বুধবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

ভারতে পলাতক জেএমবি সদস্য ঝাড়খণ্ডে আটক

   

                 গত বছর পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানে বিস্ফোরণ হলে জেএমবি চক্রকে দায়ী করা হয়।

ভারতের সন্ত্রাস দমন এজেন্সি এন আই এ বলছে তারা তরিকুল ইসলাম নামে জামিয়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ বা জে এম বি-র এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে।
একবছর আগে পশ্চিমবঙ্গের খাগড়াগড়ে এক বিস্ফোরণে মি: ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বলে তদন্তকারীদের দাবী।
তাঁকেঝাড়খণ্ড রাজ্য থেকে গ্রেপ্তার করার পরে বুধবার কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছে।
এন আই এ বলছে, ঝাড়খণ্ড পুলিশের সন্ত্রাস দমন শাখার সঙ্গে এক যৌথ অভিযান চালিয়ে তারা রাঁচি আর রামগড় জেলার সীমান্ত থেকে মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করেছে তরিকুল ইসলামকে।
পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানে গত বছর দোসরা অক্টোবর বিস্ফোরণের পরেই আত্মগোপন করেছিলেন মি: ইসলাম।
রায়হান শেখ নাম নিয়ে তিনি ঝাড়খণ্ডের সাহেবগঞ্জ জেলার একটি গ্রামে থাকছিলেন। সেখানকারই এক স্থানীয় নারীকে তিনি বিয়েও করেছিলেন।
এন আই এ-র কয়েকটি সূত্র বলছে, কিছুদিন আগে শেখ সালাউদ্দিন এবং জাহাঙ্গীর খান নামে দুজন গ্রেপ্তার হন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই সাহেবগঞ্জের একটি মাদ্রাসার কথা জানা যায়।
গত বছর ঢাকায় বর্ধমান বিস্ফোরণে জড়িত থাকার সন্দেহে তিনজন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়।
আবার জে এম বি-র আরেক গ্রেপ্তার হওয়া সদস্য সাজিদ শেখও জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে সাহেবগঞ্জের ওই মাদ্রাসার সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগের কথা জানিয়েছিলেন।
এই সূত্র ধরে তদন্ত করতে গিয়েই এক বছর ধরে পালিয়ে থাকা তরিকুল ইসলাম গ্রেপ্তার হন।
এন আই এ এই মামলাটিতে যে অতিরিক্ত চার্জশীট পেশ করেছে গত জুলাই মাসে, সেখানে মি: ইসলামের নাম ২৭ নম্বর অভিযুক্ত হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছিল।
তাঁকে পলাতক হিসাবে দেখানো হয়েছিল আর তাঁর সম্বন্ধে খবরাখবর দিতে পারলে ৫ লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছিল।
আনুষ্ঠানিকভাবে এন আই এ জানিয়েছে যে সাদিক, সুমন আর রায়হান শেখ – এই তিনটি ছদ্মনাম ব্যবহার করতেন তরিকুল ইসলাম। তাঁর আসল বাড়ি বাংলাদেশের চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানা এলাকায়।
তিনি ২০০৮-৯ সাল থেকেই বেআইনিভাবে ভারতে যাতায়াত করতেন এবং তারপরে তিনি জাল ভারতীয় নাগরিকত্বের নথিও যোগাড় করেন।
এন আই এ বলছে, খাগড়াগড়ের বিস্ফোরণে যারা জড়িত ছিলেন, তাঁদের সবাইকেই এই তরিকুল ইসলামই প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন। সাহেবগঞ্জের মাদ্রাসাতেই চলত মূল প্রশিক্ষণ।

প্রথমবার জাতিসংঘে উড়বে ফিলিস্তিনি পতাকা

                     প্রথমবারের মতো জাতিসংঘে উড়তে যাচ্ছে ফিলিস্তিনের পতাকা                

প্রথমবারের মতো আজ জাতিসংঘে উড়তে যাচ্ছে ফিলিস্তিনি পতাকা, যাকে আবেগ আর গর্বের একটি দিন বলে বর্ণনা করেছেন ফিলিস্তিনি নেতারা।
এ মাসের শুরুর দিকে জাতিসংঘে ফিলিস্তিন আর ভ্যাটিকানের পতাকা ওড়ানোর একটি প্রস্তাব গ্রহণ করে সাধারণ পরিষদ।
যদিও যুক্তরাষ্ট্র আর আরো ছয়টি দেশের সঙ্গে ওই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছিল ইজরায়েল। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে প্রস্তাবটি পাস হয়।
ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের প্রধান মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, এটি নিঃসন্দেহে ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য একটি স্মরণীয় দিন। কিন্তু জাতিসংঘকে অবশ্যই ফিলিস্তিনিদের জন্য শুধু আশাবাদের বাইরে বেশি কিছু দিতে হবে।
২০১২ সালে ফিলিস্তিনকে সদস্য নয় কিন্তু পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের মর্যাদা দিয়েছিল সাধারণ পরিষদ।
আর আরো পরের দিকে সাধারণ পরিষদে মি. আব্বাসের বক্তৃতা দেয়ার কথা রয়েছে। এর একদিন পরেই ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বক্তৃতা দেবেন।
bbc bangla

সিরিয়ায় রুশ বিমান বাহিনীর অভিযান শুরু হয়েছে

                     সিরিয়ায় রুশ জঙ্গি বিমান                

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা দফতর বলেছে, সে দেশের জঙ্গি বিমান সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট বা আইএস নামক সংগঠনের অবস্থানের উপর হামলা চালিয়েছে।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গে লাভরভ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে বলেন, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ-এর অনুরোধের প্রেক্ষিতেই এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
মি: লাভরভ বলেন, আইএস এবং অন্যান্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যারা লড়াই করছে তাদের মধ্যে আরো সহযোগিতার লক্ষ্যে তিনি পরিষদে একটি খসরা প্রস্তাব নিয়ে আসবেন।
তবে মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, রুশ হামলা আইএস অবস্থানের উপর চালানো হয়েছে বলে মনে হচ্ছে না।
এর আগে, রাশিয়ার পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষ মস্কোর সেনাবাহিনী দেশের বাইরে মোতায়েনের ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট পুতিনের অনুরোধ সর্বসম্মত্তিক্রমে অনুমোদন করে।
এই সিদ্ধান্তের ফলে সিরিয়াতে ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে রাশিয়ার বিমান হামলা করার পথ খুলে যায়।
                 মানচিত্র: সিরিয়ার কোন অংশ কার দখলে?
তবে ক্রেমলিনের একজন মুখপাত্র সার্গে ইভানভ সিরিয়াতে স্থলভাগে সেনা মোতায়েনের বিষয়টি নাকচ করেছেন।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের স্টাফ প্রধান সার্গে ইভানভ সাংবাদিকদের বলেন সিরিয়ার সংকটের সঙ্গে রাশিয়া নিজেকে জড়াচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে তার আঞ্চলিক স্বার্থের জন্য নয়, বরং রাশিয়ার জাতীয় স্বার্থে।
তিনি বলেন, সে কারণেই সিরিয়াতে রুশ সেনাবাহিনীকে মোতায়েন করা হবে না।
সিরিয়ার অভিযানে শুধুমাত্র বিমান বাহিনী মোতায়েন করা হবে বলে তিনি জানান। মি. পুতিন বলেছেন যে স্থল বাহিনীর কোন ভূমিকা এই অভিযানে থাকবে না।
এই অভিযানের সামরিক লক্ষ্য হচ্ছে আইএস-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সিরিয়ার সরকারকে বিমান বাহিনী দিয়ে সাহায্য করা।
সিরিয়ায় ত্রাণবাহী রুশ বিমান।                
তিনি বলেন, সিরিয়ার সরকারের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিক সাহায্যের অনুরোধ আসার পরই রাশিয়া এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
চলতি সপ্তাহের গোড়াতেই রুশ প্রেসিডেন্ট জাতিসংঘে ভাষণ দেয়ার সময় আইএস-এর বিরুদ্ধে বড় ধরনের জোট তৈরি করার তাগিদ দেন।
সিরিয়ার যুদ্ধের পুরো সময়টিতে রাশিয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ দিয়ে সিরিয়ার সরকারকে সাহায্য করেছে।
সম্প্রতি সিরিয়া থেকে পাওয়া স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা যাচ্ছে যে ভূমধ্যসাগরে সিরিয়ার বন্দর নগরী লাতাকিয়ার কাছেই এক বিমান ঘাঁটিতে রাশিয়ার জঙ্গি বিমানগুলো এসে জড়ো হচ্ছে।
bbc bangla

মুজাহিদ ও সালাহউদ্দিন কাদেরের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ

 

মানবতা বিরোধী অপরাধের অভিযোগে জামায়াতে ইসলামীর নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ এবং বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করেছে আপিল বিভাগ।
এর ফলে তাদের দণ্ড কার্যকরের পরবর্তী প্রক্রিয়া শুরু হবে।
মি. মুজাহিদের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির জানিয়েছেন, রায় প্রকাশের পর থেকে পনেরো দিনের মধ্যে রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ করার সুযোগ রয়েছে। আমরা রিভিউ পিটিশন করবো।
এ বছর ১৬ জুন আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। সেই রায়েরই পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি আজ প্রকাশ করা হলো।
২০১৩ সালের ১৭ জুলাই মানবতা-বিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
তাঁর বিরুদ্ধে আনা বুদ্ধিজীবী হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণসহ সাতটি অভিযোগের মধ্যে পাঁচটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপীল করেছিলেন মি. মুজাহিদ।
অন্যদিকে এ বছর ২৯ জুলাই, সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে দেয়া মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।
২০১৩ সালের ১ অক্টোবর চার অভিযোগে সাকা চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ড এবং পাঁচ অভিযোগে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
আপিল আংশিক মঞ্জুর করে আপিল আদালত আটটিতে দণ্ডাদেশ বহাল রেখেছে, একটিতে দেওয়া হয়েছে খালাস।

নেপালে সংবিধান বিরোধী বিক্ষোভে বিপর্যস্ত জীবন

                      কয়েক সপ্তাহ ধরেই নেপালে সহিংসতা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে                

নেপালের দক্ষিণাঞ্চলে ভারত সীমান্তের প্রধান বন্দর এলাকায় বিক্ষোভের কারণে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পর, নেপালে অনেক নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের সংকট দেখা দিয়েছে।
নেপালের নতুন সংবিধানের বিরোধিতা করে ওই এলাকার একটি জাতিগোষ্ঠীর সদস্যরা অবরোধ শুরু করেছে। ফলে ভারত থেকে তেল আর অন্যান্য জরুরী সরবরাহ নিয়ে আসা যানবাহন সীমান্ত বন্দরেই আটকা পড়েছে।
ফলে নেপালের অনেক এলাকায় এর মধ্যেই খাবার আর তেলের মতো দরকারি জিনিসের রেশনিং ব্যবস্থা চালু হয়েছে।
সীমান্ত এলাকা ঘুরে এসে বিবিসির সঞ্জয় মজুমদার জানাচ্ছেন, একদিকে সড়কে যেমন অনেক মানুষ অবস্থান নিয়ে রয়েছে, তেমনি বিক্ষোভ মোকাবেলায় রণসজ্জায় প্রস্তুতি নিয়েছে পুলিশও। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই নেপালে সহিংসতা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।
                 বিক্ষোভের ফলে নেপালে খাবার আর তেলের মতো দরকারি জিনিসের রেশনিং শুরু হয়েছে
ভারত সীমান্তবর্তী সমতল ভূমিতে বসবাসকারী বাসিন্দারা দেশটির নতুন সংবিধানের বিরোধিতা করছে, কারণ তাদের মতে এটি ন্যায়সঙ্গত হয়নি। কারণ, তারা মনে করে, সংবিধানে যেভাবে নতুন প্রাদেশিক ভাগ করা হয়েছে, তা তাদের সংসদে ন্যায্য অধিকার দেবে না।
অনিল কুমার ঝাঁ, একজন বিক্ষোভকারী বলছেন, পঞ্চাশ শতাংশের বেশি জনসংখ্যা হিসাবে সংসদে আমাদের সেরকমই প্রতিনিধি থাকা উচিত। কিন্তু যেভাবে নতুন সংবিধান লেখা হয়েছে, তাতে আমাদের ত্রিশ শতাংশেরও কম প্রতিনিধি থাকবে।
দুইশ চল্লিশ বছর পুরনো রাজতন্ত্র উচ্ছেদের প্রায় সাতবছর পর নেপাল তার নতুন সংবিধান গ্রহণ করেছে, যা দেশটির একটি মাইল ফলক হিসাবেই বিবেচনা করা হচ্ছে। ফেডারেল সরকারের আদলে, আর হিন্দু রাষ্ট্র থেকে বেরিয়ে সেই সংবিধানটি গত সপ্তাহে পাস হয়েছে। কিন্তু সেটি যেন দেশটিতে নতুন করে সংকট তৈরি করেছে।
                 অবরোধে সীমান্ত এলাকায় আটকে পড়েছে অনেক মালবাহী ট্রাক                
নেপালের একটি রাজনৈতিক দলের নেতা কে পি ওলি, যিনি নতুন প্রধানমন্ত্রী হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে, বলছেন, আমাদের দেশে একশ পঁচিশটি গোত্র রয়েছে।আর একশ তেইশটি পৃথক ভাষার জাতি রয়েছে। তাই শুধুমাত্র জাতির পরিচয়ে আমার তো নেপালে একশ পঁচিশটি প্রদেশে ভাগ করতে পারবো না। তবে সবার জাতি পরিচয়ই আমাদের সংবিধানে উল্লেখ করা হয়েছে।
নেপালের এই বিক্ষোভের জন্য অনেকে প্রতিবেশী ভারতকেও দায়ী করেছে। অনেকেই বলছেন, ভারত নেপালে তাদের প্রভাব বিস্তার করতেই প্রকাশ্যেই নতুন সংবিধানের সমালোচনা করেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও, ‘ভারত তুমি চলে যায়’, হ্যাশ ট্যাগ দিয়ে মন্তব্য করা হচ্ছে।
নেপালের একজন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক কনক মুনি দীক্ষিত বলছেন, ভারতের গায়ে পড়া উস্কানি আর অনানুষ্ঠানিক অবরোধ, নেপালের এই বিক্ষোভে আরো উস্কানি যোগাচ্ছে। একটি গণতান্ত্রিক দেশ হিসাবে ভারত তাদের নিজেদের ইতিহাসের সম্মান করছে না, তাদের অবশ্যই এমন আচরণ বন্ধ করা উচিত।
এই বিক্ষোভে উস্কানি দেয়ার জন্য নেপালে অনেকেই ভারতকে দায়ী করেছেন                
ভারত সীমান্তবর্তী এই উত্তেজনার প্রভাব পড়েছে পুরো নেপাল জুড়ে। কারণ এই এলাকাটি নেপালের অর্থনীতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানকার সমতলেই নেপালের সবচেয়ে বেশি চাল আর চিনির মতো ফসল ফলে। আর এই সড়ক দিয়েই ভারত থেকে নেপালের দরকারি সব পণ্য দেশের অন্যান্য অংশে যায়।
এ কারণে এই এলাকার বিক্ষোভে রাজনৈতিক আর অর্থনৈতিক, দুইদিকেই নেপালে প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে।
BBC BAGLA

মঙ্গলবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

নেপালে ভারতীয় টিভি চ্যানেল বন্ধ

    bbc

                 প্রায় সবকটি ভারতীয় টিভি চ্যানেল বন্ধ করে দিয়েছে নেপাল
নেপালের নতুন সংবিধানকে ঘিরে ভারতের সাথে দেশটির বিরোধের মধ্যেই নেপালে ক্যাবল টেলিভিশন অপারেটররা প্রায় সবকটি ভারতীয় টিভি চ্যানেল বন্ধ করে দিয়েছে।
নেপাল বলছে যে ভারত তাদের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নাক গলাচ্ছে। ক্যাবল অপারেটররা সমিতি বলছে, ভারতের সাথে তাদের সীমান্তে জ্বালানীসহ অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বোঝাই ট্রাক আটকে রাখার প্রতিবাদে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
দিল্লি অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করছে। নেপাল কেবল টিভি অপারেটর্স এসোসিয়েশনের প্রধান সুধীর পরাজুলি কাঠমান্ডুতে বিবিসির নেপালি সার্ভিসকে জানিয়েছেন, যে ৪২টি ভারতীয় স্যাটেলাইট চ্যানেলের সম্প্রচার তাঁরা বন্ধ করে দিয়েছেন।
নেপালের বিভিন্ন শহরে আর গ্রামে ভারতীয় চ্যানেলগুলি খুবই জনপ্রিয়, কিন্তু নেপালের বহু মানুষ মনে করেন যে ভারত জোর করে নেপালে পণ্য পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছে গত কয়েকদিন ধরে - যার ফলে নেপালে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের একটা সঙ্কট দেখা দিয়েছে – বিশেষত পেট্রো পণ্যের।
bbc                 এসব চ্যানেল খুব জনপ্রিয় ভারতে                
যেহেতু নেপালের নতুন সংবিধান নিয়ে ভারত সন্তুষ্ট নয়, সেজন্যই প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ভারত পণ্য চলাচল বন্ধ করেছে এমনটাই মনে করেন নেপালের বহু মানুষ। সেজন্যই পাল্টা প্রতিবাদ হিসাবে ভারতীয় চ্যানেলগুলি ব্ল্যাকআউট করে দেওয়া হয়েছে।
এই নিয়ে কাঠমান্ডুতে প্রতিবাদ মিছিলও হচ্ছে । আবার কেবল টিভি-র সঙ্গেই কয়েকটি সিনেমা হলে ভারতীয় চলচ্চিত্র প্রদর্শনও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
নেপালের নতুন সংবিধানে ভারত লাগোয়া অঞ্চলগুলির বাসিন্দা মূলত মধেশি আর থারু জনজাতিদের সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব দেওয়া হয় নি যারা নেপালের জনসংখ্যার প্রায় ৪০% তাদের এলাকাগুলিতে দাবীর থেকে অনেক কম রাজ্য দেওয়া হয়েছে এমনটাই মনে করে ভারত।
দিল্লি আরও বেশী চিন্তিত এই কারণে, যে ভারত লাগোয়া তরাই অঞ্চলে যদি অস্থিরতা না কমে, তার প্রভাব সীমান্ত পেরিয়ে ভারতেও পড়বে বিশেষত বিহার আর উত্তরপ্রদেশে।
নেপালের অনেক মানুষও টুইটারে মন্তব্য করছেন যে তরাই অঞ্চলের মধেশি আর থারুদের এই দাবীটা যথার্থ, কিন্তু ভারত সেটা নিয়ে কেন মতামত দেবে, দিল্লি কেন নাক গলাবে সেটা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।

bbc bangla

আফগানিস্তানের কুনদুয শহর পুনর্দখলের চেষ্টা করছে সরকারি বাহিনী

    বিবিসি                 তালিবানরা দখল করার পর কুনদুয পুর্নদখলের চেষ্টা করছে সরাকারি বাহিনী                

তালিবান যেভাবে হঠাৎ করে কুনদুয শহর দখল করে নেয়, সেটি আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির সরকারের জন্য ছিল চরম বিব্রতকর।
২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে আফগানিস্তানে অভিযান শুরু হওয়ার পর তালিবান এই প্রথম কোন প্রাদেশিক রাজধানী দখল করতে সক্ষম হয়।
এখন তাদের হটিয়ে এই শহর পুনর্দখলের জন্য আফগান সরকার জোরালো চেষ্টা শুরু করেছে।
কাবুল এবং মাযার ই শরিফ থেকে বাড়তি সৈন্য পাঠানো হয়েছে। মার্কিন জঙ্গি বিমান গুলো কুনদুযের উপকণ্ঠে তালিবানের অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে।
বিবিসি                          
পুলিশের এক মুখপাত্র দাবি করছেন, তালিবানকে হটিয়ে তারা ইতোমধ্যে কুনদুযেরে পুলিশ সদর দফতর, কারাগার এবং যের যাওরা এলাকা পুনর্দখল করেছেন।
এদিকে আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি দাবি করছেন, বিদ্রোহীরা এই লড়াইয়ের সময় কুনদুযের বেসামরিক নাগরিকদের মানব বর্ম হিসেবে ব্যবহার করছে।
তবে তিনি এই শহর শীঘ্রই পুনর্দখল করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন।
এর আগে গতকাল বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি বলেন, তালিবানের সঙ্গে তিনি এখনো শান্তি আলোচনায় বসতে রাজী, কিন্তু তাদেরকে আগে নিরীহ মানুষ হত্যা বন্ধ করতে হবে।
বিবিসি
                 তালিবানরা শহর দখল করে নেয়াতে বিব্রতকর অবস্থায় আফগান প্রেসিডেন্ট
প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি বলেন, "তালিবানকে আগে ঠিক করতে হবে, তারা আফগানি, নাকি বিশ্ব সন্ত্রাসবাদ আর আঞ্চলিক আধিপত্যবাদের একটা হাতিয়ার মাত্র।"
তিনি বলেন, "যদি তালিবান আমাদের বন্ধু হতে চায়, তবেই কেবল আমরা শান্তি অর্জন করতে পারবো। তাদের বুঝতে হবে যেভাবে তারা শিশুদের এবং নিরীহ মানুষদের হত্যা করছে , তাতে তারা এখন কতটা অজনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।"
বিবিসির পশতু বিভাগের বিশ্লেষক দাউদ আযামী বলছেন, আফগানিস্তানের লড়াইয়ে কুনদুয শহরের একটা কৌশলগত গুরুত্ব রয়েছে।
তালিবান এই শহর দখল করে নেয়ার পর এটিকে নতুন তালিবান নেতা মোল্লাহ আখতার মনসুরের জন্য এক বিরাট সাফল্য বলে গণ্য করা হচ্ছিল। এখন এই পাল্টা হামলার মুখে এই শহর দখলে রাখার জন্য তালিবান মরিয়া চেষ্টা চালাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

bbc bangla

ঢাকায় ইতালিয় নাগরিককে হত্যার 'দাবি করছে' আইএস

bbc

                 ‘সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ’ গতকাল এ তথ্য জানায়।
ইসলামিক স্টেট সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে 'দাবি করছে' তারা ৫০ বছর বয়সী ইতালিয়ান নাগরিককে হত্যা করেছে।
এদিকে বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠীর ইন্টারনেটভিত্তিক তৎপরতা নজরদারি করে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক একটি ওয়েবসাইট ‘সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ’ও গতকাল এমন এ তথ্য জানায়।
সোমবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার কূটনৈতিক এলাকায় তাভেলা চেজারে নামে ঐ ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।
এদিকে গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়াতে আইএসের দায় স্বীকারের যে সংবাদ আসছে সে সম্পর্কে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের বলেছেন, “ এ ধরনের কোন তথ্য প্রমাণ আমরা পাইনি। বাংলাদেশের মানুষ জঙ্গিদের প্রশ্রয় দেয় না। এ ধরনের সংগঠন যখনি সক্রিয় হ্ওয়ার চেষ্টা করেছে তাদের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ধরে ফেলেছে ” ।
এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন বাংলাদেশে তাদের নাগরিকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। তারা বলছে তাদের কাছে নির্ভরযোগ্য তথ্য আছে যে পশ্চিমা স্বার্থ লক্ষ্যবস্তু হতে পারে।
bbc bangla

চেজারে হত্যাকাণ্ড বিচ্ছিন্ন কিন্তু পূর্ব-পরিকল্পিত : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    

বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
ঢাকায় ইটালি নাগরিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দু:খ প্রকাশ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন ঘটনাটি ‘বিচ্ছিন্ন’ কিন্তু ‘পূর্ব-পরিকল্পিত’ বলেই মনে করছেন তারা ।
আজ ঢাকায় সাংবাদিকদের তিনি বলেন ঘটনাটি পরিকল্পিত এবং এর পেছনে রহস্য রয়েছে বলেই তাদের ধারণা।
তিনি বলেন “ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে । ঘটনার সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করা হবে ”।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের সফরের সাথে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনার কোন যোগসূত্র নেই।
যুক্তরাজ্য সহ বিভিন্ন দেশ তাদের নাগরিকদের জন্যে যে সতর্কবার্তা দিয়েছে সে সম্পর্কে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন তাদের জন্যে নিরাপত্তামূলক সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় আইএস র দায় স্বীকারের যে সংবাদ আসছে সে সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “ এ ধরনের কোন তথ্য প্রমাণ আমরা পাইনি। বাংলাদেশের মানুষ জঙ্গিদের প্রশ্রয় দেয়না । এ ধরনের সংগঠন যখনি সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করেছে তাদের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ধরে ফেলেছে ” ।
সোমবার সন্ধ্যায় গুলশানে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন তাভেলা চেজারে।
মি. চেজারে নেদারল্যান্ডস-ভিত্তিক একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ঢাকা অফিসে কাজ করতেন।

মিনায় নিহত ২৬ বাংলাদেশীর তালিকা প্রকাশ

      হজের সময় ভিড়ের চাপে মিনায় নিহত ২৬ জন বাংলাদেশীর তালিকা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের হজ অফিস।

ওদিকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা কামরুজ্জামান ভুইয়া বিবিসিকে জানান নিহত ২৬ জনের মধ্যে ১৩ জনের নাম পরিচয় পাওয়া গেছে।
এছাড়া আরও ৩৩ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তবে নিখোজ এখনো কতজন রয়েছেন সে সম্পর্কে কোন তথ্য তিনি দিতে পারেননি।
                          
ওদিকে সউদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা বলছেন ভিড়ে চাপা পড়ে নিহতদের আরো 'বেশ কিছু' ছবি বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের হাতে দিয়েছে সউদি কর্তৃপক্ষ, যাদের মধ্যে কেউ বাংলাদেশী আছেন কিনা তা এখন পরীক্ষা করা হচ্ছে।
সবশেষ যে ছবিগুলো সউদি কর্তৃপক্ষ দিয়েছে - সেগুলো এখন নিখোঁজ ব্যক্তিদের তথ্যের সাথে মিলিয়ে দেখা হচ্ছে।
তারা জানান দূতাবাসের মেডিকেল টিম বিভিন্ন হাসপাতালে গিয়ে নিখোঁজ হাজিদের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করছে।
গত বৃহস্পতিবার মক্কার নিকটবর্তী মিনায় হজ্জের সময় শয়তানকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে যাওয়ার পথে হুড়োহুড়িতে সাড়ে সাতশোরও বেশি মানুষ নিহত হয়।
bbc bangla

নাগরিকদের সতর্কতার পরামর্শ দিলো যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা

     

যু্ক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের জন্যে সতর্কবার্তা
অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্যের পর কানাডাও তাদের নাগরিকদের বাংলাদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছে।
এছাড়া ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস তার নাগরিকদের বাংলাদেশে অবস্থানকালে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে।
ঢাকায় আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল আজ বন্ধ রাখা হচ্ছে।
কানাডা সরকারের ভ্রমণ সতর্কতা বিষয়ক ওয়েবসাইটে বাংলাদেশের সন্ত্রাসবাদের হুমকি এবং ভঙ্গুর রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণ দেখিয়ে কানাডার নাগরিকদের উচ্চমাত্রায় সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।
এর আগে গতকালই যুক্তরাজ্য নাগরিকদের জন্য বাংলাদেশে ভ্রমণ সতর্কতা জারি করে এবং এর তিনদিন আগে শুক্রবার অস্ট্রেলিয়াও একই ধরণের সতর্কতা জারি করেছিল।
দুই দেশই উল্লেখ করে যে সেপ্টেম্বরের শেষভাগে বাংলাদেশে পশ্চিমা লক্ষ্যবস্তুর ওপর জঙ্গি হামলা হতে পারে।
এদিকে ঢাকায় কূটনৈতিক এলাকায় গুলিতে সোমবার সন্ধ্যায় ইটাালি নাগরিক তাভেলা সিসারোর মৃত্যুর ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
                 কানাডার ভ্রমণ সতর্কতা বিষয়ক ওয়েবসাইটে দেয়া সতর্কবার্তা
সোমবার মধ্যরাতে গুলশান থানায় মি. সিসারোর প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে মামলাটি দায়ের করা হয়।
অজ্ঞাত মোটরসাইকেল আরোহীর গুলিতে নিহত হন তাভেলা সিসারো।
পুলিশ বলছে, হত্যাকাণ্ডের কারণ এবং কারা এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে এবিষয়ে এখনো তারা নিশ্চিত নন।
হত্যা মামলায়ও অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামী করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ বলছে, গুলশানের কূটনৈতিক এলাকার এক সড়কে তিনজন মোটরসাইকেল আরোহী ইটালির নাগরিক তাভেলা সিসারোর নিকটবর্তী হয় এবং তাদের একজন মি. সিসারোকে লক্ষ্য করে গুলি করে।
নিকটস্থ একটি হাসপাতালে নেবার পর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
মি. সিসারো নেদারল্যান্ড ভিত্তিক একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করতেন।
bbc bangla

সিরিয়ায় যুদ্ধ থামাতে রাশিয়ার সাথে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র

    us obama                 জাতিসংঘে ওবামার ভাষণ                

সিরিয়ায় যুদ্ধের অবসানের জন্য যে আপোষ- সমঝোতা প্রয়োজন তা স্বীকার করে নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা । আজ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেবার সময় মি. ওবামা বলেন, সিরিয়ার এই সংঘাতের নিষ্পত্তির জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়া ও ইরান সহ যে কোন দেশের সাথে কাজ করতে ইচ্ছুক।
এই অধিবেশনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনও ভাষণ দিচ্ছেন, এবং তিনিও বলেছেন রাশিয়া অন্যদের সাথে কাজ করতে ইচ্ছুক।
আজই আরো পরের দিকে মি ওবামা এবং মি পুটিনের মধ্যে বৈঠক হবার কথা রয়েছে।
রুশ প্রেসিডেন্ট পুটিনের যুক্তি হচ্ছে, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদই ইসলামিক স্টেট জঙ্গীদের সাথে লড়াইয়ের উপযুক্ত ব্যক্তি এবং সেজন্যই তার হাত শক্তিশালী করতে হবে।
তিনি তার ভাষণে বলেন, বাশার আসাদকে সমর্থন না করাটা এক বিরাট ভুল এবং ইসলামিক স্টেটের বিরোধী সবাইকে সমন্বিত করার একটি প্রস্তাবের কথাও বলেন মি. পুটিন।
un putin                 ভ্লাদিমির পুটিনও জাতিসংঘে ভাষণ দেন                
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা তার ভাষণে - বাশার আল-আসাদের প্রতি রাশিয়া যে অব্যাহতভাবে সমর্থন দিচ্ছে তার সমালোচনা করে বলেন, মি. আসাদ তার ভাষায় একজন স্বৈরাচারী, যিনি তার নিজের দেশের মানুষের ওপর পাশবিক নিপীড়ন চালিয়েছেন, রাসায়নিক অস্ত্র এবং নির্বিচার বোমাবর্ষণ করেছেন।
“কিন্তু তার শাসন থেকে নিয়ন্ত্রিত উত্তরণের জন্য একটা বাস্তবসম্মত প্রক্রিয়ার প্রয়োজন আছে।“ বলেন মি. ওবামা।
প্রেসিডেন্ট ওবামা রাশিয়ার প্রতি ইউক্রেনে তার আগ্রাসন বন্ধ করা এবং কূটনৈতিক সমাধানের পথ নেবারও আহ্বান জানান।
এর আগে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন এ অধিবেশন উদ্বোধনের সময় নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানান যেন তারা সিরিয়ার যুদ্ধ বন্ধের জন্য সহায়তা করে। মি. বান বলেন, আঞ্চলিক রেষারেষি সিরিয়ার সংঘাতকে উস্কে দিচ্ছে।
তিনি রাশিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সউদি আরব, ইরান এবং তুরস্কের প্রতি সমঝোতার আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য আজই আরো পরের দিকে ভ্লাদিমির পুটিন এবং বারাক ওবামার একটি বৈঠক হতে যাচ্ছে – যাতে দুই নেতা সিরিয়া সংকট সমাধানের জন্য অভিন্ন একটা অবস্থানে পৌছানো যায় কিনা তা বের করতে চেষ্টা করবেন।
bbc bangla

সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

ভারতের আসামে কিছু জেলায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা

    india_assam_map        ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের বরাক উপত্যকার জেলাগুলিতে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার পটভূমিতে বিজেপির ডাকে আজ বনধ পালিত হয়েছে।

বিজেপি দাবি করছে, রাজ্যে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস সরকারের মদতেই সেখানে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ানো হচ্ছে।
কংগ্রেস নেতৃত্ব অবশ্য বলছে, তুচ্ছ একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপিই সেখানে হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভাজন তৈরি করতে চাইছে।
এর পাশাপাশি রাজ্যের ধুবড়ি জেলার আগমনীতেও সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার জেরে কারফিউ জারি করা হয়েছে।
ভারতের আসামে আগামী বছরের মে মাসে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা – আর সেই ভোটের মাসকয়েক আগে থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বাড়ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত দুমাসে রাজ্যের অন্তত সাতটি জেলায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনাজনিত ঘটনায় অনেকে গ্রেফতারও হয়েছে।
সবশেষ এই ঘটনাটি ঘটেছে বরাক উপত্যকায় – যেখানকার কাছাড়, করিমগঞ্জ ও হাইলাকান্দি এই তিনটি জেলাতেই আজ হিন্দুত্ববাদী বিরোধী দল বিজেপি বনধ ডেকেছিল।
ঘটনাটার সূত্রপাত কীভাবে, তা বর্ণনা করে শিলচরের কংগ্রেস এমপি সুস্মিতা দেব বিবিসিকে বলছিলেন, ‘ঈদের দিন এলাকার একটি মন্দিরের সামনে মাংস মিলেছিল বলে অভিযোগ। স্থানীয় মানুষজন তা নিয়ে তেমন কোনও তাপউত্তাপ দেখাননি, কিন্তু বিজেপিই এই ঘটনাকে কাজে লাগিয়ে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনায় উসকানি দিতে চেষ্টা করে।’
মিস দেবের বক্তব্য, পুলিশ সেদিনই কড়া ব্যবস্থা না-নিলে অবস্থা অনেক খারাপ হত। তিনি আরও জানিয়েছেন, শিলচরে এর আগেও মন্দিরের সামনে মেলা মাংসের টুকরো পরীক্ষা করে দেখা গেছে সেটা আদৌ গোমাংস নয়।
বিজেপি অবশ্য এসব যুক্তি মানতে রাজি নয় – রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত দলের কেন্দ্রীয় নেতা মহেন্দ্র সিং রাজধানী গুয়াহাটি থেকে বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন আসামের কংগ্রেস সরকারই পরিকল্পনামাফিক বিজেপি নেতাদের হেনস্থা করছে ও দাঙ্গা বাঁধাতে চাইছে।
মি সিংয়ের কথায়, ‘কংগ্রেস-শাসিত এই রাজ্যের সবদিকে এখন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাহাঙ্গামার পরিস্থিতি। আর এই অজুহাতে সরকার বিজেপির নেতা বিধায়কদের আটক করছে, মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। এর প্রতিবাদেই গোটা বরাক উপত্যকা জুড়ে আমরা বারো ঘন্টার বনধ ডেকেছিলাম।’
‘আমাদের নেতা-কর্মীরা হেনস্থা হবেন, আমাদের মন্দিরের সামনে গরুর মাংসের টুকরো ছুঁড়ে ফেলা হবে – তখন তো আমরা তো হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারব না!’, রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়েই বলেন মহেন্দ্র সিং।
আজকের বনধ পুরোপুরি সফল হয়েছে বলে বিজেপি দাবি করলেও স্থানীয় এমপি সুস্মিতা দেবের বক্তব্য, শহর শিলচরের বাইরে কাছাড় জেলার বহু এলাকাতেই বনধের কোনও প্রভাব পড়েনি।
পুলিশে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও গুয়াহাটি থেকে এসে শিলচরে পড়ে ছিলেন। এলাকায় সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতিওি এখন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে বলে রাজ্য সরকার দাবি করছে।
এদিকে আসামের অন্য প্রান্তে ধুবড়ি জেলাতেও একটি মন্দিরের সামনে প্রায় অনুরূপ একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত তিন-চারদিন ধরে তীব্র সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা চলছে। শনিবার থেকেই সেখানে চলছে অনির্দিষ্টকালীন কারফিউ – যা এখনও প্রত্যাহার করা যায়নি।

'ছবি বের হলেই মর্গে খোঁজ নিচ্ছেন কর্মকর্তা বা স্বজনরা'

    hajj death                 হজ্জের সময় ভিড়ের চাপে নিহত হন ৭৬৯ জন                 

সৌদি আরবে বাংলাদেশী কর্মকর্তারা বলছেন, বৃহস্পতিবার হজ্জের সময় ভিড়ের চাপে যারা নিহত হয়েছেন তাদের আরো ছবি কর্মকর্তাদের কাছে আসছে। সেখানে বাংলাদেশি কেউ আছেন কিনা সেটা সনাক্ত করার চেষ্টা করছেন তারা।
হজ্জের সময় মক্কার কাছে মিনায শয়তানকে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপের জন্য যাবার পথে ভিড়ির চাপে সাড়ে সাতশোরও বেশি হজ্জযাত্রী নিহত হন।
এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩ জন বাংলাদেশী নিহত হ্ওয়ার খবর নিশ্চিত করা গেছে।
সউদি আরবে বাংলাদেশের হজ্জ কাউন্সিলার আসাদুজ্জামান বিবিসি বাংলাকে জানান, আর কোন বাংলাদেশীর মৃতদেহ এখন পর্যন্ত চিহ্নিত করা সম্ভব হয় নি, তবে নিহতদের সনাক্ত করার প্রক্রিয়া এখনো চলছে।
মি. আসাদুজ্জামান বলেন, প্রথমে ৬৭০ জনের মতো নিহতের ছবি বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের দেখানো হলে, তার মধ্যে বাংলাদেশী হতে পারেন এমন ৯০ জনের ছবি তারা নিয়েছিলেন। সে ছবি দেখে নিখোজ হাজিদের আত্মীয়স্বজন বা সঙ্গীরা সনাক্ত করার চেষ্টা করেছেন।
আজ আরো নতুন ছবি দেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
হজ্জ কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান আরো জানান, নতুন ছবি প্রকাশ করা হলেই বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের প্রতিনিধি বা নিখোঁজ লোকদের আত্মীয়স্বজন সেন্ট্রাল মর্গে গিয়ে খোঁজ নিচ্ছেন। এভাবেই সনাক্ত করার কাজ চলছে।
সউদি কর্তৃপক্ষ এ জন্য নিখোঁজদের আত্মীয়স্বজনদেরও সেখানে য়ুকতে দিচ্ছেন - যাতে তারা নিজেরাই সনাক্ত করতে পারেন।
"আজ একজন বাংলাদেশী সেন্ট্রাল মর্গে - যেখানে সব ছবি রিলিজ করা হয়েছে - সেখানে গিয়ে তার নিখোঁজ মায়ের ছবি সনাক্ত করার চেষ্টা করেছেন - কিন্তু তিনি বলেছেন তার মায়ের ছবি সেখানে পান নি।"
"সউদি কর্তৃপক্ষ হজ্জের সময় যারা নিহত হয়েছেন তাদের কতজন কোন দেশের তা এখনো জানান নি। সে কারণেই আমরা এটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করতে পারছি না।"
মি. আসাদুজ্জামান বলেন, ভিড়ের চাপে আহত হওয়া বাংলাদেশী হজযাত্রীরা যারা হাসপাতাল হয়েছেন - তাদের চিকিৎসা চলছে। এটা সম্পূর্ণই সউদি কর্তৃপক্ষ দেখছেন বলে তিনি জানান।
যারা সুস্থ হয়ে উঠেছেন তাদের একা বা সঙ্গীসহ দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে । এ ব্যাপারে তাদের পূর্ণ প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানান বাংলাদেশ দূতাবাসের এই কর্মকর্তা।

'সর্বোচ্চ নিরাপত্তার' আশ্বাস, কিন্তু সিদ্ধান্ত নেবে অস্ট্রেলিয়াই

   

                 অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফর এখনো অনিশ্চিত
অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফর অনিশ্চিত হয়ে পড়ার পর আজ ঢাকায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়দের সর্বোচ্চ মাত্রার নিরাপত্তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণ দেখিয়ে দলের খেলোয়াড়দের যাত্রা পিছিয়ে দেয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ডের পাঠানো নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বাংলাদেশের মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশ সফরটি এখন পুরোপুরি নির্ভর করবে সে দেশের বোর্ডের সিদ্ধান্তের ওপর।
দুটো টেস্ট ম্যাচের এক সিরিজ খেলার জন্যে বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম প্রধান শক্তি অস্ট্রেলিয়ার ঢাকায় এসে পৌঁছুনোর কথা ছিল আজই। কিন্তু বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে, সে দেশের সরকারের কাছে এমন তথ্য থাকার কারণে শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া দল বিমানেই চাপেনি।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকে সফরটির যাত্রা-সুচি পিছিয়ে দেয়ার কথা বলে ঢাকায় পাঠানো হয় তাদের নিরাপত্তা প্রধান শন ক্যারলকে। গতকাল বেশ কয়েকটি নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে তিনি বৈঠক করেন।
আজ তিনি আলোচনা করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে। ঐ বৈঠকের পর মি. কামাল বিবিসিকে বলেন যে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফরে সব ধরণের নিরাপত্তা দেয়া হবে বলে তিনি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে আশ্বস্ত করেছেন।
মন্ত্রী বলেন, অতীতে টি২০ বিশ্বকাপ সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ইভেন্টের সময় দেয়া নিরাপত্তার কথা তাদের বলা হয়েছে।
"এখন বাংলাদেশে পূর্ণ শান্তি আছে, কোন রকম টেররিস্ট এ্যাটাকের সম্ভাবনা নেই নেই। আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থার স্তরগুলোও বিস্তারিত তাদের দেখিয়েছি, হোটেল থেকে শুরু করে মাঠ পর্যন্ত। এ্যাম্বুলেন্স থাকবে, প্রয়োজনে হেলিকপ্টার দেয়া হবে।"
২০১৪ সালে বাংলাদেশে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজন নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরী হয়েছিল নিরাপত্তা ইস্যুতে।
সে সময়ে কয়েকটি দলের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার বিষয়টি তোলার পর বাংলাদেশ পূর্ণ নিরাপত্তার আশ্বাস দেয় এবং টুর্নামেন্টটি কোন ঝামেলা ছাড়াই শেষ হয়েছিল। ঠিক একই মাত্রার নিরাপত্তা দেয়ার যে আশ্বাস অস্ট্রেলিয়াকে দেয়া হল, তা-কে কি সর্বোচ্চ মাত্রার নিরাপত্তা বলা যাবে?
এই প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা তাই করেছি। ভিভিআইপি নিরাপত্তা , টি২০র সময়কার নিরাপত্তার চাইতেও বেশি নিরাপত্তা আমরা দেবো। আমরা তাদের বলেছি আক্রমণের আশংকা সম্পূর্ণ অমূলক।
"আমরা তাদের বলেছি, আপনাদের যেটা সিদ্ধান্ত তা পরিবর্তন করে আপনারা খেলবেন বলে আমরা আশা করি " - বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
নির্ভয়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ আসাদুজ্জামান খান কামাল জানালেও অস্ট্রেলিয়া ঠিক কী করবে, তা নির্ভর করছে শন ক্যারলের রিপোর্টের ওপর। মি. ক্যারল নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর কাছ থেকে ধারণা পাওয়ার পাশাপাশি আজকের বৈঠকে পুলিশ ও র‍্যাবের পক্ষ থেকেও নিরাপত্তা পরিকল্পনা সম্পর্কে তথ্য পেয়েছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান বিবিসি বাংলাকে জানান, সফরের ব্যাপারে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে অস্ট্রেলিয়া থেকেই।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া আগে বলেছিল যে দলের সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই যাত্রা পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। সফরটি হবে কি না, সে সম্পর্কে এখনো কিছু বলা না হলেও বোর্ডের একজন নির্বাহী মহাব্যবস্থাপক প্যাট হাওয়ার্ড নিশ্চিত করেছেন যে মঙ্গলবারে ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে বিমানে টিকেট এরই মধ্যে বুক করে রাখা হয়েছে।
 

মক্কায় নিহতদের আরো ছবি বাংলাদেশী কর্মকর্তাদের হাতে

    saudi hajj                 হজ্জের সময় ভিড়ে চাপা পড়ে নিহত হন মোট ৭৬৯ জন।                 

মক্কায় হজ্জের সময় ভিড়ে চাপা পড়ে নিহতদের আরো 'বেশ কিছু' ছবি বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের হাতে দিয়েছে সউদি কর্তৃপক্ষ, যাদের মধ্যে কেউ বাংলাদেশী আছেন কিনা তা এখন পরীক্ষা করা হচ্ছে।
জেদ্দা থেকে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল শহিদুল করিম ফোনে বিবিসি বাংলাকে এ কথা জানিয়েছেন।
এ পর্যন্ত ওই ঘটনায় তিনজন বাংলাদেশীর মৃত্যৃ নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়া মোট ৯৮ জন বাংলাদেশী হজযাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন বলে আত্মীয়স্বজন ও অন্যান্য সূত্রের খবর অনুযায়ী নিশ্চিত করছেন সউদি আরবে বাংলাদেশের দূতাবাসের কর্মকর্তারা।
শহিদুল করিম বিবিসি বাংলাকে জানান, নতুন করে আর কোন বাংলাদেশী হজ্জযাত্রীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা যায় নি। তবে সবশেষ যে ছবিগুলো সউদি কর্তৃপক্ষ দিয়েছে - সেগুলো এখন নিখোঁজ ব্যক্তিদের তথ্যের সাথে মিলিয়ে দেখা হচ্ছে।
নিখোঁজ বাংলাদেশি হাজিদের পরিবারের মানুষরা এখনো দিন কাটাচ্ছেন চরম উৎকন্ঠার মধ্যে।
সউদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা বলছেন, তাদের মেডিকেল টিম বিভিন্ন হাসপাতালে গিয়ে নিখোঁজ হাজিদের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করছে।
গত বৃহস্পতিবার মক্কার নিকটবর্তী মিনায় হজ্জের সময় শয়তানকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে যাওয়ার পথে হুড়োহুড়িতে সাড়ে সাতশোরও বেশি মানুষ নিহত হয়।
bbc bangla

রবিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

শরণার্থী ক্যাম্পে ইন্টারনেট, সাহায্য করবে ফেসবুক

    bbc                 মার্ক জুকারবার্গ                

ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ ঘোষণা করেছেন শরণার্থী ক্যাম্প গুলোতে ইন্টারনেট সেবা দিতে তিনি সাহায্য করবেন।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘের একটি ফোরামে মি. জুকারবার্গ বলেন এটা শরণার্থীদের নানা সাহায্য পাওয়া এবং পরিবারের সাথে যোগাযোগ রাখতে সুবিধা হবে।
তিনি আরো বলেছেন "ফেসবুক একটি নতুন প্রচারণার অংশ হবে যেটা হবে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বিশ্বের সবার কাছে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেয়া"।
bbc
                 ক্রোয়েশিয়ার একটি শরণার্থী শিবির
"ইন্টারনেট এমন একটি সেবা জাতিসংঘের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে পূরণে সহায়তা করবে একই সাথে মানুষকে দারিদ্রমুক্ত করবে" বলে মন্তব্য করেন তিনি।
'কানেক্টিভিটি ডিক্লেরাশন' নামে ঐ প্রচারণায় স্বাক্ষর করেছেন বড় বড় তারকারা।
তাদের মধ্যে রয়েছেন রকস্টার বনো, অভিনেত্রী শার্লিজ থেরন। এছাড়া বিল গেটস, রিচার্ড ব্রানসন ও উইকিপিডিয়ার সহ প্রতিষ্ঠাতা জিমি ওয়েলস রয়েছেন।
বিশ্বে বর্তমানে তিনশ কোটি মানুষের ইন্টারনেট অ্যাক্সেস রয়েছে।

এই প্রচারণাটা বলছে তারা ইন্টারনেট সংযোগ চারশো কোটি মানুষের কাছে নিয়ে যেতে চায়।

BBC BANGLA

নিরাপত্তা ঝুঁকি খতিয়ে দেখতে ঢাকায় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার নিরাপত্তা প্রধান

 
              বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল (ফাইল ফটো)       
         
নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণ দেখিয়ে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফর বিলম্বিত করার পর সে দেশের ক্রিকেট বোর্ডের একজন কর্মকর্তা এখন ঢাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছেন।
আগামীকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার নিরাপত্তা প্রধান শন ক্যারলের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে, তবে তার আগেই মি. কামাল বলেছেন, নিরাপত্তা নিয়ে অস্ট্রেলিয়ান বোর্ড ভ্রান্ত ধারণায় রয়েছে।
বাংলাদেশে থাকার সময়ে অস্ট্রেলিয়া দলের নিরাপত্তায় কোন বিঘ্ন হবে না বলেও তিনি প্রতিশ্রুতি দেন।
দুটো টেস্ট ও একটি প্রস্তুতিমূলক ম্যাচ খেলতে বিশ্বের অন্যতম ক্রিকেট শক্তি অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশে পৌঁছানোর কথা সোমবারে।
তবে নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণ দেখিয়ে এই সফর বিলম্বিত করার কথা জানিয়ে সে দেশের ক্রিকেট বোর্ড তাদের নিরাপত্তা প্রধান শন ক্যারলকে ঢাকায় পাঠিয়েছে।
মি. ক্যারল ঢাকায় এসে পৌঁছানোর আগেই ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী জেমস সাদারল্যান্ড ব্রিসবেনে সাংবাদিকদের বলেন, শুক্রবারে অস্ট্রেলিয়ার সরকারের পক্ষ থেকে তাদের জানানো হয় যে বাংলাদেশে পশ্চিমা স্বার্থের প্রতি হুমকি আছে বলে তাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য রয়েছে।
        
এরপর অস্ট্রেলিয়া দলের বাংলাদেশ সফরের পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনার জন্যেও তাদেরকে বলা হয় বলে তিনি জানান। মি. সাদারল্যান্ড বলেন, নিরাপত্তার বিষয়টিতেই তাকে সবচেয়ে বেশী মনোযোগ দিতে হয়েছে।
"আমাদের অবস্থান হলো, আমরা চাই সফরটি পরিকল্পনা মত এগিয়ে যাক। এটি খুব আকস্মিকভাবে এসেছে এবং আমাদেরকে এর প্রতি সাড়া দিতে হয়েছে। আমাদের খুবই ইচ্ছে সফরটি হোক, কিন্তু খেলোয়াড় ও কর্মীদের নিরাপত্তা আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটা নিশ্চিত করাই আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার" বলছিলেন মি. সাদারল্যান্ড।
শন ক্যারল ঢাকায় এসে এরই মধ্যে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান সহ কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করেছেন অস্ট্রেলিয়ান হাই কমিশনে।
বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, সোমবারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠক করার আগে তিনি আলোচনা করবেন বাংলাদেশের কয়েকটি নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে।
তবে বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এরই মধ্যে গণমাধ্যমে কথা বলেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিবিসিকে বলেন নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে আশ্বস্ত করেছেন এবং ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার নিরাপত্তা প্রধানকেও তিনি একই কথা বলবেন।
কিন্তু নিরাপত্তা ঝুঁকির বিষয়টি যেহেতু অস্ট্রেলিয়ার সরকারের পক্ষ থেকে তোলা হয়েছে, তাই এটি সামলানোর জন্যে বাংলাদেশ কী করবে, তা জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন "আমরা স্পষ্ট করে বলছি নিরাপত্তার কোন সমস্যা হবে না। এটা পাকিস্তান নয়, আমাদের মানুষ জঙ্গিবাদ পছন্দ করেনা"।
এটি এখন পরিষ্কার যে অস্ট্রেলিয়া দলের বাংলাদেশ সফর আপাতত স্থগিত হয়ে গেছে।
জেমস সাদারল্যান্ড বলছেন, পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে, তার মানে হলো দলের যাত্রা পিছিয়ে গেছে। আর বিসিবির কর্মকর্তারা মনে করেন, এই সফরের ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে শন ক্যারল কী রিপোর্ট দেবেন, তার ওপর।
 

সিরিয়ায় প্রথমবারের মত ফ্রান্সের বিমান হামলা।

    বিবিসি                 প্রথম বারের মত সিরিয়াতে ফ্রান্সের বিমান হামলা                

সিরিয়ায় প্রথমবারের মত ফ্রান্সের বিমান হামলা প্রেসিডেন্টের অফিস থেকে বলা হয়েছে এই অপারেশনে আঞ্চলিক সহযোগিদের সাথে ফ্রান্স সমন্বয় করছে।
এর আগে ফ্রান্স প্রতিবেশী ইরাকের ওপর বিমান হামলা করেছিল।
প্রেসিডেন্টের ভবন থেকে যে বিবৃতি পাঠানো হয়েছে তাতে বলা হয়েছে “ আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা যতবার হুমকির মুখে পরবে ততবার আমরা বিমান হামলা করবো”।
বিবিসিহামলার লক্ষ্যবস্তু ঠিক করতে আকাশে ফ্রান্সের বিমান                
এই মাসের শুরুতেই অবশ্য প্রেসিডেন্ট ফ্রাসোঁয়া ওলান্দ বলেছিলেন তিনি সিরিয়াতে বিমান পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি সে সময় বলেছিলেন সিরিয়া থেকে ফ্রান্সে সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে একটি জোট সিরিয়া এবং ইরাকে এক বছরের বেশি সময় ধরে বিমান হামলা চালাচ্ছে।
এর আগে অবশ্য ফ্রান্স তাদের বিমান হামলার পরিধি শুধুমাত্র ইরাকের আকাশ সীমার মধ্যেই রেখেছিল।
আসাদের ক্ষমতা থেকে সরে আসার ব্যাপারে যুক্তরাজ্যের মত বদল
ফ্রান্সের এই বিমান হামলার ঘোষণা এমন এক সময়ে আসলো যখন আশা করা হচ্ছে সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের ক্ষমতা ছেড়ে দেয়ার ব্যাপারে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন যে বদ্ধপরিকর ছিলেন তার সেই অবস্থান থেকে সরে আসবেন তিনি।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘের যে অধিবেশন চলছে ধারণা করা হচ্ছে মি. ক্যামেরন এই সপ্তাহেই ঘোষণা দেবেন।
বিবিসি                 ২০১১ সাল থেকে দেশটিতে দুই লক্ষের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে                
বলা হচ্ছে আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মি. আসাদের মিত্র রাশিয়ার কাছ থেকে সমর্থন নিশ্চিত করার জন্য তিনি মি. আসাদকে ক্ষমতা থেকে সরে আসার বিষয়টিতে ছাড় দেবেন।
২০১১ সাল থেকে দেশটিতে দুই লক্ষের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
চার লক্ষের বেশি মানুষ ঘর ছাড়া হয় এবং এদের অনেকেই ইউরোপের বিভিন্ন দেশে প্রবেশের চেষ্টা করছে
bbc bangla

নিখোঁজ শিক্ষার্থীদের স্মরণে মেক্সিকোর রাস্তায় জনতা

                     মেক্সিকোর রাস্তায় নিখোঁজ শিক্ষার্থীদের ছবি হাতে ন্যায়বিচারের দাবিতে স্বজেনরা                
 
মেক্সিকো থেকে ৪৩জন শিক্ষার্থীর হারিয়ে যাওয়ার ঘটনার এক বছর পূর্তীতে তাদের পরিবারের সদস্যরা আজ রাজধানীতে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানিয়েছে।
ন্যায়বিচারের দাবিতে হারিয়ে যাওয়া সন্তানদের ছবি সম্বলিত ব্যানার নিয়ে আসেন বাবা-মায়েরা।
প্রতিবাদ হিসেবে তারা ২৩ ঘণ্টা উপোষ করেন। তাদের সাথে যোগ দেন হাজারো মানুষ।
দেশটির সরকার বলছে, একটি অপরাধী চক্র ঐসব শিক্ষার্থীকে হত্যা করে পুড়িয়ে ফেলেছিল।
বিভিন্ন সূত্র থেকে বলা হচ্ছে, এই শিক্ষার্থীরা না বুঝেই মাদক বহনকারী একটি বাসের নিয়ন্ত্রণ নিলে, অপরাধী চক্র তাদের হত্যা করে এবং সরকার তাদের বাঁচাতে কিছুই করেনি।
এই ঘটনার তদন্ত ভার আন্তর্জাতিক মহলের তত্ত্বাবধানে বিশেষ বিভাগকে দেয়ার দাবি জানিয়েছে নিখোঁজ শিক্ষার্থীদের বাবা-মায়েরা।
হোসে এঞ্জেল নাম নিখোঁজ এক ছাত্রের বাবা বর্ণাঢ্য সান্টোস কাম্পোস বিবিসিকে বলেছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত ঘটনার বিস্তারিত জানা না যাবে, ততক্ষণ তাদের আন্দোলন চলবেই।
তিনি বলেন, যতক্ষণ তারা আমাদের নিখোঁজ সন্তানদের ফিরিয়ে দিতে না পারবে, অথবা এ বিষয়ে কোনও সদুত্তর না দেবে, ততক্ষণ এই লড়াই চলবে।
এদিকে দেশটির প্রেসিডেন্ট এনরিক পেনা নিয়েতো এই বিষয়টি তদন্তের জন্য একটি বিশেষ ইউনিট গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন।
bbc bangla

শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

নিরাপত্তা ঝুঁকিতে অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশ যাত্রা বিলম্বিত

     নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণ দেখিয়ে অস্ট্রেলিয়া তাদের টেস্ট ক্রিকেট দলের বাংলাদেশে যাওয়া বিলম্বিত করছে।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী জেমস সাদারল্যান্ড এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন সরকারি সূত্রের পরামর্শের পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার জন্য সম্ভাব্য নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে বলে সরকারী পরামর্শে বলা হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট ক্রিকেট দলের রওনা হওয়ার কথা ছিল সোমবার। কিন্তু নিরাপত্তা বিষয়ক পরবর্তী পরামর্শ না আসা পর্যন্ত তাদের যাত্রা স্থগিত রাখা হচ্ছে।
জেমস সাদারল্যান্ড তার বিবৃতিতে বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র এবং বাণিজ্য দফতরের পরামর্শ তারা পেয়েছেন এবং এর ভিত্তিতে তারা এখন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এবং নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে মিলে একটি নতুন নিরাপত্তা পরিকল্পনা তৈরি করছেন।
তিনি আরও বলেন, তারা এই সফরে যেতে চান এবং সেই অনুযায়ী পরিকল্পনাও করছেন। কিন্তু খেলোয়াড় এবং টিম সদস্যদের নিরাপত্তার ব্যাপারটি তাদের কাছে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার পাচ্ছে।
তবে কি ধরণের নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে এই সফর পেছানো হচ্ছে তার কোন বিস্তারিত তথ্য ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া দেয়নি।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দীন চৌধুরি বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়া দলের যাত্রা যে বিলম্বিত হচ্ছে নিরাপত্তার কারণে সেটা তাদেরকে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার তরফ থেকে জানানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশে নিরাপত্তা ঝুঁকি খতিয়ে দেখতে অস্ট্রেলিয়ার একটি নিরাপত্তা প্রতিনিধিদল আগামীকালের মধ্যে ঢাকায় আসবে। এরপর তারা অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ডকে তাদের মতামত জানাবে।
নিজামউদ্দীন চৌধুরি আরও বলেন, অস্ট্রেলিয়া দলের সফরসূচীতে কোন পরিবর্তন হবে না বলেই তারা আশা করছেন। সব ম্যাচ সময় মত হবে বলে তারা আশাবাদী। কারণ বাংলাদেশে রাজনৈতিক বা অন্য কোন কারণে কোন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচে কখনোই বিঘ্ন হয়নি।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম টেস্ট শুরু হওয়ার কথা চট্টগ্রামে ৯ই অক্টোবর। দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে ঢাকায় ১৭ই অক্টোবর।
এছাড়া তিন দিনের এক ট্যুর ম্যাচ শুরু হওয়ার কথা সামনের শনিবার ফতুল্লায়। এই ম্যাচ এখন হতে পারবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

মুসলিম নির্দশন ধ্বংসকারীর বিচার হবে আন্তর্জাতিক আদালতে

                               

মালির টিমবাকটুর অনেক ঐতিহাসিক স্থাপনা ধ্বংসের সঙ্গে জড়িত এক ব্যক্তিকে বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।
ইসলামী জঙ্গী আহমদ আল মাহদি আল ফাকি জঙ্গী গোষ্ঠী আনসার দীনের সদস্য। ২০১২ সালে এই গোষ্ঠী যখন টিমাবাকটু দখল করে নেয় তখন তারা সেখানকার অনেক ঐতিহাসিক ভবন ধ্বংস করে।
সাংস্কৃতিক নিদর্শন ধ্বংসের ঘটনাকে এই প্রথম ‘যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে গণ্য করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে তার বিচার হচ্ছে। আহমদ আল মাহদি আল ফাকি হবেন প্রথম ব্যক্তি যাকে এরকম অপরাধে বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের কৌশুলি ফাটু বেনসাউডা বলেন, মালির ঐতিহাসিক নিদর্শনের ওপর এই হামলা ছিল সেখানকার জনগণের মর্যাদা ও পরিচয়ের ওপর এক ঘৃণ্য আক্রমণ।
ইসলামী জঙ্গীরা টিমবাকটুর অনেক ঐতিহাসিক মসজিদ এবং সমাধি সৌধ ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয় এবং অনেক ঐতিহাসিক পান্ডুলিপি আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করে।
চতুর্দশ শতক থেকে আঠারো শতক পর্যন্ত টিমবাকটু ছিল ইসলামী শিক্ষার এক বড় কেন্দ্র। একসময় এখানে দুশোর বেশি স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয় ছিল এবং মুসলিম বিশ্ব থেকে অনেকেই এখানে পড়াশোনা করতে আসতেন।
টিমবাকটুর প্রতিষ্ঠাতা অনেক মুসলিম সাধকের সমাধি সৌধ ইসলামী জঙ্গীরা গুড়িয়ে দেয়। এই সাধকদের খুবই শ্রদ্ধার চোখে দেখে স্থানীয়রা। কিন্তু ইসলামী জঙ্গীরা এসব সমাধি সৌধকে ‘পৌত্তলিকতা’ বলে গণ্য করে।
BBC BANGLA

হজে সাতশো মানুষের মৃত্যু ছিল তাদের নিয়তি: গ্রান্ড মুফতি

   

                 সৌদি আরবের গ্রান্ড মুফতি শেখ আবদুল আজিজ বিন-আবদুল্লাহ আল-শেখ
সৌদি আরবের গ্রান্ড মুফতি শেখ আবদুল আজিজ বিন-আবদুল্লাহ আল-শেখ হজ্জের সময় পদদলিত হয়ে সাতশোর বেশি মানুষের মৃত্যুর ঘটনাকে ‘মানুষের নিয়ন্ত্রণের বাইরে’ বলে বর্ণনা করেছেন।
সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন নায়েফকে তিনি বলেন, এদের ভাগ্য এবং নিয়তিতে যা লেখা ছিল, তা ছিল অবশ্যম্ভাবী। তিনি আরও বলেছেন, এজন্যে সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী দোষী হতে পারে না।
ইরান এবং আরও কয়েকটি দেশ এই ঘটনায় গাফিলতির অভিযোগে এনে সৌদি কর্তৃপক্ষের তীব্র সমালোচনা করে।
উল্লেখ্য গত বৃহস্পতিবার ঐ ঘটনায় এ পর্যন্ত সাতশোর বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। আহতের সংখ্যা আটশোর বেশি।
এদিকে ব্রিটেনে একটি হজ ট্যুর প্রতিষ্ঠানের উপদেষ্টা মোহাম্মদ জাফারি সাতশোর বেশি মানুষের মৃত্যুকে ‘আল্লাহর ইচ্ছে’ বলার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এই বিপর্যয় আল্লাহর ইচ্ছে নয়, এটি বরং সৌদি কর্তৃপক্ষের গাফিলতি ও অবহেলার কারণে ঘটেছে।
তিনি বলেন, প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী সৌদি কর্তৃপক্ষ তাদের গুরুত্বপূর্ণ অতিথিদের জন্য রাস্তা বন্ধ করে দেয়ার পরই ভিড়ের চাপে এই ঘটনা ঘটেছে।
তবে রাজকীয় অতিথিদের গাড়ী বহরের জন্য রাস্তা বন্ধ রাখার কারণেই সেদিন ভিড়ের মধ্যে বিশৃঙ্খলা এবং পদদলনের ঘটনা ঘটে বলে যে অভিযোগ উঠেছে তাকে ‘গুজব’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।
লন্ডনে সৌদী রাষ্ট্রদূত প্রিন্স মোহাম্মদ বিন নওয়াফ আল সউদ এক বিবৃতিতে এরকম গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মেজর জেনারেল মানসুর আল-তুর্কী এর আগে সুনির্দিষ্টভাবে এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। কারণ সৌদি আরবের উর্ধ্বতন ব্যক্তিরা কখনোই ঐ এলাকায় গাড়ি নিয়ে যান না।
ইরান পন্থী টেলিভিশন চ্যানেল ‘প্রেস টিভি’ এবং লেবাননের ‘আদিয়ার’ টিভি এই গুজব ছড়াচ্ছে বলে বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়।
উল্লেখ্য সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান ইতোমধ্যে এই ঘটনার দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
BBC BANGLA

শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

পশু জবাই: নিয়মে আনার চেষ্টা সাড়া পায়নি

 

হজ্জ বিপর্যয় নিয়ে সমালোচনার মুখে সৌদি আরব

   

                 মিনার জনস্রোত: হজ্জ ব্যবস্থাপনায় সৌদি আরবের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ইরান।
মুসলমানদের পবিত্র শহর মক্কার কাছে মিনা উপত্যকায় প্রচণ্ড ভিড়ের চাপে ৭১৭ জন মারা যাবার পর প্রবল সমালোচনার মুখে পরেছে সৌদি আরব সরকার।
ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল সৌদি আরবকে ‘অযোগ্য’ এবং ‘অদক্ষ’ অভিহিত করে তাদেরকে এই ব্যাপক মৃত্যুর জন্য দায়িত্ব স্বীকার করার আহ্বান জানিয়েছে।
সৌদি স্বাস্থ্যমন্ত্রী খালেদ আল-ফালিহ বিপর্যয়ের জন্য হাজিদেরই দায়ী করে বলেছেন তারা নিয়মকানুন অনুসরণ না করায় ঘটনাটি ঘটেছে। কিন্তু সবাই তার কথা মানতে রাজি নয়।
নাইজেরিয়ার হাজি দলের নেতা কানো প্রদেশের আমীর মুহাম্মাদি সানুসি বলেন ভিড়ের চাপ আসে যখন জামারাত পিলারে যাবার এবং সেখান থেকে আসার নির্ধারিত রাস্তায় ভিন্নমুখী জনতার স্রোত মুখোমুখি হয়, যেটা হবার কথা না।
“আমরা সৌদি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি যাতে তারা নিয়ম না মানার কারণে হাজিদের দোষারোপ না করেন”, মি: সানুসি বলেন।
সৌদি আরবরে হজ্জ কমিটির প্রধান যুবরাজ মোহাম্মদ বিন নায়েফ ইতোমধ্যেই তদন্ত শুরু করে ‘দ্রুত ফল’ প্রকাশের আশ্বাস দিয়েছেন।
 
মিনার বিপর্যয়ে সব চেয়ে বেশি সংখ্যক নাগরিক মারা গেছে ইরানের – ১৩১ জন, এবং সৌদি আরবরে এই আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী থেকেই সবচেয়ে তীব্র সমালোচনা এসেছে।
“আসল কথা হচ্ছে, হজ্জ ব্যবস্থাপনায় সৌদি আরব অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছে, এবং এই ঘটনার জন্য রিয়াদকে দায়িত্ব স্বীকার করতেই হবে”, ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল-এর মুখপাত্র কেয়ভান খোরসাভি বলেন।
ইরানের সংসদের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির প্রধান আলাদিন বরুজেরদি অন্যান্য মুসলিম দেশগুলোকে প্রতিবাদ করার আহ্বান জানান।
মৃতদের জাতীয়তা সম্পর্কে এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য:
ইরান – ১৩১
ভারত – ১৪
মিশর – ৮
পাকিস্তান – ৬
তুরস্ক – ৪
ইন্দোনেশিয়া – ৩
কেনিয়া – ৩
ভিড়ের চাপ সৃষ্টি হয় বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় ভোর ছ’টায়, যখন লক্ষ লক্ষ হাজি ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপে হজ্জের শেষ রীতি পালন করছিলেন।
হাজিরা ‘জামারাত’ নামের কয়েকটি পিলার লক্ষ্য করে সাতটি পাথর ছুঁড়ে মারেন, যেখানে বলা হয় শয়তান নবী ইব্রাহীমকে প্রলোভন দেখানের চেষ্টা করেছিল।
মিনার পাঁচ-তলা জামারাত সেতুর কাছে হাজিদের দুটো বিশাল লাইন দুই রাস্তা দিয়ে এসে একে অপরের মুখোমুখি হয়।
গত ২৫ বছরে এটাই ছিল হজ্জের সময় সব চেয়ে ভয়াবহ ঘটনা                        
তবে এটা ছিল দু’সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় বিপর্যয়। এ’মাসের ১১ তারিখে মক্কার মসজিদ আল-হারামে একটি বড় ক্রেন ভেঙ্গে পরলে ১০৯ জন মারা গিয়েছিলেন।
নয় বছর আগে আরেকটি বড় বিপর্যয়ের পর সৌদি আরব অবকাঠামো উন্নয়ন করার জন্য কোটি কোটি ডলার খরচ করেছে। একই সাথে, প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ হাজি আসায় সৌদি অর্থনীতিও কোটি কোটি ডলার আয় করে।
bbc bangla

হজ্জ দুর্ঘটনা: ব্যবস্থাপনা পর্যালোচনার নির্দেশ সৌদি বাদশার

                     অাহত বহু মানুষকে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য ছোটাছুটি চলেছে      
          
সৌদি আরবের বাদশা সালমান হজ্জ পালনের সময় নেওয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যালোচনার নির্দেশ দিয়ে হজ্জ ব্যবস্থাপনার মান উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন।
মিনায় পদদলনের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭১৭। আহত হয়েছেন আরও ৮৬৩ জন।
গত পঁচিশ বছরের মধ্যে এটি অন্যতম সবচেয়ে ভয়াবহ হজ্জ দুর্ঘটনা।
বিশ লাখ হাজি প্রতীকি রীতি অনুযায়ী যখন শয়তানের উদ্দেশ্যে পাথর ছুঁড়ছিলেন তখন ভিড়ের চাপে এবং হুড়োহুড়িতে পদদলিত হয়ে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
সৌদি বাদশা সালমান বলেছেন, ''হজ্জযাত্রীদের চলাচল নিয়ন্ত্রণ এবং হজ্জ ব্যবস্থাপনার মান উন্নয়নের প্রয়োজন রয়েছে।''
সৌদি সরকার ঘটনা তদন্তে একটি কমিশন গঠন করেছে।
সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রী খালেদ আল ফালি বলেছেন বহু হাজি কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত ''সময়সূচি অমান্য করার'' কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
  • ইরানের সর্ব্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা খামেইনি বলেছেন সৌদি সরকারকে ''বড়ধরনের দায়িত্ব স্বীকার করে নিতে হবে।'' তিনি বলেছেন, ''অব্যবস্থাপনা এবং যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ না নেওয়াই এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী।'' এই দুর্ঘটনায় পদপিষ্ট হয়ে ইরানের ৯৫জন হাজি মারা গেছেন।
  • হজ্জে নাইজেরীয় হাজিদের প্রতিনিধি দ্বিতীয় মোহাম্মদ সুনুসি বলেছেন হাজিরা নির্দেশ অমান্য করেছে বলে তাদের ওপর সৌদি কর্তৃপক্ষের চাপানো সঠিক নয়।
  • আমেরিকা সফররত পোপ ফ্রান্সিস নিউ ইয়র্কের সেন্ট প্যাট্রিক গির্জায় প্রার্থনাকালে মুসলমান সমপ্রদায়ের প্রতি তাঁর ''সহমর্মিতা ও একাত্মতা'' প্রকাশ করেছেন।
 গত ২৫ বছরে এটি অন্যতম সবচেয়ে ভয়াবহ হজ্জ দুর্ঘটনা
সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র মেজর জেনারেল মনসুর আল তুর্কি বলেছেন দুটি ভিন্ন পথ দিয়ে আসা হাজিদের দুটি বিশাল দল রাস্তা দুটির সংযোগস্থলে পৌঁছলে ভিড়ের চাপে ও হুড়োহুড়িতে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
 

বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

ছবিতে বাড়ি ফেরা

প্রিয় মানুষগুলোর সঙ্গে ঈদ করতে বাড়ি যেতে চায় সবাই। অনেকেই ঝুঁকি নিয়েও রওনা হয় গন্তব্যে। বাসে-ট্রেনে-লঞ্চে ঘরমুখো যাত্রীদের চিত্র।
ছবি: হাসান রাজাছবি: হাসান রাজাপ্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদযাপনে যেতে হবে দেশের বাড়ি। বৃষ্টি উপেক্ষা করে ঝুঁকি নিয়ে ঘরমুখো হয়েছেন এঁরা। ছবিটি আজ বুধবার দুপুরে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে তোলা।
ছবি: মাসুদ রানা, গাজীপুরছবি: মাসুদ রানা, গাজীপুরগাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকায় আজ বুধবার ভোর থেকেই ঈদে ঘরমুখো মানুষের ঢল। দুপুরের দিকে এ সংখ্যা আরও বাড়তে থাকে।
ছবি: সোয়েল রানা, বগুড়াছবি: সোয়েল রানা, বগুড়াটিকিট নেই, ভেতরেও জায়গা নেই। তাই বলে কি থেমে থাকবে যাওয়া! যেকোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে—জানার পরও অনেকেই ওঠেন ট্রেনের ছাদে। ছবিটি আজ বুধবার সকালে বগুড়ার গাবতলী রেলওয়ে স্টেশন থেকে তোলা।
ছবি: আশরাফুল আলমছবি: আশরাফুল আলমআজ বুধবার গাবতলী বাসস্ট্যান্ডে ছিল যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। অনেককেই বাসের জন্য অপেক্ষায় থাকতে দেখা যায়।
ছবি: হাসান রাজাছবি: হাসান রাজাট্রেনের জানালা দিয়ে ভেতরে ঢোকার আপ্রাণ চেষ্টা। ছবিটি কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে আজ বুধবার তোলা।
ছবি: হাসান রাজাছবি: হাসান রাজাকমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে আজ বুধবার বিকেলে ঘরমুখো যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়।
ছবি: আবদুস সালামছবি: আবদুস সালামরাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে ছিল যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। লঞ্চে ওঠার জন্য যাত্রীরা রীতিমতো প্রতিযোগিতায় নামেন। ছবিটি বুধবার দুপুরে তোলা।
ছবি: এম রাশেদুল হক, গোয়ালন্দছবি: এম রাশেদুল হক, গোয়ালন্দঈদের বাকি এক দিন। বাড়ি ফিরতে অনেকেই বৈরী আবহাওয়ার কারণে লঞ্চের পরিবর্তে ফেরিতেই পদ্মা পাড়ি দিচ্ছে। ফেরিঘাট থেকে দীর্ঘপথ হেঁটে বাস টার্মিনালের দিকে যাচ্ছে যাত্রীরা। ছবিটি রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাট এলাকা থেকে আজ বুধবার সকালে তোলা।
ছবি: আশরাফুল আলমগাবতলী বাস স্ট্যান্ডে বাসের জন্য যাত্রীদের দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা।