পরাজয় আর পরাজয়।
মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে গত কটা মাস সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ভারত ব্যর্থতার চোরাবালিতে হাবুডুবুই খাচ্ছে। মার্চে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল থেকে শুরু। এর পর সাতটি ওয়ানডে ও দুটি টি-টোয়েন্টি-ধোনির অধীনে খেলা নয় ম্যাচের সাতটিই হারল ভারত। ইন্দোরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জয় ফিরে পেলেও পরের ম্যাচেই আবারও তাদের সেই পরাজয়ের গল্প। আজ রাজকোটে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে ১৮ রানে হেরে সিরিজে ২-১-এ পিছিয়ে পড়ল ধোনির দল।
২৭১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ইন্দোরের মতো রাজকোটেও বীরত্বগাথার দারুণ সুযোগ এসেছিল ভারতীয় অধিনায়কের সামনে। আজ নামলেন চারে। পাশে পেয়েছিলেন যোগ্য সঙ্গী বিরাট কোহলিকে। ৬৫ করা রোহিত শর্মা যখন ফিরলেন, ভারতের তখন দরকার ১৬২ বলে ১৫৮। হাতে ৮ উইকেট। তার চেয়ে বড় কথা, ভারতকে আশা দেখাচ্ছেন ধোনি-কোহলি। অধিনায়ক, সহ-অধিনায়কের রসায়নটা জমেও গেল। কী আশ্চর্য, ভারতকে এক অর্থে ম্যাচ থেকে ছিটকে দিলেন এ দুজনই। ওয়ানডেতে যাঁদের স্ট্রাইকরেট ৯০-এর কাছাকাছি, তাঁরা এগোতে থাকলেন শম্বুক গতিতে।
দুজনের তৃতীয় উইকেটে ১১২ বলে এল ৮০ রান। ওভারপ্রতি ৪.২৮। ৬১ বলে ৪৭ রানের ইনিংসটি খেলে যখন মরনে মরকেলের বলে বিদায় নিলেন ধোনি, দল ভীষণ চাপে। দরকার ৪৯ বলে ৭৮। ভারতকে আরও বিপদে ফেলে ওই মরকেলের বলেই কোহলি বিদায় নিলেন স্বভাববিরুদ্ধ ৯৯ বলে ৭৭ রানের ইনিংস খেলে। এ সময় দরকার ২৯ বলে ৫৫। ২৩ রানের ব্যবধানে হুটহাট ৪ উইকেট হারিয়ে এক প্রকার ম্যাচের লাগামই হাতছাড়া করে ফেলল ভারত।
প্রোটিয়াদের অসাধারণ বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ভারতের রান ৬ উইকেটে ২৫২। ৩৯ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ভারতীয় ব্যাটিংকে চেপে ধরার মূল কাজটি করেছেন মরকেল। ম্যাচসেরাও তিনি।
এর আগে কুইন্টন ডি ককের ১০৩ ও ফ্যাপ ডু প্লেসির ৬০ রানের কল্যাণে চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে প্রোটিয়ারা। ভালো শুরুর পরও দক্ষিণ আফ্রিকার চ্যালেঞ্জ নিতে পারল না ভারত। ম্যাচ শেষে সঞ্জয় মাঞ্জরেকার যখন জিজ্ঞেস করলেন, কেন এমন ধীরলয়ে এগোনো? ধোনির জবাব, ‘উইকেট নিচু ও মন্থর হয়ে গিয়েছিল। শিশির আমাদের সহায়তা করেনি। বড় শট খেলা কঠিনই হয়ে পড়েছিল।’
আপাতত একটা উত্তর না হয় দিলেন। কিন্তু ব্যর্থতার মিছিলে ক্রমেই যে বাড়ছে প্রশ্ন। ভারত অধিনায়ক এত প্রশ্নের উত্তর দেবেন কী করে?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন