বাংলাদেশে বহুল আলোচিত সিলেটের শিশু রাজন হত্যা মামলার বাদী পক্ষের সাক্ষ্য গ্রহণ আজ শেষ হয়েছে। আসামি পক্ষের সাফাই সাক্ষ্য গ্রহণের দিন আগামী ২০ অক্টোবর নির্ধারণ করেছেন আদালত।
সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরত আনার পর রাজন হত্যার প্রধান অভিযুক্ত কামরুল ইসলামসহ ১১ জনকে আজ রবিবার সকালে যখন আদালতে আনা হয় তখন আদালত প্রাঙ্গণে কয়েক হাজার মানুষ ভিড় করেন।তবে এসব মানুষের নজর ছিল কামরুল ইসলামের ওপর। এসময় মি.ইসলামকে দেখে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন।
সিলেটের সাংবাদিক শাকিল হোসেন আদালত চত্বরে ছিলেন। তিনি বলছিলেন উপস্থিত জনতার মধ্যে কেও কেও মি. ইসলামকে লক্ষ্য করে চড়-থাপ্পড় মারার চেষ্টা করেন।
"বিপুল সংখ্যক পুলিশ ছিল কিন্তু তার মধ্যে দিয়েও মানুষ চড় -থাপ্পড় মারার চেষ্টা করে, তারা ফাঁসি ফাঁসি বলেও স্লোগান দেয়।" বলছিলেন মি. হেসেন
গণমাধ্যমে যেসব ছবি আসে সেখানে দেখা যায় হাতকড়া পরা অবস্থায় যখন কামরুল ইসলামকে আদালত কক্ষের দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তখন উৎসুক মানুষ আদালত ভবনে প্রতিটি ফ্লোরে ভিড় করে দেখেন। এর পরেই আদালত কক্ষে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যের উপস্থিতিতে সাক্ষ্য গ্রহণ চলে। সেসময় সাধারণ মানুষ বা গণমাধ্যমের কর্মীরা সেখানে ঢুকতে পারেননি।
শিশু সামিউল আলম রাজনকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ৩৮ জন সাক্ষী তালিকাভুক্ত ছিলেন। এদের মধ্যে ৩৬ নম্বর সাক্ষী হত্যাকাণ্ডের তদন্ত কর্মকর্তা সুরঞ্জিত তালুকদারের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্যে দিয়ে আজ বাদী পক্ষের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হল।
বাদী পক্ষের আইনজীবী এমাদ উল্লাহ শহিদুল ইসলাম বলছিলেন আগামী ২০ তারিখ আসামি পক্ষের সাফাই সাক্ষ্য গ্রহণের নির্ধারণ করেছেন আদালত।
এদিকে কামরুল ইসলামের পক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য তার একজন আইনজীবী আজ প্রথমবারের মত অংশ নেন।
এর আগে রাষ্ট্র পক্ষের নিয়োজিত একজন আইনজীবী তার পক্ষে মামলা পরিচালনা করছিলেন।
তবে কামরুল ইসলামের নতুন আইনজীবী আলি হায়দার ফারুকের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
বাকি অভিযুক্তদের যেসব আইনজীবী রয়েছেন তাদের একজন হাবিবুর রহমান বলছিলেন কামরুল ইসলাম পলাতক থাকায় যেসব সাক্ষ্য গ্রহণ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে সেগুলো পুনরায় নেয়ার জন্য আদালতে আবেদন করেন কামরুল ইসলামের আইনজীবী। তবে আদালত সেটা নামঞ্জুর করেন।
জুলাই মাসে চুরির অভিযোগে ১৩ বছরের শিশু রাজনকে খুঁটির সাথে বেধে পিটিয়ে হত্যা এবং সেদৃশ্য ধারণ করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পরলে দেশ জুরে ব্যাপক আলোচনা হয়।
এই মামলার দুইজন অভিযুক্ত এখনো পলাতক রয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন