আফগানিস্তানের কুনদুয শহরে একটি হাসপাতালে মার্কিন বিমান হামলার ঘটনা স্বাধীনভাবে তদন্তের দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক চিকিৎসা দাতব্য সংস্থা মেদিসঁ সঁ ফ্রঁতিয়ে বা এমএসএফ।
কুনদুযে এমএসএফের পরিচালিত হাসপাতালে ঐ হামলায় মোট ২২ জন নিহত হয়, যাদের মধ্যে দশ জন ছিলেন রুগী এবং বাকী ১২ জন এমএসএফের কর্মী।এমএসএফের প্রধান ড: জোয়ান লিউ বলেছেন, যুদ্ধের সময় যে আন্তর্জাতিক সনদ মেনে চলার কথা, এই হাসপাতালে হামলা চালিয়ে মার্কিন বাহিনী কার্যত সেই সনদ লঙ্ঘন করেছে।
এমএসএফ-এর হাসপাতালের ওপর শনিবার যুক্তরাষ্ট্র যে হামলা চালায় তাতে প্রাণ হারান মোট ২২ জন, যার মধ্যে ১২ জনই এমএসএফ-এর কর্মী।
ঐ ঘটনার পরই মার্কিন বিচার মন্ত্রণালয়, পেন্টাগন, নেটো এবং আমেরিকান-আফগান জোট পৃথকভাবে তদন্ত শুরু করার ঘোষণা করে।
কিন্তু এই হামলা সম্পর্কে মার্কিন সামরিক বাহিনী তাদের বক্তব্য এত বার বার পরিবর্তন করছে যে তার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই এখন প্রশ্ন উঠেছে।
সম্ভবত সেই কারণেই এমএসএফ-এর প্রধান জোঅ্যান লিউ বলছেন যে মার্কিন সামরিক বাহিনীর কোন অভ্যন্তরীণ তদন্তের ওপর তারা ভরসা রাখতে পারছেন না।
তিনি বলছেন, “যুক্তরাষ্ট্র, নেটো এবং আফগান বাহিনী যে তদন্তের কথা বলছে, তার ওপর নির্ভর করা যায় না।কুন্দুজের হামলার বিষয়ে তারা আন্তর্জাতিক তথ্য অনুসন্ধান কমিশনের তদন্ত দাবি করছেন।”
জোঅ্যান লিউ জানান, যুদ্ধের আন্তর্জাতিক রীতিনীতির ওপর গঠিত জেনেভা সনদের আওতায় এই কমিশনটি গঠিত হয়েছিল।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্ত করার জন্য এটি হচ্ছে একমাত্র স্থায়ী প্রতিষ্ঠান। এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯১ সালে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, আফগানিস্তানসহ মোট ৭৬টি দেশ এখনও এই কমিশনকে অনুসমর্থন করেনি।
এমএসফ বলছে, আফগানিস্তানে যুদ্ধরত সকল পক্ষকেই তারা তাদের হাসপাতালের অবস্থান সম্পর্কে জানিয়ে আসছিল।
তার পরও এই হামলাকে সে জন্যই তারা যুদ্ধাপরাধ হিসেবে দেখতে চায়। ১৯৯৯ সালে তা সেবামূলক কাজের স্বীকৃতি হিসেবে এমএসএফ নোবেল পুরষ্কার অর্জন করে।
bbc bangla
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন