তালিবান যেভাবে হঠাৎ করে কুনদুয শহর দখল করে নেয়, সেটি আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির সরকারের জন্য ছিল চরম বিব্রতকর।
২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে আফগানিস্তানে অভিযান শুরু হওয়ার পর তালিবান এই প্রথম কোন প্রাদেশিক রাজধানী দখল করতে সক্ষম হয়।এখন তাদের হটিয়ে এই শহর পুনর্দখলের জন্য আফগান সরকার জোরালো চেষ্টা শুরু করেছে।
কাবুল এবং মাযার ই শরিফ থেকে বাড়তি সৈন্য পাঠানো হয়েছে। মার্কিন জঙ্গি বিমান গুলো কুনদুযের উপকণ্ঠে তালিবানের অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে।
পুলিশের এক মুখপাত্র দাবি করছেন, তালিবানকে হটিয়ে তারা ইতোমধ্যে কুনদুযেরে পুলিশ সদর দফতর, কারাগার এবং যের যাওরা এলাকা পুনর্দখল করেছেন।
এদিকে আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি দাবি করছেন, বিদ্রোহীরা এই লড়াইয়ের সময় কুনদুযের বেসামরিক নাগরিকদের মানব বর্ম হিসেবে ব্যবহার করছে।
তবে তিনি এই শহর শীঘ্রই পুনর্দখল করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন।
এর আগে গতকাল বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি বলেন, তালিবানের সঙ্গে তিনি এখনো শান্তি আলোচনায় বসতে রাজী, কিন্তু তাদেরকে আগে নিরীহ মানুষ হত্যা বন্ধ করতে হবে।
প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি বলেন, "তালিবানকে আগে ঠিক করতে হবে, তারা আফগানি, নাকি বিশ্ব সন্ত্রাসবাদ আর আঞ্চলিক আধিপত্যবাদের একটা হাতিয়ার মাত্র।"
তিনি বলেন, "যদি তালিবান আমাদের বন্ধু হতে চায়, তবেই কেবল আমরা শান্তি অর্জন করতে পারবো। তাদের বুঝতে হবে যেভাবে তারা শিশুদের এবং নিরীহ মানুষদের হত্যা করছে , তাতে তারা এখন কতটা অজনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।"
বিবিসির পশতু বিভাগের বিশ্লেষক দাউদ আযামী বলছেন, আফগানিস্তানের লড়াইয়ে কুনদুয শহরের একটা কৌশলগত গুরুত্ব রয়েছে।
তালিবান এই শহর দখল করে নেয়ার পর এটিকে নতুন তালিবান নেতা মোল্লাহ আখতার মনসুরের জন্য এক বিরাট সাফল্য বলে গণ্য করা হচ্ছিল। এখন এই পাল্টা হামলার মুখে এই শহর দখলে রাখার জন্য তালিবান মরিয়া চেষ্টা চালাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
bbc bangla
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন