মঙ্গলবার, ২০ অক্টোবর, ২০১৫

বিজেপি নেতাদের ওপর ‘অসন্তুষ্ট’ নরেন্দ্র মোদি

Image result for modi prime minister


ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গরুর মাংস খাওয়া নিয়ে তাঁর দল বিজেপির কয়েকজন নেতার সাম্প্রতিক বক্তব্যে ‘অসন্তুষ্ট’। এ ব্যাপারে আলোচনার জন্য দলীয় সভাপতি অমিত শাহ গতকাল রোববার সংশ্লিষ্ট নেতাদের ডেকে পাঠান। সভাপতি তাঁদের সতর্ক করে দেন। খবর এনডিটিভির।
গরুর মাংস খাওয়ার গুজবকে কেন্দ্র করে উত্তর প্রদেশের বিসাদা গ্রামে গত ২৮ সেপ্টেম্বর মুহম্মদ ইকলাখকে (৫২) পিটিয়ে হত্যার ঘটনার পর বিজেপির ওই নেতারা বিতর্কিত মন্তব্য করেন। গতকালের বৈঠকে তাঁদের সতর্ক করে দেওয়ার পাশাপাশি অমিত শাহ প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েও আলোচনা করেন। এতে উপস্থিত ছিলেন হরিয়ানা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খাট্টার, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মহেশ শর্মা, দলীয় আইনপ্রণেতা সংগীত সোম, বিতর্কিত দুই নেতা সাক্ষী মহারাজ ও সঞ্জয় বালিয়ান।
বিজেপির ওই নেতাদের বক্তব্যে ভারতজুড়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। দেশে ক্রমবর্ধমান ‘অসহিষ্ণুতার’ প্রতিবাদে ৪২ জন বিশিষ্ট লেখক সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার ফিরিয়ে দিয়েছেন। তবে বিজেপির নেতারা গতকালের বৈঠককে ‘নিয়মিত আলোচনা’ বলে পাশ কাটানোর চেষ্টা করেছেন। সাক্ষী মহারাজ বলেন, আঞ্চলিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য তিনি গতকালের বৈঠকে যান।
দাদরি হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে ইতিমধ্যে ‘দুঃখজনক’ আখ্যা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। বিজেপি জোটের শরিক শিরোমণি আকালি দল দাদরির ঘটনা নিয়ে ‘দায়িত্বহীন বক্তব্য’ দেওয়া নেতাদের বিরুদ্ধে দলের শীর্ষ পর্যায় থেকে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেছে।
সরকারের সমালোচনায় সোনিয়া: প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের প্রধান সোনিয়া গান্ধী দেশে অসহিষ্ণুতা বৃদ্ধি এবং সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার জন্য মোদির সরকারকে দায়ী করে শনিবার বিহারে এক সমাবেশে বলেছেন, এই সরকার গরিবদের বিরোধী এবং করপোরেট ব্যবসায়ীদের জন্য বন্ধুভাবাপন্ন।
দ্য হিন্দুর খবরে বলা হয়, বিহার রাজ্যের বক্সার ও ছাপড়ায় সোনিয়া বলেন, মোদি ক্ষমতায় আসার পর থেকে বুদ্ধিজীবীদের হয়রানি করা হচ্ছে। গুজব ছড়ানোর মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা চলছে। জনগণের ওপর নিজেদের আদর্শ চাপিয়ে দিতে চাইছে বিজেপি। এটা লজ্জাজনক।
প্রধানমন্ত্রী মোদিকে উদ্দেশ করে সোনিয়া বলেন, হিন্দু ও মুসলিমরা পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়াই করে না, তাদের ওই দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। এ ধরনের লড়াই বন্ধ হলে অনেকের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে। এ কথা বিজেপির চেয়ে ভালো আর কে জানে?

prothom alo

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন