মার্চে ইরাকে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) একটি তল্লাশিচৌকি লক্ষ করে চালানো বিমান হামলায় সম্ভবত চারজন সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছেন বলে স্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
শুক্রবার এক বিরল বিবৃতিতে দেশটির সামরিক বাহিনী বেসামরিক মানুষ নিহত হওয়ার কথা স্বীকার করে।
১৩ মার্চ চালানো ওই হামলার বিষয়ে চালানো এক তদন্তে তল্লাশিচৌকিতে হামলা চালানোর সিদ্ধান্তকে বৈধতা দেওয়া হয়। অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু এড়ানোর জন্য হামলার সময় ‘সব ধরনের যৌক্তিক ব্যবস্থা’ গ্রহণ করা হয়েছিল জানিয়ে বলা হয়, যুদ্ধবিমানটি অস্ত্র ছোঁড়ার পরই কেবল বেসামরিক লোকজনের উপস্থিতি শনাক্ত হয়।
ইরাকের হাতরা এলাকায় এ-১০ ট্যাঙ্কবিধ্বংসী একটি যুদ্ধবিমান হামলাটি চালিয়েছিল। হামলার পর ইরাকি এক নারী একটি ইমেইল পাঠিয়ে হামলায় তার গাড়ি ও অপর একটি গাড়ি ধ্বংস এবং যাত্রীরা নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছিলেন। নিজের গাড়ি ধ্বংসের জন্য ক্ষতিপূরণও দাবি করেছিলেন তিনি।
এই ইমেইলের সূত্র ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডের বিমান বাহিনীর কর্মকর্তারা তদন্ত শুরু করেন।
তদন্তের ফলাফলের ভিত্তিতে তৈরি করা ওই সামরিক বিবৃতিতে বলা হয়, “তদন্তকালে যে সব সাক্ষ্যপ্রমাণ যোগাড় করা হয় সে সবের বেশিরভাগ তথ্যেই বিমান হামলার সময় চারজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যায়।”
ঘটনার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর কাছে যিনি অভিযোগ জানিয়েছিলেন, তিনি দাবি করেছিলেন, হামলায় দুই নারী ও তিন শিশু নিহত হয়েছেন।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর তদন্তে ইঙ্গিত পাওয়া যায়, নিহতদের মধ্যে একজন অন্যদের চেয়ে আকারে অনেক ছোট এবং সম্ভবত বাচ্চাশিশু।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অন্যান্য সাক্ষ্য ও ফরেনসিক পরীক্ষা ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী নিহতদের বয়স ও লিঙ্গের বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারছে না এবং জোট বাহিনীর কাছে সেসব প্রয়োজনীয় তথ্যও নেই।
শুক্রবার এক সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডের মুখপাত্র বিমান বাহিনীর কর্নেল প্যাট্রিক রাইডার বলেন, “বেসামরিক মানুষ রয়েছে জাো গেলে সেখানে আমাদের হামলা চালানো উচিত নয়।”
আইএসের বিরুদ্ধে বিমান হামলায় বেসামরিক হতাহতের বিষয়টি স্বীকার করা যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর জন্য একটি বিরল ঘটনা। এ বিষয়ে কয়েক ডজন অভিযোগ থাকলেও শুক্রবারের ঘোষণায় নিহতদের নিয়ে এ পর্যন্ত মাত্র ছয়জন বেসামরিক মানুষ নিহতের বিষয়টি স্বীকার করলো তারা।
১৩ মার্চ চালানো ওই হামলার বিষয়ে চালানো এক তদন্তে তল্লাশিচৌকিতে হামলা চালানোর সিদ্ধান্তকে বৈধতা দেওয়া হয়। অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু এড়ানোর জন্য হামলার সময় ‘সব ধরনের যৌক্তিক ব্যবস্থা’ গ্রহণ করা হয়েছিল জানিয়ে বলা হয়, যুদ্ধবিমানটি অস্ত্র ছোঁড়ার পরই কেবল বেসামরিক লোকজনের উপস্থিতি শনাক্ত হয়।
ইরাকের হাতরা এলাকায় এ-১০ ট্যাঙ্কবিধ্বংসী একটি যুদ্ধবিমান হামলাটি চালিয়েছিল। হামলার পর ইরাকি এক নারী একটি ইমেইল পাঠিয়ে হামলায় তার গাড়ি ও অপর একটি গাড়ি ধ্বংস এবং যাত্রীরা নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছিলেন। নিজের গাড়ি ধ্বংসের জন্য ক্ষতিপূরণও দাবি করেছিলেন তিনি।
এই ইমেইলের সূত্র ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডের বিমান বাহিনীর কর্মকর্তারা তদন্ত শুরু করেন।
তদন্তের ফলাফলের ভিত্তিতে তৈরি করা ওই সামরিক বিবৃতিতে বলা হয়, “তদন্তকালে যে সব সাক্ষ্যপ্রমাণ যোগাড় করা হয় সে সবের বেশিরভাগ তথ্যেই বিমান হামলার সময় চারজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যায়।”
ঘটনার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর কাছে যিনি অভিযোগ জানিয়েছিলেন, তিনি দাবি করেছিলেন, হামলায় দুই নারী ও তিন শিশু নিহত হয়েছেন।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর তদন্তে ইঙ্গিত পাওয়া যায়, নিহতদের মধ্যে একজন অন্যদের চেয়ে আকারে অনেক ছোট এবং সম্ভবত বাচ্চাশিশু।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অন্যান্য সাক্ষ্য ও ফরেনসিক পরীক্ষা ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী নিহতদের বয়স ও লিঙ্গের বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারছে না এবং জোট বাহিনীর কাছে সেসব প্রয়োজনীয় তথ্যও নেই।
শুক্রবার এক সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডের মুখপাত্র বিমান বাহিনীর কর্নেল প্যাট্রিক রাইডার বলেন, “বেসামরিক মানুষ রয়েছে জাো গেলে সেখানে আমাদের হামলা চালানো উচিত নয়।”
আইএসের বিরুদ্ধে বিমান হামলায় বেসামরিক হতাহতের বিষয়টি স্বীকার করা যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর জন্য একটি বিরল ঘটনা। এ বিষয়ে কয়েক ডজন অভিযোগ থাকলেও শুক্রবারের ঘোষণায় নিহতদের নিয়ে এ পর্যন্ত মাত্র ছয়জন বেসামরিক মানুষ নিহতের বিষয়টি স্বীকার করলো তারা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন