সৌদি আরবের মিনায় পদদলিত হয়ে নিহত বাংলাদেশি হাজির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৭ জনে। এখনো নিখোঁজ আছেন ৫৩ জন।
সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ আজ রোববার সন্ধ্যায় টেলিফোনে প্রথম আলোকে এ কথা জানিয়েছিলেন।
নিহত হাজির সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাস ও হজ অফিসের কর্মকর্তারা। কেননা এখনো ৫৩ জন হাজি নিখোঁজ আছেন।
রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, নিহত হাজিদের মধ্যে ৯৬ জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাঁদের মধ্যে ৫৫ জনের লাশ সৌদি আরবেই দাফন করা হয়েছে। ৪১ জনের পরিচয় নিশ্চিত করার কাজ চলছে। যেসব লাশ দেখে পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না, তাঁদের ডিএনএর সঙ্গে আত্মীয়দের ডিএনএ মিলিয়ে পরিচয় নিশ্চিত করছে সৌদি সরকার। বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে নিখোঁজ হাজিদের সৌদি আরবে থাকা নিকটাত্মীয়দের ডিএনএ নমুনা দিতে অনুরোধ করা হয়েছে।
সম্প্রতি ধর্মসচিব চৌধুরী মো. বাবুল হাসান সৌদি আরব থেকে ফিরে বলেছেন, হাজিদের লাশ বাংলাদেশে আনার ব্যাপারে দেশটির সরকার অনুমতি দেয়নি।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর হজের পরদিন শয়তানকে পাথর মারতে যাওয়ার পথে মিনার ২০৪ নম্বর সড়কে পদদলিত হয়ে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের হাজিরা মারা যান। সৌদি আরব এখন পর্যন্ত ৭৬৯ জন হাজির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। দেশটি বলেছে, এ সময় আহত হয়েছেন আরও আট শতাধিক।
অবশ্য এ ঘটনায় কতজন হাজি মারা গেছেন তা নিয়ে ইতিমধ্যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ইরান বলেছে, পদদলিত হয়ে মৃতের সংখ্যা দুই হাজার হবে। ভারত ও পাকিস্তানের কাছে সৌদি সরকারের দেওয়া তালিকায় ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ হাজির মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে।
সৌদি আরবের বাংলাদেশ দূতাবাসের এক কর্মকর্তা বলেছেন, দেশটির বিভিন্ন হাসপাতালে আহত বাংলাদেশি হাজিরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। আহত হাজির সংখ্যা এখন ১১। কর্মকর্তারা বলেছেন, নিহত বাংলাদেশি হাজিদের সবার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মরদেহ সৌদি আরবের কেন্দ্রীয় মর্গে রাখা হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে জানানো হয়েছে, এ বছর বাংলাদেশ থেকে হজে যাওয়া ১ লাখ ৬ হাজারের বেশি হাজির মধ্যে স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে ১২৯ জনের।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন