বাংলাদেশে আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে সাংসদদের প্রচারাভিযানে অংশ নেবার প্রশ্ন নিয়ে বিপরীত অবস্থান নিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও গত সংসদ নির্বাচন বর্জনকারী প্রধান বিরোধীদল বিএনপি।
বর্তমান আচরণবিধি অনুযায়ী এই নির্বাচনে এমপিরা প্রচারে অংশ নিতে পারেন না। তবে ৩০শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় পৌর নির্বাচনে এবারই প্রথম দলীয় প্রতীক নিয়ে ভোটযুদ্ধ হবে।আজ আওয়ামী লীগ নেতাদের একটি প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনারদের সাথে দেখা করে নির্বাচনী আচরণবিধিতে পরিবর্তন আনার আহ্বান জানায়। কিন্তু বিএনপির নেতারা বলছেন, এতে নির্বাচন প্রভাবিত হবে - তাই বর্তমান আচরণ বিধি বহাল রাখার দাবি করছে তারা।
দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ পরে বিবিসিকে বলেন, এমপিদের কোন নির্বাহী ক্ষমতা নেই, তাই তাদের সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে একই কাতারভুক্ত করে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে না দেয়াটা সংবিধানবিরোধী বলে মনে করেন তারা।
তিনি আরো বলেন, পৌর নির্বাচন দলীয় ভিত্তিতে হচ্ছে, তাই এখানে নির্দলীয় নির্বাচনের মতো বিধি সঙ্গতিপূর্ণ নয়। নির্বাচন কমিশন ব্যাপারটি বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছে বলেও জানান তিনি।
অন্য দিকে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল আজ নির্বাচন কমিশনের সাথে সাক্ষাত করার পর দলটির সিনিয়র নেতা ওসমান ফারুক বিবিসিকে বলেন, এমপিদের নির্বাহী ক্ষমতা না থাকলেও তারা নির্বাচনী প্রচারে গেলে সেখানকার নির্বাহীবিভাগের লোকেরাও এতে জড়িত হয়ে পড়বেএবং ভোট প্রভাবিত হবে।
তাই বর্তমান নিয়ম যা আছে তাই থাকুক এটাই তারা চান - বলেন ওসমান ফারুক।
মাহবুবুল আলম হানিফ অবশ্য বলছেন, গত সংসদ নির্বাচন বর্জনকারী বিএনপির এখন কোন এমপি নেই বলেই তারা এ ক্ষেত্রে চতুরতার আশ্রয় নিচ্ছে।
তবে বিএনপি এবং জাতীয় সংসদে বিরোধীদল জাতীয় পার্টি উভয়েই পৌর নির্বাচন ১০ থেকে ১৫ দিন পিছিয়ে দেবার দাবি করছে।
বিএনপির প্রতিনিধিরা পৌর নির্বাচন অন্তত ১৫ দিন পিছিয়ে দেয়া, আটক নেতাকর্মীদের মুক্তি এবং সব দলের জন্য 'লেভেল প্লেইং ফিল্ড' বা সমান সুযোগ সৃষ্টি করার দাবি তুলে ধরেছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন