ভারতের কর্তৃপক্ষ অবৈধ গরুর মাংস রপ্তানি পরীক্ষার জন্য সব বন্দরে পরীক্ষাগার বসানোর পরিকল্পনা নিয়েছে।
সম্প্রতি গরুর মাংস খাওয়ার গুজবে একজন মুসলিম নাগরিককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার প্রেক্ষাপটে এমন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।ভারতের কৃষি প্রতিমন্ত্রী সঞ্জীব কুমার বালান সাংবাদিকদের বলেছেন, বিভিন্ন বন্দর দিয়ে অবৈধভাবে গরু রপ্তানির বিষয়ে তদারকির ক্ষেত্রে এইসমস্ত পরীক্ষাগার নতুন এক মাত্রা যোগ করবে।
এর ফলে সব ধরনের মাংসের রপ্তানি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
এই তদারকির ক্ষেত্রে মূলত পশ্চিমের শহর মুম্বাইকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। কারণ ভারতের মাংস রপ্তানির প্রধান পথ সেটিই।
ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের কাছে ধর্মীয় বিবেচনায় গরু একটি পবিত্র প্রাণী হওয়ায় বেশিরভাগ রাজ্যেই গরু জবাই নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
যদিও দেশটিতে মহিষ জবাই এবং খাওয়ার প্রচলন বহুদিন ধরেই ব্যাপকভাবে প্রচলিত আছে।
তবে গরু জবাই এবং খাওয়ার বিষয়ে সরকারি এই বিধিনিষেধের কারণে অনেকই প্রশ্ন তুলছেন, ‘সাধারণ মানুষ কি খাবেন না খাবেন সেটাও কি কর্তৃপক্ষ ঠিক করে দেবে?’
এছাড়া মুরগী এবং মাছের চেয়ে গরুর মাংসের দাম সস্তা হওয়ায় দরিদ্র মুসলিম, উপজাতি এবং দলিত সম্প্রদায়ের লোকজনের খাবারের তালিকায় প্রধান একটি অনুষঙ্গ এটি।
ফলে এর ওপর নিষেধাজ্ঞায় সমালোচনাও হচ্ছে বেশ।
ভারতের বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর গরু সংরক্ষণের জন্য হিন্দ কট্টরপন্থীদের চাপ ক্রমশ বাড়ছে।
গত মাসেই পঞ্চাশ বছর বয়সী মোহাম্মদ আখলাক নামে একজনকে গরুর মাংস খাওয়ার সন্দেহে পিটিয়ে মারা হয়।
ভারতে গরু জবাই নিষিদ্ধ করা হলেও, মার্কিন কৃষি দপ্তরের তথ্যমতে ভারত বিশ্বে গরুর মাংস রপ্তানিতে শীর্ষতম একটি দেশ।
bbc bangla
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন