সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ফাঁসিকাষ্ঠ এড়াতে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমার আবেদন করেছেন বলে আইনমন্ত্রী জানালেও তার সত্যতা নিয়ে সন্দিহান এই দুই যুদ্ধাপরাধীর পরিবারের সদস্যরা।
বিএনপি নেতা ও জামায়াত নেতার পরিবারের সদস্যরা বলছেন, তারা নিজেরা দেখা করলে কিংবা তাদের আইনজীবীরা বললে তারা বিষয়টি বিশ্বাস করবেন।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত সালাউদ্দিন কাদের ও মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের তোড়জোড়ের মধ্যে শনিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেন তাদের পরিবারের সদস্যরা। তবে তখন প্রাণভিক্ষা চাওয়ার বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি তারা।
এরপর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বেলা আড়াইটার দিকে জানান, দুজনই রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চেয়ে আবেদন করেছেন।
আইনি লড়াই নিষ্পত্তির পর এখন দুই যুদ্ধাপরাধী শুধু রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইতে পারেন। তা স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয় হয়ে যাবে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে। নামঞ্জুর হলে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে।
আইনমন্ত্রী জানানোর পর কিছুক্ষণ পরই ‘গুরুত্বপূর্ণ পত্রাদি’ লেখা একটি রেজিস্ট্রার খাতা নিয়ে কারাগার থেকে বেরিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গিয়ে স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছে দিয়ে আসেন ডেপুটি জেলার সর্বোত্তম দেওয়ান।
আইনমন্ত্রীর বক্তব্যের পর ক্ষমার বিষয়ে জানতে চাইলে মুজাহিদের ছেলে আলী আহমেদ মাবরুর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আইনজীবীদের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ না দিয়ে কারা কর্তৃপক্ষ বা সরকার থেকে বলা হচ্ছে, ‘উনি মার্সি পিটিশন করেছেন’। এটা আমাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হচ্ছে না।”
জামায়াতে ইসলামীর এক বিবৃতিতেও বলা হয়েছে, “বিভিন্ন গণমাধ্যমে কারা অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে প্রচার করা হচ্ছে যে, ‘জনাব আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ মাহামান্য রাষ্ট্রপতির নিকট প্রাণ ভিক্ষার আবেদন করেছেন’। প্রচারিত এ খবরটি সম্পূর্ণ অসত্য ও বিভ্রান্তিকর।”
আইনজীবীদের সঙ্গে কারাগারে মুজাহিদের সাক্ষাতের সুযোগ দেওয়ার দাবি আবার জানিয়ে মাবরুর বলেন, “উনি যদি ক্ষমা প্রার্থনা করে থাকেন, তবে আইনজীবীদের সাথে সাক্ষাত করার সুযোগ দিয়ে আইনজীবীদের মাধ্যমেই যেন তিনি জানাতে পারেন, সেই সুযোগ দেওয়া হোক।”
“উনি যে পর্যায়ে আছেন, উনার ইচ্ছার একটা দাম আছে। এই পর্যায়ে ইচ্ছা অন্য স্বাভাবিক মানুষের মতো না। এই পর্যায়ে এসে উনি বার বার আইনজীবীদের সাথে কথা বলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন,” বলেন মৃত্যুদণ্ড মাথায় নিয়ে কারাগারে থাকা জামায়াত নেতার ছেলে।
আইনমন্ত্রী জানানোর আগে দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে মুজাহিদের পরিবার, মাবরুর সেখানেও ছিলেন।
এদিকে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদেরের পরিবারের সদস্যরা গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের পর রাষ্ট্রপতির কাছে একটি আবেদন নিয়ে বঙ্গভবনে যায়। তাতে যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে প্রশ্ন তুলে তার প্রতিবিধান চাওয়া হয়।
সেখানে ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি নিয়ে সালাউদ্দিন কাদেরের ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, “বাবা ক্ষমা চেয়ে মার্সি পিটিশন চাইবেন? এটা আমি তার সঙ্গে কথা না বলে কিছু বলতে পারব না।”
আইনমন্ত্রী তা জানিয়েছেন- বলা হলে তিনি হুম্মাম বলেন, “আনিসুল হক ভাল করেই জানেন, বাবা কী বলতে পারেন। আমার বাবা কী ধরনের লোক, তা সবাই জানে।”
সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আরেক ছেলে ফাইয়াজ কাদের চৌধুরী বিকালে কারাফটকে সাংবাদিকদের একই কথা জানান।
দুই যুদ্ধাপরাধীর পরিবারের সদস্যরা আইনজীবীদের কারাগারে দেখা করার সুযোগ চাইলেও তার সুযোগ এখন আর নেই বলে মনে করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত সালাউদ্দিন কাদের ও মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের তোড়জোড়ের মধ্যে শনিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেন তাদের পরিবারের সদস্যরা। তবে তখন প্রাণভিক্ষা চাওয়ার বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি তারা।
এরপর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বেলা আড়াইটার দিকে জানান, দুজনই রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চেয়ে আবেদন করেছেন।
আইনি লড়াই নিষ্পত্তির পর এখন দুই যুদ্ধাপরাধী শুধু রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইতে পারেন। তা স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয় হয়ে যাবে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে। নামঞ্জুর হলে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে।
আইনমন্ত্রী জানানোর পর কিছুক্ষণ পরই ‘গুরুত্বপূর্ণ পত্রাদি’ লেখা একটি রেজিস্ট্রার খাতা নিয়ে কারাগার থেকে বেরিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গিয়ে স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছে দিয়ে আসেন ডেপুটি জেলার সর্বোত্তম দেওয়ান।
আইনমন্ত্রীর বক্তব্যের পর ক্ষমার বিষয়ে জানতে চাইলে মুজাহিদের ছেলে আলী আহমেদ মাবরুর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আইনজীবীদের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ না দিয়ে কারা কর্তৃপক্ষ বা সরকার থেকে বলা হচ্ছে, ‘উনি মার্সি পিটিশন করেছেন’। এটা আমাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হচ্ছে না।”
জামায়াতে ইসলামীর এক বিবৃতিতেও বলা হয়েছে, “বিভিন্ন গণমাধ্যমে কারা অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে প্রচার করা হচ্ছে যে, ‘জনাব আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ মাহামান্য রাষ্ট্রপতির নিকট প্রাণ ভিক্ষার আবেদন করেছেন’। প্রচারিত এ খবরটি সম্পূর্ণ অসত্য ও বিভ্রান্তিকর।”
আইনজীবীদের সঙ্গে কারাগারে মুজাহিদের সাক্ষাতের সুযোগ দেওয়ার দাবি আবার জানিয়ে মাবরুর বলেন, “উনি যদি ক্ষমা প্রার্থনা করে থাকেন, তবে আইনজীবীদের সাথে সাক্ষাত করার সুযোগ দিয়ে আইনজীবীদের মাধ্যমেই যেন তিনি জানাতে পারেন, সেই সুযোগ দেওয়া হোক।”
“উনি যে পর্যায়ে আছেন, উনার ইচ্ছার একটা দাম আছে। এই পর্যায়ে ইচ্ছা অন্য স্বাভাবিক মানুষের মতো না। এই পর্যায়ে এসে উনি বার বার আইনজীবীদের সাথে কথা বলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন,” বলেন মৃত্যুদণ্ড মাথায় নিয়ে কারাগারে থাকা জামায়াত নেতার ছেলে।
আইনমন্ত্রী জানানোর আগে দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে মুজাহিদের পরিবার, মাবরুর সেখানেও ছিলেন।
এদিকে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদেরের পরিবারের সদস্যরা গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের পর রাষ্ট্রপতির কাছে একটি আবেদন নিয়ে বঙ্গভবনে যায়। তাতে যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে প্রশ্ন তুলে তার প্রতিবিধান চাওয়া হয়।
সেখানে ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি নিয়ে সালাউদ্দিন কাদেরের ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, “বাবা ক্ষমা চেয়ে মার্সি পিটিশন চাইবেন? এটা আমি তার সঙ্গে কথা না বলে কিছু বলতে পারব না।”
আইনমন্ত্রী তা জানিয়েছেন- বলা হলে তিনি হুম্মাম বলেন, “আনিসুল হক ভাল করেই জানেন, বাবা কী বলতে পারেন। আমার বাবা কী ধরনের লোক, তা সবাই জানে।”
সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আরেক ছেলে ফাইয়াজ কাদের চৌধুরী বিকালে কারাফটকে সাংবাদিকদের একই কথা জানান।
দুই যুদ্ধাপরাধীর পরিবারের সদস্যরা আইনজীবীদের কারাগারে দেখা করার সুযোগ চাইলেও তার সুযোগ এখন আর নেই বলে মনে করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন