তিন ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতলো অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ম্যাচে ২০৮ রানে জিতেছিল স্বাগতিকরা, দ্বিতীয় ম্যাচটি ড্র হয়।
অ্যাডিলেইড টেস্টের প্রথম দুই দিনের মতো তৃতীয় দিনের খেলাতেও ছড়ি ঘুরায় বোলাররা। প্রথম দিনে উইকেট পড়েছিল ১২টি, দ্বিতীয় দিনে ১৩টি। তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও উইকেট পড়ে ১২টি।
জয়ের লক্ষ্য তাই ছোট হলেও তৃতীয় দিনের শেষ দুই সেশনে ভালোই ভুগতে হয় অস্ট্রেলিয়াকে। ১৮৭ রানের লক্ষ্যে ৪ উইকেটে ১৬১ করে ফেলার পর স্বাগতিকদের সহজ জয়ের সম্ভাবনাই উঁকি দিচ্ছিল। কিন্তু দ্রুত আরও তিন উইকেট হারিয়ে বসায় শেষ দিকের লড়াইয়ে কিছুটা নাটকীয়তা জাগে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য জয়ের হাসিতেই মাঠ ছাড়ে স্টিভেন স্মিথের দল।
অস্ট্রেলিয়া-নিউ জিল্যান্ডের টেস্টটি তিন দিনেই শেষ হওয়ার প্রেক্ষাপট আগের দিনই প্রস্তুত হয়ে যায়। ৫ উইকেটে ১১৬ রান নিয়ে মঙ্গলবার খেলতে নামা অতিথিরা দিনের দ্বিতীয় ওভারেই ষষ্ঠ উইকেট হারালে সে সম্ভাবনা আরও বেড়ে যায়। সঙ্গে স্বাগতিকদের জয়ের সম্বাবনাও জোরালো হয়।
আরেক অপরাজিত ব্যাটসম্যান মিচেল স্যান্টনার প্রতিরোধ গড়লেও নিজের ইনিংসটাকে বড় করতে পারেননি। তবে তার ৪৫ ও ডজ ব্রেসওয়েলের অপরাজিত ২৭ রানে শেষ পর্যন্ত ২০৮ রান করে নিউ জিল্যান্ড।
এই ইনিংসে নিউ জিল্যান্ডের ব্যাটিংয়ে বড় হুমকি ছিলেন পেসার জস হেইজেলউড। ৭০ রান খরচায় ৬ উইকেট নেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়ার সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৮৭ রানের। মোটেও বড় কোনো স্কোর নয়; আগের দুই দিনের কন্ডিশনের বিচারে আবার একেবারে সহজও ছিল না।
ডেভিড ওয়ার্নার ও জো বার্নস ৩৪ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়ে মোটামুটি ভালোই শুরু করেছিলেন। তবে ট্রেন্ট বোল্টের পেসে নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকায় ছোট লক্ষ্যটাও এক সময় খানিকটা কঠিন হয়ে পড়েছিল।
এই ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৯ রান করেন শন মার্শ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৫ রান ওয়ার্নারের।
বোল্ট ৬০ রান খরচায় ৫ উইকেট নেন।
প্রথম ইনিংসে নিউ জিল্যান্ডের ২০২ রানের জবাবে ২২৪ রান করে অস্ট্রেলিয়া।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন