বুলগেরিয়ার সীমান্ত পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত একজন আফগান শরণার্থী মারা গেছেন।
শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বুলগেরিয়ার স্বরাষ্ট্র মণ্ত্রনালয়ের প্রধান সচিব জর্জ কসতভ বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে তুরস্ক সীমান্ত পেরিয়ে প্রায় ৫০ জনের একটি দল বুলগেরিয়ায় ঢুকে পড়ে। পেট্রল পুলিশের তিনজন কর্মকর্তা তাদের আটকাতে চেষ্টা করছিল। ওই সময় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
"গ্রেপ্তার করার সময় তারা (শারণার্থীরা) বাধা দিচ্ছিল। ঘটনাস্থলে উপস্থিত একজন কর্মকর্তা জানান, এ সময় সতর্ক করতে বাতাসে একটি গুলি ছোঁড়া হয়। কিছুতে ধাক্কা লেগে গুলিটি একজন শরণার্থীর শরীরে বিদ্ধ হয় এবং পরে সে মারা যায়।"
যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা আফগানিস্তানের নাগরিক এবং বয়স ২০ থেকে ৩০ এর মধ্যে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এবং তাদের শারীরিক অবস্থা ভাল আছে বলেও জানান কসতভ।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে।
সংস্থার মুখপাত্র বরিস চেশিরকভ বলেন, "এ ঘটনায় ইউএনএইচসিআর'র পক্ষ থেকে আমরা গভীরভাবে শোকাহত।"
"আমরা আফগান আশ্রয়প্রার্থীর মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করছি, যিনি সীমান্ত পেরিয়ে নিরাপদ স্থানে পেৌঁছানোর চেষ্টা করছিলেন। আমরা বুলগেরিয়া কর্তৃপক্ষের কাছে যত দ্রুত সম্ভব এ বিষয়ে একটি স্বচ্ছ ও স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠনের আহ্বান জানিয়েছি। আশ্রয় প্রার্থনা করা অপরাধ নয় বরং এটা সর্বজনীন মানবাধিকার।"
এই প্রথম ইউরোপে প্রবেশ করার চেষ্টা করার সময় কোনো শরণার্থী গুলি খেয়ে মারা গেল বলেও জানায় সংস্থাটি।
এ ঘটনার পর ব্রাসেলসে অবস্থান করা বুলগেরিয়ার প্রধানমন্ত্রী বইক বরিসভ দেশে ফিরি যান। শরণার্থী সঙ্কট মোকাবেলায় ব্রাসেলসে ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের সম্মেলন চলছে।
বুলগেরিয়ার প্রসিকিউটরা এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বলেও রয়টার্সের খবরে বলা হয়।
গত বছর হিউম্যান রাইট ওয়াচের পক্ষ থেকে অভিযোগ করে বলা হয়েছিল, বুলগেরিয়া শরণার্থীদের তুরস্কে ফিরে যেতে বাধ্য করে তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে।
তখন বুলগেরিয়া সরকার ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছিল।
বুলগেরিয়া ইইউ ভূক্ত দেশ হলেও শেনজেন এরিয়ার অন্তর্ভূক্ত নয়। শরণার্থীদের আটকাতে দেশটি তুরস্ক সীমান্তে অধিক সীমান্ত পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রযুক্তির সহায়তা নিচ্ছে। >> রয়টার্স
"গ্রেপ্তার করার সময় তারা (শারণার্থীরা) বাধা দিচ্ছিল। ঘটনাস্থলে উপস্থিত একজন কর্মকর্তা জানান, এ সময় সতর্ক করতে বাতাসে একটি গুলি ছোঁড়া হয়। কিছুতে ধাক্কা লেগে গুলিটি একজন শরণার্থীর শরীরে বিদ্ধ হয় এবং পরে সে মারা যায়।"
যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা আফগানিস্তানের নাগরিক এবং বয়স ২০ থেকে ৩০ এর মধ্যে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এবং তাদের শারীরিক অবস্থা ভাল আছে বলেও জানান কসতভ।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে।
সংস্থার মুখপাত্র বরিস চেশিরকভ বলেন, "এ ঘটনায় ইউএনএইচসিআর'র পক্ষ থেকে আমরা গভীরভাবে শোকাহত।"
"আমরা আফগান আশ্রয়প্রার্থীর মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করছি, যিনি সীমান্ত পেরিয়ে নিরাপদ স্থানে পেৌঁছানোর চেষ্টা করছিলেন। আমরা বুলগেরিয়া কর্তৃপক্ষের কাছে যত দ্রুত সম্ভব এ বিষয়ে একটি স্বচ্ছ ও স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠনের আহ্বান জানিয়েছি। আশ্রয় প্রার্থনা করা অপরাধ নয় বরং এটা সর্বজনীন মানবাধিকার।"
এই প্রথম ইউরোপে প্রবেশ করার চেষ্টা করার সময় কোনো শরণার্থী গুলি খেয়ে মারা গেল বলেও জানায় সংস্থাটি।
এ ঘটনার পর ব্রাসেলসে অবস্থান করা বুলগেরিয়ার প্রধানমন্ত্রী বইক বরিসভ দেশে ফিরি যান। শরণার্থী সঙ্কট মোকাবেলায় ব্রাসেলসে ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের সম্মেলন চলছে।
বুলগেরিয়ার প্রসিকিউটরা এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বলেও রয়টার্সের খবরে বলা হয়।
গত বছর হিউম্যান রাইট ওয়াচের পক্ষ থেকে অভিযোগ করে বলা হয়েছিল, বুলগেরিয়া শরণার্থীদের তুরস্কে ফিরে যেতে বাধ্য করে তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে।
তখন বুলগেরিয়া সরকার ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছিল।
বুলগেরিয়া ইইউ ভূক্ত দেশ হলেও শেনজেন এরিয়ার অন্তর্ভূক্ত নয়। শরণার্থীদের আটকাতে দেশটি তুরস্ক সীমান্তে অধিক সীমান্ত পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রযুক্তির সহায়তা নিচ্ছে। >> রয়টার্স
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন