সোমবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৫

হিজাবের বিরোধিতা: কবিতায় প্রতিবাদ

 
    headscarf_facebook                 হিজাবের সমর্থনে কবিতার সাথে এধরণের কিছু ছবিও জুড়ে দেয়া হচ্ছে                
 
"আমার বিষয়ে অন্যদের নাক গলাতে দেবো না" একটি কবিতার পঙক্তি।
অন্য একটি কবিতায় লেখা "যাদের হিজাব নেই তাদেরকে আমারটা নিয়ে কথা বলতে দেবো না"।
উজবেকিস্তানে হিজাববিরোধী অভিযানের প্রতিবাদকারীরা এভাবেই ভাষা হিসেবে বেছে নিয়েছেন কবিতাকে। এধরণের বেশ কিছু কবিতা ফেসবুকে শত-শত বার শেয়ারও হয়েছে।
"আমার সমালোচনা না করে ফটোশপ দিয়ে তোমার মাথায় একটি কাপড় বসিয়ে দাও/তোমার মাথা ঢেকে ফেলো/ হিজাব পড়া একজন নারীর জন্য স্বাভাবিক বিষয়/ তুমি যদি হিজাব না পরো, আমারটা নিয়ে কিছু বলতে এসো না" একজন অলাইন ব্যবহারকারীর কবিতা। অন্য একটি কবিতায় ইউরোপিয় পোষাকের বিপরীতে 'ইসলামিক পোষাক'-এর গুণগান করা হয়েছে।
হিজাব যদিও উজবেকিস্তানে আনুষ্ঠানিকভাবে নিষিদ্ধ নয়, তবে সম্প্রতি বেশ কিছু হিজাবধারীদের পুলিশের হাতে আটকের ঘটনা ঘটেছে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে তারা হিজাব না খোলা পর্যন্ত তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার খবর পাওয়া গেছে। দেশটির টেলিভিশন অনুষ্ঠান এবং চলচ্চিত্রে হিজাবকে 'বিদেশী' আরব পোষাক হিসেবে দেখানো হয়।
মধ্য এশিয় দেশগুলোতে হিজাবের ওপর আনুষ্ঠানিক এবং অনানুষ্ঠানিক নিয়ন্ত্রণ রয়েছে, যার মধ্যে বেশ কিছু দেশ স্বৈরতান্ত্রিক এবং মুসলিমপ্রধান।
অঞ্চলটির সরকারগুলো ইসলামপন্থার উত্থান এবং ইসলামিক স্টেটের হুমকি নিয়ে শঙ্কিত। আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা ক্রাইসিস গ্রুপের হিসেবে অঞ্চলটি থেকে প্রায় ৪,০০০ মানুষ আইএসে যোগ দিয়েছে।
উজবেকিস্তানে যদিও বিবিসিসহ অন্যান্য বিদেশী সংবাদ সংস্থার ওয়েবসাইট প্রায়সময়ই বন্ধ করে রাখা হয়, তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর সেধরনের নিয়ন্ত্রণ নেই এবং এই মাধ্যমগুলোই প্রতিবাদ প্রকাশের একটি জায়গা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। যদিও ফেসবুক, টুইটার এবং রুশ-ভাষার ভিকনটাকটের ব্যবহারকারীর সংখ্যা দেশটিতে খুবই কম। ধারণা করা হয় উজবেকিস্তানে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৩৬০,০০০, যা দেশটির মোট জনসংখ্যার মোটে ১ শতাংশ।
bbc bangla

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন