শীর্ষস্থানীয় সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটির ভেতরে-বাইরে সবসময় একটা পরিবর্তন চললেও, প্রতি তিন বছর অন্তর নতুন সংস্করণের অফিস নামের গুচ্ছ প্রোগ্রাম বাজারে ছাড়ে মাইক্রোসফট করপোরেশন। এমএস অফিস বিশ্বে অন্যতম জনপ্রিয় সফটওয়্যারই শুধু নয়, প্রতিষ্ঠানটির আয়ের বড় একটা অংশই আসে এই পণ্য থেকে। নতুন অনেক বৈশিষ্ট্য যোগ করে গত ২২ সেপ্টেম্বর বাজারে ছাড়া হয়েছে মাইক্রোসফট অফিস ২০১৬। অফিস ৩৬৫ নামেও এর পরিচিতি আছে।
‘মোবাইল-ফার্স্ট, ক্লাউড-ফার্স্ট’ মন্ত্র জপতে জপতে নতুন এই অফিস প্রোগ্রামটি নিয়ে মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সত্য নাদেলা যেমনটা বলেন, ‘মানুষের কাজ করার ধরন নাটকীয়ভাবে পরিবর্তিত হয়েছে, আর এ জন্যই মাইক্রোসফট উৎপাদনশীলতা ও ব্যবসায়িক উদ্ভাবন-প্রক্রিয়ার ওপর জোর দিয়েছে। সর্বশেষ আনা নতুন এই পরিবর্তনগুলো অফিসের পরিচিত গণ্ডি থেকে বেরিয়ে সামগ্রিকভাবে একে অন্যের সঙ্গে যুক্ত থেকে আধুনিক কাজ-কারবার করায় সহায়ক হবে।’
বর্তমান সময়টা মুঠোফোন আর সুবিধামতো অনলাইনে থাকা কম্পিউটারের ক্ষমতাকে ভাগাভাগি করে ব্যবহার করার প্রযুক্তি বা ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের যুগ। অফিস প্রোগ্রামটি নিয়ে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে মাইক্রোসফট তাই এখন অনেক বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়ছে। বিনা মূল্যের গুগল ড্রাইভ সেবা বা উন্মুক্ত অফিস সফটওয়্যারগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে অফিস ২০১৬ সংস্করণে নতুন আর কী কী সুবিধা এনেছে মাইক্রোসফট? কিছু কিছু সুবিধা আগের অনলাইনভিত্তিক অফিস ২০১৩ সংস্করণের সঙ্গেই যুক্ত ছিল, বাকিগুলোও জেনে নেওয়া যাক।
যৌথভাবে লেখা
ওয়ার্ড আর পাওয়ার পয়েন্টের মতো অ্যাপ্লিকেশনগুলোতে নতুন যুক্ত হওয়া যৌথভাবে লেখা বা কো-অথরিং সুবিধাটাই হচ্ছে সম্ভবত সবচেয়ে অনন্য এক সুবিধা। এ সুবিধায় একজনের বেশি ব্যবহারকারী কোনো ফাইল বা ডকুমেন্টে একসঙ্গে কাজ করতে পারবেন। কে কোন যন্ত্র বা অপারেটিং সিস্টেম থেকে এই সম্পাদনার কাজ করছেন সেটা কোনো ব্যাপার না। কে কোথায় কাজ করছেন সেটিও তাৎক্ষণিকভাবে দেখা যাবে।
অফিস স্যোয়ে
মাইক্রোসফট এই অ্যাপ্লিকেশনটিকে আগেই আলাদা একটি সেবা হিসেবে পরিচিতি দিয়েছিল, এখন এটি যোগ করা হয়েছে অফিসের সঙ্গে। স্যোয়েই অ্যাপ ব্যবহার করে ভিডিও বা ছবির জমকালো উপস্থাপনা, প্রতিবেদন তৈরি বা ব্যক্তিগত কাহিনী খুব দ্রুত তৈরি করে সেটা আবার ওয়েবসাইটে যুক্ত (এমবেড) করে সহকর্মী, বন্ধু বা পরিবার-পরিজনের সঙ্গে সহজে ভাগাভাগি করে নেওয়া যায়।
টেল মি
পুরান অফিস প্রোগ্রামে একটা পেপার ক্লিপের অবয়বে কাগজে ভেসে আসা সাহায্যকারী ক্লিপির কথা মনে আছে? টেল মি সুবিধাটি হচ্ছে এরই আধুনিক আর চটপটে এক রূপ। কোনো বিষয়ে যে জায়গাটিতে আটকে যাবেন, সেখানে লিখে জানালেই হবে। সাহায্য নিয়ে হাজির হবে টেল মি। ওয়ার্ড, পাওয়ার পয়েন্ট, এক্সেল, আউটলুক, প্রজেক্ট, ভিজিও ও অ্যাকসেসে এ সুবিধা পাওয়া যাবে।
স্মার্ট লুকআপ
অফিস প্রোগ্রামে আগে থাকা অভিধানের কথা ভুলে যান। নতুন অফিসে স্মার্ট লুকআপ সুবিধাটি শব্দ আর বাক্যাংশের যাবতীয় প্রাসঙ্গিক তথ্য সরবরাহ করবে। ওয়ার্ড বা পাওয়ার পয়েন্টসহ যেকোনো অফিস অ্যাপ্লিকেশনে কোনো শব্দ বা বাক্য নির্বাচন করা হলে ডানে পাশেই দেখা যাবে তার শব্দার্থ আর উইকিপিডিয়াসহ বিভিন্ন উৎস থেকে সংগ্রহ করা বিভিন্ন তথ্য।
নতুন সাজ
অবশেষে অফিস প্রোগ্রামে গাঢ় সাজসজ্জার সুবিধা দিয়েছে মাইক্রোসফট। ব্যবহারকারীরা এখন আলোকিত, চকচকে চেহারা পরিবর্তন করে অন্ধকার বা ধূসর চেহারায় অফিস ব্যবহার করতে পারবেন। বিশেষ করে রাতে কাজ করার সময় অন্ধকার সাজটি বেশ কাজে দেবে। এ ছাড়া অন্য আরও অনেক চেহারায় অফিস ব্যবহার করা যাবে।
পূর্বাভাসের লেখচিত্র
বিভিন্ন তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এখন আরও অনেক সহজে পূর্বাভাসের লেখচিত্র তৈরি করা যাবে। শুধু এক্সেলের সেলগুলো নির্বাচন করে দিলেই এক ক্লিকেই ভবিষ্যতের প্রবণতা অনুমান করা যাবে। ডেটা ট্যাবের নিচে ফোরকাস্ট শিট নামে এটি পাওয়া যাবে।
ই-মেইল অগ্রাধিকার
মাইক্রোসফট আউটলুক ব্যবহার করার সময় ই-মেইলের ধরন আর যাঁদের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি বার্তা চালাচালি হয়, তাঁদের ডেটা বিশ্লেষণ করে প্রোগ্রামটি গুরুত্বপূর্ণ মেইলগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সাজিয়ে রাখবে। যেগুলো আসলেই গুরুত্বপূর্ণ, সেগুলো বাদে বাকি মেইলগুলো আলাদা আরেকটি ফোল্ডারে সাজিয়ে রাখবে।
ওয়ান ড্রাইভ ও স্কাইপ
সমর্থন করে এমন যন্ত্র থেকে যেকোনো অফিস ডকুমেন্টে যেকোনো জায়গা থেকে কাজ করার সুবিধা দেবে মাইক্রোসফটের ক্লাউড সুবিধার ওয়ান ড্রাইভ। আর স্কাইপ দিয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলাসহ, অনলাইন বৈঠক অথবা কম্পিউটারের পর্দাও ভাগাভাগি করা যাবে।
প্ল্যানার
নতুন কোনো প্রকল্পে হাত দেওয়ার পর দলীয়ভাবে কাজের জন্য নতুন প্ল্যানার সুবিধাটি বেশ কাজের। এটি দিয়ে ডকুমেন্ট তৈরির কাজ করা যাবে দ্রুত। প্রতিটি ডকুমেন্টের তথ্য সংরক্ষণ, অফিস লেখচিত্র, ই-মেইল-সংক্রান্ত কাজসহ প্রত্যেক ব্যবহারকারীর কাজকর্মের তথ্য জমা রাখার সুবিধা পাওয়া যাবে এতে, অনেকটা অনলাইন সেবা ট্রেলোর মতোই।
উইন্ডোজ ১০ সমর্থন
মাইক্রোসফটের নতুন অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ ১০-এর অনেক সুবিধা অফিস ২০১৬-এর সঙ্গে ভালোভাবে কাজ করে। যেমন উইন্ডোজ হ্যালো—একটি বায়োমেট্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা, যেখানে কম্পিউটারে প্রবেশ করতে ব্যবহারকারীর চেহারা শনাক্ত করা হয়। সেই সঙ্গে ডিজিটাল সহকারী কর্টানাও অফিস অ্যাপগুলোতে কাজ করতে পারবে। পিসি এবং ম্যাকে কিনে ব্যবহার করতে হলেও ১০ দশমিক ১ ইঞ্চির চেয়ে ছোট পর্দার ট্যাবলেট বা মুঠোফোনে সম্পাদনার সুবিধাসহ অফিস অ্যাপগুলো ব্যবহার করা যাবে বিনা মূল্যেই।
| prothom alo
‘মোবাইল-ফার্স্ট, ক্লাউড-ফার্স্ট’ মন্ত্র জপতে জপতে নতুন এই অফিস প্রোগ্রামটি নিয়ে মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সত্য নাদেলা যেমনটা বলেন, ‘মানুষের কাজ করার ধরন নাটকীয়ভাবে পরিবর্তিত হয়েছে, আর এ জন্যই মাইক্রোসফট উৎপাদনশীলতা ও ব্যবসায়িক উদ্ভাবন-প্রক্রিয়ার ওপর জোর দিয়েছে। সর্বশেষ আনা নতুন এই পরিবর্তনগুলো অফিসের পরিচিত গণ্ডি থেকে বেরিয়ে সামগ্রিকভাবে একে অন্যের সঙ্গে যুক্ত থেকে আধুনিক কাজ-কারবার করায় সহায়ক হবে।’
বর্তমান সময়টা মুঠোফোন আর সুবিধামতো অনলাইনে থাকা কম্পিউটারের ক্ষমতাকে ভাগাভাগি করে ব্যবহার করার প্রযুক্তি বা ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের যুগ। অফিস প্রোগ্রামটি নিয়ে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে মাইক্রোসফট তাই এখন অনেক বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়ছে। বিনা মূল্যের গুগল ড্রাইভ সেবা বা উন্মুক্ত অফিস সফটওয়্যারগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে অফিস ২০১৬ সংস্করণে নতুন আর কী কী সুবিধা এনেছে মাইক্রোসফট? কিছু কিছু সুবিধা আগের অনলাইনভিত্তিক অফিস ২০১৩ সংস্করণের সঙ্গেই যুক্ত ছিল, বাকিগুলোও জেনে নেওয়া যাক।
যৌথভাবে লেখা
ওয়ার্ড আর পাওয়ার পয়েন্টের মতো অ্যাপ্লিকেশনগুলোতে নতুন যুক্ত হওয়া যৌথভাবে লেখা বা কো-অথরিং সুবিধাটাই হচ্ছে সম্ভবত সবচেয়ে অনন্য এক সুবিধা। এ সুবিধায় একজনের বেশি ব্যবহারকারী কোনো ফাইল বা ডকুমেন্টে একসঙ্গে কাজ করতে পারবেন। কে কোন যন্ত্র বা অপারেটিং সিস্টেম থেকে এই সম্পাদনার কাজ করছেন সেটা কোনো ব্যাপার না। কে কোথায় কাজ করছেন সেটিও তাৎক্ষণিকভাবে দেখা যাবে।
অফিস স্যোয়ে
মাইক্রোসফট এই অ্যাপ্লিকেশনটিকে আগেই আলাদা একটি সেবা হিসেবে পরিচিতি দিয়েছিল, এখন এটি যোগ করা হয়েছে অফিসের সঙ্গে। স্যোয়েই অ্যাপ ব্যবহার করে ভিডিও বা ছবির জমকালো উপস্থাপনা, প্রতিবেদন তৈরি বা ব্যক্তিগত কাহিনী খুব দ্রুত তৈরি করে সেটা আবার ওয়েবসাইটে যুক্ত (এমবেড) করে সহকর্মী, বন্ধু বা পরিবার-পরিজনের সঙ্গে সহজে ভাগাভাগি করে নেওয়া যায়।
টেল মি
পুরান অফিস প্রোগ্রামে একটা পেপার ক্লিপের অবয়বে কাগজে ভেসে আসা সাহায্যকারী ক্লিপির কথা মনে আছে? টেল মি সুবিধাটি হচ্ছে এরই আধুনিক আর চটপটে এক রূপ। কোনো বিষয়ে যে জায়গাটিতে আটকে যাবেন, সেখানে লিখে জানালেই হবে। সাহায্য নিয়ে হাজির হবে টেল মি। ওয়ার্ড, পাওয়ার পয়েন্ট, এক্সেল, আউটলুক, প্রজেক্ট, ভিজিও ও অ্যাকসেসে এ সুবিধা পাওয়া যাবে।
স্মার্ট লুকআপ
অফিস প্রোগ্রামে আগে থাকা অভিধানের কথা ভুলে যান। নতুন অফিসে স্মার্ট লুকআপ সুবিধাটি শব্দ আর বাক্যাংশের যাবতীয় প্রাসঙ্গিক তথ্য সরবরাহ করবে। ওয়ার্ড বা পাওয়ার পয়েন্টসহ যেকোনো অফিস অ্যাপ্লিকেশনে কোনো শব্দ বা বাক্য নির্বাচন করা হলে ডানে পাশেই দেখা যাবে তার শব্দার্থ আর উইকিপিডিয়াসহ বিভিন্ন উৎস থেকে সংগ্রহ করা বিভিন্ন তথ্য।
নতুন সাজ
অবশেষে অফিস প্রোগ্রামে গাঢ় সাজসজ্জার সুবিধা দিয়েছে মাইক্রোসফট। ব্যবহারকারীরা এখন আলোকিত, চকচকে চেহারা পরিবর্তন করে অন্ধকার বা ধূসর চেহারায় অফিস ব্যবহার করতে পারবেন। বিশেষ করে রাতে কাজ করার সময় অন্ধকার সাজটি বেশ কাজে দেবে। এ ছাড়া অন্য আরও অনেক চেহারায় অফিস ব্যবহার করা যাবে।
পূর্বাভাসের লেখচিত্র
বিভিন্ন তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এখন আরও অনেক সহজে পূর্বাভাসের লেখচিত্র তৈরি করা যাবে। শুধু এক্সেলের সেলগুলো নির্বাচন করে দিলেই এক ক্লিকেই ভবিষ্যতের প্রবণতা অনুমান করা যাবে। ডেটা ট্যাবের নিচে ফোরকাস্ট শিট নামে এটি পাওয়া যাবে।
ই-মেইল অগ্রাধিকার
মাইক্রোসফট আউটলুক ব্যবহার করার সময় ই-মেইলের ধরন আর যাঁদের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি বার্তা চালাচালি হয়, তাঁদের ডেটা বিশ্লেষণ করে প্রোগ্রামটি গুরুত্বপূর্ণ মেইলগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সাজিয়ে রাখবে। যেগুলো আসলেই গুরুত্বপূর্ণ, সেগুলো বাদে বাকি মেইলগুলো আলাদা আরেকটি ফোল্ডারে সাজিয়ে রাখবে।
ওয়ান ড্রাইভ ও স্কাইপ
সমর্থন করে এমন যন্ত্র থেকে যেকোনো অফিস ডকুমেন্টে যেকোনো জায়গা থেকে কাজ করার সুবিধা দেবে মাইক্রোসফটের ক্লাউড সুবিধার ওয়ান ড্রাইভ। আর স্কাইপ দিয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলাসহ, অনলাইন বৈঠক অথবা কম্পিউটারের পর্দাও ভাগাভাগি করা যাবে।
প্ল্যানার
নতুন কোনো প্রকল্পে হাত দেওয়ার পর দলীয়ভাবে কাজের জন্য নতুন প্ল্যানার সুবিধাটি বেশ কাজের। এটি দিয়ে ডকুমেন্ট তৈরির কাজ করা যাবে দ্রুত। প্রতিটি ডকুমেন্টের তথ্য সংরক্ষণ, অফিস লেখচিত্র, ই-মেইল-সংক্রান্ত কাজসহ প্রত্যেক ব্যবহারকারীর কাজকর্মের তথ্য জমা রাখার সুবিধা পাওয়া যাবে এতে, অনেকটা অনলাইন সেবা ট্রেলোর মতোই।
উইন্ডোজ ১০ সমর্থন
মাইক্রোসফটের নতুন অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ ১০-এর অনেক সুবিধা অফিস ২০১৬-এর সঙ্গে ভালোভাবে কাজ করে। যেমন উইন্ডোজ হ্যালো—একটি বায়োমেট্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা, যেখানে কম্পিউটারে প্রবেশ করতে ব্যবহারকারীর চেহারা শনাক্ত করা হয়। সেই সঙ্গে ডিজিটাল সহকারী কর্টানাও অফিস অ্যাপগুলোতে কাজ করতে পারবে। পিসি এবং ম্যাকে কিনে ব্যবহার করতে হলেও ১০ দশমিক ১ ইঞ্চির চেয়ে ছোট পর্দার ট্যাবলেট বা মুঠোফোনে সম্পাদনার সুবিধাসহ অফিস অ্যাপগুলো ব্যবহার করা যাবে বিনা মূল্যেই।
| prothom alo
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন