কূটনৈতিক রিপোর্টার: বাংলাদেশে পশ্চিমা নাগরিকদের ওপর আবার সন্ত্রাসী হামলা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এমন হামলার ‘নির্ভরযোগ্য তথ্য আছে’ দাবি করে নিজ দেশের নাগরিকদের সতর্ক করেছে দেশটি। শনিবার ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের এক নিরাপত্তা বার্তায় এমন সতর্কতা জারি করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় বার্তাটি দূতাবাসের ওয়েবসাইটে হালনাগাদ করা হয়। এতে বলা হয়, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক হোটেলগুলোতে আয়োজিত পশ্চিমা নাগরিকদের বড় ধরনের জমায়েতসহ অন্যান্য স্থানে তাদের লক্ষ্য করে হামলা হতে পারে। এ বিষয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্য তাদের কাছে আছে। দায়িত্ববোধ থেকেই নিজ দেশের নাগরিকদের বাংলাদেশে চলাচলে সতর্ক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া ব্লুম বার্নিকাট। যুক্তরাষ্ট্র এখনও উদ্বিগ্ন বলে উল্লেখ করেন তিনি। গতকাল রোববার ঢাকায় একটি অনুষ্ঠানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, দুই বিদেশী নাগরিক হত্যার সঙ্গে আইএস জড়িত কিনা এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনও আসেনি। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কোন নতুন সতর্কতা দেয়নি, শুধুু পূর্বের সতর্কবার্তা হালনাগাদ করা হয়েছে।
মার্কিন দূতাবাসের হালনাগাদ করা বার্তায় বলা হয়, গত ২৮শে সেপ্টেম্বর ইতালির একজন এবং ৪ঠা অক্টোবর জাপানের এক নাগরিককে হত্যার ঘটনার দায় স্বীকার করেছে আইএসআইএল। ভবিষ্যতেও মার্কিন নাগরিকসহ পশ্চিমাদের লক্ষ্য করে হামলা হতে পারে। বাংলাদেশে বিদেশিদের নিরাপত্তা জোরদার করতে নিরাপত্তা সংস্থাগুলো পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে সন্ত্রাসের হুমকি বাস্তব ও বিশ্বাসযোগ্য হিসেবেই রয়েই গেছে। বার্তায় বলা হয়, বাংলাদেশে ভ্রমণরত কিংবা অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া, নিজেদের নিরাপত্তার ব্যাপারে সতর্ক থাকা এবং স্থানীয় নিরাপত্তা পরিস্থিতির পরিবর্তনের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বিশেষভাবে উৎসাহিত করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের জনসমাগমের স্থলে যেতে নিষেধ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে হেঁটে, মোটরসাইকেলে, সাইকেলে কিংবা কোন খোলামেলা বাহনে চলাফেরা করতেও মার্কিন নাগরিকদের নিষেধ করা হয়েছে বার্তায়।
ঢাকায় ইতালিয়ান নাগরিক তাবেলা সিজার ও রংপুরে জাপানি নাগরিক হোশি কোনিও হত্যার পর বাংলাদেশে ভ্রমণে সতর্কতা জারি করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা দেশগুলো। এসব দেশের পক্ষ থেকে এখনও ওই এলার্ট প্রত্যাহার করা হয়নি। ভ্রমণ সতর্কতার কারণে বাংলাদেশে বিদেশী পর্যটক আসা কমে গেছে। একই সঙ্গে পোশাক শিল্পের ক্রেতারাও আসতে স্বস্তিবোধ করছেন না। সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এমন অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে তাদের নাগরিকদের জন্য এই এলার্ট হালনাগাদ করলো।
daily sangram
মার্কিন দূতাবাসের হালনাগাদ করা বার্তায় বলা হয়, গত ২৮শে সেপ্টেম্বর ইতালির একজন এবং ৪ঠা অক্টোবর জাপানের এক নাগরিককে হত্যার ঘটনার দায় স্বীকার করেছে আইএসআইএল। ভবিষ্যতেও মার্কিন নাগরিকসহ পশ্চিমাদের লক্ষ্য করে হামলা হতে পারে। বাংলাদেশে বিদেশিদের নিরাপত্তা জোরদার করতে নিরাপত্তা সংস্থাগুলো পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে সন্ত্রাসের হুমকি বাস্তব ও বিশ্বাসযোগ্য হিসেবেই রয়েই গেছে। বার্তায় বলা হয়, বাংলাদেশে ভ্রমণরত কিংবা অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া, নিজেদের নিরাপত্তার ব্যাপারে সতর্ক থাকা এবং স্থানীয় নিরাপত্তা পরিস্থিতির পরিবর্তনের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বিশেষভাবে উৎসাহিত করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের জনসমাগমের স্থলে যেতে নিষেধ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে হেঁটে, মোটরসাইকেলে, সাইকেলে কিংবা কোন খোলামেলা বাহনে চলাফেরা করতেও মার্কিন নাগরিকদের নিষেধ করা হয়েছে বার্তায়।
ঢাকায় ইতালিয়ান নাগরিক তাবেলা সিজার ও রংপুরে জাপানি নাগরিক হোশি কোনিও হত্যার পর বাংলাদেশে ভ্রমণে সতর্কতা জারি করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা দেশগুলো। এসব দেশের পক্ষ থেকে এখনও ওই এলার্ট প্রত্যাহার করা হয়নি। ভ্রমণ সতর্কতার কারণে বাংলাদেশে বিদেশী পর্যটক আসা কমে গেছে। একই সঙ্গে পোশাক শিল্পের ক্রেতারাও আসতে স্বস্তিবোধ করছেন না। সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এমন অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে তাদের নাগরিকদের জন্য এই এলার্ট হালনাগাদ করলো।
daily sangram
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন