অস্ট্রেলিয়ার প্রায় প্রতিটি প্রান্ত থেকে মানুষ এখানে আসে আনন্দ করার জন্য। আবার শহরটিকে অস্ট্রেলিয়ার লাস ভেগাসও বলা চলে। এখানকার ‘জুপিটার’ এই দেশের সবচেয়ে বড় ক্যাসিনো যা ২৪ ঘন্টাই খোলা থাকে!
গোল্ড কোস্টের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ অবশ্য এর দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত। এই সৈকত কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে গোল্ড কোস্টের পর্যটন ব্যবস্থা। অনেকগুলো বিচ রয়েছে এখানে যেগুলো সূর্য স্নানের জন্য বেশ খ্যাত।
সার্ফারস প্যারাডাইসেই রয়েছে ‘কিউ১’ ভবন, যেটিকে অষ্ট্রেলিয়ার উচ্চতম। ৭৭ তম তলায় যে কেউ উঠতে পারে দর্শনীর বিনিময়ে। পুরো গোল্ড কোস্ট শহর এক পলক দেখার জন্য এটি নিঃসন্দেহে একটি ভালো উপায়।
বছরের ৩৬৫ দিনই এখানে পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকে। পর্যটকদের এই ভিড়ের কারণে এই শহরটিতে দিনের বেলা প্রাণবন্ত, ভীষণ ব্যস্ততার মধ্যে কাটে রেস্তোঁরা ও হোটল কর্মচারীদের। আনন্দ করার জন্য পর্যটকদের জন্য এই শহরে রয়েছে ‘১০১টির’ যেন বেশি উপায়!
কেউ যখন কোনভাবে ছুটির ব্যবস্থা করে দিনগুলো এখানে কাটাবার চিন্তা করবেন তখন গোল্ড কোস্টের ইনফরমেশন সেন্টার কিংবা ট্যুরিস্ট অফিসগুলো মেলে ধরবে রঙ-বেরঙের সব লিফলেট। সব অফার ও সুযোগ, যেমন হট এয়ার বেলুনে ওড়া, হেলিকপ্টারে চড়া, জাহাজে চড়ে তিমি মাছ দেখতে যাওয়া, উভচর যানে ভ্রমণসহ বিচিত্র রকমের মনোরঞ্জনের ব্যবস্থা!একটি লিফলেটে দেখেছি ১০০ ডলারের বিনিময়ে ৯ টি বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের সুযোগ! হামভি গাড়িতে করে গোল্ড কোস্ট শহরের আশেপাশে ঘুরানোরও একটি অফার দেখালাম!
গোল্ড কোস্ট চেষ্টা করে রাতের বেলায়ও পর্যটকদের জাগিয়ে রাখতে। প্রচুর নাইট ক্লাব তো আছেই, এছাড়া রাত্রে মনোরঞ্জনের জন্য অদ্ভূত সব আয়োজন, যেমন ড্রাকুলা নামের একটি রেস্তোঁরা আছে যেখানে সারা রাত চলে ‘ভীতিকর’ আবহে খাওয়া-দাওয়া এবং নাচ!
আনন্দের এইসব আয়োজন ছাড়াও গোল্ড কোস্টে রয়েছে বেশ কয়েকটি থিম পার্ক।এর মধ্যে খ্যাতি আছে সি ওয়ার্ল্ড, ড্রিম ওয়ার্ল্ড এবং ওয়ার্নার ব্রাদার্স মুভি ওয়ার্ল্ড।
সমুদ্রের গভীরের জগতকে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে সি ওয়ার্ল্ডে। ডলফিন রাখা হয়েছে বেশ কয়েকটি বড় জলাধারে। পেঙ্গুইন দেখার জন্য আলাদা একটি ভবন আছে, যেখানে অ্যান্টার্কটিকার আবহ তৈরি করা হয়েছে।কয়েক রকম পেঙ্গুইন রাখা রয়েছে এখানে, তবে কিং পেঙ্গুইন এদের মধ্যে আবার বেশি আকর্ষণীয়। এই পার্কের আরেকটি বড় আকর্ষণ হলো মেরু ভল্লুক।
এছাড়া বিভিন্ন রকম রাইড রয়েছে কচি-বুড়ো সবার জন্য। আর সিনেমাপ্রেমীদের জন্য ওয়ার্নার ব্রাদার্স মুভি ওয়ার্ল্ড তো এক ধরনের স্বর্গ!
সংক্ষেপে বলা যায় এই থিম পার্কগুলোতে ঢোকা মানে এক অন্য জগতে প্রবেশ করা। এখানে আপনার সামনে ঘুরে বেড়াবে সুপার হিরো-হিরোইনদের কসটিউম পরা লোকজন, ছবি তোলার ব্যবস্থায় আছে আর এতে শিশুদের আগ্রহ একটু বেশি বলেই মনে হল।
এছাড়া পুরোনো অ্যানিমেশেনের চরিত্র যেমন বাগস বানি , টুইটিদের প্যারেড থাকেকয়েক ঘন্টা পর পর। অ্যাকশন সিনেমার শুটিং কিভাবে করা হয় তাও দেখার ব্যবস্থা আছে এখানে। এই থিম পার্কের রাইডগুলো এক অর্থে ‘ভয়াবহ’,এর মধ্যে সুপারম্যান রাইডটি তো একেবারে ‘পিলে চমকানো’ একটি রাইড।
২০১৮ সালে কমনওয়েলথ গেমস হতে যাচ্ছে গোল্ড কোস্টে, তবে এর কাউন্ট ডাউন যেন শুরু হয়ে গেছে! গোল্ড কোস্টের বিভিন্ন জায়গায় ডিজিটাল সাইনে দেখানো হচ্ছে কমনওয়েলথ গেমস আর কতদিন
bd news24
গোল্ড কোস্টের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ অবশ্য এর দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত। এই সৈকত কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে গোল্ড কোস্টের পর্যটন ব্যবস্থা। অনেকগুলো বিচ রয়েছে এখানে যেগুলো সূর্য স্নানের জন্য বেশ খ্যাত।
এসকেইপ রোলারকোস্টার |
সাউথপোর্ট, গোল্ড কোস্ট
এর মধ্যে ‘সার্ফারস প্যারাডাইস’ বেশি জনপ্রিয় বিচ এবং এখানে দর্শনার্থীদের ভিড় লেগেই থাকে। পুরো গোল্ড কোস্টের কেন্দ্রবিন্দুও বলা যায় এই সৈকতকে। সার্ফারস প্যারাডাইসেই রয়েছে ‘কিউ১’ ভবন, যেটিকে অষ্ট্রেলিয়ার উচ্চতম। ৭৭ তম তলায় যে কেউ উঠতে পারে দর্শনীর বিনিময়ে। পুরো গোল্ড কোস্ট শহর এক পলক দেখার জন্য এটি নিঃসন্দেহে একটি ভালো উপায়।
বছরের ৩৬৫ দিনই এখানে পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকে। পর্যটকদের এই ভিড়ের কারণে এই শহরটিতে দিনের বেলা প্রাণবন্ত, ভীষণ ব্যস্ততার মধ্যে কাটে রেস্তোঁরা ও হোটল কর্মচারীদের। আনন্দ করার জন্য পর্যটকদের জন্য এই শহরে রয়েছে ‘১০১টির’ যেন বেশি উপায়!
অ্যানিমেশন চরিত্রগুলো নিয়ে একটি প্যারেড, ওয়ার্নার ব্রাদার্স মুভি ওয়ার্ল্ড |
ওয়ার্নার ব্রাদার্স মুভি ওয়ার্ল্ড যেন এক রঙিন দুনিয়া
গোল্ড কোস্ট চেষ্টা করে রাতের বেলায়ও পর্যটকদের জাগিয়ে রাখতে। প্রচুর নাইট ক্লাব তো আছেই, এছাড়া রাত্রে মনোরঞ্জনের জন্য অদ্ভূত সব আয়োজন, যেমন ড্রাকুলা নামের একটি রেস্তোঁরা আছে যেখানে সারা রাত চলে ‘ভীতিকর’ আবহে খাওয়া-দাওয়া এবং নাচ!
খুব কাছাকাছি ডলফিন দেখা ও ছুঁয়ে সুযোগ আছে সি ওয়ার্ল্ডে |
খুব কাছাকাছি ডলফিন দেখা ও ছুঁয়ে সুযোগ আছে সি ওয়ার্ল্ডে
সমুদ্রের গভীরের জগতকে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে সি ওয়ার্ল্ডে। ডলফিন রাখা হয়েছে বেশ কয়েকটি বড় জলাধারে। পেঙ্গুইন দেখার জন্য আলাদা একটি ভবন আছে, যেখানে অ্যান্টার্কটিকার আবহ তৈরি করা হয়েছে।কয়েক রকম পেঙ্গুইন রাখা রয়েছে এখানে, তবে কিং পেঙ্গুইন এদের মধ্যে আবার বেশি আকর্ষণীয়। এই পার্কের আরেকটি বড় আকর্ষণ হলো মেরু ভল্লুক।
এছাড়া বিভিন্ন রকম রাইড রয়েছে কচি-বুড়ো সবার জন্য। আর সিনেমাপ্রেমীদের জন্য ওয়ার্নার ব্রাদার্স মুভি ওয়ার্ল্ড তো এক ধরনের স্বর্গ!
সি ওয়ার্ল্ডে মেরু ভাল্লুক |
খুব কাছাকাছি ডলফিন দেখা ও ছুঁয়ে সুযোগ আছে সি ওয়ার্ল্ডে
কিউ১ ভবনের ৭৭ তলার দৃশ্য
এছাড়া পুরোনো অ্যানিমেশেনের চরিত্র যেমন বাগস বানি , টুইটিদের প্যারেড থাকেকয়েক ঘন্টা পর পর। অ্যাকশন সিনেমার শুটিং কিভাবে করা হয় তাও দেখার ব্যবস্থা আছে এখানে। এই থিম পার্কের রাইডগুলো এক অর্থে ‘ভয়াবহ’,এর মধ্যে সুপারম্যান রাইডটি তো একেবারে ‘পিলে চমকানো’ একটি রাইড।
২০১৮ সালে কমনওয়েলথ গেমস হতে যাচ্ছে গোল্ড কোস্টে, তবে এর কাউন্ট ডাউন যেন শুরু হয়ে গেছে! গোল্ড কোস্টের বিভিন্ন জায়গায় ডিজিটাল সাইনে দেখানো হচ্ছে কমনওয়েলথ গেমস আর কতদিন
bd news24
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন