বৃহস্পতিবার, ৮ অক্টোবর, ২০১৫

চেরনোবিলে বাড়ছে পশুপাখি

    চেরনোবিলে চড়ে বড়োচ্ছে বন বিড়াল লিংক্স।                 চেরনোবিলে চড়ে বড়োচ্ছে বন বিড়াল লিংক্স।                

                                  ইউক্রেইনের চেরনোবিল পরমাণু কেন্দ্রের বিস্ফোরণের কথা মনে আছে?
১৯৮৬ সালে এই দুর্ঘটনাটিকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পরমাণু বিপর্যগুলোর অন্যতম বলে মনে করা হয়।
ঐ বিস্ফোরনের পর চেরনোবিল পরমাণু কেন্দ্রর আশোপাশে ৩০ কি.মি. এলাকায় মানুষের চলাফেরা এখনো নিষিদ্ধ।
তবে বিজ্ঞানীরা এখন বলছেন, জনমানব না থাকার ফলে ঐ পরমাণু কেন্দ্রের আশেপাশে বন্যপ্রাণীর সংখ্যা সম্প্রতি বাড়ছে।
ব্রিটেনের পোর্টস্‌মাউথ বিশ্ববিদ্যালয় চেরনোবিলের বন্য প্রাণীদের ওপর এই জরিপটি চালিয়েছে।
এতে দেখা যাচ্ছে, পরমাণু কেন্দ্রে বিস্ফোরণের আগে চেরনোবিলের আশেপাশে যত বন্য প্রাণী ছিল, তার সংখ্যা এখন সেই তুলনায় অনেক বড়েছে।
তবে পোর্টসমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জিম স্মিথ বলছেন, তবে চেরনোবিল এলাকায় পশুপাখীর মধ্যে তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা পরীক্ষা করার কোন উদ্দেশ্য তাদের এই জরিপে ছিল না।
আকাশপথে চালানো এই জরিপে হরিণ, নেকড়ে বাঘ, বুনো শুয়োর ইত্যাদি বড় স্তন্যপায়ী প্রাণীদের সংখ্যা গণনা করা হয়।
শীতকালে বরফের ওপর প্রাণীদের পায়ের ছাপ গণনা করেও তাদের সংখ্যা পরিমাপ করা হয়।
অধ্যাপক জিম স্মিথ জানান, চেরনোবিল এলাকায় সব প্রাণীর সংখ্যাই বেড়েছে।
তবে আশেপাশে অন্যান্য বণাঞ্চলের তুলনায় নেকড়ে বাঘের সংখ্যা বেড়েছে সাতগুণ।
চেরনোবিলের নেকড়ে বাঘ।                 চেরনোবিলের নেকড়ে বাঘ।
bbc bangla

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন