বেসরকারি এয়ারলাইন্স ইউএস বাংলার ফ্লাইটটি চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল মঙ্গলবার রাত পৌনে আটটায়।
উড়োজাহাজ আকাশে উড়ার আগমুহূর্তে টিকেট এবং বোর্ডিং পাসবিহীন বোরকা পড়া এক তরুণীকে চিহ্নিত করা হয়।তখন ফ্লাইটটিতে যাত্রীদের মধ্যে নিরাপত্তা নিয়ে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা পুলক কান্তি বড়ুয়া ঐ ফ্লাইটে যাত্রী ছিলেন।
তিনি এই পরিস্থিতি নিয়ে তার ফেসবুক পাতায় স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
মি: বড়ুয়া বিবিসিকে বলেছেন, “ফ্লাইটে যাত্রী পূর্ণ ছিল। একটি আসন খালি ছিল । সেই আসনেই টিকেট এবং বোর্ডিং পাসবিহীন ঐ তরুণীকে চিহ্নিত করা হয়।মুহূর্তেই আমাদের যাত্রীদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে এবং প্রশ্ন দেখা দেয়, নিরাপত্তা পেরিয়ে ঐ তরুণী কিভাবে খালি আসনটিতেই গিয়ে বসেছিল।”
ফ্লাইটটির এই যাত্রী আরও জানিয়েছেন, যাত্রীদের দাবির মুখেই ফ্লাইট খালি করে আবার নিরাপত্তা পরীক্ষা করা হয় এবং তারপর সেই ফ্লাইটই চট্টগ্রাম যায়।
বাংলাদেশ যখন নিরাপত্তা নিয়ে নাজুক পরিস্থিতিতে রয়েছে, তখন বিমানবন্দরে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা পেরিয়ে টিকেট এবং বোর্ডিং পাস ছাড়া ঐ তরুণী কিভাবে ফ্লাইটে গিয়ে উঠলেন, এই প্রশ্ন উঠেছে।
ইউএস বাংলার নিরাপত্তা বিষয়ক কর্মকর্তা শাফায়েত জালাল বলেছেন, বিমানবন্দরে সিভিল অ্যাভিয়েশনের নিরাপত্তায় সমস্যা ছিল বলে তারা মনে করেন।
তবে বিমানবন্দরের ভিতরে তাদের এয়ারলাইন্সের বাস করে তরুণীর ফ্লাইটের ভিতরে যাওয়ার বিষয়ে তারা তদন্ত করছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
ফ্লাইট থেকে নামিয়ে আনার পর মঙ্গলবার রাতেই পুলিশ ঐ তরুণীকে দীর্ঘসময় জিজ্ঞাসাবাদ করে।
তার মা সহ আত্মীয়স্বজনকেও ডেকে আনা হয়। শেষ পর্যন্ত ঐ তরুণীকে ছেড়ে দেয়া হয়।
বিমানবন্দরের দায়িত্বে থাকা আর্মড পুলিশের কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেছেন, এই তরুণী ঢাকায় ইস্টওয়েস্ট নামের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।
তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং তার মা-বাবার কথায় পুলিশের মনে হয়েছে, তরুণীটি মানসিক ভারসাম্যহীন।
সে কারণে তাকে মা-বাবার জিম্মায় দেয়া হয়েছে বলে ঐ পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন। ঘটনার ব্যাপারে কোন মামলা হয়নি।
এদিকে, সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নিরাপত্তার প্রশ্নসহ পুরো ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন