পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। ছবি: রয়টার্স
কৌশলগত ক্ষুদ্র পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে পাকিস্তান কোনো বিধিনিষেধ মেনে নেবে না। যুক্তরাষ্ট্র সফরে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ এমন সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবেন বলে আভাস দিয়েছেন পাকিস্তানি কর্মকর্তারা।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউজে প্রেসিডেন্ট ওবামার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শরিফের বৈঠক হওয়ার কথা আছে। এর একদিন আগে বুধবার পাকিস্তানি কর্মকর্তারা ওই কথা জানান।
ক্ষুদ্র পরমাণু অস্ত্রের কারণে পারমাণবিক শক্তিধর বৃহৎ প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত পাকিস্তানে আকস্মিক হামলা চালাতে অনুৎসাহিত হবে বলে মনে করছে পাকিস্তান।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ধারণা, ক্ষুদ্র আকারের কারণে প্রচলিত যুদ্ধেও এ ধরনের পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারে প্রলুব্ধ হতে পারে পক্ষগুলো। এতে ইতোমধ্যেই অস্থিতিশীল হয়ে থাকা ওই এলাকার পরিস্থিতি আরো নাজুক হয়ে পড়তে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের একটি সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তানের ক্রমবর্ধমান পরমাণু অস্ত্রের বিষয়ে ওয়াশিংটনের উদ্বেগের মাঝেই সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য ওবামা প্রশাসন দেশটির কাছে আটটি এফ-১৬ জঙ্গিবিমান বিক্রয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
পাকিস্তানের কাছে কৌশলগত ক্ষুদ্র পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার না করার প্রতিশ্রুতি চায় যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু সম্ভাব্য হামলা থেকে ভারতকে বিরত রাখতে ইসলামাবাদ বিকল্প জারি রাখতে চায় বলে জানান সাউথ এশিয়ান স্ট্র্যাটেজিক স্টাবিলিটি ইনস্টিটিউটের প্রধান মারিয়া সুলতান।
পাকিস্তানের পরমাণু কর্মসূচির সঙ্গে জড়িত এক কর্মকর্তা বলেন, “পাকিস্তানের পরমাণু কর্মসূচি ভারতকেন্দ্রীক। যুদ্ধকে কোনো সমস্যার বিকল্প না ভাবার জন্যই এই কর্মসূচি। আর কৌশলগত পরমাণু অস্ত্র যুদ্ধের সম্ভাবনাকে পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে।”
“আমরা কোন ধরনের অস্ত্র তৈরি করবো অথবা ব্যবহার করবো কেউ তার নির্দেশনা দিতে পারে না”, বলেন তিনি।
পাকিস্তান পারমাণবিক ডুবোজাহাজ (সাবমেরিন) তৈরির কাজ করছে বলেও জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা। এই ডুবোজাহাজ পরমাণু অস্ত্র বহন করতে ও ছুঁড়তে পারবে। স্থলভিত্তিক পরমাণু অস্ত্র আক্রান্ত হলে সমুদ্রভিত্তিক বিকল্প হামলার সুযোগ হাতে রাখতে এ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের অধিকার অযৌক্তিক সীমার মধ্যে নিয়ে আসার দাবি জানাচ্ছে এবং এর বিনিময়ে সামান্য কিছু প্রতিশ্রুতি ছাড়া বেশি কিছু দিতে চাইছে না বলে অভিযোগ পাকিস্তানের।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন