যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের এল পাসো ডিটেনশন সেন্টারে থাকা ৬৪ বাংলাদেশির মধ্যে ৪৪ জন অনশন করছেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ন্যাশনাল লইয়ার্স গিল্ড এবং নো ওয়ান মোর ডিপোর্টেশন নামে দুটি সংস্থার পক্ষ থেকে অনশরতদের খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে।”
অনশনরত বাংলাদেশিদের মধ্যে মাহবুবুর রহমান নামে একজন টেলিফোনে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তাদের মধ্যে শামসুদ্দিন নামে একজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। অন্যদের নানা লোভ দেখানো হচ্ছে অনশন ভাঙতে।
“কিন্তু আমরা ডিপোর্টেশনের নির্দেশ প্রত্যাহার এবং এসাইলামের আবেদন মঞ্জুর না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাব।”
সিলেটের বিয়ানীবাজারের মাহবুব ছয় মাসের বেশি সময় ধরে ওই বন্দিশিবিরে আছেন।
তিনি বলেন, “আমরা সবাই রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেছি। কারও আবেদনই গ্রাহ্য করা হচ্ছে না। উপরন্তু আমরা যারা বিএনপির কর্মী/সংগঠক হিসেবে আবেদন করেছি, তারা সকলেই নাকি সন্ত্রাসী, এমন মন্তব্য করেছেন ইমিগ্রেশন কোর্টের জজ।”
এ প্রসঙ্গে নিউ ইয়র্কের আইনজবী অশোক কর্মকার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের ঢালাওভাবে সন্ত্রাসী হিসেবে বিবেচনা বা চিহ্নিত করার অবকাশ নেই বলে আমি মাননীয় আদালতে যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন করে নিউ জার্সির একটি ইমিগ্রেশন কোর্টের জজ কর্তৃক সেই ভ্রান্ত ধারণার বিরুদ্ধে একটি রুলিং আদায় করতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু টেক্সাস, ক্যালিফোর্নিয়া, আরিজোনা অঙ্গরাজ্যের জজরা সেই রুলিংয়ে পাত্তা দিচ্ছেন না।”
মাহবুব জানান, তারা একেকজন প্রায় ২৫ লাখ টাকা দালালকে দিয়ে বিভিন্ন দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন।
অনশন ধর্মঘটের ব্যাপারে জানতে চাইলে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট বিভাগের মুখপাত্র লেটিসিয়া জামারিপা শুক্রবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ মুহূর্তে এল পাসো সেন্টারে অনশন চলছে বলে আমার জানা নেই।”
তার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় কাজী ফৌজিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কর্তৃপক্ষ কখনোই এসব স্বীকার করেন না।”
শনিবার দুপুরে (বাংলাদেশ সময় রোববার ভোররাতে) এল পাসো ডিটেনশন সেন্টারের সামনে ড্রাম এবং ন্যাশনাল লইয়ার্স গিল্ডের যৌথ উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলন হবে বলে জানান তিনি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন