সিরিয়ায় আইএসবিরোধী অভিযানে থাকা রাশিয়াকে ইরাকও তাদের মাটিতে এই জঙ্গি গোষ্ঠীকে উৎখাতে বোমা হামলা চালানোর অনুরোধ করতে পারে বলে দেশটির একজন পার্লামেন্ট সদস্য জানিয়েছেন।
ইরাক ইসলামিক স্টেট (আইএস) বিরোধী লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে মস্কোর বৃহত্তর ভূমিকা কার্যকর হবে বলে মনে করেন তিনি।
ইরাকি পার্লামেন্টের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা কমিটির প্রধান হাকিম আল-জামিলি রয়টার্সকে বলেছেন, “আমি মনে করি, আগামী কয়েক দিন বা সপ্তাহের মধ্যে রাশিয়াকে বিমান হামলা চালানোর জন্য অনুরোধ করতে বাধ্য হবে ইরাক এবং এটা সিরিয়ায় তাদের সাফল্যের উপর নির্ভর করবে।”
যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন জোটের বিমান হামলায় তেমন ফল না মেলার পর ইসলামিক স্টেটবিরোধী যুদ্ধে বাগদাদের রাশিয়ার দিকে ঝোঁকার স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয় তার এ বক্তব্য।
তবে ইরাকে রাশিয়ার সামরিক পদক্ষেপে ওই অঞ্চলে কৌশলগত অবস্থান হারানোর শঙ্কায় পড়বে যুক্তরাষ্ট্র। কারণ সিরিয়ায় বিমান হামলার মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে কাজ করছে রাশিয়া। আবার ইরাকের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বেশ প্রভাব রয়েছে ইরানের।
ইরাকি প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-আবাদি বলেছেন, ইরাকে ইসলামিক স্টেট জঙ্গিদের উপর রাশিয়ার বিমান হামলাকে স্বাগত জানাবেন তিনি।
ইরানের পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া প্রভাবশালী শিয়া মিলিশিয়ারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব খর্ব করতে রাশিয়ার সঙ্গে অংশীদারিত্বের প্রত্যাশা করে।
“ইরাকে রাশিয়ার একটি বড় ভূমিকা থাকুক তা আমরা দেখতে চাই। ... হ্যাঁ, অবশ্যই তা আমেরিকানদের চেয়ে বড়,” বলেছেন আল জামিলি।
দীর্ঘকাল যুক্তরাষ্ট্রের অনাস্থায় থাকা শিয়া মিলিশিয়ারা রাশিয়ার হস্তক্ষেপকে দেখছে ছক উল্টে দেওয়ার একটি সুযোগ হিসেবে।
রাশিয়া মধ্যপ্রাচ্যে শক্ত ঘাঁটি গাড়তে চায়, যেখানে ইরান, ইরাক ও সিরিয়ার সঙ্গে নতুন নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় চুক্তি এবং বাগদাদে একটি কমান্ড সেন্টার করার পরিকল্পনা রয়েছে।
“ইরাকে দায়েশের (আইএস) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য একটি যৌথ অপারেশন কমান্ড এই সেন্টার নিকট ভবিষ্যতে হবে বলে আমরা মনে করছি,” বলেন জামিলি।
যুক্তরাষ্ট্র প্রধানমন্ত্রী আবাদিকে শিয়া মিলিশিয়াদের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য চাপ দিচ্ছে। এতে যোদ্ধারা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন, যাদের দেখা হচ্ছে আইএসের বিরুদ্ধে রক্ষাপ্রাচীর হিসেবে।
২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা অভিযানে সাদ্দাম হোসেন ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর নিরাপত্তা পরিস্থিতির দিক দিয়ে সবচেয়ে খারাপ সময় পার করছে তেল সমৃদ্ধ ইরাক।
সবচেয়ে প্রভাবশালী শিয়া মিলিশিয়া নেতা হাদি আল-আমিরির সহকারী মুয়েন আল-কাধিমি বলেন, “সঠিক সময়ে এবং সঠিক জায়গায় রাশিয়ার হস্তক্ষেপ এসেছে। আমরা মনে করি এটা খেলার সব নিয়ম পাল্টে দেবে এবং তা শুধু সিরিয়ায় নয়, ইরাকেও।
“আস্থা রাখা যায় না এমন মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের উপর ব্যাপকভাবে নির্ভর করছে সরকার এবং এই ভুল শোধরানো দরকার।”
ইরাকে আইএসের অবস্থানে হামলা চালাতে রুশ বিমান বাহিনীকে অনুরোধ করার বিষয়ে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ আলোচনা চলছে বলে আমিরির আরেক সহকারী মোহাম্মেদ নাজি জানিয়েছেন।
রয়টার্স
ইরাকি পার্লামেন্টের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা কমিটির প্রধান হাকিম আল-জামিলি রয়টার্সকে বলেছেন, “আমি মনে করি, আগামী কয়েক দিন বা সপ্তাহের মধ্যে রাশিয়াকে বিমান হামলা চালানোর জন্য অনুরোধ করতে বাধ্য হবে ইরাক এবং এটা সিরিয়ায় তাদের সাফল্যের উপর নির্ভর করবে।”
যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন জোটের বিমান হামলায় তেমন ফল না মেলার পর ইসলামিক স্টেটবিরোধী যুদ্ধে বাগদাদের রাশিয়ার দিকে ঝোঁকার স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয় তার এ বক্তব্য।
তবে ইরাকে রাশিয়ার সামরিক পদক্ষেপে ওই অঞ্চলে কৌশলগত অবস্থান হারানোর শঙ্কায় পড়বে যুক্তরাষ্ট্র। কারণ সিরিয়ায় বিমান হামলার মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে কাজ করছে রাশিয়া। আবার ইরাকের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বেশ প্রভাব রয়েছে ইরানের।
ইরাকি প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-আবাদি বলেছেন, ইরাকে ইসলামিক স্টেট জঙ্গিদের উপর রাশিয়ার বিমান হামলাকে স্বাগত জানাবেন তিনি।
ইরানের পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া প্রভাবশালী শিয়া মিলিশিয়ারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব খর্ব করতে রাশিয়ার সঙ্গে অংশীদারিত্বের প্রত্যাশা করে।
“ইরাকে রাশিয়ার একটি বড় ভূমিকা থাকুক তা আমরা দেখতে চাই। ... হ্যাঁ, অবশ্যই তা আমেরিকানদের চেয়ে বড়,” বলেছেন আল জামিলি।
দীর্ঘকাল যুক্তরাষ্ট্রের অনাস্থায় থাকা শিয়া মিলিশিয়ারা রাশিয়ার হস্তক্ষেপকে দেখছে ছক উল্টে দেওয়ার একটি সুযোগ হিসেবে।
রাশিয়া মধ্যপ্রাচ্যে শক্ত ঘাঁটি গাড়তে চায়, যেখানে ইরান, ইরাক ও সিরিয়ার সঙ্গে নতুন নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় চুক্তি এবং বাগদাদে একটি কমান্ড সেন্টার করার পরিকল্পনা রয়েছে।
“ইরাকে দায়েশের (আইএস) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য একটি যৌথ অপারেশন কমান্ড এই সেন্টার নিকট ভবিষ্যতে হবে বলে আমরা মনে করছি,” বলেন জামিলি।
যুক্তরাষ্ট্র প্রধানমন্ত্রী আবাদিকে শিয়া মিলিশিয়াদের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য চাপ দিচ্ছে। এতে যোদ্ধারা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন, যাদের দেখা হচ্ছে আইএসের বিরুদ্ধে রক্ষাপ্রাচীর হিসেবে।
২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা অভিযানে সাদ্দাম হোসেন ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর নিরাপত্তা পরিস্থিতির দিক দিয়ে সবচেয়ে খারাপ সময় পার করছে তেল সমৃদ্ধ ইরাক।
সবচেয়ে প্রভাবশালী শিয়া মিলিশিয়া নেতা হাদি আল-আমিরির সহকারী মুয়েন আল-কাধিমি বলেন, “সঠিক সময়ে এবং সঠিক জায়গায় রাশিয়ার হস্তক্ষেপ এসেছে। আমরা মনে করি এটা খেলার সব নিয়ম পাল্টে দেবে এবং তা শুধু সিরিয়ায় নয়, ইরাকেও।
“আস্থা রাখা যায় না এমন মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের উপর ব্যাপকভাবে নির্ভর করছে সরকার এবং এই ভুল শোধরানো দরকার।”
ইরাকে আইএসের অবস্থানে হামলা চালাতে রুশ বিমান বাহিনীকে অনুরোধ করার বিষয়ে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ আলোচনা চলছে বলে আমিরির আরেক সহকারী মোহাম্মেদ নাজি জানিয়েছেন।
রয়টার্স
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন