স্মার্ট কার্ড হবে এই ধরনের চিপযুক্ত
একটি স্মার্টকার্ড দিয়ে ‘সব কাজ’ করার সম্ভাব্যতা যাচাই এবং কীভাবে নাগরিক সুবিধা-নিশ্চিত করা যায়- সে বিষয়ে ঢাকার হোটেল সোনারগাঁওয়ে দুই দিনব্যাপী ই-আইডি ফোরাম আয়োজন করা হয়েছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ও এশিয়া প্যাসিফিক স্মার্ট কার্ড অ্যাসোসিয়েশনের (এপিএসসিএ) যৌথ উদ্যেগে ১ ও ২ ডিসেম্বর ‘১১তম গভর্মেন্ট ডিসকাশন ফোরাম ফর ইলেকট্রনিক আইডেনটিটি-২০১৫’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠান হবে। এতে ৩০টি দেশের শতাধিক তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ অংশ নেবেন।
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন, “দেশে প্রচলিত বহু ধরনের কাজের জন্য অনেক রকম কার্ডের পরিবর্তে একটি স্মার্টকার্ডের মাধ্যমে ব্যক্তিগত, সরকারি ও বেসরকারি সব কাজে ব্যবহারের সম্ভাব্যতা যাচাইসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে স্মার্টকার্ডের বেস্ট প্রাকটিস এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ সৃষ্টির প্লাটফর্ম হবে এই ফোরাম।”
এবারের ফোরামের থিম- ‘হাউ ন্যাশনাল ই-আইডি ক্যান সাপোর্ট ডেলিভারি অব পাবলিক অ্যান্ড প্রাইভেট সেক্টর সার্ভিসেস’।
নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে সরকার জাতীয় পরিচয়পত্রধারীদের স্মার্ট আইডি কার্ড দিতে কাজ করছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “পৃথিবীর অন্যান্য দেশ কোন প্রেক্ষিতে কীভাবে এ ধরনের কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করছে এবং আমরা কীভাবে এই সুবিধাগুলো নিশ্চত করতে পারি- সে বিষয়ে বিশদ আলোচনা, উপদেশ এবং সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার জন্য এ আয়োজন।”
ই-আইডি ফোরামের ৯ম ও ১০ম আয়োজন হয় হংকং ও কম্বোডিয়ায়।
ঢাকায় ফোরামের উদ্বোধন করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
ফোরামে আটটি সেমিনার হবে জানিয়ে পলক বলেন, বাংলাদেশের জন্য দুইটি সেশনসহ মোট ২৭টি টেকনিক্যাল অধিবেশন ধাকবে, যেখানে স্মার্ট আইডি কার্ড বিশেষজ্ঞরা অংশ নেবেন।
সংবাদ সম্মেলনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার, এপিএসসিএ চেয়ারম্যান গ্রেগ পোট উপস্থিত ছিলেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন