছর বয়সী হাসনা খুব সম্ভবত আত্মসমর্পণ করতে চেয়েছিলেন।
“তিনি বোঝাতে চেয়েছিলেন যে তিনি সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যুক্ত নন। যদিও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আমাদের কাছে মনে হয়েছে, হাসনা আমাদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন।”
তদন্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অন্য একজন পুরুষ জঙ্গি ওই ভবনে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটিয়েছিলেন, যার লাশ আবদেলহামিদ আবাউদের সঙ্গে পাওয়া গেছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন