শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে দুই পরিবারকে কারা কর্তৃপক্ষের আহ্বান এবং কারা ফটকের আশপাশে জোরদার নিরাপত্তা রাতেই সাবেক দুই মন্ত্রীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ইঙ্গিত দিচ্ছে। তা হলে এটাই হবে পরিবারের সঙ্গে তাদের শেষ সাক্ষাৎ।
বিএনপি ও জামায়াত নেতা প্রাণভিক্ষা চেয়ে যে আবেদন করেছিলেন, তা নাকচ করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এরপর রাত ১০টায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এখন ফাঁসি কার্যকরে আর কোনো বাধা নেই।
কারা কর্তৃপক্ষ ডাকার পর সালাউদ্দিন কাদেরের পরিবারের সদস্যরা রাত ৯টায় কয়েকটি গাড়িতে করে কারা ফটকে পৌঁছান। স্ত্রী, দুই ছেলে, মেয়েসহ পরিবারের প্রায় তিন ডজন সদস্য ঢোকেন কারাগারের ভেতরে।
পৌনে ১১টার দিকে দেখা করে বেরিয়ে আসার পর সাংবাদিকরা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়ে আবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে সালাউদ্দিন কাদেরের ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী বলেন, “বাবাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, তুমি কি মার্সি পিটিশন করেছে? তিনি বলেছেন, ‘এরকম বাজে কথা কে বলেছে?’
“তখন আমি তাকে বলি, সরকার থেকে এটা বলা হয়েছে, জেল গেইট থেকেও কাগজ গেছে। শুনে তিনি বলেন, ‘তোমরা দেখ, এই সরকারের আমলে কত ধরনের কাগজই না বের হবে।”
বেলা আড়াইটায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলার আগ পর্যন্ত সালাউদ্দিন কাদের ও মুজাহিদের ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তবে আইনমন্ত্রী জানানোর পর তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন হুম্মাম। দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে একটি সংবাদ সম্মেলনের পর তারা যুদ্ধাপরাধের ‘ত্রুটিপূর্ণ’ বিচারের প্রতিবিধান চেয়ে তারা রাষ্ট্রপতির কাছে একটি চিঠি নিয়ে বঙ্গভবনে যান। তবে তাদের সেই আবেদন গ্রহণ করা হয়নি।
মুজাহিদের পরিবারের সদস্যরা রাত সোয়া ৯টার দিকে কারাফটকে পৌঁছান। কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা কারাফটক দিয়ে ভেতরে ঢোকেন। তবে তারা দেখা করার সুযোগ পান সালাউদ্দিন কাদেরের স্বজনরা বেরিয়ে আসার পর।
মুজাহিদের ছেলে আলী আহমেদ মাবরুরসহ ২৫ জন ভেতরে ঢুকেছেন। ঢোকার সময় সাংবাদিকদের কিছু বলেননি তাদের কেউ।
মুজাহিদের পরিবার ২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার মামলাটির বিচার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধাপরাধের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর স্থগিত রাখার আবেদন জানিয়ে দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে।
তবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম দুজনই সব প্রক্রিয়া শেষে এখন এসব আবেদন অযৌক্তিক বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
যুদ্ধাপরাধী সাবেক এই দুই মন্ত্রী রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়ে আবেদন করার পর বিকাল থেকে কারাগার এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ব্যাপক কড়াকড়ি আনা হয়।
একাত্তরে চট্টগ্রামের ত্রাস সালাউদ্দিন কাদের এবং বুদ্ধিজীবী হত্যার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নকারী মুজাহিদের ক্ষমার আবেদনটিতে মতামত দেওয়ার কথা সন্ধ্যার পরপরই জানিয়েছিলেন মন্ত্রী।
মৃত্যুদণ্ডের চূড়ান্ত রায় রিভিউয়ে দুই যুদ্ধাপরাধীর আবেদন গত বুধবার সর্বোচ্চ আদালতে খারিজ হওয়ার পরদিন রায় পৌঁছে যায় কারাগারে। এরপর ফাঁসিকাষ্ঠ এড়াতে তাদের সামনে খোলা ছিল শুধু রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়া।
দুপুরে দুজনের পরিবারের সংবাদ সম্মেলনের পর আনিসুল হক বেলা আড়াইটার দিকে বলেন, সালাউদ্দিন কাদের ও মুজাহিদ ক্ষমা চেয়ে আবেদন করেছেন।
তবে তাদের পরিবার তারপরও তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে। তারা বলে, বন্দিদের সঙ্গে কথা বলার আগে একথা বিশ্বাস করেন না তারা।
গত বুধবার রিভিউ আবেদন খারিজের পর সালাউদ্দিন কাদের ও মুজাহিদের পরিবারের সদস্যরা কারাগারে দুজনের সঙ্গে দেখা করে এসেছিলেন।
bdnews24
বিএনপি ও জামায়াত নেতা প্রাণভিক্ষা চেয়ে যে আবেদন করেছিলেন, তা নাকচ করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এরপর রাত ১০টায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এখন ফাঁসি কার্যকরে আর কোনো বাধা নেই।
কারা কর্তৃপক্ষ ডাকার পর সালাউদ্দিন কাদেরের পরিবারের সদস্যরা রাত ৯টায় কয়েকটি গাড়িতে করে কারা ফটকে পৌঁছান। স্ত্রী, দুই ছেলে, মেয়েসহ পরিবারের প্রায় তিন ডজন সদস্য ঢোকেন কারাগারের ভেতরে।
পৌনে ১১টার দিকে দেখা করে বেরিয়ে আসার পর সাংবাদিকরা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়ে আবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে সালাউদ্দিন কাদেরের ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী বলেন, “বাবাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, তুমি কি মার্সি পিটিশন করেছে? তিনি বলেছেন, ‘এরকম বাজে কথা কে বলেছে?’
“তখন আমি তাকে বলি, সরকার থেকে এটা বলা হয়েছে, জেল গেইট থেকেও কাগজ গেছে। শুনে তিনি বলেন, ‘তোমরা দেখ, এই সরকারের আমলে কত ধরনের কাগজই না বের হবে।”
বেলা আড়াইটায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলার আগ পর্যন্ত সালাউদ্দিন কাদের ও মুজাহিদের ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তবে আইনমন্ত্রী জানানোর পর তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন হুম্মাম। দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে একটি সংবাদ সম্মেলনের পর তারা যুদ্ধাপরাধের ‘ত্রুটিপূর্ণ’ বিচারের প্রতিবিধান চেয়ে তারা রাষ্ট্রপতির কাছে একটি চিঠি নিয়ে বঙ্গভবনে যান। তবে তাদের সেই আবেদন গ্রহণ করা হয়নি।
মুজাহিদের পরিবারের সদস্যরা রাত সোয়া ৯টার দিকে কারাফটকে পৌঁছান। কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা কারাফটক দিয়ে ভেতরে ঢোকেন। তবে তারা দেখা করার সুযোগ পান সালাউদ্দিন কাদেরের স্বজনরা বেরিয়ে আসার পর।
মুজাহিদের ছেলে আলী আহমেদ মাবরুরসহ ২৫ জন ভেতরে ঢুকেছেন। ঢোকার সময় সাংবাদিকদের কিছু বলেননি তাদের কেউ।
মুজাহিদের পরিবার ২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার মামলাটির বিচার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধাপরাধের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর স্থগিত রাখার আবেদন জানিয়ে দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে।
তবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম দুজনই সব প্রক্রিয়া শেষে এখন এসব আবেদন অযৌক্তিক বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
যুদ্ধাপরাধী সাবেক এই দুই মন্ত্রী রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়ে আবেদন করার পর বিকাল থেকে কারাগার এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ব্যাপক কড়াকড়ি আনা হয়।
একাত্তরে চট্টগ্রামের ত্রাস সালাউদ্দিন কাদের এবং বুদ্ধিজীবী হত্যার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নকারী মুজাহিদের ক্ষমার আবেদনটিতে মতামত দেওয়ার কথা সন্ধ্যার পরপরই জানিয়েছিলেন মন্ত্রী।
মৃত্যুদণ্ডের চূড়ান্ত রায় রিভিউয়ে দুই যুদ্ধাপরাধীর আবেদন গত বুধবার সর্বোচ্চ আদালতে খারিজ হওয়ার পরদিন রায় পৌঁছে যায় কারাগারে। এরপর ফাঁসিকাষ্ঠ এড়াতে তাদের সামনে খোলা ছিল শুধু রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়া।
দুপুরে দুজনের পরিবারের সংবাদ সম্মেলনের পর আনিসুল হক বেলা আড়াইটার দিকে বলেন, সালাউদ্দিন কাদের ও মুজাহিদ ক্ষমা চেয়ে আবেদন করেছেন।
তবে তাদের পরিবার তারপরও তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে। তারা বলে, বন্দিদের সঙ্গে কথা বলার আগে একথা বিশ্বাস করেন না তারা।
গত বুধবার রিভিউ আবেদন খারিজের পর সালাউদ্দিন কাদের ও মুজাহিদের পরিবারের সদস্যরা কারাগারে দুজনের সঙ্গে দেখা করে এসেছিলেন।
bdnews24
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন