সাগরপথে মানবপাচার বন্ধে দক্ষিণ ভূমধ্যসাগরজুড়ে পাচারকারীদের নৌকা আটক করার অভিযান শুরু করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
সম্প্রতি ভূমধ্যসাগরে উদ্ধারকারী একটি জার্মান যুদ্ধজাহাজে জন্ম নেওয়া ইউরোপগামী এক শরণার্থীর শিশুসন্তানের নামে বুধবার শুরু হওয়া অভিযানটির নাম রাখা হয়েছে ‘সোফিয়া’।
বিবিসি জানিয়েছে, ‘সোফিয়া’ অভিযানে সাগরের ওই এলাকায় ইইউ-র নৌবাহিনীর জাহাজগুলো অন্যান্য জলযানে আরোহণ, তল্লাশি এবং মানবপাচারে ব্যবহৃত সন্দেহভাজন জাহাজকে আটক করতে পারবে বা ফিরিয়ে দিতে পারবে।
রোমের সদরদপ্তর থেকে সোফিয়া অভিযানের কমান্ডার রিয়ার এ্যাডমিরাল এনরিকো ক্রিদেনদিনো ভূমধ্যসাগরে অভিযানে থাকা ইইউর যুদ্ধজাহাজগুলোর তত্ত্বাবধান করবেন।
সেপ্টেম্বরে ইইউর পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান ফেদেরিকা মোগিরিনি অভিযানের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে বলেছিলেন, “আন্তর্জাতিক জলপথে জলযানে উঠতে পারবো আমরা, তল্লাশি চালাতে পারবো এবং সন্দেহভাজন মানবপাচারকারীদের জলযান আটক করে তাদের ইতালির বিচারিক কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করতে পারবে।”
ইইউ লিবিয়ার জলসীমায়ও অভিযান পরিচালনা করতে চাইছে বলে জানিয়েছেন তিনি, তবে এতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ বা লিবিয়ার অনুমতির প্রয়োজন হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
চলতি বছরে এ পর্যন্ত এক লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি অভিবাসী ও শরণার্থী আফ্রিকার উত্তর উপকূল থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশ করেছে। বিপদসঙ্কুল এই যাত্রায় দুই হাজার সাতশরও বেশি মানুষ ডুবে মরেছেন।
বিপুল এই শরণার্থীর চাপ সমালানোর কৌশল-প্রশ্নে ইইউভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সঙ্কট দেখা দিয়েছে। শরণার্থীর স্রোত নিয়ে কী করা হবে, এ প্রশ্নে ইইউর সদস্য দেশগুলোর মধ্যে মতবিরোধ তৈরি হয়েছে।
অভিবাসী বিষয়ক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের (আইওএম) জ্যেষ্ঠ বিশেষজ্ঞ ইউখেনিয়ো কাম্বাসেরেস সতর্ক করে বলেছেন, “সোফিয়ার পাশাপাশি ইউরোপীয় অপরাধী চক্রগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করা না হলে ভূমধ্যসাগরীয় অভিযান ব্যর্থ হবে।”
‘ইইউনেভফর মেড’ নামে এই অভিযানের প্রথম পর্বে জুন থেকে ভূমধ্যসাগরে নজরদারি ও উদ্ধার অভিযান চালিয়ে আসছিল ইইউ। ওই পর্বে লিবিয়া থেকে ইতালি ও মাল্টা অভিমুখী মানবপাচারের ধরণ ও পাচারকারীদের নৌকা সনাক্ত করার কাজে নৌবাহিনীর নজরদারি ব্যবস্থা কাজে লাগানো হয়।
বিবিসি জানিয়েছে, ‘সোফিয়া’ অভিযানে সাগরের ওই এলাকায় ইইউ-র নৌবাহিনীর জাহাজগুলো অন্যান্য জলযানে আরোহণ, তল্লাশি এবং মানবপাচারে ব্যবহৃত সন্দেহভাজন জাহাজকে আটক করতে পারবে বা ফিরিয়ে দিতে পারবে।
রোমের সদরদপ্তর থেকে সোফিয়া অভিযানের কমান্ডার রিয়ার এ্যাডমিরাল এনরিকো ক্রিদেনদিনো ভূমধ্যসাগরে অভিযানে থাকা ইইউর যুদ্ধজাহাজগুলোর তত্ত্বাবধান করবেন।
সেপ্টেম্বরে ইইউর পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান ফেদেরিকা মোগিরিনি অভিযানের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে বলেছিলেন, “আন্তর্জাতিক জলপথে জলযানে উঠতে পারবো আমরা, তল্লাশি চালাতে পারবো এবং সন্দেহভাজন মানবপাচারকারীদের জলযান আটক করে তাদের ইতালির বিচারিক কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করতে পারবে।”
ইইউ লিবিয়ার জলসীমায়ও অভিযান পরিচালনা করতে চাইছে বলে জানিয়েছেন তিনি, তবে এতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ বা লিবিয়ার অনুমতির প্রয়োজন হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
চলতি বছরে এ পর্যন্ত এক লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি অভিবাসী ও শরণার্থী আফ্রিকার উত্তর উপকূল থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশ করেছে। বিপদসঙ্কুল এই যাত্রায় দুই হাজার সাতশরও বেশি মানুষ ডুবে মরেছেন।
বিপুল এই শরণার্থীর চাপ সমালানোর কৌশল-প্রশ্নে ইইউভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সঙ্কট দেখা দিয়েছে। শরণার্থীর স্রোত নিয়ে কী করা হবে, এ প্রশ্নে ইইউর সদস্য দেশগুলোর মধ্যে মতবিরোধ তৈরি হয়েছে।
অভিবাসী বিষয়ক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের (আইওএম) জ্যেষ্ঠ বিশেষজ্ঞ ইউখেনিয়ো কাম্বাসেরেস সতর্ক করে বলেছেন, “সোফিয়ার পাশাপাশি ইউরোপীয় অপরাধী চক্রগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করা না হলে ভূমধ্যসাগরীয় অভিযান ব্যর্থ হবে।”
‘ইইউনেভফর মেড’ নামে এই অভিযানের প্রথম পর্বে জুন থেকে ভূমধ্যসাগরে নজরদারি ও উদ্ধার অভিযান চালিয়ে আসছিল ইইউ। ওই পর্বে লিবিয়া থেকে ইতালি ও মাল্টা অভিমুখী মানবপাচারের ধরণ ও পাচারকারীদের নৌকা সনাক্ত করার কাজে নৌবাহিনীর নজরদারি ব্যবস্থা কাজে লাগানো হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন