বাংলাদেশের রাজধানীতে বাসে চলাচল করেন এমন যাত্রীরা বলছেন, ঢাকার বাসগুলোতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়সহ নানা ধরণের দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন তারা।
একটি নাগরিক সংগঠন সোমবার এক গন শুনানিতে বাসযাত্রীদের অনেকে অভিযোগ করেন, পরিস্থিতি এক অসহনীয় ও নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে এবং যাত্রীরা জিম্মি হয়ে পড়েছেন।এরই মধ্যে গতকালই অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগে কয়েকটি বাসের চালককে সাজা দেওয়া হলে তার প্রতিবাদে পরিবহন শ্রমিকেরা রাস্তায় এলোপাতাড়িভাবে বাস ফেলে রেখে সারাদিন অবরোধ পালন করেন।
ঢাকার ফার্মগেট এলাকায় বাস-মিনিবাসের কয়েকজন যাত্রীর সাথে কথা হয়।
আনোয়ারুল ইসলাম একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বিক্রয় বিভাগে কাজ করেন।তার কাজের জন্য দিনের একটা বড় অংশ বাসে চলাচল করতে প্রতিদিনই তাকে দুর্ভোগের মুখে পড়তে হয়।
“সরকার কিলোমিটার প্রতি দশ পয়সা ভাড়া বাড়িয়েছে। কিন্তু ভাড়া নেয়া হচ্ছে কয়েকগুণ বেশি।
“যেখানে যেতে আগে পাঁচ টাকা লাগতো, সেখানে এখন নেয়া হচ্ছে পনেরো টাকা,” তিনি বলেন।
কলেজ শিক্ষার্থী ফরিদা ইয়াসমিন বলছিলেন, বাসের কর্মচারীদের দুর্ব্যবহারসহ নানান ধরণের হয়রানির মুখোমুখি হতে হয় যাত্রী।
“বাসের যাত্রীদের দুর্ভোগ দেখার কেউ নেই,” তিনি বলেন।
এমন অভিযোগও রয়েছে যে, বেসরকারি বাস মালিক এবং শ্রমিকদের সংগঠনগুলোর নেতারা ক্ষমতাসীন দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকেন। ফলে দুর্ঘটনায় মানুষ নিহত হওয়াসহ কোন অন্যায় হলে, তাতে ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষেত্রেও বাধা আসে।
রোববার দেখা গেছে, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে এক অভিযানে কয়েকজন বাস চালকের জরিমানা এবং সাজা হলে বেসরকারি বাসের শ্রমিকরা ঢাকার রাস্তায় রাস্তায় বাস ফেলে অবরোধ তৈরি করেছিল।
তবে সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাহজাহান খান - যিনি সরকারের একজন মন্ত্রীও – বলেন যে পরিবহন খাতে ‘জবাবদিহিতা এবং নিয়ন্ত্রণ রয়েছে’।
সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বা বিআরটিএ-র বিরুদ্ধেও কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়াসহ অনেক অভিযোগ রয়েছে।
তবে বিআরটিএ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেছেন, সমস্যাগুলো নিরসনের ক্ষেত্রে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং পরিবহন মালিক-শ্রমিকদেরও ভূমিকাসহ সকলের সম্মিলিত পদক্ষেপ প্রয়োজন
“আমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী যতটুকু করার ,তা করছি,”
সাধারণ মানুষের অনেকে বলেছেন, তাদের দুর্ভোগ কমাতে কর্তৃপক্ষের আরও শক্ত অবস্থান নেয়া উচিত বলে তারা মনে করেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন